পূর্ব রোদ

পূর্ব রোদ !! Part- 13

তিহান,রাফিয়া আর পূর্ব পায়ে হেঁটে রোদের কোচিং সেন্টারের সামনে আসলো।সেন্টারের ভিতর চোখ যেতেই দেখলো একটা ছেলে রোদের অনেক কাছাকাছি আছে।আর ছেলেটা রোদের চোখে হাত রেখে “ফুও” দিচ্ছে।ওমনি পূর্বের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো।চোখে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে রইলো।


“এখন ঠিক আছে রোদেলা?”
“হুম।থ্যাংকিউ!”
“তোমার চোখে ময়লা পরায় যেভাবে চিৎকার দিলে আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।”
“হাহাহাহা!”
ক্লাস রুম থেকে বের হওয়া মাত্র রোদের চোখে ময়লা পরে।তখনি মেঘ এসে তার চোখের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়।রোদ মেঘের সাথে খিলখিলিয়ে হাসছে দেখে পূর্বের গা জ্বলে যাচ্ছে।পূর্ব নিজেকে যেনো কন্ট্রোল করতে পারছে না।ইচ্ছে করছে রোদকে গিয়ে টাসিয়ে চড় দিতে।
হাসতে হাসতে রোদের দৃষ্টি গেইটের দিকে গেলো।পূর্বের অগ্নি দৃষ্টি দেখে রোদ ভয়ে পেয়ে গেলো।এমন রাগি ভাব পূর্বের চেহেরায় আজ প্রথম দেখছে।বিষয়টা রোদ তার চোখের ভূল মনে করে এড়িয়ে গেলো।পূর্বের পাশে রাফিয়া’কে দেখে রোদ দৌড়ে তাদের সামনে এলো।ছেলেটার কাছ থেকে রোদ সরে আসতেই পূর্বের রাগ একটু কমলো।
“রাফিয়া তুই?তুই এখানে কীভাবে এলি?”
“তোর সাথে দেখা হয় না আর বাড়িতে একা বসে ছিলাম তাই ক্রাশ’কে বলে তোর সাথে দেখা করবো ভাবলাম।”
“ক্রাশ’কে? ইন্না-লিল্লাহ?”
“হয়।”

