Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 64

রুহী কেঁদে উঠলো হঠাৎ।রোয়েন কিছু বলতে পারছেনা।পাগলের মতো কাঁদছে রুহী।রোয়েন ধরে রাখতে পারছেনা তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে।দীর্ঘদিন অনেক কষ্ট বুকে জমা রাখার পর যখন আর বুকে জমা থাকতে পারেনা।সব কষ্ট যেন একসাথে চেঁপে ধরে আছে রুহীকে।রোয়েনের বাহুডোরে পাগলের মতো কাঁদছে রুহী।কান্নার মাঝে ও কি যেন বলছিলো রুহী।রোয়েন রুহীকে শক্ত করে ধরে খাটে বসিয়ে দিলো।কাঁদতে কাঁদতে হিচকি উঠে গেছে রুহীর।রোয়েন এক গ্লাস পানি এনে রুহীকে খাইয়ে দিলো।পানিটুকু খেয়ে আবারো কাঁদতে লাগলো রুহী।রোয়েন ছলছল চোখে রুহীকে দেখছে।হয়ত কান্নাই আপন মানুষের দেয়া কষ্টগুলো ভুলার একমাত্র পথ।কান্না করলে যদি মনটা হালকা হয় অন্তত।রুহী রোয়েনের শার্ট খামচে কাঁদছে।বেশ কিছুক্ষন পর কান্না থামলো রুহীর।কিছু সময়ের মাঝেই চোখ জোড়া লাল হয়ে ফুঁলে গেছে।রোয়েন ওয়াশরুম থেকে পানি এনে রুহীর মুখ মুছে দিলো।এখন ও কেঁপে কেঁপে উঠছে রুহী।রুহী অনেক হয়েছে এবার প্লিজ থামো।অসুস্থ হয়ে যাবে।বলে উঠলো রোয়েন।আমি এতিম হয়ে গেলাম আবার।কাঁদো গলায় বলল রুহী।রুহীর মুখ মুছে দিতে দিতে রোয়েন বলল এসব বলো না।তোমার সব আছে।সবাই তোমাকে চায় রুহী।রুপন্তী তোমার বাবা আমার মা তোমার মামা সবাই ভালোবাসে তোমাকে।
এতে কি মায়ের অভাব পূরন হবে?ছলছল চোখে রোয়েনকে জিজ্ঞেস করলো রুহী।
রোয়েন আর কিছু বলতে পারলোনা।রুহীকে বুকে জড়িয়ে নিলো।রুহী চোখবুজে রোয়েনের বাহুডোরে বন্দী হয়ে থাকলো।রুহীর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে থাকলো রোয়েন।কিছুক্ষন বাদে রুহীকে সামনে আনলো রোয়েন।রুহীর চিবুক ধরে ওর কপালে গালে অনবরত চুমু খেতে থাকলো রোয়েন।তারপর রুহীর থেকে একটু সরে এলো রোয়েন।রুহী মলিন চোখে রোয়েনের দিকে তাকায় আছে।রুহীর মুখের ওপর ওর লেপ্টে থাকা চুল গুলো দুহাতে সরিয়ে দিলো রোয়েন।তারপর বেশকিছুক্ষন রুহীর দিকে তাকিয়ে ওর ঠোঁটজোড়ার দিকে তাকায় রোয়েন।
তারপর কোন কিছু চিন্তা না করেই রুহীর ঠোঁটজোড়া নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো।
,
,
,
,
,
রুহী রোয়েনের কালো গেঞ্জীর কলার খামচে ধরে আছে।রুহীর ঠোঁটের মাঝে রোয়েনের ঠোঁটজোড়া যেন নিজের হারিয়ে যাওয়া গন্তব্য খুঁজে বেড়াচ্ছে।রুহীর হাতের কবজি থেকে ধীরে ধীরে রোয়েনের হাত রুহীর কুনুই ছাড়িয়েওর কাঁধ চেপে ধরলো।রুহীর জামা পার করে ওর শীতল পিঠে রোয়েনের হাতের ছোঁয়া লাগতেই কিছুটা কেঁপে উঠে রোয়েনের বুকপর মাঝে ঢুকে যেতে চাইছে রুহী।ততক্ষনে রুহীর ঠোঁটের আশেপাশে চুমু দিয়ে ওর ঘাড়ে ঠোঁট বসালো রোয়েন।রুহীর জামার চেইনে হাত দিয়ে থেমে যায় রোয়েন।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের ভালোবাসা গুলো উপভোগ করছিলো।