Childhood marriage ! Part- 25 (Last-Part)
#Childhood_marriage
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-২৫(অন্তিম পর্ব)
ছোঁয়া : দেখি দরজা থেকে সরে দাঁড়ানতো আর আমাকে ভেতরে আসতে দিন
সায়ন : চুপচাপ সরে দাঁড়ালাম,ও এই সময় এখানে কেন কিছুই বুঝতে পারছি না
মারুফ : কে এসেছে রে সায়ন?ভাবী তুমি!!লোপাও এসেছে দেখছি?ওকে ইশারায় জিজ্ঞেস করলাম এসব কি হচ্ছে…
লোপা : ওকে ইশারায় আমার সাথে আসতে বললাম,ওদেে দুজনকে এখন একটু একা থাকতে দেয়া দরকার…
ছোঁয়া : উনার লাগেজ থেকে সবকিছু বের করতে লাগলাম
সায়ন : একি,এসব কি করছ?জানো কত কষ্ট করে সব গুছিয়েছিলাম…
ছোঁয়া : উনার কথা কানেও তুললাম না,আমার মত কাজ করে যাচ্ছি
সায়ন : কি হল কথা বলছ না কেন?
ছোঁয়া :….
সায়ন : I am asking you damn it just speak up…ওর হাত ধরে ওকে দাঁড় করালাম
ছোঁয়া : আহ্ লাগছে তো…
সায়ন : লাগুক..আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও,সবকিছু এলোমেলো করছো কেন?
ছোঁয়া :….
সায়ন : ওকে ফাইন সরে দাঁড়াও আমি আবার সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি,ওদিকে ফ্লাইটের টাইম হয়ে যাচ্ছে
ছোঁয়া : আপনি কোত্থাও যাচ্ছেন না
সায়ন : (চমকে উঠে)মানে?
ছোঁয়া : মানে আপনি এখানেই থাকবেন,কোথাও যেকে পারবেন না
সায়ন : হেঁয়ালি বন্ধ কর আর আমাকে আমার কাজ করতে দাও প্লিজ…
ছোঁয়া : আর সহ্য হচ্ছে না তাই উনার কলার চেপে ধরলাম…
সায়ন : এসব কি করছ ছোঁয়া?তুমি কি পাগল হয়ে গেলে?
ছোঁয়া : হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি,আপনার জন্যে আমি পাগল হয়ে গেছি
সায়ন : আচ্ছা তুমি চাইছো টা কি?
ছোঁয়া : আপনি বোঝেন না আমি কি চাই?
সায়ন : কি বুঝব আমি?
ছোঁয়া : আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবলেন কিভাবে?আপনার সাহস হল কিভাবে?
সায়ন : মানে!!!
ছোঁয়া : এত বোকা কেন আপনি?কেন বোঝেন না আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না…
সায়ন : কেন পারবে না?তুমিতো এটাই চাইছিলে…
ছোঁয়া : এখন আর চাই না কারণ আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি
সায়ন : কি বললে তুমি?
ছোঁয়া : কই কিছু বলিনিতো,যাই হোক ই
আপনি কোথাও যাচ্ছেন না,এখানেই থাকছেন৷আমি আৱ কোনকিছু শুনতে চাই না
সায়ন : ঠিক আছে যাব না কিন্তু তাৱ জন্যে যে আপনাকে একটা কাজ করতে হবে
ছোঁয়া : কি কাজ?
সায়ন : একটু আগে যেই কথাটা বলছিলে সেটা আবাৱ বলতে হবে
ছোঁয়া : কই কি বলেছি আমি?আমাৱ কিছুই মনে নেই
সায়ন : আচ্ছা আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি,তুমি শুধু জবাবটা দিয়ে দাও ওকে?
ছোঁয়া : কিন্তু…
সায়ন : শশশসস I love you Chowa…
ছোঁয়া : অবাক হয়ে উনাৱ দিকে তাকালাম,I…I’m so…sorry…
সায়ন : কিন্তু কেন?
ছোঁয়া : আপনাকে এত কষ্ট দিয়েছি তাই
সায়ন : ওসব কথা থাক না…আমিওতো তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি সো সব বাদ আমরা আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করব…
ছোঁয়া : খুশিতে চোখে জল এসে যাচ্ছে,কিছুতেই আটকাতে পাৱছি না…
সায়ন : আৱে আৱে আমাৱ বউটা আবার কাঁদছে কেন?দেখি দেখি একবার এদিকে তাকাওতো…ওৱ চোখেৱ জল মুছে দিলাম,যা কাঁদাৱ কেঁদেছো কিন্তু আৱ না,এই চোখে যেন আৱ কক্ষণো এক ফোঁটা জলও না আসে
ছোঁয়া : হুম
সায়ন : তাই বলে এটা ভেব না যে তুমি ছাড়া পেয়ে যাবে
ছোঁয়া : মাম…মানে?
