Psycho is Back ! Season- 2 ! Part- 21
দেখতে দেখতে সাত দিন কেঁটে গেল। এই সাত দিনে সব নরমাল থাকলেও নরমাল ছিল না আমার ফুপি শাশুড়ি। আমার সাথে তেমন কথা বলতেন না তিনি..এরিয়ে চলতেন খুব। আবার ইশারা ইঙ্গিতে খুব কথা শুনাতেন তিনি, মাঝে মাঝে বাবা-তুলে গালি গালাজ করতেন।খুব কষ্ট হত কিছু বলতেো পারতাম না।এর মাঝে জেনির ভাই এসে জেনিকে নিয়ে যায়। জেনি হচ্ছে ফুপির পাতানো ভাইয়ের মেয়ে..!! কোনো এক ট্রেন জার্নিতে পরিচয় হয়েছিল তাদের।জেনির ভাই রনি যাকে আমার মোটেও ভাল লাগেনি। লোকটার তাকানো আমার জন্য খুব অস্বস্তিকর তৈরি করছিল। তিনি এমন ভাবে তাকাতেন, যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছেন। দেখলে মন চাইত জুতা পিটা করতে। সত্যি যদি আমাকে একদিনের জন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী করতো, তাহলে আমি প্রথম এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিতাম..! এমন কিছু মানুষের জন্যই আজ কালকের মেয়েদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আফসোস…!এমনটা হবার নয়। ছোট শ্বাস বেরিয়ে এল আমার। বেলকনিতে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি বারিশ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??
বারিশের বাবুইপাখি ডাকটা প্রতিবার বুঝিয়ে দেয় ইউসুফ আমার সাথে হারিয়ে যায় নি…!!তার স্মৃতি হারিয়ে গেলও, তার স্বাভাব,আচরণ, ব্যবহার কোনোটাই পরিবর্তন হয়নি…!প্রতিবারের মত এই ডাকটি মনে দোলা দিয়ে উঠে..!আমি তার দিকে ঘুরে তার গলার পিছনে দু হাত দিয়ে বেঁধে বলতে লাগি,
—-তেমন কিছু না!
বারিশ তার দু হাত দিয়ে আমার কোমরে চাপ দিয়ে আরো কাছে নিয়ে আসল, আর বলল,
—-তাই বুঝি..!!আমাকে মিস করছিলেনা..!
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
—-আপনি কে? যে মিস করবো হুম…!!
বারিশ ভ্রু কুচকে মুখে দুষ্ট দিয়ে বললো,
—-তাই, বুঝি..!!বলে আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। আমার শরীরে এমনিতে অনেক সুড়সুড়ি…! তার হঠাৎ এমন আক্রমনে আমি অবাক হয়ে যাই। মুহুর্তে হেসে কুট কুট হতে হতে বলি,
—-বারিশ আর না প্লিজ। এববার আমি হাসতে হাসতেই মরে যাবো..! প্লিজ না…!বারিশ…!
বারিশ আমার কথা শুনে টাইট করে জড়িয়ে ধরলো।আর বলতে লাগল,
—-বাবুইপাখি এসব আর বলবে না..!
—-কি বলব না..!
—-তোমার মরার কথা আর বলবে না। কষ্ট হয় খুব আমার..!
—–আচ্ছা বাবা সরি..! এত সেন্টি হচ্ছেন কেন? আছি তো আপনার পাশে।
—-হুম।আর কখনো এসব বলবে না..!
বলে কপালে চুমু খেল বারিশ।আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
তখন বারিশ বলল,
—-বাবুইপাখি..! আই নিড ইউ…!
আমি সাথে সাথে চোখ মেলে তাকাই তার দিকে..!সে তখন নেশাময় কন্ঠে বললেন,
—-প্লিজ..!
আমি কিছু বলবো তার আগেই বারিশ আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সাথে ধাক্কা মেরে দেই। কিন্তু বারিশ তার নেশা কাতর কন্ঠে বলে উঠে,
—-প্লিজ বাবুইপাখি আজ না কর না…!
আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
—–বারিশ আমার কিছুটা সময় লাগবে, প্লিজ বারিশ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড?
বারিশের যেন আমার কথা কানে যাচ্ছে না..!!তিনি মনে হচ্ছে মাতাল হয়ে যাচ্ছে। আমি এবার জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলতে লাগি,
—-প্লিজ বারিশ..!
বারিশ হয়ত এমন কিছু আশা করে নি। সে ভাবল কুহু লজ্জা পাচ্ছে নয়ত ভয় তাই এমন করছে। বারিশ মুচকি হেসে, আমার দু গালে হাত রেখে বলতে লাগে,,
—-বাবুইপাখি ভয় পাচ্ছো কেন?আমি আছি তো..!
বলে এবার ঠোঁটে চুমি দিতে গেল, আমি তাকে ধাক্কাচ্ছি। তার যেন কানে কোনো কথাই যাচ্ছিল না। এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর মাঝে হুট করেই বারিশের গালে আচমকা চর লেগে যায়।
চর খেয়ে বারিশ হতভম্ব হয়ে যায়।আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এ আমি কি করে বসলাম।বারিশ গালে হাত দিয়ে বলতে লাগে,
—-তুমি আমাকে মারলে..!!
আমি এবার কাঁদোকাঁদো হয়ে বললাম,
—-আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি..! কেমনে জানি..!!
বারিশ আমাকে বলতে না দিয়ে হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয় আর গম্ভীর গলায় বলে,
—-আমার দোষটা কি বলবে? ভালবাসার মানুষকে আপন করে পেতে চাওয়া কি খুব দোষ..! একটা মাস হয়ে গেছে আমাদের বিয়ের আর এর মাঝে যত বার তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি ততবার তুমি কিছু না কিছু করেছো..! আজতো…!
আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। সত্যি আজকে বারিশকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।আমি বারিশে কাছে যেতেই সে দু কদম পিছিয়ে যায়। আর বলতে লাগে,
—-নাহ! আমার কাছে আসবে না..!আর না আমি তোমার কাছে আসবো..!
বলে সে বের হয়ে চলে গেল..!
আমি সেখানেই বসে পরে কাঁদতে লাগলাম।দু হাত দিয়ে নিজের গালে চর মারতে লাগলাম ইচ্ছা মত। কি করে বসলাম আমি..!নিজের ভালবাসার মানুষের গায়ে হাত তুললাম..!যে হাত দিয়ে মেরে ছিলাম সে হাতকে আর রাখবো না। সামনে থাকা কাঁচের ফুলদানী ভেঙ্গে তার টুকরো দিয়ে হাত কেঁটে ফেলি। সাথে সাথে ফিনকী দিয়ে রক্ত বের হয়ে ভেসে যাচ্ছে পুরো ফ্লোর..!! ধীরে ধীরে আমি সেখানেই শুয়ে পরি..!!চোখের সামনে সব ঘোলা হয়ে আসচ্ছে আমার।
🕊
তীব্র অালো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে, আমি বেলকনির ফ্লোরে শুয়ে আছি। ফ্লোরে রক্ত শুকিয়ে আছে।আমি উঠে বসি। মাথা টা ঝীম জীম করছে, উঠে ঘরে উঁকি দেই। নাহ্ বারিশ নেই। হযত চলে গেছে। কালকের কথা মনে পরতেই চোখ দুটো ভিজে উঠলো আমার। নিজের দোষে আপন মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি বার বার।ফোনের রিং বাজতেই ভাবনায় ছেদ পরে, মনে হলো বারিশ কল দিয়েছে ফোন তুলে দেখি টিনা কল করেছে।কল রিসিভ হতেই টিনা বলল,
—-দোস্ত কই তুই?
—-বাসায়..!
—-এখনো বাসায় ভুলে গেছিস আজ পরিক্ষা?
—-সত্যি ভুলে গেছিলাম। তুই কই?