হঠাৎ রোয়েনের থেমে যাওয়ায় রুহী বন্ধ চোখজোড়া কুঁচকে ফেললো।তারপর রোয়েনের কাঁধে চুমু দিতে শুরু করলো।রোয়েন তার জবাব পেয়ে গেছে।রুহীর জামার চেইন পিঠ থেকে কোমড় পর্যন্ত নামিয়ে দিলো।রুহীর কাঁধে গলায় চুমু খেতে খেতে রোয়েন রুহীর দুকাঁধ থেকে জামার হাতা গুলো নামিয়ে দিলো।রুহীকে শুই দিয়ে রোয়েন নিজের গায়ের গেঞ্জী খুলে ছুড়ে ফেলে দিলো।তারপর রুহীর জামাটা খুলে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রুহীর ওপর নিজের ভর ছেড়ে দিলো।রুহীর গলায় ঘাড়ে অনবরত চুমু দিতে থাকলো রোয়েন।কিছুক্ষন পর রুহীর গলা থেকে সরে এসে ওর খালি পেটে ঠোঁট ছুঁয়াতে থাকে রোয়েন।আজ আর নিজেকে আটকাতে চাইছেনা রোয়েন।রুহী তো বিয়ে করা স্ত্রী।আজ আর কোন বাঁধা নেই ওদের মাঝে।রুহীকে নিয়ে আজ সুখে সাগরে ভেসে যেতে চাইছে রোয়েন।আজ শুধু দুটো শরীর না দুটো আত্মার মিল হতে যাচ্ছে।রুহীকে আপন করে পাওয়ার নেশা রোয়েন কে উন্মাদ করে দিয়েছে আজ।রুহীকে নিজের ভালোবাসার জগতে নিয়ে যাবে রোয়েন।দেখাবে হাজারো রঙ্গীন স্বপ্ন।আজকের দিনটা ওদের মাঝে মধুময় হয়ে উঠবে জাগিয়ে তুলবে নতুন করে বাঁচার আকাঙ্খা।
,
,
,
,
,
সারারাত ভরে রুহীকে আদরে ভরে দিলো রোয়েন।অপরদিকে সাজিদ রায়হানের কোন খবর না পেয়ে তার একনিষ্ঠ বন্ধু আদিল রাহমান পেশায় উঁকিল ছুঁটে চলে এলেন সাজিদ রায়হানের ম্যানশনে।দারোয়ান আর বডিগার্ডদের নিজের পরিচয় দিয়ে চলে এলেন সাজিদ রায়হানের ঘরে।বাড়ির ভিতরেও রয়েছে ওনার বেশকিছু বডিগার্ড।সবাই অবশ্য কমবেশি আদিল রাহমান কে চিনে।সাজিদ রায়হানের কথা জিজ্ঞেস করতেই ওনার রুমের দিকে ইশারা করলো সাজিদ রায়হানের একজন লোক।আদিল রাহমান রুমের সামনে আসতেই ভিতর থেকে কোন একটা মেয়ের হাসি শুনতে পেলেন।তারপর দরজার হাতল চাপতেই হাসির শব্দ থেমে গেলো।দরজা খুলে যেতেই আদিল রাহমান দেখলেন বিদেশী একটা মেয়ে জামা নিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।সাজিদ রায়হান ও বেশ হকচকিয়ে গেলেন বন্ধুকে দেখে।আ’ম সরি ভুল টাইমে প্রবেশ করার জন্য বলে উঠলেন আদিল রাহমান।ইটস ওকে বন্ধু তুমি বাহিরে গিয়ে বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।আদিল রাহমান হালকা হেসে বাহিরে এসে সোফায় বসলেন।কিছুক্ষন পর সাজিদ রায়হান এসে বন্ধুর পাশে বসলেন।কি খবর বন্ধু কোন খোঁজখবর নেই কেন?তুমি নাকি অনেক অস্থিরতার মাঝে তোমার দিন গুলো কাঁটাচ্ছো?জিজ্ঞেস করলেন আদিল রাহমান।হ্যারে বন্ধু খুব অস্থিরতার মাঝেই দিন কাঁটাচ্ছি আমি।বলে উঠলেন সাজিদ রায়হান।হুম অস্থিরতা কাঁটানোর মানুষ ও আছে দেখলাম দুষ্টু হাসি দিয়ে বললেন আদিল রাহমান।আরেহ ও রোজী। সি ইজ জাস্ট মাই ফ্যান্টাসি ইউ নো।