“মানুষ আর পেলি না হরিচন্দনের বন্ধুকে বললি?আমাকে জানাতি।”
“রোদ বাড়ি চলো।”
পূর্বের কঠিন কন্ঠ শুনে রোদ তার দিকে তাকালো।এখনো চেহেরায় রাগি ভাবটা আছে।রোদ ভাবলো কলেজে কিছু হয়েছে।তখনি তাদের কাছে মেঘ এসে রোদের পাশে দাঁড়ালো।মুহুর্তেই পূর্বের চেহেরায় রাগিভাব পূর্ণতা পেলো।
“হাই গাইস!”
মেঘ’কে দেখে রাফিয়া সেই লেভেলের টাসকি খেলো।রাফিয়া একবার তিহানের দিকে তাকালো আরেকবার মেঘের দিকে।যেনো তার সামনে কেউ প্রশ্ন রেখেছে “কে বেশি সুন্দর?”
“মেঘ তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।ও হলো রাফিয়া আমার বেস্টফ্রেন্ড।আর উনারা তিহান,পূর্ব।আর রাফিয়া উনি হলো মেঘ।আমাদের কম্পিউটার শিখান।”
” ওহ।”[রাফিয়া]
পরক্ষণে রাফিয়া রোদের কানে ফিসফিস করে বললো,”কিউট আছে ছেলেটা।কিন্তু ক্রাশ খেলাম না কারণ তিহান আমার ফাইনাল ক্রাশ!”রাফিয়ার কথা শুনে রোদ হু হু করে হেসে ফেললো।পূর্ব নিজের কন্ঠ কঠিন করে রোদের উদ্দেশ্য বললো,”বাড়ি চলো।”
রোদ পূর্ব’কে ভালোভাবে লক্ষ্য করে মনে মনে ভাবলো এখন বারাবাড়ি না করে বাড়ি চলে যাওয়ায় বেটার।
বাড়িতে পৌঁছা মাত্র পূর্ব নিজে রুমে ঢুকে ওয়াশরুমে চলে গেলো।রোদ সেদিকে তাকিয়ে তিহানকে উদ্দেশ্য করে বললো,”হরিচন্দন এতো রেগে আছে কেনো?কলেজে কিছু হয়েছে?”
“নাহ!কলেজে তো তেমন কিছু হয়নি।”
তিহানের কথা শুনে রোদ জোরে জোরে বললো,
“তাহলে মুখের উপর বোমা ফাটছে মতো করে কেনো রাখছে মুখটা’কে?”
উপর থেকে কোনো কিছু সাড়া এলো না।রোদ রাফিয়া আর তিহান’কে নিচে বসিয়ে রেখে নিজের রুমে পা টিপে টিপে প্রবেশ করলো।দরজা আগে আগে খুলা ছিলো।রোদ তাকিয়ে দেখলো পূর্ব খুব অস্থির অস্থির করছে।ওমনি সে ব্যাগ থেকে লাফিং গ্যাস বের করে পূর্বের নাকের স্প্রে করে দিলো।মুহুর্তে পূর্ব হু হু করে হেসে উঠলো।পূর্বের হাসি দেখে রোদ নিজেও হাসতে হাসতে বললো,
“বলেছিলাম না নাকের ঢগায় রাগ রাখলে লাফিং গ্যাস দিবো।হাহাহাহা!কেমন লাগে দেখ!”
“তু..হাহাহাহা তুই আবা..হাহাহা আবার হাহাহা দিলি?”
পূর্বে নকল করে রোদ বললো,”হাহাহা আমি হাহাহা আবার দিলাম।তুই হাসতে থাক ততক্ষণে আমি ফ্রেশ হয়ে রান্না করে আসি।হাসতে থাক।”

“ইন্না-লিল্লাহ!কী আশ্চর্য ব্যাপার!পূর্ব হাসছে কেনো ভাবি?না মানে রোদ।”
“তোমার বন্ধু’কে লাফিং গ্যাস দিয়ে আসছি তাই হাসে।”
“তুই গ্যাসটা এখনো রেখে দিয়েছিস?’
“হুম।”
“ইন্না-লিল্লাহ!”এখন পূর্ব হাসছে?”
“উপরে গিয়ে দেখে এসো।”
“না বাবা!আমি গেলে আবার আমাকেও ভূতে ধরবে।”
“হাহাহাহা।বল কী রাঁধবো তোদের জন্য?”
“উমম।পায়েস.”
“চাউল ভিজিয়ে রাখতে হলে ধেরি হবে।অন্যকিছু বল।”
“তাহলে চিংড়ি বিরিয়ানি কর।”
“তাও পারবো না।চিংড়ি নেই।”
“তাইলে ফ্রাইড রাইস কর।”
“ইলিশ নাই।”
“তুই কী আসলে আমাকে খাওয়াতে চাস?”
“হ।চাইবো না কেনো?”
“তাইলে আমাকে শুধু ভাত দে।”
“ইশ রে!আমাকে সকালে বলবি না?আসলে চাল নাই।”
“বুঝছি তুই আজকে রাধবি না।”
“হো।শখ কতো তোরে আমি রেঁধে খাওয়াবো?এখানে আম্মি নাই যে তোরে সম্মান দিবো।রান্না ঘরে গিয়া যা খেতে ইচ্ছে করে বানিয়ে খা।আমাদের জন্যও বানাস।”
“তোরে আমি….”
“তুই বললে তোর জন্য করলা’র জুস বানাতে পারি।”
রাফিয়া রেগেমেগে রান্না ঘরে গেলো।রোদ ফিক করে হেসে তার পিছু পিছু গেলো।তিহান বিড়বিড় করে বললো,”ইন্না-লিল্লাহ!এই মেয়ের জাত এতো পাগল কেনো হয়?”সে উঠে পূর্বে কাছে চলে গেলো।

