The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 28
→রুহী সরে আসে।আজ শাড়ীতে এতোটাই আকর্ষনীয় লাগছে স্বয়ং রোয়েন নিজেকে আটকাতে পারছেনা।রুহী সরে এসে মাথা নিচু করে তারপর মাথা অন্যদিকে ঘুরাতে নিলে রোয়েন ওর হাতের পাঁচ আঙ্গুল ব্যাবহার করে রুহীর গাল চেঁপে ওর মুখ সামনে আনে।রুহী ব্যাথা পাচ্ছে।কিন্তু এ লোকের সেদিকে কোন খেয়াল নেই রোয়েন রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।একহাত দিয়ে রুহীর কোমড় চেঁপে ধরে অনেকটা কাছে টেনে নেয়।রুহীর ব্যাথা লাগছে।রুহীর দাঁত যেন ওর গাল কেঁটে বেরিয়ে আসবে।রুহী রোয়েনকে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরাতে চাইছে।কিন্তু সে আরো জোরে ধরছে।জোরে ও সরাতে পারছেনা তাকে।কারন জোরে সরাতে গেলে শব্দ হবে। পাশে সবাই কাজ করছে।শুনলে বেইজ্জতি হয়ে যাবে ওদের।কিছুক্ষন পর রোয়েনের হাত রুহীর গালে শিথিল হয়ে আসে।সরে আসে ও।রুহী গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে।রোয়েন ওর দিকে না তাকিয়ে বলল,
.
.
-সরি।বুঝতে পারিনি আমি।
-ইটস ওকে।
-তোমার বাবাকে ডাকা উচিৎ।ওনি ও খাক আমাদের সাথে।
.
.
কথাগুলো বলে রোয়েন বেরিয়ে যায় রেজোয়ান মাহবুবকে ডেকে আনার জন্য।কিছুক্ষন পর দুজনেই রুমে প্রবেশ করে।রুহী শাড়ী ঠিক করে বসে।রেজোয়ান মাহবুব মেয়ের পাশে এসে বসে আর অপর পাশে রোয়েন।রোয়েন বলল,
.
.
-আমাদের সাথে খেয়ে নিন।
-আমি খাবোনা স্যার।
-বাবাকে ছেলে অর্ডার দিবে ভালো দেখায় না।সো প্লিজ খেয়ে নিন।
.
.
রোয়েনের কথায় রুহী আর রেজোয়ান মাহবুব দুজনেই অবাক।রোয়েনের কি হলো ওনার হঠাৎ?রুহীর ভালো লাগছে খুব।ওনি বাবা ডাকছেন বাবাকে শুনে।রেজোয়ান মাহবুবের কান্না চলে আসে।ওনি নিজেকে কন্ট্রোল করেন।কারন মেয়ের সামনে দূর্বল হতে চাননা ওনি।রেজোয়ান মাহবুব খেতে রাজি হন।রুহী প্লেটে খাবার বেড়ে বাবার সামনে দেয়।ওর সামনে প্লেট নেই তাই রেজোয়ান মাহবুব প্রথম লোকমা রুহীর মুখের সামনে ধরে।ঠিক তখনই রেয়েন ও এক লোকমা ভাত এগিয়ে দেয় রুহীর সামনে।এমন করতে দেখে রুহী অবাক চোখে দুহাতের দিকে তাকিয়ে হাতজোড়ার মালিকদের দিকে তাকায়।এদিকে এমন দেখে রেজোয়ান মাহবুব আর রোয়েন হেসে উঠে হঠাৎ।রুহী ও হেসে দেয়।রোয়েন আর রেজোয়ান মাহবুব নিজেরা ও খায় এবং রুহীকে খাইয়ে দেয়। খাবার শেষ করে রেজোয়ান মাহবুব বেরিয়ে আসে।তারপর নিজের কেবিনে চলে যান।রুহী মুখ ধুয়ে পানি খেয়ে সোফায় বসে থাকে।রোয়েন বলল,
.
.
-আমি আসছি।আসার আগে বের হলে খবর আছে।
-আচ্ছা।
.
.
রোয়েন কালো কোটটা গায়ে জড়িয়ে রুহীর সামনে ল্যাপটপ রাখে।এটায় কিছু গান আছে শুনতে পারো।
রুহীর মাথা ঠোঁট বুলিয়ে বেরিয়ে যায়।এদিকে রেজোয়ান মাহবুব স্ত্রী নির্ঝরার ছবি হাতে নিয়ে বসে আছেন।ওনার চোখে পানি।
.
.
-নির্ঝরা আজ থাকলে খুব খুশি হতে তুমি।রুহীর পাশাপাশি একটা ছেলেও পেয়েছি।জানো ও রুহীকে খুব ভালোবাসে।রুহীর জন্য সব করতে পারে নির্ঝরা সব।শুধু তুমিই চলে গেছো।
.
.
