The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 21

→রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে রুহী।অজান্তেই ওর ডানহাত ঠোঁট স্পর্শ করে।চোখজোড়া বেয়ে অশ্রুগড়িয়ে পড়ে একবার।দৌড়ে বাথরুমে চলে আসে রুহী।আয়নার সামনে দাঁড়ায় ও।নিজে নিজেই হেসে দেয়।ঠোঁটজোড়া আবার ও স্পর্শ করে।অনেক অপেক্ষার পর পাওয়া এই ছোঁয়া।রুহীর হাসি থামছেইনা।এতো ভালো লাগছে ওর।বেশ কিছুসময় পর মুখ ধুয়ে বের হয় রুহী।রোয়েনের রুমে দেখার চেষ্টা করে নিজের রুম থেকে।লোকটা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে।
রুহী সরে আসে।তারপর খাটের ওপর বসে থাকে চুপচাপ।কখন যে লোকটা এসে ওকে বুকে টেনে নিবে এটাই অপেক্ষা রুহীর।রাতে ডাইনিং টেবিলে খাবার দেখে রোয়েন এসে বসে।কাজের লোকেরা প্লেট দিয়ে চলে যেতে নিলে রোয়েন জিজ্ঞেস করে,
.
.
-রুহী খেয়েছে?
-না স্যার।
-ঠিক আছে যাও।
-জি স্যার।
.
.
খাবারের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।তারপর কিছুনা ভেবেই ডাকতে শুরু করে,
.
.
-রুহী!!!রুহী!!!!
-জি!!!
-খেতে আসো।
-হুম।
.
.
রুহী এসে রোয়েনের পাশের চেয়ার ছেড়ে পরেরটায় বসতে গেলে রোয়েন চেয়ার টেনে ধরে।রুহী পড়ে যেতে নেয়।রোয়েন সামনে তাকিয়ে আছে।কিছু বলছেনা।রুহী হাসি লুকায়।তারপর ওর পাশের চেয়ারে বসে পড়ে।খাওয়া শেষে রুহী উঠে রুমে চলে যায়।আচ্ছা লোকটাকি ওকে বুকে নিয়ে ঘুমাবেনা?ওর যে ভীষন ইচ্ছে হচ্ছে লোকটার বুকে ঘুমাতে।কিছুক্ষন পর রোয়েন রুমে এসে রুহীকে কোলে তুলে নেয়।তারপর রুমে নিয়ে আসে ওর।রুহী কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে পড়ে রোয়েন।রুহী তাকাতে পারছেনা রোয়েনের দিকে লজ্জা লাগছে ওর। রোয়েন মাথা নামিয়ে রুহীর গলায় আলতো করে চুমু দেয় দুবার।রুহী চোখজোড়া বুজে নেয়।রোয়েন রুহীর কপালে চুমু দিয়ে ওকে বুকে টেনে শুয়ে পড়ে।রুহী এখনো ঠিক মতো কথা বলেনা রোয়েনের সাথে।হু হা উত্তর করে।রোয়েনের আর সহ্য হয়না।সকাল বেলা যখন কফি খায় একসাথে মেয়েটা চুপচাপ রোয়েনের মুখের কফিটুকু খেয়ে নেয়।চুমুতে ও কোনরকমের রেসপন্স করে না।আর নিতে পারেনা রোয়েন।রুহীকে চায় ও আগের মতো করে।রুহী কলেজ থেকে বেরিয়ে রোয়েনের অপেক্ষা করছে।বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসে।রোয়েন আসেনা নিতে।রুহী কিছুটা ভয় পেতে শুরু করে। কি করবে ও?হঠাৎ কালো জিপ দেখতে পায় রুহী।ও একটু সরে দাঁড়ায়।জিপটা ক্রমশ ওরদিকে এগুচ্ছে।রুহী আরো একটু সরে যায়।জিপটা ওর থেকে একটু দূরুত্বে আছে।হঠাৎ থেমে যায়।সেখান থেকে কালো পোষাকধারী একজন বেরিয়ে আসে।তার মুখ ঢাকা।সে এসেই রুহীর চোখ মুখ বেঁধে কোলে নিয়ে গাড়িতে ছুড়ে মারে।তারপর নিজে ও বসে পড়ে।গাড়ি চলতে শুরু করে।
রুহী ছটফট করছে।বাঁচাতে চাইছে নিজেকে।কিন্তু পারছেনা। কেঁদে দেয় রুহী।
বেশ কিছুক্ষন পর থেমে যায় গাড়ি।লোকটা নেমে রুহী কে কোলে করে নিচে নামায়।রুহীর লোকটার হাতে ইচ্ছে মতো খাঁমচি লাগাচ্ছে।হঠাৎ ও অনূভব করলো ওকে একজায়গায় বসানো হয়েছে।এটা হয়ত কিডন্যাপারের অাস্তানা।
এখন ওর হাত পা বেঁধে ফেলা হবে।ওর চলবে নির্মম অত্যাচার।কিন্তু এর কিছু হলোনা।ওর চোাখ মুখ খুলতে লাগে কে যেন।রুহী এবার যেন দম ফেলল।তারপর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল,
.
