Psycho is Back

Psycho is Back !! Part- 10

আজ ৩ মাস পর দেশে ফিরেছি ইউসুফ।।
এ তিন মাসে প্রতিটি সময় ছটফট করেছে এখন সে বিডিতে আসবে।।বাসায় এসে জানতে পারে তাথৈ রিয়ানের বার্থ ডে পার্টিতে গেছে না সইতে পেরে সেখানে যায় সে।।দুজনকে এতো ঘনিষ্ঠ ভাবে দেখে সইতে পারে না সে চলে আসে বাসায়।।তার আসার ২ ঘন্টা পর বাসায় আসে কুহু।।তার উপর সে ইউসুফ
কে ইগনোর করে উপরে যেতে নেয়।।যার জন্য ইউসুফ রেগে আগুন হয়ে উঠে আর সইতে না পেরে গুলি চালিয়ে দেয়।।এ ক মাসে তাকে যেভাবে ইগনোর করে চলছে সব কিছু যেন এক সাথে মাথায় ঝেঁকে বসে তার।।
পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম,,
সাইকো তার বাম হাত উঁচু করে আছে, হাতে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধুক।।আমি বসা থেকে ভয়ে ভয়ে উঠে দারালাম।।যেই এক কদম বারাবো ওমনি সাইকো বলতে লাগে,,,
—-খবরদার আর একটা কদম এগিয়েছিস তো!
সে বসা থেকেই বলতে লাগে কথা গুলো।।আমি বুঝতে পারছি আজ আমার কঁপালে ভাল কিছুই আছে।।আমি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।।আন্টিমা আছে কি না দেখার জন্য না তিনি নেই।।পরে মনে পরলো তিনি আজ রাতে ফিরবেন না।।সাথে সাথে শুকনো ঢোক গিললাম।।
ধীরে ধীরে সাইকো আমার দিক এগিয়ে আসলো।।আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো।।তারপর তাচ্ছিল্য একটা হাসি দিল।।তার হাসিতে আমি জমে যাচ্ছি পুরোই।।আমার জান পাখিটা উড়ার জন্য রেডি।।আমি মাথা নত করে আছি।।আর গাউনের দু পাশে শক্ত করে চেপে ধরে আছি।।দাড়িয়ে থাকার শক্তিটুকুও নেই আমার।।হঠাৎ করে সে এসে তার হাতের বন্দুক দিয়ে আমার মুখ উঁচু করলো।।আর বলল,,
—-ভয় পাচ্ছিস? পাবারি কথা?? কিন্তু এখন কেন পাচ্ছিস?? হুম! বল বলনা?? খুব শান্ত ভাবে কথা গুলো বলল ইউসুফ।।
তার এত শান্ত কথা আমার দম বন্ধ হয়ে আসচ্ছে।।
কথা গুলো বলে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।।তারপর হটাৎ করেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে তার রুমে নিয়ে আমাকে মেঝেতে ছুড়ে মারেন।।আমি পরে যাই সাথে সাথে।।আর উনি রুমের দরজা লক করে দেন।।আর আমার সামনে এক হাটু গেরে বসে আমার থুতনিতে খুব জোড়ে চেপে তার দিক তুলে ধরেন।।আমি দু হাত দিয়ে তার হাত সরাতে চাইছি।।খুব ব্যাথা করছে।। ব্যথায় দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে পরলো সাথে সাথে।। তিনি বললেন,,
—–ড্রেসটা কে দিয়েছে? রিয়ান?
আমি কিছু বললাম না ভয়ে কান্না চলে আসচ্ছে
তখনি তিনি জোড়ে ধমক দিয়ে বললেন,,
—কি হলো কথা বলছিস না কেন?? এমনিতে তো সারা রাত কথা বলিস।। আমি কিছু জিগাসা করলেই তালা দিয়ে রাখিস মুখে হুম।।কথা বলল।।লাষ্ট কথা গুলো খুব জোড়েই বলল সে।।
তার চিল্লানো শুনে কেপে উঠলাম।।আর হালকা মাঁথা নাড়ালাম।।
তিনি এবার আমার থিতনী ছেড়ে দিলেন আর আমার সামনে হাটু ভাজ করে বসে পরলেন।।
—-তোকে যাওয়ার আগে একটা একটি লেটার দিয়েছিলাম? সেখানে কি লিখা ছিল??
