Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 81
আনিলা বেগমের সামনে এসে বসলেন স্করপিয়ন লিডার প্রনয় খান।মুখে শয়তানি হাসি টেনে চোখ থেকে সানগ্লাস টা খুলে পাশের টেবিলে রাখলেন।
-হ্যালো আনিলা জানু কি খবর?
-ডোন্ট কল মি জানু।আমি এখন অন্য কারোর ওয়াইফ, আমার নিজের সংসার আছে।তোমার কিছু না।একটু মুড নিয়ে বললেন আনিলা বেগম।
-ওহ রিয়েলি।হাসতে শুরু করলেন প্রনয় খান।
আনিলা বেগম ভ্রু কুঁচকে প্রনয় খানের দিকে চেয়ে আছেন।
-সিরিয়াসলি আনিলা ভীষন হাসি পাচ্ছে তোমার কথা শুনে।হাসছেন প্রনয় খান।তোমার স্বামী!! নিজের সংসার!! ওহ মাই গড!!!!হাসতে হাসতে বললেন প্রনয় খান।
-লিসেন তুমি জানো সে ঘরে কেন আছো তুমি?আনিলার দিকে ঝুঁকে বললেন প্রনয় খান।
-জি জানি আমি।আর এও জানি কেন আছি।বলে উঠলেন।
-আনিলা বেগমের গলায় হাতের পরশ বুলিয়ে প্রনয় বললেন গুড।মনে রেখেছো তাহলে।
আনিলা বেগম প্রনয় খানের হাত সরিয়ে বললেন,
-প্লিজ এখানে এসব না।পাবলিক প্লেসে আছি আমরা।
-এগুলো কি আমাদের কাছে মেটার করে বেইবি?দাঁত বের করে বললেন প্রনয় খান।
-জানিনা এগুলো এখন ভালো লাগছেনা।আমরা দুজনেই এখন এজড।গলায় শাড়ী ভালো করে টেনে বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-প্রনয় খান ঠোঁটে ডোন্ট কেয়ার ভাব এনে বললেন আই ডোন্ট থিংক সো আনিলা।
আনিলা বেগম কিছু বললেন না।চুপচাপ বসে আছেন।
প্রনয়ের জন্য আজও সেই টান অনুভব করছেন যেটা করতেন তেইশ বছর আগে।
-হেই ওয়েটার আ লার্জ সাইজ পিৎজা এন্ড আ বোটল ও শ্যাম্পেইন।চিৎকার করে বললেন প্রনয় খান।তারপর আনিলা বেগমের দিকে তাকান।
-ফিগার তো আগের চেয়ে ও ভালো হয়েছে ডার্লিং। আজিজের ভালোবাসার চমৎকার কি?
-নেভার।ইউ নো আজিজের সাথে তেমন কিছুই নেই আমার।কিছুটা রেগে গেলেন আনিলা বেগম।
-আরে বেইবি কাম ডাউন।আই নো তোমার সাথে আজিজের তেমন কিছু হয়নি।আই ওয়াজ কিডিং।
-তা তোমার ফেইক সংসার কেমন চলছে?জিজ্ঞেস করে উঠেন প্রনয় খান।
-যেমন চালাচ্ছি।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
-যেমন টা মানে?আর হ্যাং সংসারের কথা দিয়ে মনে পড়লো তোমার কাজটা এখনো কম্পলিট হয়নি কেন?জিজ্ঞাস করে উঠেন প্রনয় খান।
-আসলে অনেক বার ট্রাই করেছিলাম প্রনয় বাট তার জন্য পারিনি।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
-কি তোমার ফেইক স্বামী আজিজের জন্য?জিজ্ঞেস করে উঠেন প্রনয় খান।
