Psycho is Back !! Part- 08
তখনি কায়নাত বলে ডাকে,,
আমি মুখ উপরে তুলে দেখি একটি সুদর্শন পুরুষ আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন।।আমার কেন যানি তাকে খুব চিনাচিনা লাগছে।।বাট মনে করতে পারছি না কই দেখেছি।।আমি আমার শরীরের কাপর ঝাড়ছি আর আড়চোখ তাকে দেখে যাচ্ছি।।নাহ্ আমার অবস্থা এখন এমন হচ্ছে পেট আছে কিন্তু মুখে নাই।।তখনি লোকটি বললে উঠে,,
—-কায়নাত! কেমন আছো? আমাকে চিন্তে পাড়ছো না?? আমি রিয়ান।।ওই যে সেদিন পার্ক আমাদের দেখা হলো।।
—-ও হে! মনে পরেছে।।আপনাকে কিভাবে ভুলতে পাড়ি।।অাপনার জন্য পুর ৩ ঘন্টা হাত ধুইতে হইসে,,শেষের কথাটি বিড়বিড় করে বললাম।।আর কথা গুলো মুখে মেকি হাসি দিয়ে বললাম।।
—-তা এখানে কেন?
—-ভার্সিটিতে মানুষ কেন আসে? এক ভ্রু উচু করে বলাম।।
তিনি মুচকি হেসে বললেন,,,
—-না না আমি বলতে চাইছি তুমি এখানে ভর্তির হয়েছে?
—-জ্বী
—-কোন ইয়ার?
—-ফার্স্ট ইয়ার।।
—-কোন সাবজেক্ট??
বিরক্ত লাগছে তার প্রশ্ন গুলো।।তাও মুখে হাসির রেশ টেনে বললাম,,
—–সাইকোলজি.. আছা আমি আসি।।
বলে পা বাড়ালাম।।
তখনি পিছন থেকে বলে উঠেন তিনি,,
—–ওহো।। আচ্ছা শুনো।।কোনো প্রব হলে আমাকে বলো আমি এখানেই পড়ি ফাইনাল ইয়ারে।।
আমি মনে মনে বললাম,,
—–তোরে কেন কমু? আমি নিজেই একাই ১০০ হুহহহহ।। কিন্তু মুখে হাসি রেখি তাহাকে বলিলাম,,
জ্বী আচ্ছা বলবো।।আসি বলে চলে গেলাম আমার ক্লাস উদ্দেশে।।
প্রথম ক্লাস নেই।।
সেমিনার হবে।।তাই হলে বসে বসে ফোন চাপ ছিলাম।।তখনি হুড়মুড় করে এসে কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে।। প্রথমে ভয় পেলেও।।জড়িয়ে ধরা ব্যাক্তিটিকে দেখে আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম।।সাথে সে ও।।
এ যে আমার প্রাণ প্রিয় #ক্রাইম_পার্টনার😍 লিজা।।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠি,,
—তুই এখানে? এত বড় সারপ্রাইজ!!
—-হুম হুম হুম।।তুমি যেখানে, আমি আমি সেখানে সে কি জানো না! বাধা দুজনে, একই বাঁধনে, সে কি মানো না।। সুর টেনে টেনে বলতে লাগে লিজা।।
—-আমি লিজাকে টাইউলি হাগ করে বলি।।আমি যানি পাখি।।তখনি চোখ পরে লিজার সাথে থাকা মেয়েটির দিক।।মেয়েটি আমাদের দেখে হাসচ্ছে।।তখনি লিজ আমার চাহনি অনুসরণ করে তাকিয়ে হেসে দিল, আর বলতে লাগে,,
—-ও হচ্ছে তাথৈ।।আমার কাজিন।।ওদের বাসাতেই উঠেছি।। আর ওই আমাদের সাথে এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।।
—-ওহো ভালই হয়েছে।।হাই আমি কুহু।।হাত বারিয়ে বলতে লাগলাম।।
তাথৈ হাত না বারিয়ে না দিয়ে জড়ায়ে ধরল আর বলতে লাগলো,,,
—–আমি ফ্রেন্ডস ক্লাসমেটদের সাথে ফর্মালিটি পছন্দ করি না তাই তুমি টুমি বলতে পারবো না।।তাই সোজাসুজি তুই বলবো।। তোকেও বলতে হবে।।
আমি কিছুক্ষণের জন্য থ মেরে রইলাম।।আর লিজের দিক তাকালাম।।লিজ হেসে দিল।।আর বলতে লাগে,,
—–ওই এ রকমি!!
