The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 14
সেদিন কাপল ড্যান্সের মাঝেই রুহীর মাথার পাশে মুখ এগিয়ে দেয় রোয়েন।রুহী রোয়েনের দুকাঁধে হাত রেখেছে।রোয়েন রুহীর কানে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ায়।রুহী কেঁপে উঠে রোয়েনের কোট খাঁমচে ধরে দুহাতে।রোয়েন রুহীর কান থেকে মুখ সরিয়ে ওর ঘাড়ে চুমু দিয়ে সরে এসে রুহীর দিকে তাকায়।মেয়েটা চোখ খিঁচে বন্ধ করে আছে।রোয়েন মায়াবতীর নাকের ডগায় কামড় বসাতেই কিছুটা ব্যাথা পেয়ে চোখ খুলে সামনের মানুষটার দিকে তাকায় রুহী।তারপর নিজের নাকে একবার হাত ছোঁয়ায়।রোয়েন এবার রুহীর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে ওকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে।রুহী সারা গাড়ীতে রোয়েন কে দেখছিলো।ঘরে পৌছে রুহীকে কোলে তুলে নেয় রোয়েন।রুহী ঘরের আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকে সার্ভেন্টরা আছে কিনা?রোয়েন নিজের রুমে নিয়ে এসে খাটে শুইয়ে দেয়।রোয়েন দাঁড়িয়ে নিজের হাতের ঘড়ি, গায়ের কোট আর টাই খুলে ফেলতে শুরু করে।রোয়েন কে এমন করতে দেখে ভয়ে আশেপাশে তাকিয়ে হাতড়ে পিছনে যেতে থাকে রুহী।রোয়েন গায়ের শার্টের ওপরের তিনটা বোতাম খুলে রুহীর হাত টেনে ধরে পিছনে যেতে বাঁধা দেয়।রুহীর মায়াভরা মুখখানা মুহূর্তে কাঁদো কাঁদো হয়ে আসে।রুহী মিন মিন করে বলতে থাকে,
.
.
-প্লিজ ছেড়ে দিন।
.
.
রোয়েন বাঁকা হেসে রুহীর কপালে চুমু দিয়ে ওর ঠোঁটজোড়ায় ঠোঁট ডুবিয়ে শুষে নিতে থাকে রুহীর রসালো ঠোঁটজোড়া।রুহী প্রথম দিকে রোয়েন কে বাঁধা দিলে ও রোয়েনের ঠোঁটের স্পর্শে নিজে এতোটাই মাতাল হয়ে যায় যে একসময় হাতজোড়া দিয়ে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে।নিজে ও চুমু দিতে শুরু করে লোকটাকে।দশমিনিট গভীর চুম্বনের পর রোয়েন রুহীর গলায় মুখ ডুবায়।এলোপাথাড়ি চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে রুহীর গলা ঘাড়।রুহীর বুকে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।কোনভাবেই আটকাতে পারছেনা লোকটাকে।হয়ত ও চাইছে ও না।কিছুক্ষন পর সরে এসে রুহীর একটা হাত নিজের সামনে আনে রোয়েন।তারপর রুহীর হাতের পাতায় চুমু দিয়ে নিচে নামতে থাকে।পুরো হাতে চুমু খেয়ে রুহীর ওপর আবার আধশোয়া হয় রোয়েন।তারপর রুহীর দুচোখের পাতায় চুমু দিয়ে রোয়েন বলল,
.
.
-তোমাকে ভালোবাসি আমি তবে উগ্রভাবে নয়।কারন আমার হৃদয় জুড়ে তুমি আছো,সেখানে তোমার শরীরটার প্রয়োজন পড়েনা।তুমি যেদিন আমার রাজ্যের রানী হবে সেদিন পুরোপুরি আমার করে নিবো তোমায় এর আগে নয়।
.
.