-নাহ ওর জন্য না।রোয়েন চৌধুরীর জন্য।যতোবারই কিডন্যাপ করতে চেয়েছি ততোবারই রোয়েন এসে বাঁচিয়েছে।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
আনিলার মুখে রোয়েনের কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন প্রনয় খান।এখানে আসার পর থেকেই নিজের বরবাদির প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রোয়েন চৌধুরীকেই দেখতপ পাচ্ছেন প্রনয় খান।
গা জ্বলে যাচ্ছে ওনার।
-আর প্রথমদিন তো রুহীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেলো আমাকে জানানো ছাড়াই।শুনেছিলাম কানাডিয়ান মাফিয়া কিনে নিয়েছিলো রুহীকে।
-সেদিন রোয়েন হেল্প করে রুহীকে ফিরিয়ে এনে।কিন্তু সেদিনের পর থেকে রুহীর পিছুই ছাড়ছেনা রোয়েন।
ওর আগে পিছে ঘুরে বেড়ায়।স্ট্রং প্রোটেকশন দিয়ে রেখেছে রুহীকে।আর এখন তো বিয়েই করে ফেললো রুহীকে।বলে উঠেন আনিলা বেগম।
-হোয়াট বিয়ে!!!!আর ইউ কিডিং আনিলা?রোয়েন রুহীকে বিয়ে করে নিয়েছে?আর তুমি এখন বলছো?আটকাও নি কেন বিয়েটা?গলা ফাটিয়ে বললেন প্রনয় খান।
-আটকাতে ট্রাই করেছি প্রনয়।রুহীকে মিথ্যা রেপের ভয় দেখিয়ে না ও করিয়েছিলাম।বাহিরে ও চলে গিয়েছিলো রুহী।বাট রোয়েন সেখানে গিয়ে বিয়ে করে নিলো।দাঁতে দাঁত চেঁপে বললেন আনিলা বেগম।
-কি বেহায়া লোকরে বাবা!!!!মাথা ঘুরিয়ে বললেন প্রনয় খান।
আনিলা বেগম গভীর নিশ্বাস টেনে মাথা নিচু করে বসে রইলেন।
-রুহীর সাথে রোয়েনের ওসব কিছু হয়েছে কি?জানো?জিজ্ঞেস করে উঠেন প্রনয় খান।
-রুহী প্রেগন্যন্ট।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-আহ হোয়াট অা গুড নিউজ।প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলো।আমার পুরো প্ল্যানে পানি ঢেলে তারা ফেমেলি প্ল্যানিং ও করেছে।রোয়েন চৌধুরী উইল পে ফর ইট।রাগী গলায় বললেন প্রনয় খান।
-এই রোয়েন রুহী দুজনকেই শেষ করতে হবে।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-সেজন্য ওদের দুজনের সাথে ক্লোজলি রিলেটেড এমন কাউকে লাগবে।যে এক কথায় আমাদের আঙ্গুলের ওপর নাচবে।আর খুব কড়া রিজন লাগবে ওদের শেষ করতে।সেজন্য রোয়েন চৌধুরীর ওপর নজর রাখা লাগবে।সে কই যায়।বলে উঠেন প্রনয় খান।
-সেজন্য রোয়েন চৌধুরীকে এখানে থাকতে হবে।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-এখানে থাকতে হবে মানে?ভ্রু কুঁচকালেন প্রনয় খান।
-ওরা লন্ডনে আছে।তবে রোয়েন এখন এখানে আছে।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-ওহ।হঠাৎ কেন?জিজ্ঞেস করে উঠলেন প্রনয় খান।
