আড়ালে ভালোবাসার সংসার !! Part- 11
দিপ্তর বাইক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাইকের সামনে একটা বাচ্চা চলে আসে। দিপ্ত জোরে ব্রেক করায় দিপ্তের উপর পড়ে বিথী। ব্যালেন্স রাখতে দিপ্তকে জড়িয়ে ধরে। ঠিক সেই সময় বিধানের কার সেই জায়গাটা ক্রস করছিলো তাই বিথী ও দিপ্তের ওপর দৃষ্টিপাত হয় বিধানের। কিন্তু এর আগের ঘটনা বিধানের চোখের আড়ালেই থাকে। মুহূর্তেই বিধানের চোখ রক্তিম হয়ে যায়।
বিধানঃ ড্রাইভার গাড়ি থামাও!
ড্রাইভারঃ স্যার এখানে গাড়ি থামালে তো ট্রাফিক সিগনালে পড়বো! ( বলে বিধানের দিকে তাকাতেই ভয় পেয়ে যায় বিধানের চোখ দেখে কারণ বিধানে রাগ সে চিনে )
বিধানঃ যা বলেছি করো! ( হুংকার দিয়ে )
ড্রাইভারঃ সরি স্যার! ( বলে গাড়ি থামায় )
,
,
বিধান গাড়ি থামাতেই বিথী ও দিপ্তর দিকে হাঁটলো অবশ্য ততক্ষণে বিথী দিপ্তকে ছেড়ে দিয়ে ভালো ভাবে বসেছে আর দিপ্ত ও। বিধান বিথীর কাছে এসে কিছু না বলে বিথীকে কোলে নি হাঁটা ধরল। বিথী ও দিপ্ত প্রথমে বুঝতে পারেনি এটা বিধান।
বিথীঃ এই! কি করছেন কি! ( বলেই লোকটার দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল )
দিপ্ত বিথীর আওয়াজে পিছন ফিরতেই অবাক। তবে দিপ্ত এখনো বুঝতে পারেনি এটা বিধান কারণ বিধান দিপ্তের সামনের দিকে হাঁটায় বিধানের পিছনটাই দেখতে পারছিল দিপ্ত।
দিপ্তঃ এই কে আপনি! বিথীকে এভাবে নিয়ে যাচ্ছেন কেন!
বলে যেই লোকটির সামনে গেলো বিধানকে দেখে দিপ্তও অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলো। বলতে গেলে ফ্রিজ হয়ে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। আর বিধান এমন ভাব করে চলে গেলো যেনো সে কিছু শুনেই নি। বিধান গাড়ির দরজা খুলে বিথীকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে ফেলল। সেই আওয়াজেই দিপ্তর ঘোর ভাঙলো।
বিধানঃ ড্রাইভার তুমি রিকশা নিয়ে আসো গাড়ি আমি ড্রাইভ করবো!
ড্রাইভারঃ ও-ওকে স্যার! ( ভয় পেয়ে )
,
,
ড্রাইভার নেমে যেতেই বিধান ড্রাইভিং সিটে বসলো। এক হাত গাড়ির হ্যান্ডেলে রাখলো আর অন্য হাত দিয়ে বিথীর হাতের উপর দিয়ে স্টেয়ারিং চেপে ধরলো। এতে বিথীর হাতে কিছুটা ব্যথা লাগায় বিথীর অজান্তেই মুখ দিয়ে ক্ষীণ আর্তনাদ বের হয়ে এলো।
বিথীঃ আহ!