রোয়েনের কথায় চোখ খুলে রুহী।লোকটা ওর দিকে তাকিয়ে আছে।রুহীর চোখের কোনা দিয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে।লোকটার চোখে ডুবে যাচ্ছে।তার চোখজোড়ায় ভালবাসার মাতালতায় ভরা।এমন তো আগে দেখেনি রুহী।রুহী নিজে ও ভালোবাসতে চায় তবে বিশ্বাস করতে পারছেনা।একবার ঠকেছে আর না।কি করে বিশ্বাস করবে লোকটাকে।সে তো খুনি!!”একটা খুনি কি করে এতো ভালোবাসবে?রুহী মাথা ঘুরিয়ে নেয়।রোয়েনের মাথা রুহীর বুকে ঢলে পড়ে।রুহী ও নড়তে পারেনা আর।সেভাবেই ঘুমিয়ে যায় ও।পরদিন সকালে রোয়েন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে রুহীকে ঘুমাতে দেখে সেই একই ভাবে।ঘুমের মাঝে ও এতোটা মায়াবী লাগে ওর মায়াবতীকে।কি করে এতো মায়াভরা চেহারা হতে পারে কারোর?রোয়েন এভাবে দেখতে থাকে মায়াবতী কে।রুহীর ঘুম ভাঙ্গে।চোখ খুলে বেশ চমকে যায় রুহী।লোকটা এভাবে নিষ্পলক চোখে দেখছে ওকে।রুহী উঠে যেতেই ঘোর কাঁটে রোয়েনের।রুহী ও ততক্ষনে উঠে বসে গায়ের কাপড় ঠিককরে নিচে নেমে দরজার দিকে এগুতেই রোয়েন বলল,
.
.
-এখানে থাকতে হলে কিছু শর্ত মানতে হবে।
.
.
রোয়েনের কথায় অবাক না হয়ে পারেনা রুহী।কি শর্তের কথা বলছে এই লোক হঠাৎ করে?রুহীর সাড়া না পেয়ে রোয়েন বলল,
.
.
-ফার্স্ট অফ অল সকালে উঠে আমি কফি চাই।আর সেটা দেবে তুমি।সার্ভেন্ট দিলে খুব পস্তাবে তুমি।সেকেন্ড,আমি বের হওয়ার সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিতে হবে,আমার শার্টের বোতাম লাগিয়ে দেবে।ঘরে ফিরলে আমার গালে চুমু খেতে হবে।ডিনারের সময় আমার পাশে বসে খেতে হবে।আগে খেয়ে নিলে ও আমার কাছে বসে থাকবে।আর যা বলবো সব শুনতে হবে এবং পালন ও করতে হবে।
.
.
রোয়েনের শর্তে রুহী হাসবেনা কাঁদবে বুঝতে পারছেনা।লোকটা কি পাগল হয়ে গেলো নাকি?কি বলছে এসব?রুহীকে কিছু না বলতে দেখে রোয়েন বলল,
.
.
-যাই ভাবো না কেন?এখন থেকে এই রুলস গুলো মানতে হবে।নাহলে কি করবো সেটা ভাবতে পারবেনা।যাও কফি নিয়ে আসো।ধমক দিয়ে বলে রোয়েন।
.
.
রুহী এবার দৌড়ে কফি বানাতে চলে গেলো।রোয়েন গায়ে বডি স্প্রে মেরে শার্ট গায়ে দিয়ে আছে।তবে বোতাম লাগায় নি।রুহী কাপড় পাল্টে কফি বানিয়ে রোয়েনের রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়।রোয়েন রুহী কে দেখে দাঁতে দাঁত চাঁপে।রুহী মাথা নিচু করে আছে।রোয়েন উঠে এসে রুহীর হাত টেনে ভিতরে নিয়ে এসে ওর সামনে দাঁড় করায়।রুহীর হাত থেকে কফি নিয়ে নেয়।রুহী ভয়ে ভয়ে রোয়েনের দিকে তাকাতেই লজ্জা পেয়ে যায়।রোয়েন সামনে তাকিয়ে বলল,
.
.
-বের হতে হবে আমার।সো ডু দিস আর্লি।
-জ জি
.
.
রুহী চুপচাপ রোয়েনের শার্টের বোতাম লাগাতে শুরু করে।রোয়েনের শরীর থেকে খুব মিষ্টি ঘ্রান আসছে।রুহী যেন হারিয়ে যাচ্ছে।বোতাম লাগাতেই রোয়েন হেঁটে ডাইনিং টেবিলের সামনে চলে আসে।রুহী ও এসে দাঁড়ায়।রুহীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রোয়েন বলল,
.
.
-ডিনারের সময় পাশে বসতে বলেছি দেখে এখন তো বসতে নিষেধ করিনি।সিট ডাউন।দাঁতে দাঁত চেঁপে বলল রোয়েন।
.
.
