The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 13

রুহীর সময় গুলো স্বপ্নের মতো কাঁটছে রোয়েনের সাথে।রুহী বেশ বুঝতে পারছে লোকটাকে ছাড়া থাকতে পারবেনা ও।তার অস্ট্রিয়ায় থাকাকালীন রুহীর থাকাটা অসহনীয় হয়ে পড়ছিলো।মনে হচ্ছিলো কি যেন নেই।বুকটা খালি খালি লাগছিলো।রুহী বেশ জানে রোয়েনের জন্য অজান্তেই ওর মনে একটা জায়গা তৈরি হয়েছে যা ভালো লাগা থেকে ভালবাসায় পরিনত হয়েছে।লোকটার আশেপাশে থাকতে ভালো লাগে।তার মুখে দুষ্ট কথা গুলো রুহীকে খুব লজ্জা দেয় তবে ভালো লাগা ও অনুভূত হয় যেটা সামিরের সময় ও হয়নি।সামির যখন রুহীকে স্পর্শ করতো তখন রাগ লাগতো কিন্তু ওনার স্পর্শ গুলো রুহীকে পরম সুখ এনে দেয়।কথা গুলো ভাবছিলো রুহী জানালার কাছে দাঁড়িয়ে।হঠাৎ কারোর পায়ের শব্দে ঘোর কাঁটে ওর।পিছনে ফিরে রুহী।রোয়েন দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে।রুহী জানালার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে রোয়েনের দিকে ফিরে।রুহীর দিকে কিছুসময় ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে রোয়েন বলতে শুরু করলো,
.
.
-ব্যাপারটা কি?ইন্টার পাশ হয়ে থাকতে চাচ্ছো?
-ম মানে?
-ভার্সিটি যাচ্ছো না কেন?
-ভালো লাগলে যাবো।
-ফালতু কথা ছাড়ো।কাল থেকে ভার্সিটি এ্যাটেন্ড করছো তুমি।
-জি আচ্ছা।
.
.
রোয়েন রুহীর কাছে এগুতে থাকে।রুহী সরতে পারছেনা কারন পিছনে জানালা।রোয়েন কাছে আসতেই রুহী মাথা সরিয়ে নেয়।ঠোঁটে হালকা হাসির ছোঁয়া টেনে আনে রোয়েন। রুহীর এক কানে সাদা পাথরের কানের দুল পরিয়ে সেখানে চুমু দেয় রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে তাকায় আশ্চর্যজনক দৃষ্টিতে।রুহীর অপর কানে কানের দুল পরিয়ে সেখানে ও আলতো করে চুমু দেয়।রুহীর চোখজোড়া বন্ধ হয়ে আসতে চায়।পুরো শরীর কাঁপতে থাকে রুহীর।রোয়েন রুহী কান থেকে সরে এসে ওর কপালের একপাশে চুমু দিয়ে সরে আসে।রুহী রোয়েনের দিকে তাকাতে পারছেনা।মাথা নিচু করে আছে।রোয়েন এবার বেরিয়ে যায় রুহীর রুম থেকে।রুহী এবার যোন দম নিতে পারছে।দুকানে আলতো স্পর্শ করে রুহী হাত দিয়ে।তারপর আয়নার সামনে এসে দাঁড়িয়ে কানের দুলগুলো কে দেখতে থাকে।পরদিন সকালে রুহী ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে যায়।রোয়েন কাজে চলে আসে।দুদিন পার হয়ে যায়।একদিন রুহী ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে খেয়াল করলো কালো একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।চেনা গাড়িটি।বেশ ভালো লাগতে শুরু করে রুহীর।তারপর ও মুখে খুশির ভাব আনেনি ও।রুহীকে দেখতেই রোয়েন বেরিয়ে আসে বাহিরে।আজ সেই মাফিয়া লুকে নেই লোকটি।কালো শার্ট আর ডার্ক ব্লু ডেনিম প্যান্ট পরে আছে।হাতে মোটা কালো ঘড়ি।শার্টের হাতাগুলো কুনুই পর্যন্ত গোঁজা।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায় রোয়েন।আজ রুহীর চোখে রোয়েনকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে।একদম সিনেমার হিরো।রুহীর ঘোর কাঁটিয়ে ওর হাত ধরে রোয়েন বলল,
.
-চলো আমার সাথে।
.
