My Mafia Boss

My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 22

বাড়ীর সামনে গাড়ি থামায় রোয়েন।চুপচাপ বসে আছে গাড়িতে।রুহী রোয়েনের দিকে এক নজর দেখে নিচে তাকালো (দরজা খুলছেননা কেন ওনি)?হঠাৎ রোয়েন রুহীর হাত ধরে নিজের বুকে টেনে নিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেদ করে আসা গুলি থেকে বাঁচিয়ে নিলো রুহীকে।রোয়েন সেই লোকটির দিকে গুলি ছুড়ে দিলো।আকস্মিকতায় রুহী কিছুটা ঘাবড়ে গেছে।কি হচ্ছিলো এসব?রুহী খেয়াল করলো রোয়েনের পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে।রুহীকে জোরে বুকে জড়িয়ে রেখেছে রোয়েন।রুহীর গালে টুপ করে পানির ফোটা পড়লো। ওপরে তাকাতেই রোয়েন ওর রক্তচক্ষু দিয়ে তাকিয়ে আছে।রাগে ফুঁসছে রোয়েন,চোখ গুলো জ্বলজ্বল করছে। দরজা খুলে বেরিয়ে এলো রোয়েন।রুহীকে বের করে টানতে টানতে খাটে ছুড়ে মারলো রোয়েন।রুহীর ওপর এসে আধশোয়া হয়ে বলল একয়দিন ঘর থেকে বের হবানা।যদি চেষ্টা করেছো আমার থেকে ও খারাপ কেউ হবেনা দাঁতেদাঁত চেপে বলল রোয়েন।কথা গুলো বলার সময় রোয়েনের চোখ গুলো জলে ভরপুর হয়ে গেছিলো যেন সুযোগ দিলেই বেরিয়ে পড়বে।
রুহীর চোখ ভরে এসেছে।ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো ও।কথা বলার সাহস পাচ্ছিলো না কারন রোয়েন এখন ও ওর ওপর শুয়ে আছে।রুহী রোয়েনের চোখের দিকে তাকাতে পারছিলোনা খুব ভয় হচ্ছিলো ওর।হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই রুহীর ঠোঁটে রোয়েন নিজের ঠোঁট দুটি ডুবিয়ে দিলো।পরম সোহাগে চুমু খাচ্ছে রুহীকে রোয়েন।আজ যদি মায়াবতীর কিছু হয়ে যেত নিজেকে শেষ করে দিতো রোয়েন। চোখ জোড়া বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে রোয়েনের তা দুজনের ঠোঁটের কোনা বেয়ে বালিশে গড়িয়ে পড়ছে।রুহীর গাল দুটো দুহাতে চেপে ধরেছে রোয়েন।
পরম সুখে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে রুহী।এমন অনুভূতি আগে কেন হয়নি?কেন রোয়েন কে আগে পায়নি ও?গালে ঠোঁটের কোনে পানির স্পর্শ পায় রুহী।ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকায় অনিচ্ছাসত্ত্বেও। রোয়েনের দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে। কাঁদছে কেন সে?রুহী আবার ও চোখ বুজে ফেলে রোয়েনের চুলের ভিতর হাত ঢুকিয়ে নিজের সাথে জোরে জড়িয়ে নেয় রুহী।
রোয়েনের হাত রুহীর গলায় পরশ বুলাতে থাকে।আজ যদি একান্ত নিজের করে পেত রুহীকে।রুহীর প্রত্যেকটা নিশ্বাস পাগল করে দিচ্ছে রোয়েনকে।ওর শরীরের গন্ধে মাতাল হয়ে যাচ্ছে রোয়েন।আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকায় রোয়েন মায়াবতীকে একপলক দেখার জন্য।রুহীর চোখের কোনায় এক ফোঁটা অশ্রু জমে আছে।রুহীর হাত ক্রমশ রোয়েনের শার্টের বোতামে চলে এসেছে। বেশ কয়েকটা বোতাম খুলতেই রোয়েন লাফ দিয়ে উঠে শার্টের বোতাম লাগানোয় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো রোয়েন।রুহী ও ধড়ফড়িয়ে উঠে বসেছে। জামা ঠিক করতে করতে রোয়েনের দিকে একনজর তাকিয়ে মাথা নোয়ায় ও।কি করতে যাচ্ছিলো ও ছিহ!!!নিজের ওপর রাগ লাগছে রুহীর।রোয়েন শার্ট ঠিক করে বেরিয়ে গেল।রুহী ঐভাবেই খাটে কিছুক্ষন বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ালো।নিজের ঠোঁট আঙ্গুল দ্বারা স্পর্শ করে রুহী।সময় টা তখনই থেমে যেতে পারতো কিন্তু গেলোনা।রুহী তো সেই গভীর ভালবাসায় মত্ত ছিলো।যদি সেভাবেই মরে যেতো বিষয়টা খারাপ হতো না।চোখ মুছে রুমে এসে জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় রুহী।
