Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 66

ভালোবাসাময় একটা দীর্ঘ রাত কাঁটিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসে রুহী।বিয়ের পর থেকে রোয়েনকে খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করেছে রুহী।খুব খুঁটিখু্টিয়ে দেখেছে লোকটা কে।প্রেমের একটা বছর লোকটাকে যতোটা জানতে পারেনি বিয়ের পর রোয়েনকে খুব কাছ থেকে দেখতে জানতে পারছে রুহী।লোকটা কে যতো বেশি জানতে পারছে ততোটাই রুহীর চোখে ঘোর লাগা কাজ করছে।নিজেকে খুব বেশী ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে রুহীর।একটা মানুষ কি করে এতো ভালোবাসতে পারে তাও এমন একজন মাফিয়া।যার হাত জলজ্যান্ত মানুষকে লাশে পরিনত করতে কাঁপেনা।বিয়ের পর থেকে প্রত্যেকটা দিন রঙ্গীন স্বপ্নের মতো মনে হয় রুহীর।সেই স্বপ্ন গুলো ভালোবাসায় পরিপূর্ন। স্বপ্ন গুলো প্রতিনিয়তই রুহীকে ঘিরে রেখেছে।রুহীকে নিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসার নতুন জগতে।যেমন ছোটবেলায় কল্পনা করতো রুপকথার রাজ্য রাজকন্যা আর রাজকুমার।ওদের এই ছোট্ট সংসারটা হলো সেই রুপকথার রাজ্য রুহী নিজে হলো রাজকন্যা আর রোয়েন হলো সেই রাজকুমার।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই পাশে চোখ পড়ে রুহীর।রোয়েন ফোনে কথা বলতে বলতে রুমে এলো।হাতে খাবারের ট্রে।কাঁধ দিয়ে কানে ফোন চেপে রেখেছে।জি আমি ব্যাপারটা পরে জানাচ্ছি আপনাকে।আল্লাহ হাফেজ।কথাটা বলে টিটেবিলের ওপর ফোন ট্রে রেখে খাটের ওপর ফোন রাখলো রোয়েন।
Good morning.ঘুৃম হলো?রুহীর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
হুম হলো।রুহী আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বলল।
যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।নাস্তা করবে।বলে উঠে রোয়েন।
হুম রুহী খাট থেকে নেমে দাঁড়াতে যাবে তখনই রোয়েন ওলে আটকিয়ে রুহীর মাথায় চুমু দেয়।
রোয়েন সরতেই রুহী মাথা উঠিয়ে ঠোঁট জোড়াকে কিসের মতো করে।
এহহ মুখ ধোয়নি।কিস করতে চায়।যাও ফ্রেশ হয়ে এসো,পরে যতো ইচ্ছে কিস নিবে।বলে উঠে রোয়েন।রুহী ফ্রেশ হতে চলে যায়।
,
,
,
,
,
সেদিন রায়না রহমানকে দেখে কোনমতেই শান্ত করতে পারছেননা নিজেকে সাজিদ রায়হান।মাথাটা বড্ড ঝিমঝিম করে।সব কিছু আউলিয়ে যায় ওনার ভিতরের।রোজি কে ও অসহ্য লাগে কেমন জানি।কোন কিছুতেই মজা পাননা।সব কিছু স্বাদহীন হয়ে গেছে।কথা গুলো ভেবে উঠে আলামারির কাছে চলে এলেন সাজিদ রায়হান।আচমকা রোজি ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো।মেয়েটার চোখ মুখ ফুলে আছে।সাজিদ রায়হান কিছু বলতে যাবে তার আগেই রোজি নিজের পরনের জামা খুলতে থাকে।
রোজি কি করছো এসব?এখন একদম সময় নেই আমার।বের হতে হবে।রাগী গলায় বলতে থাকে সাজিদ রায়হান।এখন আমার জন্য একদমই সময় হয়না তোমার সাজিদ।আই লাভ ইউ সাজিদ।কেন ইগ্নোর করছো আমাকে?হোয়াই?সাজিদ রায়হানের হাত চেপে ধরে বলতে থাকে রোজি।
