Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 92
পরদিন সকাল রুপন্তীর ঘুম ভাঙ্গে মাথায় কারোর হাতের স্পর্শ পেয়ে।চোখ খুলে তাকায় রুপন্তী।
আজিজ রায়হান মেয়ের চুল হাতচ্ছেন।ওনি অফিসের গেটআপ নিয়েছেন।ওনার মুখে উজ্জ্বল হাসি।
-ব বাবা তুমি এতো সকাল!!!আর এই ড্রেস!!সব ঠিক হয়ে গেছে!!!কৌতুহলী কন্ঠে বলে উঠলো রুপন্তী।
-হ্যারে মা সব ঠিক হয়ে গেছে।চেয়ারম্যান স্যার ফোন দিয়ে অনেক বার সরি বলল।
-তারা আমার কেবিন চেঞ্জ করে দিয়ে ঐ বড় কেবিনটায় দিচ্ছে যেটা আমার স্বপ্ন ছিলো।ওয়েল ফার্নিশড রুমটা।সেখানে গেস্ট গেলে ও বসতে পারবে।
-কফির মেশিন ও আছে।ফ্রি সব।আজিজ রায়হান খুশি মুখে বলছিলেন কথা গুলো।
রুপন্তী বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
চোখের অশ্রু বাবার কোটে পড়ার আগেই সেগুলো মুছে নিলো রুপন্তী।
-অনেক খুশি আমি বাবা।বলে উঠে রুপন্তী।
-আমি ও খুশিরে মা।ভীষন ভয় পেয়ে গেছিলামরে।বলে উঠেন আজিজ রায়হান।
-মেয়েকে ছেড়ে সরে বসলেন আজিজ রায়হান।রুপন্তীর হাতে একটা ব্রেসলেট পরিয়ে দিলেন।
-এটা আমার চাকরি ফিরে পাওয়ার খুশিতে।বলে রুপন্তীর গাল আলতো করে টেনে উঠে পড়লেন আজিজ রায়হান।
-আজ এক্সাম নেই তোর?জিজ্ঞেস করেন আজিজ রায়হান।
-না বাবা।বলে মলিন হাসে রুপন্তী।
-আজিজ রায়হান বেরিয়ে গেলেন।
আজিজ বেরিয়ে যেতেই রুপন্তী বড় লাগেজ বের করে কাপড় গুছাতে লাগলো।
সকাল থেকেই রোয়েনকে ব্যাস্ত আর চিন্তিত মনে হচ্ছে। বারবার ফোনে কথা বলছে।খাটে আধশোয়া হয়ে রোয়েনকে দেখছে রুহী।
-কি হলো?এতো টেনশন কিসের রোয়েন?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
-একটু কাজের চাপ রয়েছে রুহী।তোমন কিছুনা।বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায় রোয়েন।
রুহী কিছু বলতে গিয়ে ও পারেনা।খুব চিন্তা হচ্ছে ওর।লোকটা কি নিয়ে টেনশন করছে কে জানে।
রুপন্তী প্যাকিং সেড়ে নেয়।
রায়না রাহমান রুপন্তীর রুমে অবাক হয়ে যায়।
-কই যাচ্ছিস তুই?
-কিছু বলতে পারছেনা রুপন্তী।চোখ জোড়া ভিজে একাকার।
-রুপন্তীকে এভাবে কাঁদতে দেখে ঘাবড়ে যান রায়না রাহমান।কিরে মা সব ঠিক আছে তো?
-রুপন্তী কথা বলছেনা।দাঁড়িয়ে একাধারে কেঁদে যাচ্ছে।
-রায়না রাহমান রুপন্তীর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।কাঁদছিস কেন মা?কিছু তো বল।
-রুপন্তী এবার জোরে কেঁদে উঠলো।কান্নারত অবস্থায় প্রনয় খানের কথাটা পুরো খুলে বলল রায়না রাহমানকে।
রায়না কিছু বুঝতে পারছেননা।কি বলবেন ওনি?মাথা হ্যাং হয়ে গেছে ওনার।এদিকে একাধারে কেঁদেই চলেছে রুপন্তী
তুই যাবিনা ঐলোকের কাছে।সে ভালো না।বলে উঠেন রায়না রাহমান।
-মামী আমি আজ না গেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে যে।আমার যেতেই হবে।
অনেক বুঝানোর পর ও রুপন্তী মানলো না রায়না রাহমানের কথা।
ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই রুপন্তীকে ডেকে উঠেন আনিলা বেগম।
-কই যাচ্ছিস তুই?