ক্রন্দনজড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলতে থাকেন রেজোয়ান মাহবুব।হঠাৎ পিঠে কারোর স্পর্শ অনূভব করেন ওনি।দ্রুত চোখ মুছে দেখেন আনিলা শোহরাব দাঁড়ানো।আনিলা শোহরাব বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং শিল্পপতি তাজাোয়ার শোহরাবের মেয়ে।রোয়েনের একান্ত ব্যাক্তিগত খবরি।রেজোয়ান মাহবুব এখানে জয়েন করার কিছুদিন পর আনিলা ও জয়েন করে এই অফিসে।সেখানেই রেজোয়ান মাহবুবের সাথে পরিচিতি তার।এবং প্রথম পরিচয়ে মনে লেগে যায় রেজোয়ান মাহবুবকে।আনিলা শোহরাবের রেজোয়ান মাহবুবের প্রতি ভালো লাগা একসময় ভালোবাসায় পরিনত হয়।রেজোয়ান মাহবুবকে মনের কথা জানাতেই ওনি বলেছিলেন,
.
.
-এটা সম্ভব নয়।আমি বিবাহিত।
-ঠিক আছে।
.
.
-আনিলা শোহরাব চলে যান।এরপর নির্ঝরার মৃত্যু হলে রেজোয়ান মাহবুবকে আবার ও ভালোবাসার কথা বলে প্রত্যাখ্যান হন।তারপর ও বলেছিলেন অপেক্ষা করবেন রেজোয়ান মাহবুবের জন্য।তারা বন্ধুত্ব গড়েছিলো কিন্তু আনিলার ভালোবাসায় সাড়া দেয়নি রেজোয়ান।ওনি ও ভালবাসতেন আনিলাকে কিন্তু রুহীর থেকে আলাদা হওয়ার ভয়টাই ছিলো অনেক বেশি।
তাই আজ ও অবিবাহিতা ওনি।কথা গুলো ভাবছিলেন রেজোয়ান মাহবুব।তারপর জিজ্ঞাস করেন,
.
.
-তুমি এখানে?
-জি।কাঁদছো কেন?
-আমি অনেক ভাগ্যবান রোয়েন স্যার কে ছেলে হিসেবে পেয়ে।আমার মেয়েটাকে অনেক অবহেলা করে এসেছি।সবসময় ভাবতাম ওকে ওর প্রাপ্য আদর খুশি দিতে না পারলে নির্ঝরা কে মুখ দেখাতে পারবোনা।এখন আমার মেয়েকে নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই।রুহী অনেক ভাগ্যবতী স্যারের মতো এমন একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছে।এখন যদি ও মরে ও যাই কোন কষ্ট থাকবেনা।
-ছি কি বলছো এসব।রুহীর জীবনে অনেক সুখের সময় এখন।তোমাকে ওর দরকার।
.
.
ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি রুহীর।আসলে ল্যাপটপে গান শুনার মাঝেই রুহীর চোখের সামনে কিছু সিসিটিভি ফুটেজের ফাইল দেখতে পায়।আজকের টায় ক্লিক করে ও।রোয়েনের অফিসের এই ক্যামেরা গুলো স্পিকার লাগানো যার কারনে সব শুনা যায়।রুহী সেখানে ওই নারী আর বাবার কথা শুনছিলো।কথা গুলো ওর খুব ভালো লাগছিলো।কথা গুলো শুনার মাঝেই ওর চোখ ভরে আসে।শাড়ীর আঁচলে চোখ মুছে ও আবার দেখতে শুরু করে।হঠাৎ খেয়াল করে বাবা কাঁদতে কাঁদতে মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরেছেন।রুহী বেশ অবাক হয়।মাথা যেন মুহূর্তের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।ও কি দেখছে এসব?বাবা এভাবে মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরেছেন যেন ভালোবাসেন।তাহলে????রুহী তাকিয়ে থাকে নিঃশব্দে।এদিকে রোয়েন এসে কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু রুহীর দিকে তাকিয়ে তারপর ল্যাপটপের দিকে তাকায়।আবার রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।মেয়েটা চুপ করে বসে আছে কিন্তু ওর চোখজোড়ায় দুশ্চিন্তার ছাপ।ওকে নরমাল করা প্রয়োজন।নাহলে নিজের বাবাকে নিয়ে কিনা কি ভাববে।কথাগুলো ভাবতে থাকা রোয়েন একসময় বলে উঠে,
.
.
-আচ্ছা রুহী সব তো খেলাম কিন্তু আমার ডেজার্ট!!!!!
.
.
রোয়েনের ডাকে আত্মা কেঁপে উঠে রুহীর।ধড়ফড়িয়ে পিছনে ফিরে ও।
.
.
-জি!!
-আমার ডেজার্ট কই?
-আসলে বানাতে ভুলে গেছি।আজ বানিয়ে দিবো বাসায় ফিরে।
-আমার এক্ষুনি চাই।
-বাট আমার কাছে তো নেই।
.
.
রোয়েন রুহীর হাত ধরে উঠিয়ে কোমড় ধরে কাছে টেনে নেয়।আর বলে উঠে,
.
.
-তোমার কাছে আছে।
-জি!!!!