রোজি এখন এসব কথার সময় নেই।যেতে দাও।নিজের হাত ছাড়িয়ে পাশ কেঁটে চলে যেতে চাইলো সাজিদ রায়হান।
রোজি তখনই সাজিদ রায়হানকে ধরে তার ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে ধরে।সাজিদ রায়হান বেশ বিরক্ত হলো।রোজি কে ছাড়াতে চেয়ে ও পারছেনা। সমস্ত শক্তি দিয়ে রোজিকে ছাড়িয়ে ওর গালে সজোরে চড় বসিয়ে দিলো।বলেছিনা টাইম নেই আমার।বাসায় এসে নিই পরে কথা হবে।কথা গুলো চিৎকার করে বলে রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে যায় সাজিদ রায়হান।রোজি সেখানে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে।সাজিদ রায়হান রায়না বেগমের খোঁজ করছেন।রায়না কে দরকার তার।তার ছেলেদের দরকার তার।এ্যাসাইলামে চলে যায় সাজিদ রায়হান।সেই পুরোনো কোন কর্মচারীকে পায়না ওনি।পুরোনো তদারককারী ও নাকি আগের বছর মারা গেছে।সাজিদ রায়হান ২৮ বছর আগের ফাইল খুলতে বলে দায়িত্বরত মহিলা কর্মচারীকে।কিন্তু তারা জানালো সময়ের প্রয়োজন।সাজিদ রায়হান জানালেন ফাইলটা পেলে যেন তারা ওনাকে জানায়।সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ওনি।এই মাসেই রোয়েন আর তার ওয়াইফ ফিরবে।বন্ধুর জন্য কিছু গিফট তো কিনাই যায়।বন্ধুর নতুন বৌকে ও কিছু দিতে হবে।
,
,
,
,
,
এই ভেবেই সাজিদ রায়হান শপিংমলে চলে আসে।রুহী ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে।রোয়েন রুহীকে খাটে বসিয়ে নাস্তা খাইয়ে দিতে শুরু করে।রুহী মুগ্ধ চোখে রোয়েন কে দেখছে।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে রোয়েন বলতে লাগলো কি হলো কি দেখছো?
আমার রাগী বরটাকে।বলে উঠে রুহী।
কেন আগে দেখোনি?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
আগে তো দেখেছি আজ আবার নতুন করে দেখছি।তোমাকে প্রতিদিন নতুন মনে হয়।বলে উঠে রুহী।
রোয়েন শব্দ করে একটু হেসে রুহীকে পানি খাইয়ে ওর মুখ মুছে দিলো।রুহী এবার রোয়েনের গলা জড়িয়ে ওর গালে জোরে ঠোঁট চেপে ধরলো।একসাথে অনেক গুলো শব্দ করে চুমো দিতে থাকলো।রোয়েন শক্ত করে রুহীর মুখ সামনে আনে রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়।রুহীর গাল ধরে ওর ঠোঁটে ঠিক সেই রকম শব্দ করে একসাথে অনেক গুলো চুমু খেলো।আমাকেই নকল করা হলো?বলে উঠে রুহী।আমি জাস্ট দেখলাম এভাবে চুমু খেয়ে কি মজা পেলে তুমি।রুহীর ঠোঁটে গভীর চুৃুমু দিয়ে সরে এলো রোয়েন।
রুহী উঠে রেডি হয়ে নাও।বাংলাদেশে যাবো।কিছু শপিং তো করতে হবে।বলে উঠে রোয়েন।হ্যা আর কিছু বাজার ও লাগবে।আরো সাত দিন তো আছি।খাবার টাবার শেষ হয়ে এসেছে।বলে উঠে রুহী।
