Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 65
রেহান রুপন্তীর আকদ এর এ্যারেঞ্জমেন্ট খুব ভালো ভাবেই চলছে।গেস্টদের বলার পাশাপাশি বাসা নতুন করে রং করা হচ্ছে।পুরো পরিবেশটাই কেমন যেন জমজমাট হয়ে উঠেছে।রেহান আর রুপন্তীকে নিয়ে বের হচ্ছেন রায়না রহমান রুহী আর রোয়েনের জন্য কিছু গিফট কিনতে।আর রেহান রুপন্তীর আকদের জন্য ড্রেস কিনবে কিছু।রুপন্তী আর রেহানকে নিয়ে বিকেল চারটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লেন রায়না রাহমান।ঢাকার স্বনামধন্য একটি মার্কেটে এসে পৌছালো তারা।
অপরদিকে সাজিদ রায়হান নামকরা বিজনেস ম্যান হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন পার্টিতে এটেন্ড করতে হয় তাকে।তাই তার বিদেশী গার্লফ্রেন্ডকে কিছু পোষাক কিনে দিতে চলে এলেন সেই একই শপিংমলে যেখানে রেহান রুপন্তী আর রায়না রহমান এসেছেন।ফার্স্ট ফ্লোর থেকে সেকেন্ড ফ্লোরে যেতে ক্যাপসুল লিফটে উঠে কড়লেন সাজিদ রায়হান আর তার গার্লফ্রেন্ড রোজি। লিফ্টের মধ্যেই রোজির বিভিন্ন অঙ্গে হাত বুলিয়ে মজা নিচ্ছিলেন সাজিদ রায়হান।রোজি ও খিলখিলিয়ে হেসে তার বুড়ো বয়ফ্রেন্ডের আনন্দ কে দ্বিগুন বাড়িয়ে দিচ্ছেন।হঠাৎ লিফ্টের গ্লাস ভেদ করে নিচে চোখ পড়লো সাজিদ রায়হানের।
বেশ ভালোই যাচ্ছে রোয়েন আর রুহীর দিন গুলি।দুষ্টুমি আর ভালোবাসায় পরিপূর্ন সময় গুলো বেশ ভালো ভাবেই কেঁটে যাচ্ছিলো ওদের।রুহীর ভার্সিটওর সামনে গাড়ি নিয়ে বসে আছে রোয়েন।কিছুক্ষন অপেক্ষার পর রুহী গাড়িতে এসে বসে পড়লো।কখন এসেছো?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
এইতো একটু আগেই এলাম। আজ সারাদিন কেমন গেলো তোমার?রুহীর মুখের সামনে আসা চুল গুলো পিছনে নিয়ে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।ভালোই ছিলো।পরশু এক্সাম আছে,আর আজ বলছে তারা।অনেক বড় সিলেবাস কি করে শেষ করবো?চিন্তিত গলায় বলতে থাকলো রুহী।রোয়েন মুখ বাড়িয়ে রুহীর চুল ভেদ করে ওর কাঁধে ঠোঁট ছুঁয়ালো।হয়ে যাবে ডোন্ট ওয়ারি।বলে উঠলো রোয়েন।কাঁধে সুড়সুড়ি লাগায় রুহী মাথা সরিয়ে নিলো।রোয়েন সরে এলো রুহীর কাছ থেকে।ঘরে ফিরা যাক।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী মাথা নাড়ে।
,
,
,
,
,
ঘরে ফিরে জামা পাল্টে নিলো রুহী।ফ্রিজ থেকে তরকারি ভাত বের করছে গরম করার উদ্দেশ্যে।পাকঘরে এসে ওভেনে এক এক করে বাটির তরকারি গুলো গরম করতে থাকলো রুহী।হঠাৎ কাঁধে কারোর গরম নিশ্বাস পেতে শুরু করলো রুহী।রুহীর নিশ্বাস ভারি হচ্ছে।রুহীর পেটে দুটি হাত বিচরন করছে।খাবার গুলো গরম করতে হবে তো।বলে উঠলো রুহী।
