Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 67

সাজিদ রায়হানের সামনে বসে আছে রোয়েন।ঠোঁটে হালকা হাসি লেগে আছে রোয়েনের।
ইয়াং ম্যান আজই দেখা করতে চলে এসেছো।ভীষন ভালো লাগছে আমার।বিলিভ করবেনা তুমি চলে যাওয়ার পর যে কতোটা অস্থিরতার মধ্যে ছিলাম বলে বুঝাতে পারবোনা।বলে উঠেন সাজিদ রায়হান।
রোয়েন ঠোঁটে বাঁকা হাসি এনে বলল সব সময় কন্টাক্ট থাকবে এখন থেকে।
থ্যাংকস ইয়াং ম্যান।আমার মনটা ভীষন খারাপ।বলে উঠে সাজিদ রায়হান।
কেন?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
আমি অনেক কিছু হারিয়েছি।কিছু পাওয়ার লোভে সব হারিয়ে ফেলেছি।আমার নিজের পরিবার ছিলো।পরিবারকে হারিয়েছি।আমার ছেলেদের হারিয়েছি।সেদিন স্ত্রীকে দেখে আমার দোষটা বুঝতে পারি আমি।কতোটা ভুল ছিলাম সেটা বুঝতে পারলাম।
মাকে যদি ওনি দেখে তাহলে রিভেঞ্জ নেয়া সহজ হবেনা।মাকে যথা সম্ভব ওনার থেকে দূরে রাখতে হবে।ভাবতে থাকে রোয়েন।তা আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলুন।বলে উঠে রোয়েন।
সাজিদ রায়হান রোয়েনের জানা কাহিনীটাই বলতে শুরু করে।একসময় ওনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাই রায়না রহমানকে অত্যাচার শুরু করেন।সাজিদ রায়হানের কথায় রোয়েনের মনে হতে থাকে ওনি নিজের অপরাধের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন।নিকের পরিবারকে ফিরে পেতে চান ওনি।
এই ছিলো আমার পরিবারের কাহিনী।আচ্ছা তোমার বিয়ের কথা শুনে তোমার আর তোমার ওয়াইফের জন্য কিছু রেখেছি আমি।বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন সাজিদ রায়হান।তারপর রুমে চলে গেলেন।কিছুক্ষন পর বের হলেন দুটি ব্যাগ নিয়ে।রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালেন ওনি।এগুলো তোমাদের জন্য।বাসায় নিয়ে দেখবে।বলে উঠেন সাজিদ রায়হান।রোয়েন মুচকি হেসে ব্যাগ দুটি হাতে নেয়।সাজিদ রায়হানের সাথে আরো কিছুক্ষন গল্প করে বেরিয়ে পড়ে রোয়েন।
,
,
,
,
,
,
শপিং সেড়ে ঘরে ফিরছিলো রেহান।আজ বুড়িটার জন্য
স্পেশাল কিছু নিয়েছে।এ্যাংগেজমেন্টের পর সারপ্রাইজ দিবে ওর পুচকি বুড়িটাকে।ভাবতে ভাবতে গাড়ির কাছে আসতেই দুজন লোক দৌড়ে এসে রেহানের হাত থেকে ব্যাগটা টানতে থাকে।রেহান খুব শক্ত করে ব্যাগটা ধরে রেখেছে।আরে কি হলো আমার ব্যাগ টানছেন?চিৎকার করে উঠে রেহান।লোকগুলো ব্যাগ না নিতে পেরে রেহানের হাতে ছুড়ি দিয়ে টান দেয়।রেহান ছাড়বার পাত্র নয়।একজন ছিনতাই কারী যখনই রেহানের গলায় ছুড়ি চালাতে যাবে ঠিক তখনই একজন ছুড়িটা ধরে ফেলে।রেহান পাশে তাকিয়ে একজন বয়স্ক লোককে দেখতে পায়।