রোয়েন ঘর থেকে বেরিয়েছে।হাতে ছুড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে বয়স্ক লোকটির সামনে।লোকটির আরমান আহমেদ।একজন ভদ্রমহিলা রোয়েনের দিকে পানি আগাতেই গ্লাসটি হাতে নিয়ে ভেঙ্গে দেয় রোয়েন।শত্রুর বাসার এক গ্লাস পানি কি এক টুকরো লবন ও হজম হবেনা আরমান আহমেদ কে শুনিয়ে শুনিয়ে চিৎকার করে বলছিলো রোয়েন। হাতের তালু রক্তে ভিজে গিয়েছে রোয়েনের।সেদিকে খেয়াল নেই ওর।রক্তচক্ষু দিয়ে আরমান আহমেদের দিকে তাকিয়ে আছে রোয়েন।কখনো মাফ করবোনা আপনাকে মিঃআরমান আহমেদ চিৎকার করে বলল রোয়েন।
মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ রোয়েন।ডোন্ট ফরগেট আমি তোমার বাবা।তোমার জন্মদাতা।সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মিঃআরমান আহমেদ চিৎকার করে বলল রোয়েন।আপনার কারনে সব হারিয়েছি আমি। জানোয়ারে পরিনত হয়েছি শুধু আপনার কারনে।আজ যা করলেন সেটার জন্য মাফ করবোনা আপনাকে কখনো করবোনা।আমাকে ভালবাসেন না কিন্তু আমার ভালাবাসাকে কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই।আপনার ও নেই।কখনো আপনাকে অথবা আপনার লোককে আমার বাসার ত্রিসীমানায় যেন না দেখি।
ডার্ক গ্রুপকে কি করবা রোয়েন?সে তো সর্বদাই তোমার বাড়ির দিকে তোমার ভালোবাসার দিকে নজর রেখে আছে রসিয়ে রসিয়ে বলছিলেন আরমান আহমেদ।তা আপনাকে ভাবতে হবেনা।তবে আপনাকে যদি আবার দেখেছিনা তাহলে আমার বাপ ভুলে যাবো আমি।বলে বেরিয়ে আসে রোয়েন।
রুহী নিচে আসে।কাজের লোকগুলোকে জিজ্ঞেস করে ওনি কই?স্যার বাহিরে গেছেন ম্যাম(কাজের লোক)।ওহ নিচে নেমে আসে রুহী।তখন বলছিলো ঘরে আসলে ওনাকে জড়িয়ে ধরতে হবে।কিন্তু তা কি করে সম্ভব?রুহী বুক চেঁপে ধরে।কলিংবেল বেজে উঠতেই রুহী দরজা খুলে দেয়।রোয়েন দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে।চোখ দুটো ভীষন লাল হয়ে আছে ওর।রোয়েন রুহীর দিকে তাকিয়ে আছে।রুহী ও দাঁড়িয়ে আছে স্ট্যাচু হয়ে কি করবে ভাবছে?যা করার করে ভিতরে ঢুকতে দাও রাগী গলায় বলল রোয়েন।ক ক কি জানি ক ক করতে হ হবে?সকালে কিছু বলেছিলাম দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে রোয়েন।রুহী বুক ভরা সাহস যুগিয়ে চোখ বন্ধ করে জড়িয়ে ধরে রোয়েনকে।রোয়েন ও রুহীর কোমড় জড়িয়ে ধরেছে।
কিছুক্ষন পর রুহী সরে আসে।রোয়েন ওপরে চলে যায়।রুহী দৌড়ে কাজের লোককে বলল কফি কিভাবে বানায়?জি ম্যাম বলছি।কাজের লোকটি রুহীকে কফি বানানো শিখিয়ে দেয়।রুহী গরম গরম কফি নিয়ে রোয়েনের রুমে আসে।খালি গায়ে দাঁড়িয়ে বডি স্প্রে লাগাচ্ছে রোয়েন।ঘ্রান টি মাতাল করা একদম।রুহীর ডুবে যেতে মন চাইছিলো তবে নিজেকে কন্ট্রোল করে ভিতরে প্রবেশ করে।টিটেবিলের ওপর কফি মগটি রাখে রুহী। রোয়েনের চুল বেয়ে টুপ টুপ করে পানি পড়ছে।রুহীর হাতে তোয়ালে দিয়ে বসে পড়ে রোয়েন।রুহী চুল মুচ্ছে রোয়েনের।রোয়েন মগটি হাতে নিয়ে চুমুক দিলো(বাহ ভালো বানিয়েছে)।
(শরীর ভালো নেই তাই অল্প লিখে দিলাম)
চলবে