-জানি না বলেনি।তবে কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের বৌ রায়না কিডন্যাপ হয়েছিলো।তারপর থেকেই এখানে আছে রোয়েন।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
-হুম।তা রায়নার কিডন্যাপিং আর রোয়েনের এখানে আসা কানেক্টেড না তো?আর রায়না কে কিডন্যাপ করেছে সেটা জানা উচিৎ।এখন তো আর ওনার সেই সৌন্দর্য নেই যে কেউ তাকে রেপ করতে কিডন্যাপ করবে।নিশ্চিত অন্য কারন ও আছে।বলে উঠলেন প্রনয় খান।
-হুম।তোমার লোকদের দিয়ে খবর নাও।আর রায়ান কই?ওর সেল অফ কেন?জিজ্ঞেস করে উঠলেন আনিলা বেগম।
-হি ইজ নো মোর।বলে উঠলেন প্রনয় খান।
রায়না রাহমানের রুমে এলো রোয়েন।সাইফ রাহমান কালো ফোমের সোফায় বসে রায়না রাহমানের সাথে গল্প করছিলেন।রোয়েন যেতেই উঠে দাঁড়ালেন ওনি।
-রোয়েন তোমার জন্যই ওয়েট করছিলাম।তুমি কি থাকবে কিছুক্ষন?বলে উঠলেন সাইফ রাহমান।
-জি থাকবো।আপনি বাহিরে যাবেন?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-জি কাজ আছে আমার।বলে উঠেন সাইফ রাহমান।
-ওকে। আমি আছি মাম্মার কাছে।বলে উঠে রোয়েন।
-তা বাবা লন্ডনে কবে ফিরছো?জিজ্ঞেস করে উঠলেন সাইফ রাহমান।
-এখানে কিছু কাজ আছে সেগুলো করেই বের হবো।পাঁচ ছয়দিনের মাঝেই যাবো।বলে উঠে রোয়েন।
-একটু জলদিই যেও।রুহীর এখন তোমাকে খুব বেশিই প্রয়োজন।বলেই হালকা হাসেন সাইফ রাহমান।
-মাথা নাড়ে রোয়েন।সাইফ রাহমান রোয়েন কে পার করে বেরিয়ে গেলেন।সাইফ রাহমান থেকে চোখ সরিয়ে রায়না রাহমানের দিকে তাকায় রোয়েন।
-রুহী মাননির কি খবর?জিজ্ঞেস করে উঠলেন রায়না রাহমান।
-ভালো আছে ও।রায়না রাহমানের পাশে এসে বলো রোয়েন।মাম্মা কেমন লাগছে তোমার?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-ভালো রোনু।রুহীর সাথে ঐখানে কে আছে রে।জিজ্ঞেস করে উঠলেন আনিলা বেগম।
-রুপন্তী আর রেহান আছে মাম্মা।
-ওহ।ভালোই হলো।তুই ও চলে যা জলদি।রুহী তো এখন বেশির ভাগ সময় অসুস্থই থাকবে।বলে উঠলেন রায়না রাহমান।
রোয়েন হালকা হাসলো।
-কিছু খেয়েছিস রোনু?জিজ্ঞেস করে উঠেন রায়না রাহমান।
-জি মাম্মা।বলে উঠে রোয়েন।
-রুহীকে কল দিয়ে ওর খবর নে।এক্ষুনি কল দে মেয়েটাকে।
-জি দিবো।বলে উঠে রোয়েন।
-জি দিবো কি এক্ষুনি দে।জেদ করতে লাগলেন রায়না রাহমান।
-রোয়েন ফোন বের করে রুহীকে কল দিতেই অপরপাশ থেকে রুহীর কান্নার শব্দ ভেসে এলো।
রোয়েন আঁৎকে উঠলো।
-রুহী কি হলো?কাঁদছো কেন?
-রুহী কিছু বলছেনা কেঁদেই যাচ্ছে।
-রুহী কি হলো? কাঁদছো কেন?আবার ও জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
হঠাৎ রুপন্তী বলে উঠলো জিজু আপুর নাকি পেট ব্যাথা করছে হঠাৎ করেই।কিছু খেতেই পারছেনা।
-হোয়াট!!!ডাক্তার ডাকোনি?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-জি জিজু ডাক্তার এসেছিলো।বলল পেটে গরম পানির সেঁক দিতে।এসময় নাকি এরকম পেইন হয়।বলে উঠে রুপন্তী।
ওহ।যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো রোয়েন।
রুপন্তী ফোন দে।ওর সাথে কথা বলবো।পাশ থেকে কাঁদো গলায় বলল রুহী।
রুপন্তী রুহীর হাতে ফোন ধরিয়ে দিলো।
-হ্যালো!!!কাঁদো গলায় বলল রুহী।
-কি হলো?পেইন কমেছে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-একটু কমছে এখন।বলেই মলিন হাসে রুহী।
রোয়েন কান থেকে ফোন সরিয়ে রায়না রাহমানের দিকে তাকায়।মাম্মা একটু কথা বলে আসছি।বলে বেরিয়ে এলো রোয়েন।
-ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।বলে উঠে রোয়েন।
-সরি।কি করবো খুব পেইন করছিলো।বলে উঠে রুহী।
-ইটস ওকে।খেয়েছো?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-হুম।তুমি?বলে উঠে রুহী।
-খেয়েছি।ক্লাশ করতে যাও?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-আজ যাইনি।ভালো লাগছিলো না।বলে উঠে রুহী।
-কোন প্রেশার নেই।যখন ভালো লাগবে যাবে।বলে উঠে রোয়েন।
রুহী মুচকি হাসে।
-রুহী!!!!(রোয়েন)
-হুম।বলে উঠে রুহী।
-আই লাভ ইউ।বলে উঠে রোয়েন।
-রুহীর চোখ জোড়া ভরে আসে।
-রুহী নিঃশব্দে কেঁদে দেয়।
-রুহী!!!কি হলো কথা বলছোনা কেন?অপর পাশ থেকে ডেকে উঠে রোয়েন।
-রুহী কোন মতে সামলিয়ে চুপ হয়ে থাকে।
-জানি কষ্ট হচ্ছে।আর কয়েকটা দিন ওয়েট করো প্লিজ!!চলে আসবো।
-কাজ গুলো কমপ্লিট করে আসো।আমি অপেক্ষা করবো।বলে উঠে রুহী।
-রোয়েনের চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।আমি ও অপেক্ষা করে আছি মায়াবতীকে একটা নজর দেখার জন্য।আনমনে বলে উঠে রোয়েন।জীবনে জানি অনেক ঝুঁকি আছে।অনেক কিছু হবে।কিন্তু প্লিজ কখনো ধৈর্য হারা হবানা রুহী। মৃত্যু ছাড়া কখনো আলাদা হবোনা আমরা।মৃত্যুর পর আমাদের আত্মা এক করে রাখবে আমাদের।বলে উঠে রোয়েন।
-প্লিজ এসব বলো না।ভয় করছে আমার।জলদি চলে আসো প্লিজ!!!বলে উঠে রুহী।
-হুম আসবো আমি।বলে উঠে রোয়েন।
-রুহী পেটে হাত ছোঁয়ায়।এটাই একটা অনুভূতি যা পরক্ষনেই রোয়েনকে ওর কাছে টেনে আনে।আই লাভ ইউ টু রোয়েন।বলে উঠে রুহী।
-রেহান রুপন্তী কই?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-ওরা নিচে।বলে উঠে রুহী।
-রুহী জানো হাজবেন্ড ওয়াইফ ছাড়াও আমার তোমার অারেকটা সম্পর্ক আছে।
জানি তো।ভালোবাসার সম্পর্ক।বলে উঠে রুহী।
-ঐটা ছাড়া আরেকটা সম্পর্ক।বলে উঠে রোয়েন।
-কি?ভ্রু কুঁচকায় রুহী।
-আমরা কাজিন।বলে উঠে রোয়েন।
-হোয়াট কেমনে?অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে রুহী।
আমি আর রেহান যেমন তোমার বাবা আমার বাবা ও তেমন।
-ওহ আচ্ছা জামাই ভাইয়া বুঝেছি।দুষ্টু হেসে বলে রুহী।
-হোয়াট!! জামাই ভাইয়া!!!রেগে যায় রোয়েন।
-রুহী হেসে দেয়।
চলবে