The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 12

সারারাত একে অপরের ঠোঁটের নেশায় মেতে ছিলো ওরা।একসময় দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে।অফিসে এসে শামীম রোয়েনের কেবিনে ঢুকে অবাক হয়ে যায়।এখনো আসেনি ও।শামীম রেজোয়ান মাহবুব কে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-বস আসেননি এখনো?
-না শামীম।আমার ও অবাক লাগছে।
-দেখি আরো একটু ওয়েট করি।
.
.
কথাটা বলে শামীম নিজের ডেস্কে চলে এলো।রুহী চোখ খুলতেই কিছুটা চমকে উঠে।এতো কাছা কাছি আছে ও লোকটার।ঘুমের মাঝে কতোটা মায়াবী লাগছে লোকটাকে।রুহীর ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুঁটে উঠে।ভালো লাগছে ওর।রুহী মুখ এগিয়ে রোয়েনের গালে চুমু খায়।রোয়েন ঘুমে বিভোর।রুহী এবার সরতে গিয়ে খেয়াল করলো ও নড়তো পারছেনা।লোকটার একহাত ওর কোমড় আরেক হাত রুহীর পিঠ জড়িয়ে ধরে আছে।রুহী সরাতে চাইছে রোয়েনকে কিন্তু পারছেনা।রুহী আবার ও নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে লোকটার দিকে তাকায়।রুহী ভাবছে, ”খারাপ তো লাগছেনা তার বাহুপাশে”রুহী এবার রোয়েনের আরেকটু কাছে এগুতে নিবে তখনই ফোন বেজে উঠে রোয়েনের।ঘুম ভেঙ্গে যায় ফোনের শব্দে।রোয়েন চোখ খুলতেই রুহীকে দেখে দুহাত রুহীর থেকে ছাড়িয়ে উঠে বসে কপাল চেঁপে ধরে।রুহী ও উঠে বসে মাথা নিচু করে মুচকি হাসলো।রোয়েন ফোন হাতে নিয়ে খেয়াল করলো শামীম কল করছে।ফোন রিসিভ করে কানে রেখে নিজের রুমে চলে।আসে রোয়েন।রুহী নিচে নেমে আসে।পাকঘরে কাজের লোকদের পায়না রুহী।রুহী জানে রোয়েন সকালে ব্ল্যাক কফি খায়।রুহী কফি বানাতে শুরু করে।কাজের লোকগুলো নাস্তা বানিয়ে রেখে বাজারে গেছে।হঠাৎ রুহীকে কফি বানাতে দেখে ভয় পেয়ে যায় ওরা।
.
.
-ম্যাম আপনি এখানে কেন?রুমে যান।
-আরে না বানাচ্ছি আমি।
-ম্যাম স্যার জানলে রাগ করবেন।
.
.
রুহী কিছু না বলে কফি বানিয়ে সার্ভেন্টের হাতে ধরিয়ে দেয়।লোকটা কফি নিয়ে উপরে চলে যায়।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।কফির মগ পরিবর্তন দেখে কিছুটা অবাক হয়।আর আজ কফিটা আশা করেনি ও।কারন মেইড তো নেই।রোয়েন কফি হাতে নিয়ে মগে সিপ দিতেই ভীষন ভালো লাগলো।কফিটা শেষ করেই শার্ট গায়ে জড়িয়ে নিয়ে লম্বা কালো কোট গায়ে জড়িয়ে নিয়ে সিড়ি দিয়ে তাকায়।রুহী পাকঘর থেকে হাত মুছতে মুছতে বেরুচ্ছে।রোয়েন বাঁকা হেসে কফি মগটা নিয়ে নিচে নেমে এসে রুহীর সামনে দাঁড়ায়।রুহী চমকে গিয়ে পিছনে যেতে নিতেই রোয়েন ওর কোমড় চেঁপে কাছে টেনে আনে।তারপর রুহীর গাল চেঁপে ওর গালে চুমু দিয়ে বলল,
.
.