লোকটি দেখতে বেশ সুদর্শন। বয়স যতোই হোক চেহারা দেখে তার বয়স নির্নয় করা কঠিন।সাজিদ রায়হান আর রেহান মিলে ছিনতাইকারী দুটোকে ভীষন মারলো।ওহ ইটস ব্লিডিং।চলো হসপিটাল নিয়ে যাই।নয়তো ইনফেকশন হয়ে যাবে।বলে উঠে সাজিদ রায়হান।Thanks I can manage.বলে উঠে রেহান।আমার সাথে চলো।অনেক ব্লিডিং হচ্ছে।দ্রুত হসপিটাল পৌছাতে হবে।বলতে থাকেন সাজিদ রায়হান।রেহান আর কথা না বাড়িয়ে সাজিদ রায়হানের সাথে বেরিয়ে পড়লো।রেহানের হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হলো।রেহানের বেশ ভালোই লাগলো অপরিচিত বয়স্ক লোকটাকে।রুপন্তীকে কল দেয়ার কিছুক্ষনের মাঝেই রুপন্তী চলে আসে হাসপাতালে।রেহানের হাত দেখে কেঁদে দেয় রুপন্তী।ইস খুব ব্যাথা করছে?বলতে থাকে রুপন্তী।রেহান রুপন্তীর চোখ মুছে দিয়ে বলল আ’ম ফাইন রুপন্তী।আজ ওনি না থাকলে আরো বেশি কিছু হতে পারতো।পিছনে ইশারা করে বলল রেহান।রুপন্তী পিছে তাকিয়ে সাজিদ রায়হানকে দেখতে পায়।রোয়েন সাজিদ রায়হানকে দেখিয়ে বলল ওনি বাঁচিয়েছেন আমাকে।আঙ্কেল ও আমার হবু স্ত্রী রুপন্তী।বলে উঠে রেহান।সাজিদ রায়হান ওদের কাছে এসে দাঁড়ালেন।খুব সুন্দর মেয়েটা।তোমাদের ভীষন মানাবে।গড ব্লেস ইউ।বলে উঠেন সাজিদ রায়হান।
,
,
,
,
,
আঙ্কেল দোয়া দিলেই চলবেনা।কাল আমাদের এ্যাংগেজমেন্টে আসবেন।বলে উঠে রেহান।কখন তোমাদের এ্যাংগেজমেন্ট? জিজ্ঞেস করে উঠেন সাজিদ রায়হান।কাল বিকেল।বলে উঠে রেহান।না বাবা আমার বিকেলে কাজ আছে।বলে উঠেন সাজিদ রায়হান।বিকেলে না আসেন বাট রাতে একটা পার্টি আছে সেখানে আসতেই হবে আপনাকে।কিছুটা জোর দিয়ে বলল রেহান।ওকে আসবো।বলে উঠে সাজিদ রায়হান।রেহান ওনাকে বাসার ঠিকানা দিয়ে রুপন্তীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো রেহান।রোয়েন ঘরে ঢুকতেই রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে ওর গালে জোরে শব্দ করে চুমু খেলো।রুহী কি করছো?সার্ভেন্টরা আছে।দাঁতে দয়ঁত চে্ঁপে বলল রোয়েন।রুহী রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরলো।কি হলো অমন মন মরা লাগছে কেন তোমাকে?বলে উঠে রুহী।রোয়েন রুহীর কপালে চুমু খেলো।রুমে আসো বলছি।বলে উঠে রোয়েন।রুহী রোয়েনের হাত ধরে রুমে চলে এলো।রোয়েন ফ্রেশ হয়ে এসে খাটের ওপর বসলো।খাটের ওপর থাকা ব্যাগ দুটোকে দেখছে রোয়েন।রুহী রোয়েনের কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।রুহী জানো এগুলো কে দিয়েছে?ব্যাগ গুলোর দিকে তাকিয়ে বলল রোয়েন।কে?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