.
-কে আপনি?সাহস কি করে হয় আমাকে এভাবে উঠিয়ে আনার?রোয়েন যদি জানেনা আপনাকে শেষ করে ফেলবে।কোব্রা আর কিং এর ডিনার হয়ে যাবেন আপনি।আমার কষ্ট কিন্তু ওনি একদম সহ্য করতে পারেননা।ঐ রাজনীতিবিদের হাত পা কেঁটে কুমির কে খাইয়েছিলো।আপনার সাথে আরো খারাপ কিছু হতে পারে।নিজের জীবনের মায়া থাকলে আমাকে ছেড়ে দিন।পারলে ওনার কাছে দিয়ে আসুন।
-,,,,,,,,,,
-আরেহ বোবা নাকি কিছু বলছেননা কেন?বলতে না মন চাইলে না বলেন।দিয়ে আসুন আমাকে।চিৎকার করে ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
.
.
হঠাৎ লোকটা নিজের মুখের বাঁধন খুলতে শুরু করে।তার মুখের বাঁধন খুলা দেখে রুহী বলল,
.
.
-আরে আপনার চেহারা দেখার শখ নেই আমার।আমাকে যেতে দি,,,,,,,,,,,কথাটা শেষ করতে পারেনা রুহী।
.
.
লোকটার মুখের বাঁধন খুলে যায়।রোয়েনের চেহারা ভেসে উঠে।রুহী চমকে গিয়ে বলে,
.
.
-আপনি!!!!!!!
-রুহী কথা আছে তোমার সাথে।
.
.
রুহী চুপচাপ চলে যেতে নিলে ওর হাত টেনে ধরে নিজের বুকের সাথে ওর পিঠ লাগিয়ে নেয়।
.
.
-রুহী আ’ম সরি।খুব রাগ উঠছিলো আমার।তুমি জানো আমার সহজে রাগ উঠে যায়।তুমি আমার কাছে কখনোই নোংরা ছিলে না।তারপরও সেদিন বারবার নষ্টা বলছিলে নিজেকে।তাই রাগ সামলাতে পারিনি।প্লিজ রাগ করে থেকোনা আর।
-আমি রাগ করিনি। রাগ করার কোন কারন নেই।প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে।
.
.
হঠাৎ রুহীর মনে হয় ওর পেটে রোয়েনের হাত আলগা হয়ে এসেছে।এখন মনে হচ্ছে ওর পিছনে নেই রোয়েন।রুহী পিছনে ফিরে দেখে রোয়েন দৌড়ে একটা গাছের কাছে চলে গেলো।
তারপর বলতে লাগলো,
.
.
-আজ যদি মাফ না পাই এ দুহাত রাখবোনা আমি।এ হাতজোড়া তোমাকে কষ্ট দিয়েছে।
.
.
কথা গুলো বলে গাছে দুহাত দিয়ে প্রচন্ড জোরে ঘুঁষি লাগাতে শুরু করে রোয়েন।রুহী দেখতে পাচ্ছে রোয়েনের হাত রক্তে ভেসে যাচ্ছে।রুহী দৌড়ে ওর কাছে এলো।হাত দুটো জড়িয়ে বলল,
.
.
-প্লিজ ছেড়ে দিন এভাবে কষ্ট দিবেননা নিজেকে।প্লিজ আমি সত্যি রাগ করিনি।কথা কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না।প্লিজ এমন করবেননা।কেঁদে দেয় রুহী।
.