গরম হচ্ছে হতে দাও।আমার কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছো কেন?ভারি গলায় জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।রুহী আর কিছু বলতে পারলোনা।রোয়েন রুহীকে সামনে ফিরালো।সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নেয় রুহী।রোয়েন ওর কোমড় চেঁপে ধরলো।রুহীর দুহাত রোয়েনের দুকাঁধে ওপর রাখা।রুহীর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো রোয়েন।আলতো চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে রুহীর গলা ও ঘাড়।হঠাৎ ওভেনে শব্দ হওয়ায় রোয়েন সরে আসে রুহী থেকে।রুহী জামা ঠিক করে সব কিছু গরম করে নিলো।লাঞ্চ শেষ করে রুহী বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো।বারান্দায় ফোনে কথা বলছে রোয়েন।ফোনে কথা বলা শেষ করে রুমে এসে রুহীর দিকে চোখ যায় রোয়েনের।রুহী ঘুমোচ্ছে।পেটের ওপর থেকে শার্টটা একটু উঠে গেছে।সাদা মসৃন পেটটা ঘুমের কারনে উঠানামা করছে।পায়ের ওপর থেকে প্লাজোটা বেশ উপরে উঠে গেছে।কোন কিছুই ঠিক নেই রুহীর।রোয়েন মুচকি হেসে রুহীর পাশে শুয়ে পড়লো।রুহীর কপালে ঠোঁটে আলতো করে চুমো দিয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
লিফট থেকে রায়না রহমান কে দেখতে পেয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছেননা সাজিদ রায়হান।লিফটের একেবারে কোনায় চলে এলেন যেন লিফট ভেঙ্গে সেখানে চলে যাবেন।
সাজিদ ডার্লিং কি হয়েছে?ভাঙ্গা বাংলায় জিজ্ঞেস করলো রোজি।
নাথিং, পাশের লোকটাকে সাজিদ রায়হান ফোর্স করতে লাগলেন লিফট খুলার জন্য।লিফট তিন তলায় থামতেই সাজিদ রায়হান তড়িঘড়ি করে সিড়ি বেয়ে একতলায় নেমে গেলেন।কিন্তু রায়না রহমানকে খুঁজে পেলেননা।
,
,
,
,
,
,
রায়না মারা গেছিলো তাহলে এখানে কি করে এলো ও?সেদিন তো এ্যাসাইলামে!!!!!!অতীতে চলে যায় সাজিদ রায়হান।রায়না রহমানকে এ্যাসাইলামে দেয়ার একবছর পর জানতে পারে তার পুত্র সন্তান হয়েছে।সেখানে চলে যায় সাজিদ রায়হান।এ্যাসাইলামের সেই তদারককারী মহিলাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন যে রায়না রহমান মারা গেছেন।তার পরিবারের কেউ একজন এসে লাশ নিয়ে গেছে।বাচ্চার খবর পেলেন না ওনি।হঠাৎ কাঁধে কারোর ছোঁয়া পেয়ে চমকে উঠেন সাজিদ।রায়না তুমি বলে পিছনে তাকাতেই দেখলেন রোজি।কেঁদে কেঁটেএকাকার করে ফেলেছে মেয়েটা।সাজিদ ইউ আর ব্যাড।কি করে একা ছেড়ে এলে আমায়?কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রোজী।আর রায়না কে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোজী।
সাজিদ রায়হান রোজি কে জড়িয়ে ধরলো।আ’ম সরি ডার্লিং।ইট উইল নেভার হ্যাপেন।রায়না ইজ নো ওয়ান।প্লিজ ডোন্ট ক্রাই বেবি।রোজির চুল হাতিয়ে দিতে দিতে বললেন সাজিদ রায়হান।তারপর ও চোখ বুলাতে থাকেন সব জায়গায় রায়নার খোঁজে।শপিং শেষ করে হুড়মুড় গাড়িতে ঢুকে বসে রেহান রুপন্তী।রায়না রহমান আস্তে হেঁটে এসে বসলেন।আচ্ছা কালো শেরওয়ানী আর গাউন টা কার জন্য নিয়েছিলি রেহান?জিজ্ঞেস করে উঠেন রায়না রহমান।মা ভুলে গেলা?তোমার বড় ছেলে আর বৌয়ের জন্য।বলে উঠে রেহান।
ওহ, আচ্ছা এই রোয়েনটা এতো বদ আমার সাথে কথাই বলেনি একবার ও।অভিমানী গলায় বলেন রায়না রহমান।মা আবার ভুলে গেলা?পরশুই তো ভাইয়া ভাবির সাথে কথা বললে।বলে উঠে রেহান।