আমার অস্থিরতার কারন তো একটা রোয়েন চৌধুরী।আমার খুব ভালো বন্ধু ছেলেটা।সে নিজের বিজনেস শুরু করেছে বছর খানেক হলো।ওর জন্য আমার খুব টান অনুভূত হয়।ওকে দেখলে মনে হয় যে খুব আপন কেউ।খুব ভালো কথা বলতে পারে।কিন্তু মাসখানেক যাবৎ ওর সিমটা বন্ধ আসছে।বলতে লাগলেন সাজিদ রায়হান।ওয়েট আ সেকেন্ড সাজিদ রোয়েন চৌধুরী বিজনেস ম্যান??আমি যে রোয়েন চৌধুরীকে জানি সে কোব্রা লিডার রোয়েন চৌধুরী।
,
,
,
,
,
তোমার কাছে কি রোয়েন চৌধুরীর ছবি আছে সাজিদ?জিজ্ঞেস করে উঠলেন আদিল রাহমান।কোব্রা লিডারের কথায় হাত পা কাঁপতে শুরু করেছে সাজিদ রায়হানের।গলা শুকিয়ে এলো ওনার।কোনমতে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বললেন এইতো দেখাচ্ছি বলে ফোনের ওয়ালপেপারে রোয়েনের ছবি দেখালেন আদিল রাহমান কে।এই তো সেই কোব্রা লিডার রোয়েন চৌধুরী।
বলে উঠলেন আদিল রাহমান।কি?জিজ্ঞেস করলেন সাজিদ রায়হান।
হ্যারে সাজিদ এটাই রোয়েন চৌধুরী।বলে উঠলেন আদিল রাহমান।আমার ওর সম্বন্ধে তথ্য চাই কই আছে ও আর ওর ফোন নম্বর।বলে উঠলেন সাজিদ রায়হান।বন্ধু তুমি অপেক্ষা করো আমি দেখছি বলেই আদিল রায়হান ফোনে কথা বলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন।ঘুম ভাঙ্গতেই রোয়েনের চোখ পড়লো বুকের মাঝে গুঁটিসুঁটি মেরে শুয়ে থাকা রুহীর দিকে।রোয়েন রুহীর গালে আলতো করে হাত বুলাতেই রুহী রোয়েনের দিকে তাকালো।রুহী ফর্সা কাঁধ চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে।রোয়েনকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রুহি কিছুটা লজ্জা পেয়ে রোয়েনের বুকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করতে থাকলো।রোয়েন তৎখনাৎ রুহীকে পাশে শুইয়ে ওর ওপর আধশোয়া হলো।রুহীকে যেন আজ আরো বেশি মায়াবী লাগছে রোয়েনের কাছে।রুহীকে দেখার স্বাদ যেন কখনো মিটবেনা।যতো দেখে দেখার আগ্রহ ততোটা বেড়ে যায়।রুহীর কপালে চুমু খেয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে রোয়েন।আবারো রুহীকে নিয়ে ভালোবাসার জগতে পাড়ি দিলো রোয়েন।
পরদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই রুহীর গালে আলতো করে কামড় লাগায় রোয়েন।কিছুটা ব্যাথা পেয়ে রুহী রোয়েনের দিকে তাকায়।সকাল সকাল কি করলে এটা?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।আমার বৌটাকে আদর দিলাম।বলে উঠে রোয়েন।এমন ডেঞ্জারাস আদর চাইনা বলে উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় রুহী।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসার পর রোয়েন ফ্রেশ হয়ে নিলো।রুহী নিচে গেছে কফি নিয়ে আসতে ওদের জন্য।ঠিক তখনই রোয়েনের নম্বরে কল এলো সাজিদ রায়হানের নম্বর থেকে।সাজিদ রায়হানের নম্বর পেয়ে কিছুটা অবাক হয় রোয়েন।তারপর ফোন রিসিভ করে কানের সামনে রাখতেই অপর পাশ থেকে সাজিদ রায়হান কথা বলে উঠলেন।
,
,
,
,
,
হ্যালো মিঃ ইয়াং ম্যান কি খবর তোমার?