বিধানঃ আমি ধরলেই গায়ে ফোসকা পড়ে আর অন্যদের সাথে ঘেসাঘেসি করতে ভালো লাগে তাই না! কেন ওদের গায়ে কি মধু পাও! ( রেগে চিৎকার করে )
বিথী বিধানের এরূপ কথায় অনেক রেগে গেলো। কারণ মেয়েদের সব কটু বাক্য সহ্য হলেও চরিত্রের উপর কেউ কিছু বললে তা মানতে পারে না।
বিথীঃ কি যা তা বলছেন! মাথা কি গেছে নাকি! আর আমি যা ইচ্ছা করবো আপনার কি! ( চিৎকার করে )
বিধানঃ আমার কি তা খুব ভালো করে বুঝবে বাসায় যাই আগে! ( শয়তানি হাসি দিয়ে )
এ কথায় বিথী অনেক ভয় পেয়ে যায়। বিধান রাগে অনেক জোরে গাড়ি চালাতে থাকে এতে বিথী আরও ভয় পেয়ে যায়। বিথীর মনে হচ্ছে সে গাড়িতে নয় রকেটে উঠেছে। বিথী চোখ বন্ধ করে মনে মনে দুরুদ পড়তে থাকে যাতে কোনো এক্সিডেন্ট না হয়! হঠাৎ খুব জোরে ব্রেক করায় বিথী চোখ খুলে।
বিথীঃ ভাগ্যিস রাক্ষসটা সিট বেল্ট লাগিয়ে দিয়েছিল না হলে গাড়ির সাথে লেগে মাথা আলু হয়ে যেতো! ( বিরবির করতে )
বিথী বিরবির করে বললেও বিধান তা শুনে ফেলে।
বিধানঃ আল্লাহ কোন পাগলকে বিয়ে করসি! সবাই আমার রাগ ভয় পায় আর এই মেয়ে কিনা এমন সিচুয়েশনে এগুলা বলছে! সমস্যা নাই মিসেস চৌধুরী আজকের পর থেকে তুমি আমাকে ভয় পাবেই ( মনে মনে )
এসব ভেবেই বিধান গাড়ি থেকে নেমে বিথীকে কোলে করে বাড়িতে ঢুকে। ওদের এভাবে দেখ হলরুমে বসা প্রতিটি মানুষ থতমত হয়ে যায়। ইফতিকা তো জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায়। বিথীর এখন ভয় নিয় বরং মাত্রাতিরিক্ত লজ্জা লাগছে।
বিথীঃ আল্লাহ! এই ছেলে নিজে নির্লজ্জ বলে আমাকেও তা মনে করছে! ( মনে মনে )
রূপঃ ইয়াহু! ভাইয়ু বৌআপুকে কোলে নিয়েছে! ( চিৎকার করে বলে হাত তালি দিতে লাগলো )
মিসেস চৌধুরী ও বাড়ির কাজের লোকেরা এ কথা শুনে মুখ টিপে হাসছে। আর বিথী তো লজ্জায় লাল নীল হয়ে গিয়েছে। আর বিধান যেনো কিছুই হয়নি এমন ভাবে চোখ মুখ শক্ত করে উপরে চলে যাচ্ছে।
বিথীঃ যেমন ভাইয়ের লজ্জা নেই বোনটাও তেমন! ( মনে মনে বলে বিধানের বুকে মুখ লুকালো লজ্জায় )
,
,
বিধান বিথীকে রুমে নিয়ে ঠাস করে বিছানার উপর ফেলল। আর নিজের ব্লেজার খুলে টাই ঢিলা করে বিথীর দিকে এগুলো। বিথী তো ভয়ে থরথর কাপছে। বিথী আজকে শাড়ি ও হিজাব পড়ে ভার্সিটিতে গিয়েছিল। বিধান বিথী হাতে র কনুই ধরে দাঁড় করালো। তারপর একটানে হিজাব ও শাড়িই খুলে ডাস্টবিনে ফেলল। এমন ঘটনার বিথী হতভম্ব হয়ে গেলো। বিধান ডাস্টবিনে আগুন লাগিয়ে দিলো।
বিধানঃ তোমার বস্ত্রেও অন্যের স্পর্শ সহ্য করতে পারি না তাই জ্বালিয়ে দিলাম। কিন্তু তোমার শরীরেই তো অন্যের স্পর্শ! ( বাকা হেসে )
বিথীঃ ক-কি বলছেন এ-এগুলো! ( ভয় পেয়ে )
বিধানঃ নাহ ভয় পেয়ো না তোমাকে তো জ্বালিয়ে দিতে পারবো না তবে তোমাকে পবিত্র তো করতেই হবে। ( বলে বিথীকে কোলে করে শাওয়ারের নিচে দাঁড় করালো )
ও×বিথীঃ এখানে…….
বিধানঃ একদম চুপ! ( হুংকার দিয়ে )
বিধান বিথী হাতে, গলা, পেটে, মুখে লুফাহে বডিওয়াস লাগিয়ে জোরে জোরে ঘসতে লাগল। বিথীর পুরো শরীর জ্বলছে মনে হচ্ছে চামড়া উঠে যাবে।
বিথীঃ প্লিজ থামেন! অনেক লাগছে! আহহহ! ( চোখ দিয়ে পানি ফেলতে ফেলতে )
বিধানঃ কেন থামব? পরপুরুষের ছোঁয়া নেওয়ার সময় মনে ছিলো না! ( বলে বিথীর দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন বিথী কথাটি বলে মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেছে )
বিথীঃ স-সরি! আর কোনোদিন দিপ্তর বাইকে বসবো না!