সায়ন : ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম তারপর আস্তে আস্তে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম,”একটু আগে যা বলতে বলছিলাম ঝটপট বলে ফেল নাহলে কিন্তু আর ছাড়ছি না”
ছোঁয়া : আ..আমি!কি..ক..কি বলব?
সায়ন : একটু আগে যা বলছিলে
ছোঁয়া : কিন্তু তখনতো মুখ ফসকে…
সায়ন : মুখ ফসকে কিন্তু সবসময় সত্যি কথাটায় বের হয় ম্যাডাম…
ছোঁয়া : না..ম..মানে…
সায়ন : So no excuse just speak up dear…
ছোঁয়া : অা..আমি পারব না
সায়ন : ওকে ফাইন বলতে হবে না বলেই চলে যেতে নিলাম
ছোঁয়া : আরে আরে কোথায় যাচ্ছেন?
সায়ন : কেউ যখন আমাকে ভালোই বাসে না তখন আর এখানে থেকে কি করব?তাই চলে যাচ্ছি
ছোঁয়া : আরে আমিতো এমনিতেই..আসলে…
সায়ন : It’s okey baby,take your time…
ছোঁয়া : I love you
সায়ন : (চমকে উঠলাম)ওর দিকে এগিয়ে গেলাম,কি বললে?
ছোঁয়া : উনি মন খারাপ করছিলেন তাই ঝোঁকের বসে বলে ফেলেছি কিন্তু এখন খুব লজ্জা লাগছে তাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি
সায়ন : ওর মুখটা দুহাতে তুলে ধরলাম,এভাবে মুখ লুকিয়ে বলছ কেন?চোখে চোখ রেখে বল ভালোবাসি
ছোঁয়া : ভালোবাসি
সায়ন : লাভ ইউ সো মাচ বউ
ছোঁয়া : লাভ ইউ টু
সায়ন : ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম তারপর ওর গালে,চোকে,কপালে এলোপাথাড়ি কিস করতে লাগলাম তখনই…
নক নক…নক নক…
মারুফ : আসতে পারি?
ছোঁয়া : তাড়াতাড়ি উনার কাছ থেকে সরে আসলাম,ছুটে ভেতরের রুমে চলে গেলাম
মারুফ : সরি ফর দ্য ডিস্টার্ব ব্রো
সায়ন : সালা আসার আর সময় পেলি না?দিলিতো রোমান্সের বারোটা বাজিয়ে।একটু পরে আসলে কি এমন ক্ষতি হত শুনি?
মারুফ : সরি দোস্ত
সায়ন : রাখ তোর সরি,আগে বল কেন এসেছিস
মারুফ : ও হ্যাঁ,তোদের মান-অভিমান পর্ব যদি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আমার সাথে চল
সায়ন : কোথায়?
মারুফ : ফ্ল্যাটের মালিকের সাথে কথা বলতে,বেশী দেরি করলে হয়তো অন্য কাউকে রেন্ট দিয়ে দেবে
সায়ন : এটার জন্যে এত তাড়াহুড়ো!ওটাতো পরেও করা যেত
মারুফ : জ্বি না জনাব,আপনি ঢাকা শহরকে চেনেন না।এখানে বাসা খোঁজা আর সোনার হরিণ খোঁজা একই কথা।দেখ আবার এতক্ষণে অন্য কাউকে দিয়ে দিল কিনা..
সায়ন : তা অবশ্য ঠিকই বলেছিস,আচ্ছা তুই একটু ওয়েট কর আমি এক্ষুণি আসছি
মারুফ : একটু তাড়াতাড়ি আসিস প্লিজ
সায়ন : ছোঁয়া…আমি একটু আসছি..
ছোঁয়া : চমকে উঠে উনার হাত চেপে ধরলাম
সায়ন : হাতে হঠাৎ টান পড়ায় পেছন ফিরে তাকালাম,দেখলাম ও কেমন যেন অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে
ছোঁয়া : সরি বললামতো,আপনার কথামত I love you ওতো বলেছি তাহলে আবার চলে যাচ্ছো কেন?