হুম তাহলে চলো বেরিয়ে আসি।বলে উঠে রোয়েন।রুহী উঠে ঝটপট রেডি হয়ে নিলো।তারপর দুজন বেরিয়ে পড়লো শপিং এর উদ্দেশ্যে।বাসার সবার জন্য টুকিটাকি অনেক কিছু কিনলো ওরা।রুপন্তীর জন্য কিছু অর্নামেন্টস আর রেহানের জন্য একটা ঘড়ি কিনলো।রুহীকে জোর করে কিছু কসমেটিকস পার্স কিনে দিলো রোয়েন।ঘরে ফিরার সময় সাতদিনের জন্য খাবার কিনে নিলো। সাতদিন কেঁটে গেলো চোখের পলকেই।রোয়েন রুহী প্যাকিং সেড়ে নিলো।বাংলাদেশে কিছুক্ষন কথা বলে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।তিনদিনের দীর্ঘ জার্নি শেষে বাংলাদেশে পৌছে গেলো রোয়েন আর রুহী।এয়ারপোর্টে রোয়েনের বাংলাদেশের লোকেরা অনেক আগের থেকেই উপস্থিত ছিলো।রোয়েন আর রুহী সেখান থেকেই লোকগুলোর সাথে ঘরে ফিরে আসে।দুজনে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে খাবার সেড়ে নিয়ে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো দুজন।
,
,
,
,
,
রুহীকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়ে রোয়েন।
সন্ধ্যায় আজিজ রায়হানের কল আসে রোয়েনের ফোনে।
হ্যালো স্যার ভালো আছেন?বলে উঠেন আজিজ রায়হান।
জি ভালো।মিঃ আজিজ রায়হান আগে আমাদের মাঝে যাই ছিলো বাট এখন আমাদের সম্পর্কটা আর আগের মতো নেই।এখন আমাকে স্যার বলে না ডেকে নাম ধরেই ডাকতে পারেন ভালো লাগবে।
ককি ব বলছেন স্যার? কি করে সম্ভব কাঁপা গলায় বলে আজিজ রায়হান।
অতসতো বুঝিনা। আমি যেভাবে বলেছি সেভাবেই ডাকবেন আমায়।
আচ্ছা বুঝেছি।তোমরা কেমন আছো?কখন এসে পৌছালে?জিজ্ঞেস করে উঠেন আজিজ রায়হান।
জি ভালো।দুপুরেই পৌছালাম।বাসার সবাই কেমন আছে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
ভালো আছে সবাই।তা কখন আসছো তোমরা?জিজ্ঞেস করলো আজিজ রায়হান।
কাল সকালে চলে আসবো।বলতেই রুহী বলে উঠে আমি যাবোনা।
রোয়েন কান থেকে ফোন সরিয়ে পিছনে অবাক চোখে তাকায়।রুহী কি বলো এসব?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।ঠিকই বলছি যাবোনা আমি।ঐ মহিলাকে দেখতে হবে আমার সেখানে।রোয়েন কানে ফোন রাখে।বাবা আপনাকে পরে কল দিচ্ছি আমি।বলে ফোন কেঁটে দিলো রোয়েন।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায় রোয়েন।রুহী কি বলছো এসব?ওনার কারনে তোমার বোনের আকদে যাবেনা?রুপন্তী তো তোমার বোন।ওর কারনেই তো আমরা ফিরে এসেছি।আর এখন এসব কি বলছো?
ওনাকে দেখলে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারবোনা রোয়েন।রুহী যা হয়েছে নিকের মাঝে রেখে দাও।এমন ভাব করো যেন কিছুই হয়নি অথবা কিছু জানোনা তুমি।ওনি যদি বুঝে তুমি সব জানো ওনি তোমাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।বলে উঠে রোয়েন।রুহী মলিন মুখে রোয়েনের দিকে তাকায়।এতো সহজ না রোয়েন।বলে উঠে রুহী।
জানি কিন্তু করতে হবে রুহী।ওনি তোমাদের দুই বোনের সাথে অনেক খারাপ করেছে।তোমাকে সেটার প্রতিশোধ নিতে হবে রুহী।বলে উঠে রোয়েন।
আমি যাবো,কালই যাবো।সব ঠিক করতে হবে।বলে উঠে রুহী।রোয়েন রুহীকে বুকে জড়িয়ে ওর কপালে চুমো দেয়।
|
|
|
|
চলবে