The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 126

→তের বছর পর
ডায়েরীটা খুলল দ্রিধা।চোখের পানি ছল ছল করছে ওর।পড়তে চেষ্টা করলো কিন্তু কোনভাবেই পড়তে পারছেনা।গলা আটকে আসছে ওর।চোখের পানি গুলো একেবারেই বাঁধা মানছেনা।পাতা উল্টিয়ে আবার পড়তে শুরু করে ও।পনের বছর আগের ডায়েরীটা ও কেমন জীবন্ত হয়ে উঠছে ওর চোখের সামনে। সেখানে আছে দুজন সুখী দম্পতি,তাদের ছোট্ট একটা সংসার আর ভালবাসা মাখা খুনসুঁটি পুর্ন কিছু মিষ্টি মুহূর্ত।সব কিছু মিলেই তো তৈরি হয়েছিলো নিজেদের একান্ত একটি পৃথিবী তাহলে কেন এমন হলো ওদের সাথে। ওরা কি একসাথে থাকতে পারতোনা?বাবা মা আর সব একসাথে থাকলে কি ওদের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতোনা?কতটা বছর পেরিয়ে গেলো তবে অতীতের সময় গুলো স্বর্নের মতো জ্বলজ্বলে।ডায়েরীটা পুরো পড়তে পারেনা দ্রিধা। বাবা কি সত্যি ওদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে নাকি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে কোন এক অজানা প্রান্তে।ওদের জীবনটা কি কখনো আর আগের মতো হবার নয়?আর ভাবতে পারছেনা দ্রিধা।মাথা টনটন করছে যন্ত্রনায়।সারারাত কেঁদেই কাঁটিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু অশ্রু ঝরা শেষ হয়না।মাকে আর কতোটাদিন এভাবে দেখবে।বাবার মায়াবতী যে এখন আর আগের মতো নেই।নিজেকে যে একেবারে শেষ করে ফেলেছে।শরীরের গহীনে থাকা ছোট্ট হৃদয়টাই শুধু স্পন্দন করে জানান দিচ্ছে ওর বেঁচে থাকার কথা।ভালবাসার মানুষটাকে হারিয়ে কিভাবে ওর মা বেঁচে আছে সেটা শুধু সেই জানে।বিছানায় এলিয়ে দেয় শরীর।দুহাতে মাথা চেঁপে ধরে। গুঁমড়ে কেঁদে উঠে ও।শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে।মুখের ওপর কাঁথাটা টেনে দেয় কারোর আগমনে।সামাযরা রুমে ঢুকে স্মিতাকে সহ।মাত্রই স্কুল থেকে ফিরে এসেছে।সামায়রা খাটের ওপর দ্রিধাকে শুয়ে থাকতে দেখে মেয়েকে বলল,
”তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়।আমি আপুকে দেখছি।”
স্মিতা কাপড় নিতে নিতে বলল,
”জি আম্মু।”
আলমারি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।সামায়রা এসে ভাগনীর পাশে বসে।দ্রিধা উল্টো পাশ ফিরে শুয়ে আছে।সামায়রা ভাগনীর চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
”কিরে আম্মু শুয়ে আছিস কেন?খারাপ লাগছে?”
ভিতর থেকে ক্রন্দনস্বরে দ্রিধা বলল,
”খালামনি আমি ঠিক আছি।”
সামায়রা ভাগনীর কপালে কাঁথার ওপর থেকে চুমু খেয়ে বলল,
”মিথ্যে বলছিস কেন?আবার ও কাঁদছিস আজ?”
দ্রিধা একা থাকতে চাইছিলো কিন্তু কি বলে খালাকে বের করবে?সামায়রা এবার দ্রিধার মুখের ওপর থেকে কাঁথা সরিয়ে বলল,
” চল খেয়ে নেয় এখন।”
দ্রিধা কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল,
”এখন না খালামনি।ভালো লাগছেনা।”
ভাগনীকে বুকে টেনে নেয় সামায়রা তারপর চুল হাতিয়ে দিয়ে বলল,
”তোর মা এখনো খায়নি।জানতে চাইলো খেয়েছিস কিনা?যখন জানতে পেলো খাস নাই তখন আপু ও জানালো ও খাবেনা।”
দ্রিধা মলিন চোখে খালার দিকে তাকায়।তারপর মাথা নেড়ে বলল,
”খাবো খালামনি।”
সামায়রা ভাগনীকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে চলল।সেখানে ফাহমিনকে দেখতে পেলো দ্রিধা।ফাহমিন হেসে বলল,
”সামু ও খায়নি এখনো?”