আমি কিছু বললাম আমার এখান থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছা করছে।।কিছু মাস তো শান্তিতেই ছিলাম।।আর ভাল লাগছে না আমার।।তখনি তিনি বললেন,,
—-কথা বলছিস না কেন?
—-আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন? আমাকে যেতে দিন! আমার লাইফ আমি যা ইচ্ছা তা করবো তাতে আপনি বাঁধা দেয়ার কে??কোনো অধিকার নেই আপনার আমার কোনো কাজে অধিকার দেখানোর।।বুঝলেন।।
প্রথমে ভয় পেলে এখন রাগ লাগছে।কেন বার বার আমার সকল বিষয়ে তিনি নাক গলাতে চলে আসে।।আজ এর শেষ করেই ছাড়বো আমি।। তাই মুখ দিয়ে যা আসচ্ছে তাই বলে যাচ্ছি।।
আমার কথা শেষ হতেই সাইকো তার লাল চোখ গুলো আমাকে নিক্ষেপ করে।।আর সাথে সাথে গালে জোড়ে চর মেরে দেয়।।ঠাসস করে।।আর আমার গাল চেপে বলতে লাগে,,,
—–বাহ্ অনেক বুলি ফুটেছে তোর মুখে হুম??আমাকে অধিকারের কথা শিখাতে আসচ্ছিস?তোর উপর সব থেকে বেশি অধিকার আমার! বুঝলি? তোর উপর তোর নিজেরও কোনো অধিকার নেই!!
উনার কথা শুনে আমি পুরাই অবাক।। কি বলছেন তিনি।। তার উপর আমার গালে এমন ভাবে চেপে ধরাতে আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি তার কাছ থেকে ছুটতে চাইছি।।কিন্তু পারছি না।।কোনো ভাবেই না।।
আমি তাকে এবার ধাক্কা মারলাম আর তিনি খানিকটা দূরে সরে গেলেন।। সেই সুযোগে আমি দৌড়ে দরজার কাছে যাই।।আর তিনি খপ করে আমার হাত ধরে ফেলেন।।আর ধাক্কা মেরে আমাকে বেডে ফেলে আমার উপর চরে বসেন।।এবং আমার গাল চেপে ধরে আমার ঠোঁট তার দখলে নিয়ে নেন।।খুব রাফলি কিস করতে থাকেন।।আমার মনে হচ্ছে তিনি আমার ঠোঁট কামরে খেয়ে ফেলছেন।।এদিকে আমি তাকে ঠেলে, ধাক্কিয়ে সরাতে পারছি না।।আমার যেন দম যায় যায় অবস্থা।।এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার উপর উনি আমাকে ছেড়ে দেন।আর আমাকে তার বুকে টেনে নিয়ে বলতে লাগেন,,
—-কেন বুঝিস না বাবুই? আমি তোকে লাভ করি।।খুব লাভ করি।।তোকে কোন ভাবে আঘাত করার ইনটেনশন আমার নেই।। কিন্তু তুই প্রতিবার আমার কথার বাহিরে চলে যাস।।
উনার লাভ করার কথা শুনে কান আমার গরম হয়ে গেছে সাইকো বলেকি।।এতক্ষণ আমি চুপ করে থাকলেও এখন আর পারছি না।।আমিতো তাকে লাভ করি না।।তার থেকে ছাড়িয়ে নিচেকে চেঁচিয়ে বলতে লাগি,,,
—-আমি আপনাকে লাভ করি না।।না কখনো করবো আমি আপনাকে হেট করি বুঝলেন।।হেট করি আপনাকে।।
তখনি তিনি আমার গালে চর মারার জন্য হাত উঠায় আর আমি সাথে সাথে দু হাত মুখ আড়াল করি।।তখনি তিনি থমকে যায়। এবং আমার রিং ফিঙ্গার এর হাত তার দিকে টেনে বলতে লাগে,,
—–তুই ওর প্রপোজাল একসেপ্ট করেছিস?