পূর্ব এখনো হেসে যাচ্ছে।এখন রাগ কমলেও পুরাপুরি কমেনি।তার মনে প্রশ্ন জাগছে,”মেঘ ছেলেটি এতো আপন?আজ অবধি আমি নিজেই রোদকে টাচ করতে পারলাম না আর মেঘ কি’না রোদের চোখে হাত দে?আর মেঘ মানে তো সেই যাকে রোদ আনম্যারিড বলেছিলো?ও হো আমি মেরে ফেলবো এই রোদকে।”
পূর্বের ইচ্ছে করছে বাড়ির সমস্ত জিনিস ভেঙ্গে ফেলতে।পরক্ষণে নিজেকে নিজে শান্তনা দিলো।পূর্ব মনে মনে ঠিক করে নিলো রোদের উপর কাউকে সে অধিকার কাটাতে দিবে না।


সিলেট আসার দু মাস পূর্ণ হলো আজ।বাইরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।বর্ষাকালের আগমন হয়েছে।রোদ একটু আগে কম্পিউটার সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরেছে।আজ কেনো যেনো রোদের শাড়ি পরতে ইচ্ছে হচ্ছে।কিন্তু সে আসার সময় কোনো শাড়ি আনেনি।রোদ ধূলোপড়া রুম দুটির সামনে গেলো।এখনো আগের মতোই মাকড়শা’র জালে চারিদিক আবদ্ধ হয়ে আছে।রোদের মনে হলো এই রুম দুটোর মধ্যে যেকোনো একটা’তে শাড়ি পাওয়া যাবে।কারণ তার আম্মি অলওয়েজ শাড়ি পরতো।তাহলে আলমারি অবশ্যই কোনো না কোনে শাড়ি পাওয়া যাবে।
রোদ দরজা খুলে রুমটার ভিতর প্রবেশ করলো।ভিতরে সবকিছু খুব বেশি অপরিষ্কার নই।চাইলে পরিষ্কার করা যাবে।কিন্তু রোদের মনে হলো এই রুমটা পরিষ্কার করার কোনো দরকার নেই।কারণ পূর্বের সাথে এখন এক বিছানায় থাকতে আর অসস্তি হয় না।রোদ পুরাতন আলমারি’টার দরজা খুললো।তাকের উপর চার-পাঁচটা নতুন শাড়ি।একদম নতুন!রোদ সবকটা শাড়ি তুলে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসলো।
একটা একটা শাড়ির ভাজ খুলে রোদ নিজের গায়ে রেখে আয়নায় দেখছে।সবকটা শাড়িই একদম নতুন।রোদের মনে হলো তার আম্মি তার জন্য এই শাড়িগুলা রেখে গেছে।সব শাড়ির মাঝে এ্যাশ কালারের একটা শাড়ি রোদের ব্যাস পছন্দ হলো।এ্যাশ কালারের মাঝে কালো রংয়ের ছোট ছোট ফুল।আঁচলটাও গাড় কালো।বাকি চারটা শাড়ি কার্বাডে রেখে দিলো।রোদ আগে থেকেই শাড়ি পরতে জানতো তাই শাড়ি পরতে কষ্ট হলো না।চোখে হালকা কাজল দিলো।ঠোঁটে হালকা গোলাপি রংয়ের লিপস্টিক একেঁ নিলো।গত বছর আলো’র দেওয়া নীল রংয়ের চুড়ি পরে নিলো।গলায় তার বাবা দেওয়া চেইন তো আছেই।চুলগুচ্ছ বেণি করে একপাশে রেখে দিলো।
ব্যস!রোদের সাজাঁ কমপ্লিট।রোদ কপালে টিপ পরতে যাবে তখনি কলিং বেল বাজলো।টিপ’টা আয়নাতেই লাগিয়ে রেখে রোদ দরজা খুলতে গেলো।
পূর্ব অনেকক্ষণ ধরে বেল বাজাচ্ছে।আজকে কলেজে প্রেকট্রিক্যাল ক্লাস হচ্ছিলো বিধায় ধেরিতে ছুটি হলো।আর আজকে তিহান আর নাবিলা সাথে এসেছে।নাবিলা মেয়েটা’কে পূর্ব প্রথমে ভূল বুঝলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারে।বন্ধুত্ব করা ছাড়া মেয়েটার অন্যকোনো রকম উদ্দেশ্য ছিলো না।আর দু মাসে পূর্ব এটাও বুঝেছে যে নাবিলা মেয়েটা জেদি।
“কি রে তোরা দুজন ছাড়া কী বাড়িতে আর কেউ থাকে?” (নাবিলা)
“হ্যা।ঐ না মানে আমার আম…”