-সকাল এতো মিষ্টি এক মগ কফির জন্য।
.
.
রুহীর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আসে।রোয়েন রুহীর গালে আলতো করে নাক বুলিয়ে নাস্তা করতে বসে।কাজের লোকরা নাস্তা সাজিয়েছে টেবিলে।রুহী রোয়েনকে দেখছে দাঁড়িয়ে।রোয়েন খাবার শেষ করে কাজে চলে যায়।রোয়েন অফিসে ঢুকতেই সবাই দাঁড়িয়ে গেলো।সবাইকে হাতের ইশারা করে বসতে বলল রোয়েন।
রফিক শামীমের কানে কানে বলতে শুরু করলো,
.
.
-স্যার আজ এতো দেরি করে এলো যে?
-চুপ থাক।স্যার রাগ করবে শুনলে।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
কেবিনে আসতেই রামীন রোয়েনের দিকে অবাক হয়ে একবার তাকিয়ে ঘড়ির দিকে তাকায়।তারপর চোখ বড় বড় করে বলল,
.
.
-আসছিস তুই?
-হুম।
-আজ কোব্রা লর্ডের এতো দেরি যে?
-জাগতে লেইট হয়েছে।
-ওহ।
.
.
রোয়েন ডেস্কে বসে কাজ শুরু করে।এদিকে সারাদিন ঘরে অপেক্ষা করার পর ও রোয়েন ঘরে ফেরেনি।
রুহীর চিন্তা হচ্ছে।বারবার সময় চেক করছে রুহী।রাতে শামীম ঘরে ফিরে জানায় রোয়েন অফিসের কাজে অস্ট্রিয়া গেছে।হঠাৎ করেই যেতে হলো।রোয়েন অস্ট্রিয়ায় জন্মসুত্রে নাগরিক যার কারনেইমার্জেন্সি ভিসা আর টিকিট পেতে কষ্ট হয়নি।রুহী কিছু বলতে পারেনি আর।মন খারাপ করে রুমে চলে যায়।সেরাত চোখজোড়ার পাতা এক করতে পারেনি রুহী।রোয়েনকে কল করতে গেছে অনেক বার।কিন্তু পরক্ষনেই রুহীর মনে হয় সে প্লেনে, তাই কল যাবে না।রুহী মন খারাপ করে থাকে সারাক্ষন।ডুকরে কাঁদতে চায় ও।দুদিন পর রামীন রুহীর সাথে দেখা করতে আসে।কারন রোয়েন বলছিলো রুহীর সাথে দেখা করতে।আর রুহীর সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় ভিডিও কলে থাকতে বলেছে।যেন মায়াবতী কে দেখতে পায় রোয়েন।কথামতো রামীন রুহীর সাথে দেখা করতে আসে।রামীন রুহীর রুমে এসে বসে।
রামীনকে দেখে কিছুটা অবাক হয় রুহী।
.
.
-আপনি!!!!
-হুম রামীন রায়হান।রোয়েনের বেস্টফ্রেন্ড।
-ওহ।
-ভালো আছো তুমি?
-হুম।মলিন হাসে রুহী।
-খেয়েছো?
-জি।
-আচ্ছা আমি আসি তাহলে।
.
.
রামীন চলে যাচ্ছিলো।রুহী রামীনকে ডেকে উঠে,
.
.
-ভাইয়া!!!
-জি।
-ওনি কখন আসবে।
-ওনি মানে কোন ওনি?
-ঐতো আপনার ফ্রেন্ড।
-আমার তো অনেক ফ্রেন্ড আছে।
-এখানে থাকে যে।
-এখানে আমার পাঁচ ছয়টা ফ্রেন্ড আছে।
-ঐতো রোয়েন স্যার কবে আসবেন।
.
.
রুহীর কথা মন দিয়ে শুনছিলো এতক্ষন।এখন বেশ রেগে যায় রোয়েন রুহীর মুখে স্যার শুনে।
.
.
-ও সাতদিন পর আসবে।
.
.