হাসতে লাগলাম সবাই।।
তারপর ক্লাস করে যে যার বাসায় চলে আসলাম ভার্সিটি থেকে।।ড্রাইভার চাচা নিয়ে এসেছেন।।ভালই কেটেছে দিনটি।।
রুমে এসে সটান করে শুয়ে পড়লাম।। আজ ক্লান্ত লাগছে খুব।। তখনি বেডের সাইডে টেবিলের উপর একটি গিফট বক্স দেখতে পেলাম।।গিফট কে দিল ভাবতে ভাবতে বক্সটি কাছে নিয়ে আসলাম।। বক্সটি খুলে তো আমি পুরাই থ হয়ে গেলাম।। একটি নিউ ব্র্যান্ডের আইফোন।। তার সাথে একটি লেটার।। ফোনটি রেখে।।লেটার টা খুললাম।।অবাক লাগছে,, এই ইন্টারনেটর যুগে লেটার আমায় কে দিল।।তার সাথে এই ফোন! তাও এত দামি।।লেটার টা খুললাম।।লেটার টা খুলতে ১৮০ বোল্ডের শকট খেলাম,, চোখ গুলো বড় বড় করে এক দফা চিঠির উপর নিচ দেখে নিলাম।।এ যে মিস্টার সাইকোর চিঠি।।উনি আমাকে চিঠি লিখেছেন বিশ্বাসী হচ্ছেনা।।
চিঠি পরে তো ভয়ে আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।। শালা সাইকো চিঠির মাঝেও সাইকোগিরি করছে।।ভাবা যায়!!!
চিঠিতে লিখা,,,!!
“”দেখ এই প্রিয় টিয়ো দিয়ে আমার পক্ষে চিঠি লিখা সম্ভব না।।তাই প্রিয় ক্যানসেল।। এখন হয়তো ভাববি চিঠি কেন লিখছি।।দেখ তোর সাথে বিগত কদিন যাবত খুব রুট ছিলাম, যানি অনেকটা কষ্টও দিয়ে ফেলেছি তোকে।।তার জন্য সরি।।আমি কাউকে কখনো সরি বলি না তুই ফাস্ট।। তাই বলে নাচতে শুরু করিস না।।আর ভার্সিটিতে গিয়েছিস বলে পেখম তুলে নাচতে হবে না।। আকাশে উঠতে হবে না।। মাটিতেই থাকিস।।আর হে ছেলেদের থেকে ১০ হাত দূরে থাকবি।।নয় তো তোর জন্য সেটা ভাল হবে না বুঝলি।। আর হে খাবার দাবার সময় মতো করবি।।সারাদিন এখানে-সেখানে ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়াবি না।।আমি নেই বলে যা ইচ্ছে তা করবি এটা ভাবিস না আমার নজর 24/ 7 আওয়ার তোর দিকে থাকবে।। তাই বলে ভ্যাবলার মতো সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজতে যাসনে।।আমি এতটাও চিপ মাইন্ডেড নই।। যে তোর নামে ক্যামেরা ফিট করবো।। তাই বলে এতটা ভালো নই,তো সাবধানে থাকিস।।আমার কথা বরখেলাফ হলে তোর জন্য ভাল হবে না,,যেদিন বাংলাদেশে ফিরবো তাহলে সে দিন তোর জন্য কাল হয়ে দাড়াবে।।সো বি কেয়ারফুল।।ভাল থাকিস বায়।।খুব শিগ্রই ফিরব।। “”
উনার লেটার পড়ে আমি স্তব্ধ।। এটা লেটার ছিল না ছোট খাটো হুমকি।। 🙄
;আল্লাহ প্লিজ সেভ মি।।
তার মানে সাইকো বাসায় নেই কিন্তু গেল কই??🤔