পূর্ব আমতা আমতা করে বলতে পারছে না।নাবিলা’কে রোদের কথা বলেনি পূর্ব।আর আজকে হুট করেই নাবিলা জেদ ধরলো পূর্বের বাড়িতে আসবে।তখন পূর্ব বলে শুধু তিহান আর সে থাকে।কিন্তু তারপরও বলে সে আসবেই।পূর্ব কী উত্তর দিবে সেটাই ভাবতে থাকে।তখনি রোদ এসে দরজা খুললো।এতোক্ষণ ধরে ভয়ে বুকটা ধক ধক করছিলো পূর্বের।মুহুর্তে শাড়ি পরিধানে রোদকে দেখে সমস্ত খারাপ অনুভূতি পূর্বকে ত্যাগ করে।রোদের কাজল ভর্তি চোখ থেকে পূর্বের দৃষ্টি নড়ছে না।তার মা ছাড়া অন্যকোনো নারী’কে সে শাড়ি পরিধানে দেখি।শাড়িতে রোদকে এ-তো-টা মায়াবী লাগে সে কোনোদিন জানতো না।রোদের চুড়ি নড়ার শব্দে পূর্বের ঘোর কাটলো।
কলিং বেল বাজাতে রোদ প্রচন্ড খুশি হয়ে দরজা খুলতে আসে।কিন্তু পূর্বের পাশে নাবিলাকে দেখে রোদের হাসি উড়ে গেলো।মেয়েটা’কে দেখে রোদ চিনতে পেরেছে ও নাবিলা।নাবিলা’র কথা পূর্বের কাছ অনেক শুনেছে।কিন্তু যতোবারই পূর্ব নাবিলার কথা বলতো রোদ সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতো।কিন্তু আজকে যে নাবিলা’কে বাড়িতে নিয়ে আসবে তা ভাবেনি।রোদ বুঝতে পারলো পরিবেশ’টা তার ভালো লাগছে না।তবুও নিজেকে যথেষ্ট স্বাভাবিক রেখে বললো,
“ভি..ভিতরে আসো।”
“পূর্ব এইটা কে?”
“ও…ও..”
“ইন্না-লিল্লাহ!তোরা বাইরে দাড়িয়ে কথা বলবি?ভিতরে চল..”
ওরা তিনজন বাড়ির ভিতর ঢুকে।নাবিলা সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসে বলে,
“তিহান আমি তোদের বাসায় আসছি আর তোরা সবাই এভাবে অদ্ভুত ভাবে কেনো আছিস?যা গিয়ে কফি নিয়ে আয়।”
“ওদের বাসা?” (রোদ)
“হ্যা।বাই দ্যা ওয়ে তুমি কী ওদের গার্লফ্রেন্ড?”
কথাটি নাবিলা চোখ টিপলো।রাগান্বিত চোখে রোদ পূর্বের দিকে তাকালো।বিষয়টা রোদ হমজ করে নিলো।নাবিলা’র কথা শুনে রোদের মনে হলো মেয়েটা যথেষ্ট অভদ্র।পরক্ষণে আবার মনে হলো
একজন বন্ধুর বাসায় এসে কোনো বন্ধু মেয়ে দেখলে এমনটাই মন্তব্য করবে।তখনি নাবিলা’কে ধমক দিয়ে পূর্ব বললো,
“ও আমার কাজিন।রোদ তুমি কফি নিয়ে আসো।”
পূর্বের উত্তর শুনে রোদ রেগে বোম হয়ে গেলো।কিন্তু পূর্বের আদেশ শুনে আড়চোখে তার দিকে তাকিয়ে রান্না ঘরে গেলো।সেদিন লাফিং গ্যাস দেওয়ার পর পূর্ব কেমন যেনো বদলে যায়।আগের মতো তুই করে বলে না।’তুমি’ করে ডাকে।রোদ অনেক বার এর কারণ জিজ্ঞেস করেছে কিন্তু পূর্ব কোনো উত্তর দেয়নি।একসময় বিরক্ত হয়ে রোদও প্রশ্ন করা বন্ধ করে দেয়।তবে পূর্বের মুখ থেকে তুমি ডাকটাই রোদের ভালো লাগে।
রোদ রান্না ঘরে বিড়বিড় করতে লাগলো।নাবিলা’র সামনে কাজিন বলে পরিচয় দেওয়াটা রোদের মোটেও পছন্দ হয়নি।রোদ চার কাপ কফি বানালো।তার মধ্যে একটা’তে মার্ক করে লবণ দিলো বেশি করে।তারপর ভদ্র মেয়ের মতো ট্রে-তে করে কফি নিয়ে গেলো তাদের সামনে।মার্ক করা কফিটি পূর্বের হাতে তুলে দিয়ে রোদ বাকা হাসলো।কফি হাতে নিয়ে পূর্ব বললো,
“শাড়ি কোথায় পেয়েছো?”
“শাড়ি রুমে পেয়েছি।”
“কোন রুমে?”