রুহীর হাত ধরে গাড়ির কাছে নিয়ে চলল রোয়েন।আজ রুহীকে নিয়ে শপিংমলে এসেছে।বেশ কিছু গাউন টপস জিন্সপ্যান্ট,কিনে দিয়েছে রোয়েন।সাথে কসমেটিকস তো আছেই।রুহী বুঝতে পারছেনা এতো কেনাকাটার মানে কি?রুহীর নিষেধ করার সত্বেও লোকটা জোর করে সব কিনে দিয়েছে।শপিং শেষে দুজনে একটি রেস্টুরেন্টে চলে আসে।সেখান থেকে লাঞ্চ করে ঘরে ফিরে যায়।রুহীকে বাসায় দিয়ে কাজে চলে যায় রোয়েন।রুহী ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙ্গে রুহীর।সারাটা সময় একা একা কাঁটিয়ে দেয় ঘরে।রাত সাড়ে দশটায় রুহী খেয়াল করলো রোয়েন ঘরে ফেরিনি।অপেক্ষা করতে থাকে রুহী।লোকটা আসছেনা এখনো।১১টায় রুহীর ফোন মেসেজ আসে।নম্বর টা রোয়েনের।মেসেজে লিখা,
রেড গাউন টা পরে নাও।নিচে গাড়ি অপেক্ষা করছে সেখানে চুপচাপ বসে পড়বে।কোন কোয়েশ্চেন করবেনা।রুহী কিছুটা অবাক হয়।তারপর লাল গাউনটা পরে একটু সেজে বেরিয়ে পড়ে।গাড়ি চলছে।রুহী বুঝতে পারছেনা কই যায় ও?.
বিশ মিনিট পর গাড়ি থামলো একটা জায়গায়।রুহী চারপাশে তাকিয়ে দেখতে শুরু করে।নীরবতায় ছেয়ে আছে জায়গা টা।রুহী খেয়াল করে গাড়ি থেকে কিছু দূরে অনেক গুলো আলোর মিলন মেলা।গাড়ি নেমে সেদিকে এগুতে থাকে রুহী।একটু কাছে আসতেই একজন কে দাঁড়ানো দেখতে পায় রুহী।লোকটাকে পিছন থেকে দেখতে একদম রোয়েনের মতো লাগছে রুহীর কাছে।
,
,
,
,
,
রুহী আরো কাছে এগিয়ে যায়।লোকটা সামনে ফিরে রুহীর দিকে একটু হেসে এগিয়ে আসে।রুহী চোখ সরাতেই পারছেনা।কালো কমপ্লিট সুট,চুল গুলো সুন্দর করে আঁচড়ানো আর সেই সাথে অদ্ভুত সুন্দর স্মেল টাতো আছেই।রোয়েন রুহীর কাছে এসে ওর হাত ধরে সামনে এগিয়ে যায়।রুহী রোয়েনকে দেখতে থাকে হাঁটার মাঝে।রোয়েন রুহীকে একজায়গায় এনে দাঁড় করায়।রুহীর পিঠের সাথে বুক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে রোয়েন।
.
-চোখ বন্ধ করো।আমি বললে চোখ খুলবে।
.
রুহী চোখ বুজে নেয়।চোখ বুজার মাঝে রুহী বুঝতে পারে ওর কোমড় দুপাশ থেকে জড়িয়ে ধরেছে লোকটা।তারপর রুহীর কানের সামনে ফিসফিসিয়ে বলল,
.
-চোখ খুলো।
.
রোয়েনের কথায় চোখ খুলে রুহী।দেখতে পায় আকাশে লেখা উঠেছে,”Happy Birthday Ruhi”রুহীর চোখে পানি চলে আসে।রোয়েন রুহীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে ওর চোখ মুছে বলল,
.
-কাঁদছো কেন?
-এমন সারপ্রাইজ কখনো পাইনি।
.
রোয়েন চুপচাপ রুহীকে নিয়ে একটা টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়।সেখানে একটি চকলেট কেক রাখা।রোয়েন রুহীর হাতে ছুড়ি ধরিয়ে বলল,
.
-কেক কাঁটো।
-হুম।
.
কেক কেঁটে রোয়েন রুহী একে অপরকে খাওয়ায়।কেক খাওয়া শেষে রোয়েন একটা রিমোট হাতে নিয়ে সেখান চাঁপতেই একটা রোমান্টিক গান শুরু হয়।জাব কোই বাত বিগাড় যায়ে গান টা চলতে শুরু করেছে।রুহীর কোমড় চেঁপে নিজের কাছে নিয়ে আসে রোয়েন।
চলবে