-তোমার প্রনয় খানের কাছে।রাগী গলায় কথাটা বলে বেরিয়ে যায় রুপন্তী।সবার আগে গল্প পড়তে নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজের সাথেই থাকুন,,অন্য পেজে গল্পটা পড়লে ভাববেন চুড়ি করা গল্প।
আনিলা বেগম মুখ বেঁকিয়ে ভিতরে চলে যায়।
রুপন্তী প্রনয় খানের বাসায় পৌছে যায়।
প্রনয় খান সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালেন।
-মাই সুইট প্রিন্সেস ফাইনালি ইউ আর হিয়ার।মুখে শয়তানি হাসি এনে বলে প্রনয় খান।
-জি।আপনার কথা আপনি রেখেছেন সেটা ও আমি করেছি।বলে উঠে রুপন্তী।
-কোন কষ্ট হয়নি তো ডিয়ার?জিজ্ঞেস করে উঠেন প্রনয় খান।
-কষ্ট কেন হবে?বাবার কাছে ফিরে এসেছি।কষ্টতো হওয়ার কথাইনা তাইনা?বলে উঠে রুপন্তী।
-তা অবশ্য ঠিক বলেই রুপন্তীকে বুকে জড়িয়ে নেন প্রনয় খান।
ভীষন ঘৃনা হচ্ছে রুপন্তীর লোকটার নৈকট্যে।সে তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সব করতে পারে।
রুপন্তী চলে যেতেই রেহানকে কল দেন রায়না রাহমান।
-হ্যালো মাম্মা!! অপরপাশ থেকে বলে উঠে রেহান।
-বাবা তুই কই?কেঁদে উঠেন রায়না রাহমান।
-মা কাঁদছো কেন তুমি?ঘাবড়ে যায় রেহান।
-রায়না রাহমান সব বলে দেন রেহানকে।
-সব শুনে রেহান স্তব্ধ হয়ে গেলো।এদিকে মাম্মা কাঁদছে।কিন্তু রেহান কি বলবে বুঝতে পারছেনা।
-রেহান কিছু বলনা বাবা।মেয়েটাকে জলদি ফিরিয়ে আনা উচিৎ।কেঁদে উঠলেন রায়না রাহমান।
-মাম্মা টেনশন করোনা।ওকে জলদিই ফিরিয়ে আনবো প্রমিজ।বলে উঠে রেহান।
-শোন মেয়েটাকে কল দে।ওকে ফিরে আসতে বল ভালো লাগছেনা আমার।বলে উঠেন রায়না রাহমান।
-জি মা।ফোন ডিসকানেক্ট করে ফোনটাকে সামনে ধরে রেহান।
ওর জান কি অবস্থায় আছে কি জানে।
আজিজ রায়হান ঘরে ফিরে রুপন্তীর রুমে এলে রায়না রাহমানকে দেখতে পান।রায়না কাঁদছেন।
-ভাবি কাঁদছেন কেন?জিজ্ঞেস করে উঠেন আজিজ রায়হান।
-আজিজ রায়হানকে সব বলে দেন রায়না রাহমান।
-আজিজ রায়হান রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আনিলা বেগমের কাছে এসে দাঁড়ায়।
আনিলা বেগম সাজছেন।
-আমার মেয়ে কোথায়?রাগী গলায় বলেন আজিজ রায়হান।
-কোথায় আবার?ওর বাবার কাছে।আমার প্রেমিক প্রনয়ের কাছে।বলেই আবার সাজতে লাগেন আনিলা বেগম।
-আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও।চিৎকার করে বললেন আজিজ রায়হান।
-মেয়েটা তোমার নয় আজিজ।আর এখনতো চাকরীটা ফিরে পেয়েছো সেটা নিয়ে ব্যাস্ত থাক।বেশি কথা বললে চাকরী কি তুমিই থাকবানা তোমার মেয়েদের মুখে বাবা ডাক শোনার জন্য।কথা টা বলে হনহন করে আজিজ রায়হানের পাশ দিয়ে চলে যেতে লাগলেন আনিলা বেগম।
তারপর আবার পিছনে ফিরেন আনিলা বেগম।
-আমি ও যাছি আমার প্রনয়ের কাছে।আর দেখা হবেনা আমাদের।বায় বায়।বলে চলে যান আনিলা বেগম।
ফোন কান থেকে সরিয়ে রাগে ফুঁসতে থাকে রোয়েন।
রুপন্তী প্রনয়ের কাছে ভাবতেই রাগ লাগছে রোয়েনের।
রফিক কে কল দেয় রোয়েন।দুবার রিং হতেই কল রিসিভ হয়।
-হ্যালো স্যার।অপরপাশ থেকে বলে উঠে রফিক।
-প্রনয়ের সকল তথ্য আমার চাই।এক্ষুনি চাই।বলেই কল কেঁটে দেয় রোয়েন।
তারপর ইমার্জেন্সি প্লেনের টিকিট করাতে বলে এখানকার ওর এক লোককে।
রোয়েনকে বড্ড প্রায় সপ্তাহ খানিক ধরে বড্ড অস্থির দেখাচ্ছে রুহীর কাছে।
জিজ্ঞেস করার পর ও সন্তোষজনক উত্তর দেয়নি রোয়েন।উল্টো দেশে ফিরার সব ব্যাবস্থা করছে ও।
কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছেনা রুহী।
সেদিন রাতে দুজনের সব প্যাকিং শেষ করে
রুহীকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে রোয়েন।
রুহী মলিন চোখে স্বামীকে দেখতে থাকে।
চলবে . .