Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 43
রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট বুলাতে বুলাতে রোয়েন রুহীর গাউনের হাতা টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে।রুহী ও থামাচ্ছেনা রোয়েনকে।রুহীর পিঠের চেইন খুলে ফেলে রোয়েন।হাতা পিঠ পর্যন্ত নামতেই চোখ খুলে রোয়েন।পরক্ষনেই রোয়েনের হুশ হয়।কি করতে যাচ্ছিলো ও?নাহ এসব ঠিকনা।রুহীর হাতা কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে দিলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের হাত ধরে ফেলল।কি করছো?থামলে কেন?নেশাগ্রস্ত কন্ঠে বলল রুহী।
রুহী এসব ঠিক না।প্লিজ এমন করোনা।এটা অন্যায় রুহী।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের গলায় চুমু খেলো।রোয়েন রুহীকে সরিয়ে পাশে শুয়ে রুহীকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
রুহী ও পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে গেলো।
এরপর থেকে পরপর সাতদিন রোয়েনের বাসায় থাকে রুহী।বাসা থেকে অনেক বার কল আসলে ও রুহীর মন সায় দেয়নি রোয়েনকে ছেড়ে যেতে।
এই সাতটাদিন উষ্ম ভালোবাসায় কেঁটেছে ওদের।রাত হলে রোয়েনের পড়াশুনা আর রুহীর জেগে থাকা রোয়েনের সাথে।
রোয়েন পড়তে পড়তে পাশে রুহীর দিকে চোখ যায় রোয়েনের।মেয়েটার চোখ লাল হয়ে এসেছে কিন্তু ঘুমোচ্ছেনা কেন?
কি হলো পড়া বাদ দিয়ে আমায় কেন দেখছো?ঘুম ঘুম গলায় জিজ্ঞেস করলো রুহী।
তোমার চোখ লাল হয়ে এসেছে।ঘুমিয়ে যাওয়া উচিৎ তোমার।
বেশি বুঝোনা।পড়ো তুমি।বলে উঠলো রুহী।
রুহী বেশি কথা বলো তুমি।যাও ঘুমাও।তুমি এতো কথা বলো যে তোমার কারনে পড়ায় মন দিতে পারিনা। ধমকের সুরে বলল রোয়েন।
কি বললি? আমি বিরক্ত করি?রুহী উঠে রোয়েনের চুল টানতে লাগলো।
রুহী ওকে তুই করে বলছে?বেশ অবাক হলো রোয়েন।তার চেয়ে বড় অবাক হলো রুহী ওর চুল টানছে।রোয়েন এক হাতে রুহীর হাত টেনে নিজের কোলে শুইয়ে দিলো।
ছাড় আমাকে।রাগ করে রোয়েন থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করলো রুহী।
রোয়েন রুহীর হাতজোড়ার কবজি নিজের একমুঠে নিলো।
খুব সাহস হয়েছে তোমার?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
কিসের সাহস?কি বলছো বুঝতে পারছিনা।
এইযে তুই করে বললে।আমার চুল টানলে।এগুলো সাহস নয় তো কি?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
যাকে ভালোবাসি তাকে ভয় পেলে সেটাকে ভালোবাসা বলেনা।ঘাড় ঘুরিয়ে বলল রুহী।
রোয়েন রুহীকে আরো কাছে বুকের মাঝে টেনে নিলো।ঐদিন খুন করার সময় পালাচ্ছিলে?তাও বলছো ভয় পাওনা?
মার্কেটের কথা বলছো?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
হুম।আর কিসের কথা বলবো বলো?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
ঐ তখন তো ভালোবাসতাম না।তাই একটু ভয় পেয়েছিলাম আর কি বলেই ঢোক গিললো রুহী।
কি হলো আবার ও মনে হয় ভয় পাচ্ছো?বাঁকা হাসলো রোয়েন।
না মানে ঐসব মনে হলে কেমন জানি লেগে উঠে।বুক ধড়ফড় করে।নিশ্বাস নিতে পারিনা।খুব ভয় হয় যদি হারিয়ে ফেলি তোমায়?বলে উঠলো রুহী।
রুহীকে কাছে টেনে ওর কপালে চুমু দেয় রোয়েন।রুহী রোয়েনের গলা জড়িয়ে ওর গালে চুমু খায়।
এবার অনেক হয়েছে।ঘুমাও।আমি ও একটু পড়ি।রুহীর মাথা বুকে নিয়ে বলল রোয়েন।
ছাড়ো খাটে গিয়ে ঘুমাই।রোয়েন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলল রুহী।
নাহ এভাবেই ঘুমাবে।রুহীকে চেপে ধরে বলল রোয়েন।
মানে কি?ছাড়ো।রুহী বলে উঠলো।
জাস্ট শাট আপ।ঘুমা ও এভাবে।ধমকে উঠলো রোয়েন।
আমি কি বাচ্চা নাকি?ভ্রু কুঁচকালো রুহী।
বাচ্চাইতো।এটুকুন একটা মেয়ে!! বয়স কতো তোমার বাবু?মজার স্বরে বলল রোয়েন।