.
.
আর সময় না নিয়ে রুহীর ঠোঁটজোড়ায় ঠোঁট ডুবায় রোয়েন।ঘনঘন চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে রুহীকে।রুহী কি করবে বুঝতে পারছেনা। সরে যেতে ও পারছেনা রেসপন্স ও করতে পারছেনা।কারন যাই করবে বাহিরে শব্দ যাবে আর সেটা কখনো ভালো দেখাবেনা।রুহীতো সুখের সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে।রুহীকে রেসপন্স না করতে দেখে রোয়েন একটু রেগে আরো গভীর চুম্বন শুরু করে।রুহীকে একটু উঠিয়ে নিয়ে টেবিলে বসিয়ে ওর আঁচলের ফাঁকে খালি পেটে হাত ছোঁয়ায়।সেখানে ইচ্ছে মতো স্লাইড করছে, সুঁড়সুঁড়ি দিচ্ছে ।রুহী আর ধরে রাখতে পারেনা নিজেকে।রোয়েনকে শক্ত করে ধরে নিজের সাথে তারপর নিজে ও চুমু খেতে শুরু করে।রোয়েন এবার উন্মাদ প্রায়।রুহীর ঠোঁটে আর ঠোঁটের চারপাশে ওর চিবুকে চুমু দিয়ে এবার রুহীর গলায় নেমে আসে।রুহীর গলায় অসংখ্য চুমু দিতে থাকে।রুহী এবার শরীরের ব্যালেন্স রাখতে পারছেনা।কোনমতে রোয়েনের কোট খাঁমচে ধরে বসে থাকে।অনেক্ষন পর সরে আসে রোয়েন।পিছনে ফিরে হাঁপাতে থাকে। রুহী কোনমতে বসে হাঁপাতে শুরু করে।কিছুসময় পর রোয়েন পিছনে ফিরে রুহীকে কোলে নিয়ে সোফায় এসে বসে।রুহী বাবুদের মতো রোয়েনের বুকে শুয়ে আছে।রোয়েন রুহীর চুল হাতিয়ে দিচ্ছে।
.
.
-আপনার ব্রেইনে সবসময় এসব চলে তাইনা?মুচকি হাসে রুহী।
-কোন সব? ভ্রু নাচিয়ে বাঁকা হেসে জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-না কিছুনা।রুহী কথা পাল্টাতে চায়।
-বলো বলো।রুহীর পেটে সুঁড়সুঁড়ি দিতে শুরু করে রোয়েন।
-না কিছুনা।কি করছেন কি ছাড়েন।হিহিহি।
.
.
কিছুসময় পর ছাড়ে রোয়েন।তারপর বলতে শুরু করে,
.
.
-তোমাকে দেখলে ঠিক থাকতে পারিনা আমি।বুঝোনা?
.
.
রুহী লজ্জায় লাল হয়ে আসে।আরো কিছুক্ষন পর বেরিয়ে আসে রোয়েন আর রুহী।রুহীকে এগিয়ে দিবে ও।রুহী যাওয়ার সময় হঠাৎ বলল,
.
.
-বাবা কে বলে যাই।
-হুম, চলো।
.
.
রোয়েন আর রুহী এসে দাঁড়ায়।ওরা দেখে রেজোয়ান মাহবুব আর আনিলা শোহরাব বেশ ঘনিষ্ট হয়ে একে অপরের হাত ধরে বসে আছেন।রুহী আর রোয়েনকে দেখে ওনারা সরে যান।রোয়েন রুহীর দিকে তাকায়। ওর মনে কি চলছে কে জানে?রেজোয়ান মাহবুব হেঁটে মেয়ের কাছে আসেন।রুহীকে দেখে রেজোয়ান মাহবুব বললেন,
.
.
-রুহী ও হচ্ছ আনি,,,,
.
.
বাবাকে থামায় রুহী,
.
.
-আামার ভালো লাগছেনা।বাসায় যাবো আমি।আল্লাহ হাফেজ।
.
.
আর দেরি না করে বেরিয়ে যায় রুহী।রুহীকে যেতে দেখে রোয়েন সবাইকে বলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।বাসায় এসে দেখে রুহী সোফায় বসে আছে।রুহীর পাশে এসে বসে রোয়েন,
.
.
-রুহী!
-জি!
-কি হলো?এভাবে চলে এলে যে?
– ভালো লাগছেনা আমার।
.
.
রোয়েনকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রুমে চলে যায় রুহী।ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে রোয়েন।
এরপর দিন থেকে কলেজে যেতে শুরু করে রুহী।হঠাৎ একদিন ওর মনে হতে থাকে কেউ দেখছে ওকে।কে যেন।রুহীর পাশাপাশি থাকে সবসময় কিন্তু বুঝতে পারেনা রুহী।যেখানে যায় সেখানে রুহীর মনে হয় কেউ ওকে দেখছে।ব্যাপারটায় ঘাবড়ে যায় রুহী।এভাবে অনেকটাদিন কেঁটে যায়।
চলবে