My Mafia Boss

My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 21

রোয়েনের ঘুম ভাঙ্গতেই মায়াবতীর মায়াবী মুখটা চোখে পড়েনা।হুড়মুড় করে উঠে বসে রোয়েন।কই গেল এই মেয়ে?রুহী!!!!রুহী!!!!!!চিৎকার করে ডাকতে থাকে রোয়েন।
নাস্তা বানাচ্ছিলো রুহী রোয়েনের জন্য।আজ হঠাৎ ইচ্ছে হলো ওনাকে নিজ হাতে নাস্তা বানিয়ে খাওয়াতে।তাই সকাল উঠে গেছে রুহী।রোয়েনের ডাক শুনতে পেয়ে উপরে উঠে আসে রুহী।রোয়েনের রুমে যেতেই আলমারির সাথে জাপটে ধরে ওকে।রুহী চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।
দাঁতে দাঁত চেপে রোয়েন বলল চোখ নিচে।রুহী মাথা নোয়ালো।কই ছিলা? রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।আ আ আমি তো ন নি…….থামিয়ে দিলো রোয়েন। রুহীর দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে রোয়েন বলল সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে যেন তোমায় দেখি।ধাক্কা দিয়ে সরে এলো রুহী থেকে দেখি জামা বের করো আমার রোয়েন রাগী গলায় বলতে লাগলো।রুহী পিছনে ফিরে আলমারি খুলে রোয়েনের দিকে তাকায় অসহায় চোখে।রোয়েন কি পরবে বুঝতে পারছেনা রুহী কারন আলমারিতে কালো চকোলেট কালার ছাড়া কোন শার্ট নেই রোয়েনের।রুহীকে সরিয়ে দিয়ে আলমারি থেকে কালো একটি শার্ট বের করে নেয় রোয়েন।রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে বলতে শুরু করে রোয়েন যখন ঘরে ফিরবো তোমাকে যেন সামনে দেখতে পাই।ঘরে ঢুকতেই জড়িয়ে ধরবা আমাকে রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রোয়েন।।
(এসব কি বলছেন ওনি?ঘরে ঢুকতেই ওনাকে জড়িয়ে ধরতে হবে???এমন অদ্ভুত কথা কেন বলছেন?)মাথা নিচু করে ভাবতে থাকে রুহী।
আরেকটা কথা আসার পর কফি চাই আমার। সেটা কাজের লোক দিলে খবর আছে তোমার। আগেই বলেছি এটা তোমার……..(রোয়েন কে থামিয়ে দিলো রুহী)
মাথা নিচু করেই বলতে লাগলো আমার সংসার তাইতো?আমি সব করবো।।
আর শুনো গোসল করে বের হলে চুল মুছে দিবে আমার গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
(ওনার কি নিজের হাত নেই?আজ এমন অদ্ভুত আচরন করছেন কেন?)ভাবতে থাকে রুহী।
অবশ্যই আছে তবে আমার খেয়াল রাখার দায়িত্ব তোমার কাজের লোকদের না।
(মনের কথা শুনে ফেললেন)
স্কুলের জন্য রেডি হয়ে নাও রুহীকে কিছুটা ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।
রুহী পাশের রুমে চলে এলো।ফ্রেশ হয়ে জামা পাল্টে নিলো।
রোয়েন ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে।পেপার নিয়ে সোফায় বসে পড়ে।
রুহী ও কিছুক্ষন পর নেমে আসে।দুজনে টেবিলে যেয়ে বসে।
নাস্তা দেখে রোয়েন কিছুটা অবাক হয়।স্যালাডের বদলে আটার রুটি আলু ভাজি ডিম পোচ।কাজের লোকদের দিকে রাগী চোখে তাকায় রোয়েন।এসব কি?নতুন কাজ করছো?জানোনা কি খাই আমি সকালে চিৎকার করে বলতে থাকে রোয়েন।রুহী কিছুটা ভয় পেয়ে গেছে রোয়েনের চিৎকারে।যদি জানতে পারে নাস্তা ও বানিয়েছে কি করবেন ওনি কে জানে?ঢোক গিলে রুহি।ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে ও।স্যার নাস্তা তো ম্যাডাম বানাইছে কাজের লোকটি বলে উঠে।রোয়েন অবাক চোখে রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে যেতে পারো।জি স্যার লোকটি চলে গেল।রোয়েন রুহীকে আড় চোখে কিছুক্ষন দেখে নাস্তা সেড়ে উঠে পড়লো ওরা।রুহীকে স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের দিকে রওনা হলো রোয়েন।
কয়েকজন বৃদ্ধ বৃদ্ধা রোয়েনের গাড়ি দেখতেই দৌড়ে এলো।ওদের চোখ মুখ দেখে বুঝাই যাচ্ছে ভীষন খুশি ওরা। রোশেন গাড়ি থেকে বেরিয়ে তাদের সামনে এলো।কেমন আছেন আপনারা(রোয়েন)?
জি বাবা তোমারে দেইখা খুব ভালো লাগতেছে(মকবুল কাকা)
এতদিন পর আসছো।আমাদের কথা মনে পড়ে নাই কিছুটা অভিমানীস্বরে বললেন নাসিমা কাকি।
মনে পড়েছে।কিন্তু একটু ব্যাস্ত ছিলাম।আপনাদের বৌ এনেছি তাই।
বৌ!! কই বৌ সবাই পিছনে খুঁজতে লাগলো।
বৌ কে অবশ্যই নিয়ে আসবো একদিন।এখন ভিতরে চলুন।রোয়েন সবাইকে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো।মতিন কাকু জেদ করে বসলেন দাবা খেলবেন রোয়েন কে নিয়ে।রোয়েন ও রাজি হয়ে গেল।
রুহী আর স্নিগ্ধা ক্লাশ শেষে বসে আছে ক্যান্টিনে।স্নিগ্ধা বেশ কিছুক্ষন ধরে খেয়াল করছে রুহী মুচকি মুচকি হাসছে।
কি হলো এভাবে হাসছিস কেন স্নিগ্ধা বলে উঠে।
কই না এমনি।
এখনো রোয়েন সাহেবের বাসায় আছিস?
হুম।
বিয়ে করবি কবে?
জানিনা।
হুম।
ইসস দ্বিতীয়বারের মতো ও হেরে গেলাম মুখ মলিন করে বললেন মকবুল কাকা।
রোয়েন প্রত্যেকবার এসে হারিয়ে দাও আমাদের বলেই সাঈদ কাকা ফোকলা দাঁতে একগাল হাসলেন।
আমাকে আজ যেতে হবে রোয়েন উঠতে উঠতে বলল।।
চলে যাবে?(মতিন কাকা)
হুম। আপনাদের বৌয়ের স্কুল ছুটি হয়েছে আনতে যাবো।
আচ্ছা যাও সবাই বিদায় দিলেন রোয়েনকে।
রোয়েন গাড়ি নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো।
স্নিগ্ধার সাথে গল্পে মজে থাকা রুহী আচমকা দাঁড়িয়ে গেল রোয়েনের গাড়ি দেখে।দ্রুত পায়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো যেন এতক্ষন ওর চোখজোড়া এই মানুষটির অপেক্ষায় ছিলো।রোয়েন গাড়ি থেকে বের হলো।রুহী কাছে আসতেই দরজা খুলে দিলো।
রুহী ভিতরে ঢুকে বসে পড়লো।রোয়েন ড্রাইভিং সিটে বসে রুহীর হাত ধরে গিয়ারের ওপর রেখে ড্রাইভিং এ মন দিলো।
চলবে