আমার বাবা।রোয়েনের কথায় মাথা তুলে রুহী।রোয়েন কে নিজের দিকে ফিরিয়ে রুহী বলল কি বলছো?তোমার বাবা!!!কই পেলে ওনাকে?জিজ্ঞেস করতে থাকে রুহী।রোয়েন সাজিদ রায়হানের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার থেকে আজকের পুরো কাহিনী বলে।রোয়েন দেখো মানলাম ওনি খারাপ।।ওনি মামীর সাথে আর তোমাদের সাথে যা করেছেন খুব খারাপ করেছেন।কিন্তু একটা কথা কি জানো সে নিজের দোষ বুঝতে পেরেছে।ওনি প্রায়শচিত্ত করছেন।রুহীর কথার মাঝেই রোয়েন রাগান্বিত চোখে তাকায়।রুহী জানোনা তুমি কি বলছো এসব?ওনি মানুষনা।ওনাকে শাস্তি পেতেই হবে।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে বলল সবাইকে একটা সুযোগ দেয়া উচিৎ।ভুল তো মানুষেরই হয়।ওনি ও মানুষ।ওনাকে মাফ করে দাও রোয়েন।
,
,
,
,
,
রুহীকে সরিয়ে সেখান থেকে চলে আসে রোয়েন।বারান্দায় এসে দাঁড়ায় রোয়েন।আকাশের তারা গুলো দেখছে ও।রুহীর কথা গুলো ভাবতে থাকে রোয়েন।রুহী কি ঠিক বলছিলো?ওনাকে কি মাফ করা যায়?
পিছন থেকে রুহী রোয়েনকে অনেক বার ডেকে যায় কিন্তু রোয়েন নিজের চিন্তায় মগ্ন।রাতের খাবার খেয়ে চুপচাপ উঠে যায় রোয়েন।রুহীর সাথে কথা বলছেনা ও।রুহী ভাবতে থাকে এসব বলে ভুল করেনি তো ও?খাটে শুয়ে থাকে রুহী।রোয়েন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।প্রায় শেষ রাতের দিকে রোয়েন রুমে এসে খেয়াল করলো রুহী একপাশ ফিরে শুয়ে চোখ মুছে নিচ্ছে।রোয়েন এসে ওর পাশে শুয়ে রুহীকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো।রুহীর চোখে পানি।আ’ম সরি রোয়েন।আর বলবোনা এসব।কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।রোয়েন রুহীর চুলে হাত বুলিয়ে বলল সরি বলতে হবে না।তাকে মাফ করে দিয়েছি আমি।বলেই হালকা হাসে রোয়েন।রুহীর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠে।রোয়েন আরেকটু কাছে এগিয়ে এসে রুহীর পেটের কাছে এসে থামে।পেটের ওপর থেকে শাড়ীটা একটু উঠিয়ে সেখানে উষ্ণ চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে।রুহী কিছুটা কেঁপে উঠে।রোয়েন মুখ উঠে বলতে থাকে আমার বাচ্চাটা এখানে থাকবে তাইনা রুহী?রুহী চোখ বুজে বলে উঠে উমমমম।
আমার বৌটার কি আদর লাগবে?বলে উঠে রোয়েন।রুহীর ভিতর শিহরন বয়ে যায়।কাঁপা গলায় বলে উঠে হুমম।রোয়েন এবার উপরে উঠে এসে রুহীর ঠোঁট জোড়াকে নিয়ে ঠোঁটজোড়ার ভাজে নিয়ে শুষে নিতে শুরু করে।পরদিন সকালে নাস্তা সেড়ে সব গিফটস নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রোয়েন আর রুহী আজিজ রায়হানের বাসার উদ্দেশ্যে। মেয়েকে দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন আজিজ রায়হান।মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন।রুহী কাঁদছে বাবা কে জড়িয়ে ধরে।রোয়েন সাইফ রহমান রায়না রহমান আর রেহানের সাথে কথা বলে নিচ্ছে।