রুহীর মন টা বেশ খারাপ হয়ে যায়।
.
.
-এতোদিন থাকবে?
-হুম।আর ওকে দিয়ে কি করবা?এখন তো শান্তিতে আছো তুমি।দেখোনা কেমন রগচটা মানুষ।তোমাকে শুধু ঝাড়ি দেয়।কিভাবে কথা বলে।
.
.
রামীনের কথায় একটু রেগে যায় রুহী।তারপর রাগী গলায় বলল,
.
.
-এসব কি বলছেন আপনার ফ্রেন্ড সম্পর্কে?ওনি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড।ওনিকে দেখেছেন কখনো আমার সাথে ঝাড়ি দিয়ে কথা বলতে।আমি কথা শুনিনা দেখেই তো বকা দেয়।
.
.
রোয়েন রুহীর কথা শুনে অবাক।কি বলছে এসব ওর মায়াবতী।বেশ ভালো লাগা কাজ করছে রোয়েনের।
,
,
,
,
,
হঠাৎ রামীন বলতে শুরু করলো,
.
.
-রুহী জানো রোয়েন জেনির সাথে দেখা করতে গেছে।
-জ জেনি!!!কে ওনি?
-ওনি তো রোয়েনের জন্য পাগল। রোয়েন ছাড়া কিছুই বুঝেনা।রোয়েনের প্রিয় সব খাবার রান্না করে।রোয়েন গেলে তো জেনির সাথে ব্যাস্ত হয়ে যায় ঘুরা ফেরায়।ওখানে যাওয়ার পর তো একদিন ও কল দেয়নি আমাকে।
.
.
রামীনের কথায় রোয়েন প্রচন্ড রেগে যাচ্ছে।কারন এ নামে কোন মেয়েকে চেনে না রোয়েন।হঠাৎ রোয়েনের চোখ পড়ে রুহীর দিকে।মাথা নিচু করে বসে আছে রুহী।গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
.
.
-আচ্ছা রুহী আসি তাহলে।
-জি।
.
.
রামীন বেরিয়ে এলো।রোয়েন এবার অডিও কল দিলো রামীনকে।রামীন কল রিসিভ করতেই রোয়েন রেগে বলল,
.
.
-এই কি বললি এগুলো?জেনি কে আবার?কেন বলছিলি এগুলো?কেন মিথ্যা কথা বললি ওর সামনে?
-দোস্ত আমার মিথ্যা গুলোই শুনলি শুধু রুহীকে দেখিসনি!!!কিভাবে রেগে গেলো তোর বিরুদ্ধে কথা বলায়।মন খারাপ করেছিলো যখন জেনির কথা বলছিলাম।ও জেলাস ফিল করছিলো দেখিস নি?তোকে ভালোবাসে রুহী।
.
.
রোয়েন আর কিছুনা বলে কল কেঁটে দেয়।রুহী তখন বেশ অস্থির হয়ে যায়।লোকটা নাকি অন্য মেয়ের জন অস্ট্রিয়া গেছে।সে মেয়েকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।মনটা বেশ খারাপ হয়ে যায় রুহীর।দুদিন পর দুপুর বেলা রোয়েন দেশে ফিরে ঘরে চলে আসে।রুহী কে খু্ঁজতে শুরু করে ঘরে ফিরে।ঘরে না পেয়ে বেরিয়ে আসে রোয়েন।হঠাৎ খেয়াল করলো কোব্রা আর কিং এর সুইমিংপুলের গেটের দরজা খোলা।রোয়েন দৌড়ে গার্ডের কাছে আসে,
.
.
-দরজা খোলা কেন?
-রুহী ম্যাম ভিতরে।
.
.