সায়ন : ওর কথা শুনে হাসবো নাকি কাঁদব বুঝতে পারছি না,ভাবলাম একটু মজা করা যাক
ছোঁয়া : I am sorry প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না…আবার কান্না চলে আসলো
সায়ন : এই রে বেশি হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে,আরে আরে করছোটা কি?দেখি চোখের পানি মুছে ফেলতো…
ছোঁয়া : কিছুতেই কান্না আটকাতে পারছি না
সায়ন : আরে পাগলি আমি কি একেবারে চলে যাচ্ছি নাকি?আমি এই যাব আর আই আসব…
ছোঁয়া : সত্যি?
সায়ন : হুম সত্যি
ছোঁয়া : প্লিজ আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেন না…
সায়ন : ওকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নিলাম।কোথায় যাব আমি তোমাকে ছেড়ে?কোথাও যাব না,কক্ষণও না।সারাজীবন এভাবেই বুকের মাঝে আগলে রাখব প্রমিজ…
মারুফ : কি রে আর কতক্ষণ?উফ শিট!আমি কিন্তু কিছু দেখিনি
সায়ন : আবে ইয়ার তোর টাইমিংটা অলয়েজ এতটা খারাপ কেন হয় বলতো…
মারুফ : আমার টাইমিং ঠিকই আছে,তোদেরটাই গড়বড় হচ্ছে।শালা রোমান্স করবি কর কিন্তু সবসময় কেন?একটু বুঝে শুনে,টাইমিং ঠিক করে করতে পারিস না?
ছোঁয়া : আ..আমি একটু আসছি…
লোপা : তুই কোথায় যাচ্ছিস?এখানে চুপচাপ দাঁড়া,এক পাও নড়বি না…
ছোঁয়া : কিন্তু কেন?
লোপা : চুপ একদম চুপ আর এই যা দুলাভাই,বউকে পেয়ে এই শ্যালিকাটার কথাই ভুলে গেলেন?very bad দুলাভাই…
সায়ন : সরি শালিজান ভুল হয়ে গেছে,এখন বলেন আপনার জন্যে কি করতে পারি…
লোপা : আপাতত আমার বান্ধবীটার দিকে খেয়াল রাখলেই হবে,আমার পাওনাটা নাহয় তোলাই থাকলো,সময় হলেই নিয়ে নিব…
সায়ন : ওক্কে ডিয়ার,তাই হবে
মারুফ : উফ!এই সায়ন,আর কত টাইম নিবি?
সায়ন : এইতো হয়েই গেছে,এককাজ কর তোরা দুইজন একটু চোখ বন্ধ করতো
মারুফ : কিন্তু কেন?
লোপা : উফ ভাইয়া যা বলছে চুপচাপ কর না,গাধা কিছুই বোঝে না দেখছি…
মারুফ : ওকে ওকে…
(মারুফ আর লোপা চোখ বন্ধ করতেই সায়ন ছোঁয়ার কপালে আলতো করে নিজের ঠোঁটটা স্পর্শ করে দিল,ছোঁয়া আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলল)
সায়ন : চিন্তা কর না,কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসব।মারুফ চল…
মারুফ : ও হ্যাঁ চল….
(দুই মাস পর)
সায়ন আর ছোঁয়া হানিমুনে এসেছে,ছোঁয়ার ইচ্ছে তাই কক্সবাজারেই নিয়ে এসেছে।আপাতত নিজেদের হোটেল রুমে বসে আছে,কিছুক্ষণের মধ্যেই সি-বীচে ঘুরতে যাবে।
সায়ন : কই তোমার হল?আর কতক্ষণ?
ছোঁয়া : এইতো প্রায় হয়েই গেছে,আর একটু…
সায়ন : শোন তুমি রেডি হতে থাকো,আমি একটু আসছি
ছোঁয়া : এখন আবার কোথায় যাচ্ছেন?
সায়ন : হসপিটালে,don’t worry তোমার রিপোর্টটা নিয়েই চলে আসবো
ছোঁয়া : Okey…উনাকে ইচ্ছে করেই আটকালাম না কারণ আমার মাথায় এখন অন্য চিন্তা ঘুরছে আর সেটা উনি সামনে থাকলে কিছুতেই সম্ভব না…
(হসপিটালে)
সায়ন : ওয়েটিং রুমে বসে আছি,সিরিয়ালের জন্যে ওয়েট করছি।কাল সকালে ছোঁয়া হঠাৎ করেই সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল তাই কিছু টেস্ট করাতে হয়েছিল,সেগুলোরই রিপোর্ট নিতে এসেছি।একটু টেনশন হচ্ছে খারাপ কিছু আসবে নাতো রিপোর্টে?তাই ইচ্ছে করেই ছোঁয়াকে নিয়ে আসিনি…
নার্স : এখানে মিসেস তাসনিয়া মাহবুব…
সায়ন : হঠাৎ নামটা শুনেই চমকে উঠলাম,আমি কি ঠিক শুনলাম?