আজিজ রায়হান থেকে সরে এসে রুপন্তীকে জড়িয়ে ধরে রুহী।কিছুক্ষন পর আনিলা বেগম রুহীর সামনে এসে দাঁড়ায়।কেমন আছিস মা?বলে উঠেন আনিলা বেগম।রুহী চোখের কোনা দিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন ইশারা দিয়ে ওকে নরমাল থাকতে বলল।রুহী আনিলা বেগন কে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলল ভালো আছি।রুহী এবার রায়না রহমান আর সাইফ রহমানের পা ধরে সালাম করলো।বাড়িটা আবার পরিপূর্ন হয়ে উঠেছে।দুপুরের খাওয়া সেড়ে সবাই রেডি হতে চলে গেলো।রুপন্তীকে রেডি করাচ্ছে রুহী।আপি জানিস আজ অনেক খুশি আমি।
,
,
,
,
,
রুপন্তী হাসতে হাসতে বলে উঠে।আমি ও অনেক খুশি।রুপন্তীর মাথায় চুমো খেয়ে বলল রুহী।রুপন্তী আজ গাঢ়ো নীল রংয়ের লেহেঙ্গা পড়েছে।লম্বা চুল গুলো হালকা সেট করে পিছনে ছড়িয়ে দিয়েছে।হালকা সাজ আর কিছু অর্নামেন্টস রুপন্তীকে আরো সুন্দরী করে তুলেছে।রুপন্তী আয়নার সামনে লেহেঙ্গাটাকে নেড়ে চেড়ে দেখছে।রুহী বোনকে দেখে হাসছে।কিন্তু ভাবছিলো বোনটাকে ও কম কষ্ট দেয়নি আনিলা বেগম।ভাবতেই চোখ ভরে আসতে চায় রুহীর।রুপন্তী আয়নায় রুহীকে দেখতে পায়।আপি কাঁদছিস তুই?জিজ্ঞেস করে উঠে রুপন্তী। রুহী চোখ মুছে নিলো।আমি ঠিক আছি।তোকে ভীষন অপরুপ লাগছে।থ্যাংকস আপি।আই লাভ ইউ আপি।বলে রুহীকে জড়িয়ে ধরে রুপন্তী।আই লাভ ইউ টু রুপন্তী।বলে উঠে রুহী।আপি তুই ও রেডি হয়ে নেয়।বলতে থাকে রুপন্তী।রুহী রুপন্তীর দেয়া চকোলেট কালারের লেহেঙ্গাটা পরে নিলো।খুব হালকা সাজে নিজেকে সাজিয়ে নিলো রুহী।নতুন বিয়ে হওয়ায় একটু ভারী গহনা পরেছে রুহী।চুল গুলো স্ট্রেইট করে পিঠের ওপর ছড়িয়ে দিলো।দুহাতে দুটি বালা আর চিকন কিছু চুড়ি পরে নিলো রুহী।রুপন্তী বলে উঠলো জিজু চোখ ফিরাতে পারবেনা আজ।রুহী লজ্জা মাখা হাসি দিলো।কিছুক্ষন পর রুপন্তীকে নিয়ে নিচে নেমে আসে রুহী। সব গেস্টরা চলে এসেছে।রুহী সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।রোয়েন একজন লোকের সাথে কথা বলতে বলতে রুহীর দিকে তাকায়।ভাবনার চেয়ে ও অতুলনীয় লাগছে বৌটাকে।রোয়েন আর সহ্য করতে পারছেনা দুরত্বটাকে।এক্সকিউজমি বলে বেরিয়ে যায় রোয়েন।রুহী হাঁটতে থেকে। হঠাৎ ওর হাত টেনে কেউ একটা খালি রুমে ওকে নিয়ে এলো।রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিলো কেউ একজন।রোয়েন তুমি?ছাড়ো। গেস্টরা আছে কি ভাববে? বলে উঠে রুহী।কিছু ভাবুক আর না ভাবুক আই ডোন্ট কেয়ার।বলে উঠে রোয়েন।রুহী কিছু বলতে যাবে তখনই রোয়েন ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়।রোয়েনের একটি হাত রুহীর পেট স্পর্শ করতে থাকে।
|
|
|
|
চলবে