রোদ মনে মনে বললো,”আব্বে তুই না খেয়ে এতো প্রশ্ন করিস ক্যান?”মুহুর্তে কন্ঠস্বর পরিবর্তন বললো,”ঐ পাশের রুমে।”
“তোমাকে শাড়িতে দারুণ লাগছে বস।একটা সেল্ফি তুলি।”
সোফা থেকে উঠে রোদের গা ঘেঁষে নাবিলা পিক তুললো।পূর্ব আর তিহান হু হু করে হেসে উঠলো।তাদের হাসির শব্দ শুনে নাবিলা ধমক দিয়ে বললো,
“একদম হাসবি না।রোদ তুমি ছেলে হলে আমি তোমাকে কিডন্যাপ করে বিয়ে করতাম।”
“ভাগ্যিস রোদ ছেলে হয়নি।হাহাহা”
“পূর্ব তুই আবার বন্ধু না হলে তোকে আমি বিয়ে করতাম।বাট আফসোস তোকে আমি বিয়ের প্রপোজাল না দিয়ে বন্ধুত্বের প্রপোজালে দিছি।হায়রে নাবিলা তুই এতো বোকা!”
নাবিলা এসব মজার সাথে পূর্ব আর তিহান পরিচিত হলেও রোদের সামনে বিষয়টা কেমন দাঁড়ালো।রোদের মনে হলো পূর্বের কফির সাথে নাবিলার কফিতেও লবণ দেওয়া উচিত ছিলো।কফির কথা মাথায় আসতেই রোদ দেখলো পূর্ব কফিতে চুমুক দিচ্ছে।এবারে রোদের মনে প্রশান্তি নেমে এলো।নাবিলা কফিতে চুমুক দিয়ে বললো,
“উফ!কী স্বাদ!অসাধারণ!”
রোদ পূর্বের চেহেরা দেখে মিটিমিটি হাসলো।পূর্ব নাবিলার মন্তব্য শুনে বুঝলো শুধু তার কফিটাই ইচ্ছে করে বাজে বানানো হয়েছে।পূর্ব রাগান্বিত দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মিটিমিটি হাসছে।
[চলবে]