—-আমি বের হয়েছি বাসা থেকে,,তাড়াতড়ি আসিস.!
—–আচ্ছা।
ফোন কেঁটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম।টেবিলে দাদু ব্রেকফাস্ট করছিল আমাকে দেখে বলল,
—-আরে দাদু ভাই আয় নাস্তা করে নে।
আমি মুচকি হেসে বললাম,,
—-দাদু ভাই লেট হয়ে গেছে, বাহিরে খেয়ে নিব..!
দাদু বলল,
—-আচ্ছা। তা বারিশ কই? আজ এত লেট হচ্ছে ওর?
আমি অবাক হয়ে গেলাম। তাহলে কি রাতে বারিশ বাসা থেকে বের হয়ে গেছিল?আমি চাঁপা হেসে বললাম,
—-উনিতো সকালে চলে গেছেন, কি জানি কাজ ছিল তার।।
—-আচ্ছা।
আমি দাদুকে বাই বলে চলে আসি।আর ভাবতে লাগি, তাহলে কি বারিশ রাগ করে আর বাসায় ফিরে নি..!কিন্তু উনি গেল কই? এমন তো কখনো করেন।
#Psycho_is_back😎
#season_2
#apis_indica
#part_19
দেখতে দেখতে সাত দিন কেঁটে গেল। এই সাত দিনে সব নরমাল থাকলেও নরমাল ছিল না আমার ফুপি শাশুড়ি। আমার সাথে তেমন কথা বলতেন না তিনি..এরিয়ে চলতেন খুব। আবার ইশারা ইঙ্গিতে খুব কথা শুনাতেন তিনি, মাঝে মাঝে বাবা-তুলে গালি গালাজ করতেন।খুব কষ্ট হত কিছু বলতেো পারতাম না।এর মাঝে জেনির ভাই এসে জেনিকে নিয়ে যায়। জেনি হচ্ছে ফুপির পাতানো ভাইয়ের মেয়ে..!! কোনো এক ট্রেন জার্নিতে পরিচয় হয়েছিল তাদের।জেনির ভাই রনি যাকে আমার মোটেও ভাল লাগেনি। লোকটার তাকানো আমার জন্য খুব অস্বস্তিকর তৈরি করছিল। তিনি এমন ভাবে তাকাতেন, যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছেন। দেখলে মন চাইত জুতা পিটা করতে। সত্যি যদি আমাকে একদিনের জন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী করতো, তাহলে আমি প্রথম এমন ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিতাম..! এমন কিছু মানুষের জন্যই আজ কালকের মেয়েদের ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আফসোস…!এমনটা হবার নয়। ছোট শ্বাস বেরিয়ে এল আমার। বেলকনিতে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি বারিশ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??
বারিশের বাবুইপাখি ডাকটা প্রতিবার বুঝিয়ে দেয় ইউসুফ আমার সাথে হারিয়ে যায় নি…!!তার স্মৃতি হারিয়ে গেলও, তার স্বাভাব,আচরণ, ব্যবহার কোনোটাই পরিবর্তন হয়নি…!প্রতিবারের মত এই ডাকটি মনে দোলা দিয়ে উঠে..!আমি তার দিকে ঘুরে তার গলার পিছনে দু হাত দিয়ে বেঁধে বলতে লাগি,
—-তেমন কিছু না!
বারিশ তার দু হাত দিয়ে আমার কোমরে চাপ দিয়ে আরো কাছে নিয়ে আসল, আর বলল,
—-তাই বুঝি..!!আমাকে মিস করছিলেনা..!
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
—-আপনি কে? যে মিস করবো হুম…!!
বারিশ ভ্রু কুচকে মুখে দুষ্ট দিয়ে বললো,
—-তাই, বুঝি..!!বলে আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। আমার শরীরে এমনিতে অনেক সুড়সুড়ি…! তার হঠাৎ এমন আক্রমনে আমি অবাক হয়ে যাই। মুহুর্তে হেসে কুট কুট হতে হতে বলি,
—-বারিশ আর না প্লিজ। এববার আমি হাসতে হাসতেই মরে যাবো..! প্লিজ না…!বারিশ…!
বারিশ আমার কথা শুনে টাইট করে জড়িয়ে ধরলো।আর বলতে লাগল,
—-বাবুইপাখি এসব আর বলবে না..!
—-কি বলব না..!
—-তোমার মরার কথা আর বলবে না। কষ্ট হয় খুব আমার..!
—–আচ্ছা বাবা সরি..! এত সেন্টি হচ্ছেন কেন? আছি তো আপনার পাশে।
—-হুম।আর কখনো এসব বলবে না..!
বলে কপালে চুমু খেল বারিশ।আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
তখন বারিশ বলল,
—-বাবুইপাখি..! আই নিড ইউ…!
আমি সাথে সাথে চোখ মেলে তাকাই তার দিকে..!সে তখন নেশাময় কন্ঠে বললেন,
—-প্লিজ..!
আমি কিছু বলবো তার আগেই বারিশ আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সাথে ধাক্কা মেরে দেই। কিন্তু বারিশ তার নেশা কাতর কন্ঠে বলে উঠে,
—-প্লিজ বাবুইপাখি আজ না কর না…!
আমি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম,,
—–বারিশ আমার কিছুটা সময় লাগবে, প্লিজ বারিশ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড?
বারিশের যেন আমার কথা কানে যাচ্ছে না..!!তিনি মনে হচ্ছে মাতাল হয়ে যাচ্ছে। আমি এবার জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলতে লাগি,
—-প্লিজ বারিশ..!
বারিশ হয়ত এমন কিছু আশা করে নি। সে ভাবল কুহু লজ্জা পাচ্ছে নয়ত ভয় তাই এমন করছে। বারিশ মুচকি হেসে, আমার দু গালে হাত রেখে বলতে লাগে,,
—-বাবুইপাখি ভয় পাচ্ছো কেন?আমি আছি তো..!
বলে এবার ঠোঁটে চুমি দিতে গেল, আমি তাকে ধাক্কাচ্ছি। তার যেন কানে কোনো কথাই যাচ্ছিল না। এক প্রকার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর মাঝে হুট করেই বারিশের গালে আচমকা চর লেগে যায়।
চর খেয়ে বারিশ হতভম্ব হয়ে যায়।আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এ আমি কি করে বসলাম।বারিশ গালে হাত দিয়ে বলতে লাগে,
—-তুমি আমাকে মারলে..!!
আমি এবার কাঁদোকাঁদো হয়ে বললাম,
—-আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি..! কেমনে জানি..!!
বারিশ আমাকে বলতে না দিয়ে হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয় আর গম্ভীর গলায় বলে,
—-আমার দোষটা কি বলবে? ভালবাসার মানুষকে আপন করে পেতে চাওয়া কি খুব দোষ..! একটা মাস হয়ে গেছে আমাদের বিয়ের আর এর মাঝে যত বার তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি ততবার তুমি কিছু না কিছু করেছো..! আজতো…!
আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। সত্যি আজকে বারিশকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।আমি বারিশে কাছে যেতেই সে দু কদম পিছিয়ে যায়। আর বলতে লাগে,
—-নাহ! আমার কাছে আসবে না..!আর না আমি তোমার কাছে আসবো..!
বলে সে বের হয়ে চলে গেল..!