রুহী বসে পড়লো রোয়েনের পাশের চেয়ারে।দুজনে মিলে নাস্তা সেড়ে নেয়।রোয়েন উঠে মেইন ডোরের সামনে চলে যায়।রুহী ও পিছু পিছু চলে আসে।রোয়েন রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে।রুহী কিছুক্ষন ভেবে রোয়েনকে জড়িয়ে ওর গালে আলতো করে চুমু দিয়ে লজ্জা পেয়ে সরে আসে।রোয়েন বাঁকা হেসে বেরিয়ে যায়।দরজা লাগিয়ে রুমে চলে যায় রুহী।
,
,
,
,
সন্ধ্যায় কলিংবেলের শব্দ পেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে রুহী।তারপর দরজা খুলে দিয়ে রোয়েনকে দেখতে পায় ও।রোয়েন কর দিকে তাকিয়ে আছে ভ্রু কুঁচকে।যেন বুঝাচ্ছে কিছু ভুলে যাচ্ছো তুমি।রুহী দেরি না করে রোয়েনকে জড়িয়ে গালে চুমু খেতে যাবে তখনই ওর চোখ যায় পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা শামীম রফিক রামীন আর ও কয়েকজন।ভাগ্যিস রেজোয়ানের মাহবুবের চোখে পড়েনি নাহলে বেচারা কন্যার এমন চিত্র দেখলে হয়ত নির্ঘাত হার্টফেল করতো।রুহী লজ্জা পেয়ে সরে আসে।কি করে বসলো ও? সবার সামনে লজ্জা পেতে হলো ওকে?রামীন তো হাসতে শুরু করেছে।শামীম ওর বৌ আর মেয়েকে নিয়ে এসেছে।শামীম লজ্জা পেয়ে হাসি আটকাতে চেষ্টা করছে।বাকি সবাই মুখ লুকিয়ে হাসছে।
রুহীর লজ্জায় যায় যায় অবস্থা।কাকে বুঝাবে যে ও বুঝতে পারেনি।লোকটা এমন অদ্ভুত শর্ত দিয়ে রেখেছে।না করলে তো আবার ঝাড়ি দিবে।থাপড় ও হয়ত দু একটা খেতে হতে পারে।রুহী সবাই কে ভিতরে আসতে দেয়।ভিতরে ঢুকে রোয়েন রুমে চলে যায়।শামীম রুহীর হাতে একটা বক্স ধরিয়ে বলল,
.
.
-ছোট বোনের জন্মদিনে ভাইয়ের পক্ষ থেকে ছোট্ট গিফট।
-থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
.
.
তাঞ্জুম আর বাকি সবাই রুহীকে গিফট দিলো।রামীন দুটো ব্যাগ রুহীর হাতে দিয়ে বলল,
.
.
-এটা সরি গিফট রুহী।
-সরি কেন ভাইয়া।
-সেদিন মিথ্যা বলায় কষ্ট পেয়েছিলে তুমি।
-ইটস ওকে ভাইয়া।বসুন না আপনারা।
.
.
তাঞ্জুম এসে রুহীর হাত ধরে ওর রুমে নিয়ে এলো।তারপর দুজনে মিলে খাটে বসে।তাঞ্জুম রুহীকে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-স্যার কে খুব ভালবাসো না?
-জানি না ভাবি।
-রুহী জানো স্যার তোমাকে খুব ভালবাসে।যখন তুমি ছিলেনা অস্থির হয়ে গেছিলো।ফ্রান্স থেকে ফিরেই তোমাকে খুঁজতে বেরিয়ে যায় ওনি।এমন মানুষ পাওয়া যায়না রুহী।জানো আমাদের জন্য স্যার অনেক কিছু করেছেন।তোমার ভাইয়া গ্রামে পড়াশুনা করতো।সে যখন ঢাকায় আসে তখন স্যার ওনাকে নিজের কাছে রাখে।এ পুরো এলাকাটা স্যারের।আর বাড়ি গুলো ও স্যারের।শামীম আর আমাকে স্যারই বিয়ে দিয়েছেন।দৃষ্টির স্কুলের ভর্তি করিয়েছেন ওনি।এমন মানুষ পাওয়া যায়না রুহী।ওনি অনেক ভালো মানুষ।
.
.
তাঞ্জুমের কথা গুলো চুপচাপ শুনে যায় রুহী।কিছু বলতে পারেনা ও।কিছুসময় পর রেজোয়ান মাহবুব আসেন কেক নিয়ে।রুহীকে তাঞ্জুম একটা সাদা গাউন এনে দিয়ে বলল,
.
.
-স্যার এনেছেন এটা পরে নাও।
-জি।
.
.