নার্স : এখানে মিসেস তাসনিয়া মাহবুবের লোক কে আছেন আমার সাথে আসুন প্লিজ…
সায়ন : আশেপাশে তাকাচ্ছি কিন্তু কাউকেইতো উঠতে দেখছি না…
নার্স : মিসেস তাসনিয়া মাহবুব ছোঁয়ার কেউ থাকলে জবাব দিন প্লিজ
সায়ন : (চমকে উঠে)এক্সকিউজ মি সিস্টার,কি নাম বললেন যেন?
নার্স : মিসেস তাসনিয়া মাহবুব
সায়ন : না না পুরো নামটা
নার্স : মিসেস তাসনিয়া মাহবুব ছোঁয়া,আপনি উনার কে হন?
সায়ন : উনার হাজবেন্ড
নার্স : ওহ আপনি ভেতরে যান
সায়ন : হাজার রকম চিন্তা নিয়ে ডক্টরের চেম্বারের দিকে এগোচ্ছি,তারমানে কি ছোঁয়াই তাসনিয়া?কিন্তু তা কি করে সম্ভব?তাই যদি হত তাহলে আমি এতদিনেও ব্যপারটা জানতে পারলাম না!কালকেও হসপিটালের ফর্মটা ও নিজেই পূরণ করেছে তাই কিছুই জানতে পারিনি।না এটা হতে পারেনা ইটস জাস্ট এ কোইন্সিডেন্স,হতে পারে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কোন ভুল করেছে…May I come in doctor?
ডক্টর : ওহ মি.মাহবুব?আসুন আসুন কংগ্রাচুলেশনস…
সায়ন : কিন্তু কেন?
ডক্টর : ওহ এই দেখুন ছোঁয়ার টেস্টের রিপোর্ট সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে
সায়ন : এটাতো…I can’t believe this.ডক্টর এটা কি সত্যি?
ডক্টর : ইয়েস মি.মাহবুব,আপনার স্ত্রী মা হতে চলেছেন…
সায়ন : মিক্স একটা অনুভূতি হচ্ছে,কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।সোজা হোটেলের দিকে ছুটতে লাগলাম…
সায়ন : ছোঁয়া…ছোঁয়া…কোথায় তুমি?কিন্তু ছোঁয়া কোথায়?হঠাৎ টেবিলের উপরে চোখ পড়ল,একটা কাগজে লেখা…
“বীচে আসেন,আমি ঝাউবনে সেই বেঞ্চটাতে ওয়েট করছি”
কাগজটা ফেলে ঝাউবনের দিকে ছুটলাম,সেই বেঞ্চটার দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম!সেই হিজাবের আড়ালে ভেসে উঠা চশমা পরা একজোড়া চোখ,চুপচাপ সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে অপলোকে তাকিয়ে আছে…
ছোঁয়া : সমুদ্রের ঢেউ গুনছিলাম তখনই কারোর অস্তিত্ব টের পেলাম।ঘাড় ঘুরিয়ে উনাকে দেখেই পাশে বসার জন্য ইশারা করলাম
সায়ন : বসে পড়লাম,অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।আ..আপনি…
ছোঁয়া : ওই যে দেখুন সমুদ্রের ঐ উত্তাল ঢেউগুলো একটার পর একটা আছড়ে পড়ছে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে ঐ সামুদ্রিক পাখিগুলো কি নিপুণভাবে একটার পর একটা ডুব দিয়ে যাচ্ছে…
সায়ন : যেটুকু সন্দেহ ছিল তাও দূর হয়ে গেল।তাসনিয়া?
ছোঁয়া : জ্বি?
সায়ন : আ..আপনি এখানে?
ছোঁয়া : বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছি।আপনি?
সায়ন : আমি…আসলে…
ছোঁয়া : আপনাকে একটা কথা বলি?
সায়ন : জ্বি বলুন
ছোঁয়া : I love you…
সায়ন : দেখুন আমি…
ছোঁয়া : এখান থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই আপনাকে অনেক মিস করেছি তারপর আস্তে আস্তে আপনার প্রেমে পড়ে গেছি…
সায়ন : শুনুন আমার পক্ষে এটা সম্ভব নয়
ছোঁয়া : কিন্তু কেন?