—-হুম করেছি।। তাতে আপনার কি? আমি তাকে ভালবাসি।।
তিনি এবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন।।আর কোমোরের বেল্ট খুলে মারতে লাগলেন আমাকে আর বলতে লাগলেন,,
—-আর কখন যদি রিযানের সাথে তোকে দেখেছি।।সেদিন রিয়ান আর তোকে গুলি করে মাটিতে পুতে দিব।।তুই যানিস না বাবুই রিয়ান ভাল ছেলে না।। বলে আমার রিং ফিঙ্গার থেকে রিং খুলে তিনি বের হয়ে গেলেন রুম থেকে।।
এখন আমার বলতে ইচ্ছে করছে আপনি কি খুব ভাল? এটা কি সেই ভালোর নমুনা? কিন্তু কিছু বলতেই পারছি না, আমার শরীরে ব্যাথা করছে।।ঠোঁট জালা করছে।।আঙ্গুল থেকে রিং বের করার সময় আঙ্গুলের দু পাশে ছিলে গেছে।।আমি কোনো রকম উঠে দাঁড়াই।। আর দেয়াল ধরে ধরে নিচের রুমে চলে আসলাম।।আয়নায় নিচেকে দেখে খুব কান্না পাচ্ছে।। এমন বিধ্বস্ত দেখা যাচ্ছে আমাকে।। আমি ড্রেসটি খুলে ফ্লোরে ফেলে ওয়াশরুম চলে গেলাম।।শাওয়ার ওন করে মাটিতে বসে কাঁদতে লাগলাম।।পানির সাথে রক্ত ও ভেসে যাচ্ছে।।আজ পর্যন্ত নানু মা আমার গায় হাত দেয় নি সেখানে সাইতো এ কদিনে আমার সব ওলট পালট করে দিয়েছে।। আমি থাকবো না আর এখানে যে করেই হোক।।সকালে নানুর সাথে কথা বলবো যেন আমাকে হোস্টেল শিফট করে দেয়।।
অনেকক্ষণ ভেজার পর বের হয়ে আসি।।আর খাটে গিয়ে শুয়ে পরি।।আর শক্তি নেই আমার।। সাথে সাথে রাজ্যের ঘুম এসে নামে চোখ জোড়ায়।।
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি।।
আমার সেই ড্রেসে কেউ আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলছে।। বুঝলাম এটা সাইকোর কাজ।।আমার শরীরে নজর যেতেই দেখি সারা শরীরে ব্যথা পাওয়ার জায়গাগুলোতে ব্যান্ডেজ করা।।সারা শরীরে এক ফোঁটা ব্যাথাও নেই।। বুঝলাম এটাও সাইকোর কাজ।।আমি এখন কোনো দিকে নজর না দিয়ে নানু মার রুমে যাওয়ার জন্য পা বারালাম।।আমার রুম থেকে বের হতেই আমি অবাক দুজন বিদেশি মেয়ে ফরমাল ড্রেসে দাড়িয়ে আছে কালো পোশাক পরিহিত, কানে ব্লুটুথ, দেখে বোঝা যাচ্ছে বডিগার্ড।। আমি সেদিকে পাত্তা দিলাম না।।তাদের পাশ কাটিয়ে বের যেতে নিলাম।। নাহ তারা আমার পিছনেই আসচ্ছে।।আমি যেদিকে যাচ্ছি তারাও সেদিকে আসচ্ছে।।এখন রাগ লাগছে,,আমি তাদের দিক ঘুরে কোমরে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,
—–হোয়াট’স রং উইথ ইউ? হোয়াই আর ইউ ফলোইং মি??
—–উই আর ইওর বডিগার্ড ম্যাম।।
—-হোয়াট??আই ডোন্ট নিড ইউ! ইউ ক্যান গো নাউ!
—-সরি ম্যাম।। ইট হাস বিন আওয়ার অর্ডার।।
—-দ্য অর্ডার অফ হো ডিড ইট?
—-ইউসুফ স্যার…!
ওহো আমি কেন ভুলে গেলাম এই খাইশটা কাম একমাত্র ওই সাইকোরি হুহ।।এখন আমার পিছনে বডিগার্ড লাগানো হচ্ছে।।এখন আবার নতুন পেরা ভাল লাগেনা।।কালকে মেরে শান্তি পায় নি আর এখন বডিগার্ড।।আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি।।
রাগে গজ গজ করতে করতে নানু মার ঘরে চলে গেলাম।। আর এই দুইটা আমার পিছন পিছন ছুটল।।
চলবে,,