বিধানঃ শুধু দিপ্ত কেন কারোই না! যেই ফুলের মধু এখনো আমিই নিলাম সেই মধু অন্য কেউ নেয়ার চেষ্টা করবে আর আমি বসে থাকবো! মোটেই না!
বিথীঃ এই লোক পাগল নাকি কি বলছে এসব! ( মনে মনে )
বিধান দেখলো বিথী শীতে কাপছে তখন বিধানের মনে পড়লো বিথীর ঠান্ডায় সমস্যা।
বিধানঃ যাও আজকে ক্ষমা করলাম। ( গম্ভীর কণ্ঠে )
বিথী কথাটি শুনে ড্রেসিংরুমে চলে গেলো চেঞ্জ করতে আর বিধান রুমেই চেঞ্জ করলো।
বিথীর হাত, গলা, পেট, মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড জ্বলছে। বিথী সহ্য করতে না পেরে কেঁদেই যাচ্ছে।
বিথীঃ মনে হচ্ছে চামড়া তুলে ফেলছে! আহ! ধরাও যাচ্ছে না! ( বলে আবার কাঁদতে লাগলো )
বিধান কাপড় পাল্টিয়ে বিথীর জন্য অপেক্ষা করছে। এর মধ্যেই রূপ এলো।
রূপঃ ভাইয়া! তোমাকে ও বৌআপুকে নিচে ডেকেছে মামনি দুপুরের খাবার খেতে।
বিধানঃ মাকে বল আমরা আসছি। তা বুড়ি তুই খেয়েছিস? ( রূপকে খাটে বসিয়ে )
রূপঃ হুম এক বক্স চকোলেট খেয়েছি তো তাই এখন ভাত খেতে মন চাচ্ছে না!
বিধানঃ তা বললে হবে! যা খেতে বস আমি আসছি! ( মিথ্যে রাগ দেখিয়ে )
রূপঃ হুহ! ( বলে একটা ভেঙচি কেটে দৌড় )
,
,
রূপ চলে গিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গিয়েছে কিন্তু বিথীর আসার নাম গন্ধ পাচ্ছে না বিধান।
বিধানঃ মহারাণি আজ কি সারাদিন ড্রেসিংরুমেই কাটাবেন! নিচে যাবেন না লাঞ্চ করতে তাড়াতাড়ি আসেন।
বিথী এ অবস্থায় শাড়ি পড়তে পারবে কারণ শাড়ি পড়া সহজ কাজ নয় তার উপর শরীরের জ্বালাপোড়া। তাই নিজের বাসা থেকে আনা পিংক কালারের শর্ট টপস এবং ব্ল্যাক স্কার্ট পরে নিলো। এসব খুঁজে পড়তে দেরি হওয়ায় বিধান ওকে রেখেই চলে গেলো।
বিধানঃ বুঝেছি তোমার সারাদিন লাগবে চেঞ্জ করতে। তুমি চেঞ্জ করে নিচে আসো আমি গেলাম!
বিথী বিধান যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চেঞ্জ করে বের হলো। কিন্তু এসব পড়ে নিচে যেতে অস্বস্তি লাগছে। এমন না ও প্রথম এই ধরনের কিছু পড়েছে তবে শ্বশুরবাড়ি বলে কথা। এই জায়গাটা আপন বলা যতটা সহজ মেয়েদের জন্য আপন মানা ততটাই কঠিন।
,
,
বিঃদ্রঃ একটা মেয়ে শ্বশুরবাড়িকে কখনো ততটা আপন মানতে পারে না যতটা বাবার বাড়িকে মনে করত। কারণ বাবার বাড়িতে নিজের মত থাকা যায় কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহিতা লাগে। বাবার বাড়িতেও মাঝে মাঝে জবাবদিহিতার দরকার পড়ে তবে তারা ভুল হলে শুধরে দেয় কখনো বকলে কিছুক্ষণ পরই আবার বুকে টেনে নেয়। আর শ্বশুরবাড়িতে তা সাধারণত হয় না বরং শুধরে দেয়া তো দূরে থাক কথা শুনানো বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। তবে হ্যাঁ সবাইকে এক ধাচে মানাও ঠিক না। যদিও শ্বশুরবাড়িতে দ্বিধা সর্বদাই থেকে যায় যতদিন না নিজের একটা বিশেষ জায়গা তৈরি করা যায় সেখানে। তবে সেটা জায়গা তৈরি হয় অনেক সময় নিয়ে।
,
,
বিথীর মনে নানা দ্বিধা কাজ করছে। এভাবে যাবে কিনা। কেউ কিছু ভাবলে বা কিছু বললে। কিন্তু ক্ষুধক্সাও তো লেগেছে তাই। অনেক ভেবে শেষে সিদ্ধান্ত নিলো যাবে। একটা হাফ সিল্ক কালো ওরনা নিয়ে চুল ও শরীর ভালোভাবে ঢেকে নিলো। নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিলো যদি কোনো ত্রুটি থেকে যায়। সব শেষ করে বেডরুমের বাইরে বের হলো।
,
,
অন্যদিকে নিচে ডাইনিং টেবিলে সবাই বিথীর অপেক্ষা করছে কারণ চৌধুরী ম্যানশনে লাঞ্চ সবাই একসঙ্গেই করে যে যতোই বিজি থাকুক।
মিসেস চৌধুরীঃ কিরে এতক্ষণ লাগছে! মেয়েটার শরীর খারাপ করলো নাকি আবার!