সামায়রা বলল,
”না। স্মিতা কে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম।বুয়াকে বলেছিলাম ওকে খাওয়াতে।কিন্তু খায়নি।”
দ্রিধা মলিন হেসে টেবিলে বসে পড়ে।সামায়রা ভাগনীর প্লেটে খাওয়া বেড়ে দিতে শুরু করে।দ্রিধা খালা আর ফাহমিন আঙ্কেলকে দেখে।তের বছর আগে ওদের বড় করার জন্য আর মায়ের যত্ন নিতেই জার্মানি তে নিয়ে এসেছিলো সামায়রা আর ফাহমিন দম্পতি।তারপর থেকেই রাদ্রিন আর ওকে ভালবেসে যত্নে বড় করেছিলো খালামনি।ফাহমিন খেতে খেতে বলল,
”রাদ্রিন আসেনি এখনো?”
সামায়রা ফাহমিনকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে বলল,
”আজ নাকি কম্পিউটার ক্লাস আছে ওদের।প্র্যাক্টিকাল করাবে।লেট হবে আসতে। ”
ফাহমিন স্বাভাবিক সুরে বলল,
”ওহ আচ্ছা।কয়টা নাগাদ ছুটি হতে পারে?”
”বললো তো পাঁচটা।তুৃমি নিতে যাবে?”
”গেলাম।ওখানে কাজ আছে আমার।সেই সুযোগে ওর টিচারদের সাথে ও কথা হয়ে যাবে।”
”ওহ আচ্ছা।”
হেসে বলল সামায়রা।ফাহমিন টেবিল ছেড়ে উঠ সিড়ির দিকে এগুতে এগুতে বলল,
”সামু রুমে এসো তো।”
”এখন না।আপুকে খাওয়াতে হবে।আর আমার নিজের ও তো খেতে হবে।”
”রুমে আসতে বলছি আসো।কথা আছে।”
সামায়রা দ্রিধার চুলে হাত বুলিয়ে বলল,
”পেট ভরে খাবি।আমি এক্ষুনি আসছি।”
কথা গুলো বলে উপরে চলে যায় সামায়রা।স্মিতা এসে খেতে বসে।দ্রিধা কে জিজ্ঞেস করলো,
”কাঁদছিলে কেন আপু?”
”এমনি।”
মলিন হেসে বলল দ্রিধা। স্মিতা আবার ও বলল,
”কেউ বিরক্ত করেনি তো?”
সামায়রা মাথা নাড়ে,
”না কেউ না।”
রুম থেকে বেরিয়ে আসে সামায়রা কিছুটা জোর করে।তারপর রুমের দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলল,
”বদমাশ এটা তোমার কথা তাইনা?আর ধরা দিচ্ছিনা তোমাকে।”
রুম থেকে ফাহমিন জোরে জোরে বলল,
”এখন ধরা দিচ্ছোনা তো কি হয়েছে?রাতে তো আমার কাছেই আসবে।”
”হুহ।আসছে!!”
সামায়রা নিচে এসে ভাত বেড়ে নেয় রুহীর জন্য।তারপর রুহীর রুমে আসে।বিছানায় বসে আছে রুহী।ধূসর বর্নের একটা কাপড় পরে আছে রুহী।চুল গুলো ছেড়ে রেখেছু বুকের ওপর।খাটের সাইড টেবিলের ওপর অনেক ঔষধ।সামায়রা যেদিকে যাচ্ছে রুহীর চোখের মনি সেদিকে ঘুরছে।সামায়রা এসে বোনের পাশে বসে।তারপর রুমাল পানিতে ভিজিয়ে রুহীর মুখ আলতো চেঁপে মুছে দিতে দিতে বলল,
”সরি আপু লেট হয়ে গিয়েছে।স্মিতা কে আনতে গিয়েছিলাম, সবাইকে ভাত দিলাম।খিদে পেয়েছে খুব?”