জাহান্নামের চৌরাস্তায় যাক আমার কি 😏।।
বাট ফোনটা সুন্দর।।ফোনটা ওন করলাম।।ক্যামেরা সেটিং দেখলাম।। বাহ স্লোমো আছে।।এখন আমার টিকটক আরো সুন্দর করতে পারবো ইয়া হু।।।
না চাইতো সাইকো তোরে ধন্যবাদ।।।
ফোনটা চার্জ দিয়ে নিচে নেমে আসলাম।।
নিচে এসে জান্তে পারলাম,বিজনেসের কারণে আব্রড গেছে তাও ২ মাসের মতো নাকি সময় লাগবে আসতে।।মামাও নাকি গেছেন সাথে।।আমার যে কি খুশি লাগছে কি বলবো।।নাচতে ইচ্ছা করছে যাই হোক।।দু মাস শান্তি পাবো তো।।
পরের দিন ভার্সিটিতে গেলাম।।
আজ ভার্সিটিতে তেমন ক্লাস ছিল না তাই, লিজ, আমি, তাথৈ মিলে পার্ক চলে আসলাম।।
কতক্ষণ ঘুরলাম তারপর ফুচকা খেতে গেলাম।। ;ফুচকা খাওয়া শেষে একটা লেকে ধারে হাটতে লাগলাম তিনজনে।। এর মাঝে লক্ষ করলাম,,দুটি ছেলে আমাদের কখন থেকে পিছু নিয়েছে।। প্রথমে মনের ভুল ধারণা ভেবে এগুলোর করলাম।। কিন্তু পরবর্তীতে দেখি আমরা যেখানে দেখে তারাও সেখানে সেখানে।। এবার ডাউট হলো।। তাথৈ আর লিজকে সব বললাম।। তারাও খেয়াল করলো।।তারপর আরো কনফার্ম হওয়ার জন্য তাথৈ বলে উঠলো,,,
—-এক কাজ করি আমরা সামনে গিয়ে ওই গাছটা লুকিয়ে পরি।।যদি তারা আমাদের খুজে তাহলে আমরা কনফার্ম হয়ে যাব তা আমাদের ফলো করছিল।।
যা ভাবা তাই কাজ।।আমরা সামনে গিয়ে লুকিয়ে পড়লাম।।লুকিয়ে দেখতে লাগলাম।।তখনি বুঝতে পারলাম আমাদের ফোলো করছে।।তখনি আমাদের ছেলে গুলো না পেয়ে কাউকে কল করলো।।
তারপর তারা সেখান থেকে চলে গেল।।
আমরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।। মজাও লাগছিল তাদের আমরা মজাটা দেখালাম।। তারপর আমরা হাসিহাসি করতে করতে চলে গেলাম।।
এভাবে কেটে যায় কিছুদিন।। হাসি ঠাট্টা তামাশা করে দিন পার করলাম আমরা।।এরি মাঝে কিছু নিউ ফ্রেন্ডস হইসে।।আর রিযানের সাথে ভাল ফ্রেন্ডশিপ হয়েগেছে।।তিনি ভার্সিটিতে অনেক হেল্প করেন আমাদের।।
রাতে পড়তে বসেছি।।নতুন বই সব কিছু ঘেটে ঘেটে দেখছি।। তখনি টুংটাং করে আমার ফোন বেজে উঠলো।। ফোনটা রিসিভ করতেই।।ফোনের ওই পারের ব্যাক্তিটির ভয়েস শুনে জমে গেলাম ভয়।।ব্যক্তিটি রীতিমতো ধমকানি শুরু করেছে।। আমি সাথে সাথে ফোন কেটে দিলাম।।আর তখনি একটি মেসেজ আসলো ফোনো।।কাঁপাকাঁপা হাতে ফোনটি তুলে স্ক্রিনে মেসেজটি দেখে আরো ভয় লাগতে লাগলো।। আবার কল আসলো।। ফোন রিসিভ করতেই,,,,
চলবে,,,😔