গাউন নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় রুহী।তারপর ফ্রেশ হয়ে গাউনটা গায়ে দিয়ে বেরিয়ে আসে ও।গাউনটার লম্বা হাতা পুরোই নেটের।রুহীর সাদা হাত দৃশ্যমান।রুহী হালকা সাজ নিয়ে আরো মায়াবিনী হয়ে উঠেছে।তাঞ্জুমের সাথে বেরিয়ে আসে রুহী।রোয়েন ও কালো লম্বা কোটটা পরে আছে।রুহীকে দেখে আর চোখ সরাতে পারেনা ও।মায়াবতীর রুপ মোহজালে আটকা পড়ে গেছে রোয়েন সেই প্রথমদিন।প্রত্যেকদিন নতুন আটকা পড়ছে রোয়েন রুহীতে।রোয়েন নিজের মাঝেই নেই।ওর পুরো অস্তিত্ব জুড়ে মায়াবতী।আজ আবার ও নতুন করে রুহীর প্রেমে পড়েছে রোয়েন।রুহীকে দেখে এবার এগিয়ে আসে রোয়েন।রুহীর হাত ধরে নিজের সাথে নিয়ে দাঁড় করায়।সামনে কেক।রেজোয়ান মাহবুব ও মেয়ের পাশে এসে দাঁড়ান।তারপর মেয়েকে বুকে জড়িয়ে বললেন,
.
.
-শুভ জন্মদিন আম্মু।
-থ্যাংক ইউ বাবা।এতো দেরি হলো যে?
-কেক অর্ডার দেয়া ছিলো।সেটা নিয়ে এলাম।
-ওহ।
.
.
রেয়েনের দিকে এক পলক তাকায় রুহী।তারপর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠে ওর।কেক কাঁটা হলো।রুহী সবাইকে কেক খাওয়ায়।রোয়েনের দিকে কেক আনলে রোয়েন কেক খাওয়ার বাহানায় রুহীর আঙ্গুলে ও ঠোঁট ছোঁয়ায়।রুহী হাত সরিয়ে নেয়।ওর বুক কেমন করছে যেন।রুহী সবার আড়ালে সে আঙ্গুলটা মুখে পুরে নেয় একটু যতোটুকু লোকটার ঠোঁটের ছোঁয়ায় সিক্ত হয়েছিলো।ব্যাপারটা কারোর চোখে না পড়লে ও রোয়েনের চোখজোড়াকে ফাঁকি দিতে পারেনি।রোয়েন একটু হাসে।
বাহির থেকে খাবার অর্ডার করা হয়েছে। সবাই খেয়ে কিছুসময় গল্প করে বেরিয়ে পড়ে।রুহী রুমে চলে যায় চেঞ্জ করতে। হাত পিছনে দিয়ে চেইন খুলতে যাচ্ছিলো হঠাৎ কে যেন রুহী পিঠ থেকে চেইন সরিয়ে দেয়।রুহী লাফিয়ে সামনে ফিরে।রোয়েন বাঁকা হাসছে।
.
.
-আ আপনি?
-হুম।এই ব্যাগে কিছু ড্রেস আছে পরে আমাকে দেখাবে।
-এখন?
-রুহী পাল্টা প্রশ্ন পছন্দ করিনা।যাও পরে আসো।
.
.
রুহী ব্যাগ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।ব্যাগটায় ছিলো টপস প্যান্টস স্কার্টস। সবগুলো জামা পরে বেরিয়ে এসে রোয়েন কে দেখায়।লাস্টের টা ছিলো চকলেট বর্নের শার্ট।আর সাথে জিন্স প্যান্ট।রুহী শার্ট টা পরে লজ্জায় পরে যায়।শার্টটা ছোট।তার ওপর আবার পেটের বেশ উপরে।শার্টটার শেষ প্রান্তে দুটো ফিতা আছে।রুহী কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।এরই মাঝে রোয়েন ডাকতে শুরু করেছে ওকে।
রুহী ভয় পাচ্ছে।ও কি মোটা হয়ে গেলো নাকি লম্বা হয়েছে আগের থেকে।দৃষ্টির জামা ওর কাছে আসেনি তো?রোয়েন নক করছে দরজায়।না পারতে দরজা খুলে রুহী।রোয়েন বলল,
.
.
-কি হলো এতক্ষন কি করছিলে?
-এই শার্টটা মনে হয় শামীম ভাইয়ার মেয়ে দৃষ্টির।শার্ট টানতে টানতে বলল রুহী।
.
.
রোয়েন এবার রুহীর হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। তারপর ফিতা দুটো বেঁধে ওর পেটে হাত চেঁপে বলল,
.
.
-কারোর জামা আসেনি।এই শার্টটা ইচ্ছে করেই কিনেছি তোমার মসৃন পেটে ভালোবাসার ছোঁয়া দেবো বলে।
.
.
রুহী অবাক হয়ে যায়।রোয়েন রুহীর পেটে হাত স্লাইড করছে।রুহী কেঁপে উঠছে বারবার।এবার রোয়েন রুহীর শার্টের হাতা কাঁধ থেকে সরিয়ে সেখানে চুমু দিয়ে নিচে নেমে আসে তারপর রুহীর পেটে মুখ ডুবিয়ে চুমু দেয়।
চলবে