বিধানঃ মেয়েটার এতো সময় লাগছে! একবার কি দেখে আসবো!
রূপঃ ওয়াও বৌআপুকে একদম এঞ্জেল লাগছে!
রূপের কথা শুনে এবং রূপের দৃষ্টি অনুসরণ করে সবাই উপরে অর্থাৎ সিড়ির দিকে তাকায়। সবাই অবাক হয়ে যায় রূপকে এভাবে দেখে। কারণ বিথীকে কেউ এভাবে দেখে নাই এবং রূপকে এই পোশাক একজন টিনেজার মনে হচ্ছে। কিন্তু মিস্টার ইফতেখার খানের তো সব জায়গায় বা হাত না দিলে তার বাড়া ভাতে ছাই পড়ে।
,
,
ইফতেখারঃ ছি ছি এসব…….
বিথী বকা খাওয়ার জন্য তৈরিই ছিলো তবে মিসেস চৌধুরী ইফতেখারকে কিছু বলতে না দিয়ে নিজেই বলা শুরু করলেন।
মিসেস চৌধুরীঃ মাশাল্লাহ্ অনেক সুন্দর লাগছ আমার বিথী মামনিকে! মাঝে মাঝে টপসও পড়তে পারো!
বিথীঃ থ্যাংকস মামনি!
রূপঃ ভাইয়া আর কতক্ষণ বৌআপুর দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকবে! চোখ বের হয়ে যাবে! ভেঙচি কেটে!
বিধানঃ বোনটাও একেবারে বজ্জাত! ( মনে মনে বলে চুপচাপ খাওয়ায় মনযোগ দিলো লজ্জা পেয়ে )
রূপের এমন কথায় সবাই মুখ টিপে হাসলো এমন কি ইফতেখারও। বিথী বিধানের পাশে বসতে নিলে কোথা থেকে ইফতিকা এসে বসে পড়ে। বিধান চাইলে ইফতিকা কে উঠাতে পারতো কিন্তু ওর ইচ্ছে ছিলো বিথী তা করুক।
মিসেস চৌধুরীঃ ইফতিকা তুই অন্য কোথাও বস!
বিথীঃ থাক মামনি এক জায়গায় বসলেই হলো! ( বলে রুহানের পাশে বসে পড়লো কারণ আর কোথাও জায়গা নেই)
(বিঃদ্রঃ বিয়ে হলেই যে স্বামী ও স্ত্রীর মনে একে অপরের জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি হবো একেবারেই ভুল ধারণা। বিয়ের মাধ্যমে একে অপরের জন্য ভালো লাগার সৃষ্টি হয়ে, একে অপরের প্রতি যত্নশীলতার সৃষ্টি হয়। তারপর ভালোবাসা কারণ মানুষের বাহ্যিক দিককে ভালো লাগে আর তার অভ্যাস, ত্রুটি সব কিছুই যখন জানা যায় বোঝা যায় মেনে নেয়া যায় তখন হয় ভালোবাসা। আর বিধানকে বিথী ভালোবাসেনি তবে অনুভূতি অবশ্যই আছে পবিত্র বিয়ের বন্ধন বলে কথা )
বিধান বিথীকে রুহানের সাথে বসতে দেখে রেগে যায়। তাই কিছুটা খেয়ে চলে যায় বিথীকে নিয়ে।
বিধানঃ বিথী! খাওয়া তো হলো এখন রুমে চল কাজ আছে!
বলে বিধান চলে গেলো। বিথীর খাওয়া শেষ তাই সেও উঠে চলে গেলো। বিথী রুমে প্রবেশ করতেই কেউ বিথীকে টান দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দরজার সাথে চেপে ধরলো। বিথী ঘটনার আকর্ষিকতায় বুঝতেই পারলো না কি হলো বরং চোখ বন্ধ করে ফেলল।
চলবে,,,