রুহী একদিকে স্থির হয়ে তাকিয়েছে।নড়ছেনা ওর শরীরটা।সামায়রা হেসে একটু সুপ রুহীর মুখে তুলে দেয়।রুহী খুব ধীরে সেটাকে গিলে নেয়।সামায়রা আবার ও বলল,
”আপু জানিস দ্রিধা একবারে ভাইয়ার মতো হয়েছে।একদম ছুপা রুস্তাম।কিছু বলতে চায়না

কথা শেষ করে বোনের দিকে তাকিয়ে সামায়রা দেখলো রুহীর চোখ থেকে পানি পড়ছে।সামায়রা বলল
”সরি আপু। ভুলে ভাইয়ার নাম বললাম।খেয়ে নেয়।”
দ্রিধা দরজার ফাঁক দিয়ে খালা আর মাকে দেখছে।গত তেরবছর যাবৎ ওর মা এমন।সেদিন বাবাযদি ওদের কাছে ফিরে আসতো তাহলে হয়ত এমনটা কখনো হতো না।কিন্তু মাকে বিশ্বাস করাবে কে বাবা আর কখনোই আসবেনা।সেদিন যদি সব ঠিক হয়ে যেতো ও যদি মায়ের কাছে থাকতো তাহলে হয়ত মা সুস্থ থাকতো।দ্রিধার মনে পড়ে যায় সেদিনকার কথা যেদিন শামীম আঙ্কেল আর বাকি সবাই ওদের ঘরে এসেছিলো।
তের বছর আগের,
রুহী রাদ্রিনের কাপড় পাল্টে ডাইনিং রুমে আসে তখনই কলিংবেল বেজে উঠে।রামীলা দৌড়ে দরজা খুলে দেয়।সেখানে আনিলা রামীন রামীলা আশফিনা আর বাকিরা দাঁড়িয়ে আছে।আনিলা এসে রুহীকে জড়িয়ে ধরে সোফায় এনে বসায়।নীরা হামিদ আর আশফিনা এসে রুহীর পাশে দাঁড়ায়।অবাক হচ্ছে রুহী।কি হচ্ছে?ওরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছে কেন?আনিলা বললেন,
”রুহী একটা কথা আছে।”
রুহী অবাক কন্ঠে বলল,
”কি হয়েছে মা?”
”আনিলা বললেন,
”দেখ তোর দুটো বাবু আছে।তোকে শক্ত থাকতে হবে তোর বাচ্চাদের জন্য।বুঝলি?”
”জি মা কিন্তু কি হয়েছে?তুমি কাঁদছো কেন?”
আনিলা চোখ মুছে মেয়েকে কাছে টেনে বুকে নিয়ে বললেন,
”সবাই তো সারাজীবন বেঁচে থাকেনা।সবাইকে একদিন না একদিন চলে যেতে হয়।তোকে ও মানতে হবে।”
রুহী সরে এলো আনিলার কাছ থেকে।ওর ভয় লাগছে।হঠাৎ মা এসব কি বলছে?রুহী বলল,
”কি বলতে চাইছো মা?বুঝতে পারছিনা কিছু।বলবে কি হয়েছে?”
আনিলার সাহস হচ্ছেনা মেয়েকে কথাটা বলার।কিভাবে রিয়্যাক্ট করবে রুহী কথাটা শুনে।আনিলা অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে বলল,
”রোয়েন স্যার আর নেই।”
রুহী ভীত কন্ঠে বলল,
”মা এমনটা বলো না।মানতে পারবোনা।”
আনিলা কেঁদে দিয়ে বলল,
”রুহী বুঝতে চেষ্টা কর ওনি নেই।আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে।একটা মিশনে ছিলেন তাই কাউকে জানায় নি।তোকে বিশ্বাস করতে হবে রুহী মানতে হবে।”
রুহী আশেপাশের সবাইকে দেখতে থাকে।ওর মাথাটা কাজ করছেনা।কি শুনছে ও?কিভাবে বিশ্বাস করতে পারবে ওর জীবনটা শেষ হয়ে গেছে।তার জীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধু ওকে ছেড়ে চলে গেছে।ওর জীবনটাকে তছনছ করে দিয়ে ওকে নিঃস্ব করে দিয়ে চলে গেছে।ও কি করবে এখন?সব তো শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেলো।আনিলা কিছু বলতে যাবে তখনই রুহী দৌড়ে রুমে চলে গেলো।তারপর আলমারি থেকে রোয়েনের শার্ট বের করে সেটাকে নাকের সামনে নিয়ে এর গন্ধ নিতে থাকে। এ গন্ধটাকি আর কখনোই পাবেনা ও।মানুষটা কিভাবে এতোটা নিষ্ঠুর হয়ো গেলো।প্রমিজ করেছিলো সারাটাজীবন একসাথে থাকবে।কিন্তু কথা রাখেনি ও।ছেড়ে চলে গেছে।রুহী এবার আর সামলাতে পারেনা।চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে।ওকে সান্তনা দেয়ার ভাষা কারোর জানা ছিলো না।এমন এক পরিস্থিতিতে সান্তনা দেয়া যায়না।রোয়েনের মৃত্যুর দুটো দিন কেঁটে গেলো।রুহী একদম চুপ হয়ে গেছে।কথাই বলেনা কারোর সাথেই।খেতে ও চায়না।সারাক্ষন একা থাকে আর কান্না করে।লোকটার ছবি বুকে জড়িয়ে রাখে।রাতে গুলো কেঁদে পার করে।মাঝে মাঝো তো চিৎকার করে কেঁদে উঠে।ছোট্ট দ্রিধা ও তো তখন ঠিক ছিলোনা।এতটুকু বয়সে বাবাকে হারানোর যন্ত্রনা অনেকটা গভীর ওর জন্য।সেদিন রুহী ওয়াশরুমে যায় মুখ ধুতে।হঠাৎ ওর মাথা কেমন যেন ঘুরিয়ে আসে।রুহীর মনে পড়ে যায় যেদিন লোকটা চলে যাবে।তার আগেরদিন সে রুহীকে চেয়েছিলো শেষ বারের মতো।সে বলেছিলো,মাফ করে দিও রুহী।শুধু আজকের রাতটা তেমাকে চাই।”রুহী তো বুঝতে পারেনি সেদিনকার শেষবারের মতো বলতে কি বুঝিয়েছিলো রোয়েন।নাহলে তো লোকটাকে বুকের সাথে জড়িয়ে রাখতো কখনো চোখের আড়াল হতেই দিতোনা। রুহীর মাথা কেমন যন্ত্রনা শুরু করে।চোখজোড়া ঝাপসা হয়ে আসে।আর সামলাতে পারেনা নিজেকে পড়ে যায় পা পিছলে বাথরুমের মেঝেতে।ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।ডাক্তাররা জানায় ওর ব্রেইনস্ট্রোক হয়েছে।অত্যন্ত ডিপ্রেশন ওর ব্রেইন নিতে পারেনি।তারপর থেকেই কথা বলতে পারেনা রুহী।ওর পৃথিবীটাই যেন আটকে গেছে।এদিকে দ্রিধা আর রাদ্রিনের ও বেশ অযত্ন হচ্ছিলো।সেই সময়ে সামায়রা আর ফাহমিন ঠিক করলো ওদের জার্মানিতে নিয়ে আসবে।বাচ্চাদের খেয়াল রাখবে আর রুহীর ও যত্ন হবে।অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছিলো রুহীকে কিন্তু কখনোই ঠিক হয়নি রুহী।দ্রিধা কলেজে যেয়ে শুনতে পায় ওদের কলেজের যেই ব্রাঞ্চ বার্লিন শহরে অবস্থিত সেখানে ওদের ক্লাশ শিফট করা হবে।বেশ অবাক দ্রিধা।কি করবে ও?এতদুরে যাবে ফাহমিন আঙ্কেল রাজি হবে কি?কথাটা ভেবে ফাহমিনের সামনে এসে বসে দ্রিধা।তারপর সবটা জানায় ফাহমিনকে।ফাহমিন একটু চিন্তা করে বলল,
”তোমাকে একা ছাড়বো কি করে বুঝতে পারছিনা।তবে ব্যাপারটা তোমার ক্লাশের তাইনা।যেতেই হবে তোমাকে।যাও তাহলে।তোমার সাথো রাদ্রিন ও কিছু দিন থেকে এলো তোমার সাথে।সাথে ড্রাইভার থাকবেই।চিন্তা করবেনা এখানের।তোমার মা ভালো থাকবে।তুমি পড়াশুনায় মন দিও।”
দ্রিধা মলিন হেসে সম্মতি জানায়।সামনের সপ্তাহে দ্রিধা চলে আসে বার্লিনে রাদ্রিন সহ।ওদের জন্য একটা হোটেলের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।পরে সবাইকে নেয়া হবে হোস্টেলে।রাদ্রিন বোনকে বলল,
”কবে যাবো আমি?”
”এতো তাড়া হচ্ছে কেন তোর?”
”এমনি আপু।এখানে আমার বয়সের কেউ নেই তো।সব মেয়ে।”
”লজ্জা পাচ্ছিস মেয়েদের মাঝে?”
দুষ্টু হেসে জিজ্ঞেস করে দ্রিধা।রাদ্রিন মাথা নেড়ে বলল,
”আরে আপু লজ্জা না।আমি এমনিই বলছিলাম।ওইযে আমার বয়সের কেউ নেই।
দ্রিধা কিছু বলল না আর।পরদিন দ্রিধা ফাহমিনের বলে দেয়া একটা ব্যাংকে চলে যায়।সেখানে টাকা পাঠিয়েছে ফাহমিন আঙ্কেল ওগুলো তুলতে হবে।হঠাৎ………
চলবে
(আজ শেষ করবো ভেবেছিলাম।কিন্তু হচ্ছেনা।আগামীকাল শেষ পর্ব পেয়ে যাবেন।)