.
রোয়েন এবার রক্ত মাখা হাত দিয়ে রুহীর ঠোঁট স্পর্শ করে সেখানে চুমু খেয়ে বলল,
.
.
-আই লাভ ইউ রুহী।
.
.
রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করে।




রোয়েন রুহীকে জড়িয়ে ধরে।কিছুসময় পর সরে আসে রুহী।রোয়েন ওর হাত ধরে সামনে আসে।রুহী খেয়াল করে ভীষন সুন্দর করে সাজানো হয়েছে জায়গাটা।চারপাশে বেলুন।সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে সব কিছু।ফুলের মাঝে সাদা লাইট আছে। রোয়েন এবার রুহী কে উপরে তাকাতে ইশারা করে।রুহী দেখলো উপরে সব জোনাকি জ্বলছে।রুহীর মুখের কান্না হারিয়ে গিয়ে এক ছটাক হাসি ফু্টে উঠে।রোয়েন রুহীর কপালের কোনে চুমু খেয়ে ওর হাত ধরে একটা গোল টেবিলের কাছে নিয়ে এলো।রুহী এবার দেখলো রোয়েনের হাতের অবস্থা ভালোনা।রুহী উড়না ছিড়ে মুচকি হেসে বলল,
.
.
-একটু ফিল্মি হয়ে যাচ্ছে বাট এ ছাড়া উপায় ও নেই।
.
.
রোয়েন রুহীকে দেখেছে।হাত বাঁধা শেষ হলে দুজনে খেতে বসে।রোয়েন খেতে পারছেনা।রুহী রোয়েনকে খাইয়ে দিতে শুরু করে।আবার নিজে ও একটু খাচ্ছে।খাওয়া শেষে রোয়েন রুহীর হাত ধরে এক জায়গায় এসে দাঁড়ায়।রুহীর কোমড় দুহাতে ধরে নিজের কাছে টেনে আনে রোয়েন।রুহী দুহাতে রোয়েনের দুকাঁধ ধরে।কোথা থেকে যেন গান বেজে উঠে,
Anjaane ho tum, jo begaane ho tum
Jo pehchaane lagte ho kyun
Tum gehri neendon me jab soye soye ho
Toh mujhme jagte ho kyun
Jab tujhko paata hai
Dil muskurata hai
Kya tujh se hai waasta
Kya tujh me dhoondu main
Kya tujh se chaahu main
Kya kya hai tujhme mera
Jaanu na main tujhme mera hissa hai kya
Par ajnabi apna mujhe tu lagaa
নাচের মাঝেই রোয়েন রুহীর কপাল গাল চোখ ঠোঁট জোড়া স্পর্শ করতে থাকে।রুহী বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরে শক্ত করে।গান শেষ হওয়ার অনেক্ষন পর ওরা সরে আসে।রুহীর মুখ একদম লাল হয়ে এসেছে।রোয়েন এবার একটা কোন আইস্ক্রীম এনে সেটা খুলে রুহীর দিকে ধরলো।রুহী খেতে শুরু করে মুচকি হেসে।
রোয়েন এবার বলল,
.
.
-আমাকে ও দাও।
-না। আপনি আরেকটা নিন।
-আর নেই।
-আমি কি জানি? আমি দিবোনা।
-দাও না প্লিজ।
-না।আপনার টাকা আছে যান কিনে আনেন।
-কিনতে হবেনা।আমার এমনিতেই আছে।
-যা ইচ্ছা করেন।আমাকে খেতে দিন।
.
.
রোয়েন নিঃশব্দে হাসছে।রুহী পুরো মুখ মাখিয়ে রেখেছে অবশ্য ওর জন্যই ভালো।রুহী খেতে খেতে রোয়েনকে আড় চোখে দেখে মুখ ভেংচি দিয়ে আবার ও খেতে শুরু করে।খাওয়া শেষে রোয়েনের দিকে ফিরে রুহী বলতে যাচ্ছিলো বাসায় চলুন ততক্ষনে রোয়েন ওর মুখে ঠোঁট রেখে আইসক্রীম খেতে থাকে।আইসক্রীম খাওয়ার নামে ওর মুখে চুমু ভরিয়ে দিতে থাকে।
চলবে