রোয়েন ভিতরে ঢুকে দেখে রুহী সুইমিংপুলের পাশে বসে কুমির গুলোর মাথায় হাত বুলাচ্ছে আর খাওয়াচ্ছে।
কুমির গুলো বেশ পছন্দ করছে রুহীকে।রোয়েন ফোন বের করে ভিডিও করতে শুরু করে।রুহী একটা বল নিয়ে কুমির গুলোর দিকে ছুড়ে মারতেই ওরা নিজেদের মাথা দিয়ে বলটাকে রুহীর দিকে মারে।এভাবে চলতে থাকে অনেকসময় ধরে।রোয়েন ভিডিও করার মাঝে অপর ফোন দিয়ে কাজের লোক কে কল দিয়ে জানতে চায় রুহী খেয়েছে কিনা?তারা জানায় সকাল থেকে রুহী সেখানে।কিছু খায়নি সারাদিন।রোয়েন ফোন রেখে তৎখনাৎ রুহীর কাছে গিয়ে ওকে পিছন থেকে কোলে তুলে নেয় রুহী কিছু বুঝে উঠার আগেই।
.
.
-কে আপনি?কই নিয়ে যান আমাকে?চিৎকার করে উঠে রুহী।
-চুপ!!!!
.
.
রুহী চুপ হয়ে যায়।রোয়েন রুহীকে ওর রুমে এনে কোল থেকে নামিয়ে বলল,
.
.
-চটজলদি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামো।যদি না নেমেছো আমি রুমে এসে তোমাকে আবার ফ্রেশ করে রেডি করিয়ে নিচে নামাবো।
.
.
রোয়েনের কথায় ভয় পেয়ে কাপড় নিয়ে দৌড়ে বাথরুমে চলে যায়।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে নিচে খেতে চলে আসে।কিছুক্ষন পর রুহী ও নিচে এসে রোয়েনের পাশের চেয়ারটা ছেড়ে অন্য একটি চেয়ারে বসে।রোয়েন একটু অবাক হয়।রুহী এমন করেনা।ওর পাশেই তো বসে।রোয়েন রুহী চুপচাপ খেতে শুরু করে।খাওয়ার মাঝেই রোয়েন বলল,
.
.
-রুহী ফিস কারিটা পাস করো।
-জি স্যার নিন।বাটি এগিয়ে দেয় রুহী।
.
.
রোয়েনের রাগ হয় তবে চুপচাপ থাকাটা ভালো মনে করলো ও কারন সার্ভেন্টরা আছে।রোয়েন রুহীকে যা বলছে রুহী স্যার বলে সম্বোধন করছে ওকে।এবার বেশ রাগ হয় রোয়েনের তারপর ও সামলিয়ে নেয় নিজেকে।ডিনারের সময় রোয়েন নিচে এসে দেখলো ওর পছন্দের সব কিছু।কাচ্চি,তেতুলের মিষ্টি আঁচার,ফিরনী আরো অনেক কিছু।সার্ভেন্টদের জিজ্ঞাস করে রোয়েন,
.
.
-এতো কিছু কেন?
-এগুলা রুহী ম্যাম করছে।
-ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।
.
.
খাওয়ার মাঝেই সিড়ি বেয়ে নিচে আসা রুহীকে দেখতে পায় রোয়েন।রুহী নিচে এসে রোয়েন থেকে দূরত্ব বজিয়ে বসে।
.
.
-আজ এতো কিছু!!!
-জি স্যার অাপনার জন্য।
.
.
কথাটা বলে খেতে শুরু করে রুহী।খাওয়া শেষে রোয়েন ফিরনী মুখে দিয়ে চোখ বুজে নেয়।তারপর রুহীকে বলল,
.
.
-বেশ ভালো হয়েছে।দাঁতে দাঁত চেঁপে রাগ নিয়ন্ত্রনে আনতে চায় রোয়েন।
-থ্যাংক ইউ স্যার।
.
.
রোয়েন উঠে দাঁড়িয়ে রুহীর হাত চেঁপে ধরে।
.
.
-থাপড় দিয়ে গাল ফাঁটাবো তোমার।এমন স্যার স্যার করছো কেন?
-আমার বাবা আপনার আন্ডারে কাজ করে।আপনাকে স্যার বলে সম্বোন্ধন করে।সেজন্য আমি ও স্যার ডাকছি।
.