বাবু বলোনা।I am 23 একটু ভাব নিলো রুহী।
আর আমি ৩৩।বলে বাঁকা হাসলো রোয়েন।
হায় হায় একটা বুড়ো লোকের সাথে প্রেম করছি আমি?যে কিনা দশ বছরের বড় আমার।কিছুটা অবাক হওয়ার ভান করলো রুহী।
সো হোয়াট?রাগী গলায় বলল রোয়েন।https://www.facebook.com/Nil.Kyefer.Valobasa/
সো হোয়াট বাদ দাও।ছিঃ ছিঃ বুড়ো লোকের সাথে প্রেম।বলতে লাগলো রুহী।
রোয়েন দাঁতে দাঁত চেপে রুহীর দিকে চেয়ে আছে যেন আস্ত গিলে খাবে।
রুহী তখনি রোয়েনের গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো।বুড়ো লোকটাকে বড্ড ভালোবাসি।
রোয়েন রুহীকে এবার জড়িয়ে বলল।একটা কথা ও না।পড়বো আমি।
রুহী রোয়েনের বুকে নাক ডুবিয়ে ঘুমিয়ে গেলো।
রোয়েন সেভাবেই সকাল পাঁচটা পর্যন্ত পড়লো।
পড়া শেষে রুহীকে শুইয়ে দিয়ে নিজে ও শুয়ে পড়লো।
রুহীকে আজ যেতে হবে নিজের বাসায়।জামা কাপড় গুছিয়ে নিচে নেমে এলো রুহী।
চোখের পানি বাঁধা মানছেনা ওর।রোয়েন রুহীর দিকে হালকা হাসলো।রুহীর ব্যাগ হাতে নিলো রোয়েন।
রুহী রোয়েন কে পিছন থেকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো।
আমি যাবোনা।প্লিজ থাকতে দাও আমায়।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।
রোয়েন সামনে ফিরলো।পাগল তুমি কাঁদছো কেন?
তোমাকে ছেড়ে যাবোনা প্লিজ রোয়েন।কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।
রুহী বিয়ে হয়নি আমাদের।এভাবে একসাথে থাকা ভালো দেখা যায়না।তাছাড়া তোমার মামা বাসায়।ওনি কি মনে করবেন?
আর বিয়ের পর তো আমার রাজ্যে রানী হয়ে থাকবে তাইনা?বলে উঠলো রোয়েন।
https://www.facebook.com/Nil.Kyefer.Valobasa/
হুম। মাথা নাড়লো রুহী।
এবার চলো।রুহীকে নিয়ে ওর বাসায় রওনা হয় রোয়েন।
বাসায় যেতেই রুহী দেখলো বাসা ভর্তি মেহমান।
রুপন্তী দৌড়ে এসে রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।রুপন্তী ও সেজে গুজে আছে।
কিরে রুপন্তী এত গেস্ট কেন?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
আপি চল তোকে রেডি করিয়ে দিই।বলে উঠলো রুপন্তী।
কিন্তু কেন?আর এতো গেস্ট!!!!(রুহী)
আরে আপি সময় হলে বুঝবি।এখন চল তো।রুহীকে নিয়ে যেতে লাগলো রুপন্তী।
রুহী পিছে ফিরে রোয়েনকে দেখার চেষ্টা করলো।রোয়েন হাত দিয়ে ইশারা করলো আমি আছি।
রুহী হেসে রুপন্তীর সাথে ওর রুমে চলে গেলো।
সবার আগে গল্প পড়তে আমাদের, নীল ক্যাফের ভালোবাসা, অ্যান্ড, নীল ক্যাফের ডায়েরী, পেজের সাথেই থাকুন,ধন্যবাদ
রুহীকে খুব সুন্দর করে সাজালো রুপন্তী।কালো একটি লেহেঙ্গা পরানো হয়েছে ওকে।একদম পরী লাগছে রুহীকে।
আজ কি রুপন্তী?আবার ও জিজ্ঞেস করলো রুহী।
নারে আপি বলা যাবেনা(রুপন্তী)
কেন? বলে উঠলো রুহী
প্লিজ বলনা।জেদ করতে লাগলো রুহী।
নাহ বলবোনা।বলে উঠলো রুপন্তী।
থাক নিচে নেমেই জানবো।বলে উঠলো রুহী কিছুটা অভিমান করে।
হুম।বলে উঠলো রুপন্তী।
রুহী আর রুপন্তি নিচে নেমে এলো।রোয়েন সবার মাঝে একটা সোফায় বসে আছে। কালো শেরওয়ানী তে কি যে অপরুপ লাগছিলো বলার মতোনা।রুহীকে রোয়েনের কাছে নিতেই রোয়েন রুহীর সামনে দাঁড়িয়ে এক হাঁটু গেড়ে বসলো।রুহী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।কি করতে চায় ও?
রোয়েন ও রুহীর থেকে চোখ সরাতে পারছেনা।ওর বৌ রুহী।বৌটাতো ওরই। ভেবেই হালকা হাসলো রোয়েন ।Ruhi Will you marry me?
রুহী মিষ্টি হেসে আশেপাশে তাকালো।তারপর বলল yes.রোয়েন রুহীর হাত টেনে নিয়ে সেখানে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ালো।
রোয়েন উঠে দাঁড়িয়ে সোফায় বসলো।
রুহীকে ও রোয়েনের পাশে বসিয়ে দিলো রুপন্তী।
রুহী মুচকি হেসে আড়চোখে রোয়েনকে দেখলো।
রেহান ছবি তুলছে ওর ক্যামেরায়।
আংটি বদল হয়ে গেলো রোয়েন আর রুহীর।
চলবে