রেহান আজ আবার কল দিস ওদের। দেখবোনে।বলে উঠেন রায়না রহমান।আচ্ছা মা।বলে গাড়িতে স্টার্ট দিলো রেহান।ঘুম ভাঙ্গতেই রোয়েনের বুকে নিজেকে অাবিষ্কার করে রুহী।কোনমতে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠতে যাবে ঠিক তখনই রোয়েন রুহীকে শুইয়ে দিয়ে ওর ওপর নিজের ভর ছেড়ে দিলো।রুহী কিছু বলতে যাবে তখনই রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে ধরে ওর শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করে রোয়েন।রুহীর ঠোঁট থেকে সরে এসে ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো রোয়েন।আবার সেই আদিম খেলায় মগ্ন হয়ে পড়ে এই দম্পতি।
,
,
,
,
,
সন্ধ্যা আটটায় কফি হাতে রোয়েন আর রুহী বসে আছে বারান্দায়।গল্প করার মাঝেই ল্যাপটপে কল আসে রেহানের।রোয়েন আর রুহী রুমে চলে আসে।কল রিসিভ করতেই রায়না রহমানের মমতাময়ী মুখ ভেসে উঠে রোয়েনের সামনে।আসসালামু আলাইকুম ভালো আছেন?বলে উঠে রোয়েন।ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা।তুমি তো আমাকে ভুলেই গেছো। একটু কল দাও না।বলে উঠে রায়না রহমান।পাশ থেকে হঠাৎ রেহান বলল আবার ভুলে গেছো মা?পরশুই কথা হলো না?
আস্সালামু আলাইকুম মামী,ভালো আছেন?বলে উঠে রুহী।কিরে রুহী ভালো আছিস?জিজ্ঞেস করে উঠে রায়না রহমান।জি মামী ভালো আছি।আপনারা কেমন আছেন?জিজ্ঞেস করে রুহী।হুম ভালো আছি।এভাবে অনেক্ষন কথা হয় ওদের।রাতের ডিনার সেড়ে রুহীকে নিয়ে বসে পড়ে রোয়েন।রুহী পড়ছে আর পাশে বসে আছে রোয়েন।রুহী পড়ার মাঝে পাশে তাকিয়ে রোয়েনকে দেখার চেষ্টা করে।রোয়েন চোখেরকোনা দিয়ে রুহীকে দেখে বলল ঘুম পাচ্ছে?মাথা নাড়ে রুহী।নাহ কিছুনা।রোয়েন কিছুনা বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।কিছুক্ষন পর গরম দুধ বানিয়ে আনলো রুহীর জন্য আর পিছনে কি যেন লুকিয়ে রেখেছে।রুহীর সামনে রাখলো গ্লাসটা।খেয়ে নাও,বলে উঠে রোয়েন।দুধ!!!!খাবোনা ছি!!!!নাক শিটকায় রুহী।জানতাম খাবেনা তুৃমি।রোয়েন পিছন থেকে চকলেট সিরাপটা নিয়ে দুধে ঢেলে দিলো একটু।এবার খেয়ে নাও রুহীর দিকে ধরলো গ্লাস রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে গ্লাসে মুখ লাগালো।আবার ও পড়তে শুরু করে রুহী।বেশ কিছুক্ষন পর চেয়ার ছেড়ে রোয়েনের কোলে বসে পড়ে ও।কি কি হলো?পড়া বাদ দিয়ে আমার কোলে কেন বসলে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।আমার এখন আদর পেতে ইচ্ছে হচ্ছে।বলে উঠে রুহী।রুহী তোমার এক্সাম।প্লিজ পড়ো।বলে উঠে রোয়েন।আগে আদর দাও নাহলে পড়বোনা।জেদ করতে থাকে রুহী।রোয়েন রুহীর ঠোঁটে বেশকিছুক্ষন চুমু খেয়ে আবার ও পড়তে বসিয়ে দিলো।রুহী কিছুক্ষন পর পর চুমুর আবদার করে আর রোয়েনকে সেগুলো মিটাতে হচ্ছে। নাহলে যে দুষ্টুটা পড়তেই চায়না।এভাবে প্রত্যেকটা পরীক্ষায় রোয়েন রুহীর খুব বেশি যত্ন নিয়েছে আর ভালোবেসেছে খুব বেশি।পরীক্ষা গুলো ও বেশ ভালো হয়েছে।
|