.
রুহীর হাত চেঁপে ধরে নিজের রুমে নিয়ে আসে রোয়েন।তারপর ওকে দেয়ালে চেঁপে বলল,
.
.
-কি বলছিলে তখন?
-কখন কি বললাম আমি।
-ঐযে নিচে বলছিলে?
-ওহ বলছিলাম ফিরনী কেমন হয়েছে?
.
.
রুহীর জবাবে হাসবেনা কাঁদবে বুঝতে পারছেনা রোয়েন।রুহীকে নিজের সাথে লাগিয়ে নিলো একদম।সাথে সাথে রুহী রোয়েনকে নিজ থেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলল,
.
.
-আপনার জেনি কি মনে করবে।সে তো আপনাকে ভালোবাসে।আপনি আমার সাথে এমন করলে ওনার সাথে ধোঁকা হবে।ছাড়েন।
-তুমি রামীনের কথা নিয়ে বসে আছো এখনো।তোমার মাথায় কি গোবর ভরা?কিভাবে বিশ্বাস করলে ওসব।
রামীন তোমার সাথে সেদিন প্রথম কথা বলল আর ওকে বিশ্বাস করছো তুমি?
-হ্যা।
-দেখো ওসব মিথ্যা।তোমার কি মনে হয় এমন কাজ করতে পারি আমি?
-আপনাকে বিশ্বাস করিনা।রামীন ভাইয়াকে কল দিন আপনি।ওনি বললে বিশ্বাস করবো।
.
.
রেগে রামীনকে কল দেয় রোয়েন।রামীন কল রিসিভ করতেই রোয়েন বলল,
.
.
-তুই যে জেনি নিয়ে এসব বলেছিস।রুহী যদি বিশ্বাস করে?
-ওকি বোকা নাকিরে?কেন বিশ্বাস করবে এসব?
.
.
ফোন কেঁটে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।তারপর দাঁতে দাঁত চেঁপে প্রশ্ন করে,
.
.
-কি বুঝলে?
-আমি একটা বোকা।
.
.
কথাটা বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে রুহী।দুজনে কিছু বলছেনা।কিছুক্ষন পর রুহী চলে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে এগুতেই রোয়েন ডেকে উঠে,
.
.
-দাঁড়াও।
.
.
দাঁড়িয়ে যায় রুহী।রোয়েন ওর কাঁধজোড়া ধরে পিছনে ফিরিয়ে নেয়।রুহী রোয়েনকে দেখছে নির্বাক চোখে।রোয়েন চুপচাপ রুহীর কাছে এগিয়ে আসে।রুহীর থুতনি ধরে মুখ উঁচু করে রোয়েন একটু নিচু হয়ে রুহীর ঠোঁটের ওপর আলতো করে চুমু দিতেই কেঁপে উঠে রুহী।রোয়েন আরো দুতিনবার এভাবে চুমু দিয়ে রুহীর ঠোঁটজোড়াকে নিজের ঠোঁটজোড়ার ভাজে নিয়ে নেয়।রুহী দাঁড়িয়ে রোয়েনের ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে থাকে। নড়ার ইচ্ছে নেই ওর।যেন অনেকদিনের স্বাদ মেটাচ্ছে রোয়েন রুহীর ঠোঁটজোড়ায়।বেশ অনেকক্ষন পরে সরে আসে রোয়েন।রুহী চোখবুজে নিশ্বাস নিচ্ছে মাথা নিচু করে।রোয়েন বাঁকা হেসে ঠোঁটের ওপরে হাত ছোঁয়াতে নিয়ে ও ছোঁয়ায়নি মায়াবতীর ঠোঁটের স্পর্শ হারিয়ে যাবে বলে।
রুহীর হাত উঁচু করে সেখানে চারটা বড় বড় ডেইরিমিল্ক ধরিয়ে দিলো রোয়েন।রুহী সেগুলো দেখে রোয়েনের দিকে একবার তাকিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
চলবে