আমি সেখানেই বসে পরে কাঁদতে লাগলাম।দু হাত দিয়ে নিজের গালে চর মারতে লাগলাম ইচ্ছা মত। কি করে বসলাম আমি..!নিজের ভালবাসার মানুষের গায়ে হাত তুললাম..!যে হাত দিয়ে মেরে ছিলাম সে হাতকে আর রাখবো না। সামনে থাকা কাঁচের ফুলদানী ভেঙ্গে তার টুকরো দিয়ে হাত কেঁটে ফেলি। সাথে সাথে ফিনকী দিয়ে রক্ত বের হয়ে ভেসে যাচ্ছে পুরো ফ্লোর..!! ধীরে ধীরে আমি সেখানেই শুয়ে পরি..!!চোখের সামনে সব ঘোলা হয়ে আসচ্ছে আমার।
🕊
তীব্র অালো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। চোখ মেলে দেখি সকাল হয়ে গেছে, আমি বেলকনির ফ্লোরে শুয়ে আছি। ফ্লোরে রক্ত শুকিয়ে আছে।আমি উঠে বসি। মাথা টা ঝীম জীম করছে, উঠে ঘরে উঁকি দেই। নাহ্ বারিশ নেই। হযত চলে গেছে। কালকের কথা মনে পরতেই চোখ দুটো ভিজে উঠলো আমার। নিজের দোষে আপন মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলছি বার বার।ফোনের রিং বাজতেই ভাবনায় ছেদ পরে, মনে হলো বারিশ কল দিয়েছে ফোন তুলে দেখি টিনা কল করেছে।কল রিসিভ হতেই টিনা বলল,
—-দোস্ত কই তুই?
—-বাসায়..!
—-এখনো বাসায় ভুলে গেছিস আজ পরিক্ষা?
—-সত্যি ভুলে গেছিলাম। তুই কই?
—-আমি বের হয়েছি বাসা থেকে,,তাড়াতড়ি আসিস.!
—–আচ্ছা।
ফোন কেঁটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসলাম।টেবিলে দাদু ব্রেকফাস্ট করছিল আমাকে দেখে বলল,
—-আরে দাদু ভাই আয় নাস্তা করে নে।
আমি মুচকি হেসে বললাম,,
—-দাদু ভাই লেট হয়ে গেছে, বাহিরে খেয়ে নিব..!
দাদু বলল,
—-আচ্ছা। তা বারিশ কই? আজ এত লেট হচ্ছে ওর?
আমি অবাক হয়ে গেলাম। তাহলে কি রাতে বারিশ বাসা থেকে বের হয়ে গেছিল?আমি চাঁপা হেসে বললাম,
—-উনিতো সকালে চলে গেছেন, কি জানি কাজ ছিল তার।।
—-আচ্ছা।
আমি দাদুকে বাই বলে চলে আসি।আর ভাবতে লাগি, তাহলে কি বারিশ রাগ করে আর বাসায় ফিরে নি..!কিন্তু উনি গেল কই? এমন তো কখনো করেন।
সেদিন ভার্সিটি পরিক্ষা শেষে টিনা বলল,
—-দোস্ত কাল আমার বার্থ ডে জানিস তো?
—-হুম জানি কেন?
—–কালকে আমি পার্টি থ্রো করেছি।একটি রেস্টুরেন্টে..!আর তোকে আসতেই হবে। ভাইয়াকে নিয়ে আসবি কিন্তু..!!
আমি মুচকি হেসে বললাম,
—-আচ্ছা।
ঘড়িতে ১ টা ছুই ছুই বারিশ এখনো বাসায় আসেনি। ফোনে অনেক ট্রাই করছি প্রতিবার কেঁটে দিচ্ছে। খুব কষ্ট লাগচ্ছে আমার তার এমন কাজে। ১.৩০ বাজতেই ঘরে ঢুকলো বারিশ।তাকে দেখে মনের মাঝে ধক করে উঠলো, বারিশ ড্রিংকস করে এসেছে।সে হেলে দুলে বেডে শুয়ে পরলো।তার এমন অবস্থায় খুব খারাপ লাগচ্ছে আমার। তখন আমি এগিয়ে তার পায়ে জুতা খুলতে গেলাম, সে বলল,
—-ডোন্ট টাচ মি..!ডোন্ট। বলে উবু হয়ে শুয়ে পরলো। তার এমন কাজে আমি মুখ চেঁপে কাঁদচ্ছি। এসবের জন্য আমি দায়ি।।
চলবে,