ইয়াহ আ’ম ফাইন।আপনার কি খবর?বলে উঠলো রোয়েন।।
এই তো ভালো।তা মিঃ ইয়াং ম্যান তুমি কি আমার গেইম খেলছো?জিজ্ঞেস করে উঠলেন সাজিদ রায়হান।
মানে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।মানেটা হলো এই যে তুমি কোব্রা লিডার সেটা আমাকে জানা ওনি।এবং দ্বিতীয়ত আমার রোবটের কপালে সেদিন তোমার চিহ্ন পেয়েছিলাম।এবার বলো কাহিনী কি?বলে উঠলেন সাজিদ রায়হান।
রোয়েন তোমার কফ,,,,,,,,,পাশ থেকে রুহী কফি নিয়ে এসে রোয়েনকে দিতে যাবে তখনই রোয়েন হাত দিয়ে ইশারা করলো রুহীকে কথা না বলতে।
মিঃ সাজিদ রায়হান ইয়েস আমি কোব্রা লিডার রোয়েন চৌধুরী।আমার এ পরিচয় টা আপনাকে অনেক আগেই বলতাম বাট আপনার সাথে আমার যে বন্ধুত্বটা গড়ে উঠেছিলো সেটা নষ্ট করতে চাইনি।কারন আমার মতো লোকদের সাথে কেউ ফ্রেন্ডশিপ করতে চায়না।আর সেকেন্ডলি সেদিন আপনার রোবটের মাথায় সাইন দিয়েছিলাম এটা ভেবে যে ঐ বাড়িটা আমার এক শত্রুর।পরে যখন জানলাম বাড়িটা আপনার তখন আমার সেই মিসআন্ডার্স্ট্যান্ডিং টা দূর হয়।বলে উঠে রোয়েন।
আই বিলিভ ইউ রোয়েন।তা ইয়াং ম্যান তুমি হঠাৎ লন্ডনে কেন?ঘুরতে গেছো?জিজ্ঞেস করে উঠলেন সাজিদ রায়হান।
না আসলে আমার গার্লফ্রেন্ড রাগ করে এখানে চলে এসেছে। তাই ওকে মানাতে এখানে আসলাম।বলে উঠলো রোয়েন।
তা মানাতে পেরেছো?জিজ্ঞেস করলেন সাজিদ।
ইয়েস। আর আমরা এখন হ্যাপিলি মেরিড লাইফটাকে এঞ্জয় করছি।রুহীর হাত টেনে বুকে জড়িয়ে বলল রোয়েন।কথার মাঝেই রুহীর কপালে চুমু একেঁ দিলো।বাহ বিয়ে ও করে ফেললে?কংগ্রাচুলেশনস বলে উঠলেন সাজিদ রায়হান।থ্যাংকস রুহীকে বুকে জড়িয়ে বলল রোয়েন।
তা কবে আসছো রোয়েন?জিজ্ঞেস করলেন সাজিদ রায়হান।নেক্সট মান্থ হলিডে আছে তখন আসবো।বলে উঠে রোয়েন।যখন আসবে জানিও আমাকে।দেখা হবে।বলে ফোন কাঁটলেন সাজিদ রায়হান।কার সাথে কথা বলছিলে?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।গন্ডার!!!বলে উঠে রোয়েন।গন্ডার!!!!কিছুটা অবাক হয় রুহী।রোয়েনের ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি দেখতে পায় রুহী।
|
|
|
|
|
চলবে