সায়ন : দেখুন আমি মানছি যে একটা সময় আপনাকে আমি ভালোবেসেছিলাম কিন্তু এখন আমি বিবাহিত আর আমি আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি।আমার লাইফে আর কারোর কোন জায়গা নেই…
ছোঁয়া : আনন্দে চোখে পানি এসে গেল
সায়ন : আরে আরে আপনি কাদছেন কেন?বিলিভ মি আপনি আমার থেকেও অনেক ভাল কাউকে পাবেন
ছোঁয়া : চোখ থেকে চশমাটা খুলে নিলাম,তারপর মুখ থেকে কাপড়টাও সরিয়ে ফেললাম তারপর উনার দিকে তাকালাম
সায়ন : বিস্ফারিত চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।তু…ত..তুমি!!
ছোঁয়া : হ্যাঁ আমি,আমিই আপনার তাসনিয়া
সায়ন : হোয়াট!!তারমানে হসপিটালের সব ঘটনাই সত্যি?আমাকে আগে কেন জানাওনি?
ছোঁয়া : কি জানাবো?
সায়ন : কেন বলনি যে তুমিই তাসনিয়া?
ছোঁয়া : বিশ্বাস করুন আমি নিজেও ব্যপারটা জেনেছি অনেক পরে।তবে হ্যাঁ জানার পরে ইচ্ছে করেই আপনাকে জানাইনি
সায়ন : কিন্তু কেন?সত্যিটা কেন লুকালে?কেন নিজেও কষ্ট পেলে আর আমাকেও দিলে?
ছোঁয়া : আমি চেয়েছিলাম আপনি আমাকে ভালোবাসুন,আমিই তাসনিয়া তারজন্যে আপনি আমাকে ভালোবাসুন এটা আমি কখনই চাইনি তাই…
সায়ন : কাজটা কিন্তু তুমি একদমই ভাল করনি
ছোঁয়া : আচ্ছা ঠিক আছে,I’m sorry.আর কক্ষণও এমন হবে না(কানে ধরে)
সায়ন : আর রাগ করে থাকতে পারলাম না,ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।কংগ্রাচুলেশনস মিসেস মাহবুব
ছোঁয়া : কেন?
সায়ন : কারণ আপনি মা হতে চলেছেন আর আমি বাবা
ছোঁয়া : কিহ!সত্যি?
সায়ন : জ্বি ম্যাডাম,আর এই যে শোনেন আমার কিন্তু একটা প্রিন্সেস চাই
ছোঁয়া : মোটেই না,আমার একটা প্রিন্স চাই
সায়ন : না প্রিন্সেস
ছোঁয়া : বললামতো প্রিন্স,কেন শুধু শুধু ঝগড়া করছেন?
সায়ন : আমি ঝগড়া করছি নাকি তুমি?এই এক মিনিট এক মিনিট এ্যাকচুয়ালি আমরা দুজনেই ঝগড়া করছি…
ছোঁয়া : সরি
সায়ন : ইট’স ওকে ডিয়ার,আমিও অনেক সরি
ছোঁয়া : আচ্ছা এখন আমাকে একটু প্রকৃতি দেখতে দিনতো,কি রে তুইও দেখবি তো?(পেটে হাত দিয়ে)
সায়ন : ওক্কে ম্যাডাম দেখেন,আর ডিস্টার্ব করছি না…
ছোঁয়া সায়নের কাধে মাথা রেখে উত্তাল সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে,সমুদ্রের মাঝে হারিয়ে গেছে আর সায়ন?ও শুধু ছোঁয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে,ওর মাঝেই হারিয়ে গেছে।এটাইতো ও চাইছিলো,এতদিন পর ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে,ও ঠিক ওর মনের মত কাউকেই পেয়েছে যার জন্যে ও পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যেতে পারে….
(সমাপ্ত)
#যাক বাবা গল্প শেষ,এবার শান্তি।ডিয়ার রিডার্স গল্পতো শেষ,এবারতো বলুন কেমন লাগলো..আর হ্যাঁ এইবার অন্তত নাইস নেক্সট বাদে কমেন্ট করবেন প্লিজ।নেক্সট মাস থেকে আমার ইয়ার ফাইনাল,সবাই দোয়া করবেন আর এক্সাম শেষ হলেই নতুন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব প্রমিজ।সেই পর্যন্ত টা টা
এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল