Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 36

আমি তাকে দেখেছি।তার সকল ইনফরমেশন আমি চাই কই থাকে?কি করে?তার পরিবার সম্পর্কে সকল ইনফরমেশন চাই।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
অপর পাশ থেকে কেউ বলল স্যার ওনি অনেক ক্ষমতাবান। ওনার ইনফরমেশন পাওয়াটা সহজ হবেনা।
যতদিন সময় লাগে নাও।বাট তার এক্সেক্ট ইনফরমেশন আমি চাই।বলেই কল কেঁটে দিলো রোয়েন।
সেই চোখ সেই তাকানোর ধরন সেই হিংস্রতা আজ আবার ও রোয়েনের মনের পর্দায় ভেসে উঠেছে।
চোখজোড়া লাল হয়ে এসেছে ওর।হাত পা কাঁপছে ওর।আজ লোকটাকে কাছে পেলে কি যে করতো নিজে ও জানেনা রোয়েন।রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেরিয়ে যায় রোয়েন।
রাত ২টো
রুহী রোয়েনের পাশে গাড়িতে বসে আছে।রোয়েন গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে চোখের ওপর দুহাত রেখে বসে আছে।রুহী একবার রোয়েনের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকালো।
কি হলো কোন কিছু নিয়ে আপসেট?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।একটা গ্রাম্য এলাকায় গাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে ওদের।চারদিকে বন আঁধারে ছেয়ে আছে।ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে। রুহীর ভীষন শীত শীত লাগছে।
তেমন কিছুনা।জাস্ট তোমাকে পাশে পেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।বলে উঠলো রোয়েন।
কিন্তু তোমার মুখ তো অন্য কিছু বলছে।তুমি কিছু বিষয় নিয়ে টেনশনে আছো।বলে উঠলো রুহী।
রেহান আগে জানতো মিঃ সাইফ ওর বাবা।বাট এখন যখন সত্যটা ওর সামনে এসেছে খুব ভেঙ্গে পড়েছে ও।
বলে উঠলো রোয়েন।ঠিকই বলেছো।ওনার জন্য সত্যটা মেনে নেয়া ভীষন কষ্টকর।যাকে এতোদিন তুমি বাবা ভেবেছো আর আজ জানতে পারলে সে তোমার বাবা না।তখন তার মানসিক অবস্থাটা কি রকম হয় সেটা শুধু সেই বুঝতে পারছে।কিছুটা মন খারাপ করে বলল রুহী।তবে আমি চাই তোমার জীবনে যা হবে যা হচ্ছে সব আমার সাথে শেয়ার করবে।একা একা কষ্ট পাবেনা তুমি,তোমার প্রত্যেকটা কষ্টের ভাগীদার আমি ও হতে চাই।রোয়েনের কাঁধে মাথা রেখে বলল রুহী।রোয়েন রুহীর দিকে ফিরে ওর কপালে চুমু এঁকে দিলো।রুহী মাথা উঠিয়ে আরো কাছে এগিয়ে এসে রোয়েনের গালে চুমু খেলো।রোয়েন চোখ বুজে রুহীর ছোঁয়া উপভোগ করছে।রুহী কিছুক্ষন পর একটু সরে এসে রোয়েনের গলায় ঠোঁট বুলালো।রুহীর গাল দুটো ধরে নিজের সামনে আনলো রোয়েন।রুহীর ঠোঁট জোড়ায় আলতো করে চুমু খেতেই রুহী সরে গিয়ে জানালায় হেলান দিলো।মিষ্টি হেসে মাথা নাড়ছে রুহী।
রোয়েন আর অপেক্ষা না করে রুহীর কাছে এগিয়ে এসে ওর থুতনিতে হাত রাখলো।I don’t like,,, কথাটা বলার আগেই রুহী রোয়েনের ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো।গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলো ওরা।
কাঁধে কারোর হাতের ছোঁয়া পেয়ে পিছে তাকালো রেহান।খাবেনা?জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।ভালো লাগছেনা।কি থেকে কি হয়ে গেলো।ড্যাড কে ছাড়া আর কাউকে বাবা মানতে পারবোনা।ওনি আমার প্রত্যেকটা ইচ্ছা পূরন করেছে,আমাকে বাবার পরিচয়ে বড় করেছে,সীমাহীন ভালোবাসা দিয়েছে,মাম্মাকে অনেক ভালোবাসে ওনি।কি করে মেনে নেবো ওনি আমার বাবা না?ওনি আমাদের দুই ভাইয়ের বাবা আর ওই হারামী টাকে তার উচিৎ শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো।মুখ কঠিন করে বলল রেহান।রুপন্তী রেহানের হাত ধরলো অবশ্যই শাস্তি দেবেন। আপনারা দুই ভাই মিলে দিবেন।ওনার বাবা হবার যোগ্যতা নেই।রুপন্তীকে বুকে জড়িয়ে নিলো রেহান।বড় হয়ে গেছো পুচকি।বলে উঠলো রেহান।
এই পুচকি বলেন কেন? আ’ম এইটিন।বলল রুপন্তী।
ওহ তাহলে তো তোমার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। চলো বিয়ে করে ফেলি।হেসে দিয়ে বলল রেহান।
না না এখন না।আপু আর জিজুরই তো বিয়ে হয়নি।আপনি কি আপনার বড় ভাইয়ের আগে বিয়ে করবেন?
বলছিলো রুপন্তী।
আসলে তো।ভাইয়া বড় তাহলে ওনি আগে বিয়ে করবে।তারপরে আমরা বিয়ে করবো।কিউট একটা ছোট্ট রুপন্তী আসবে,আমাকে পাপা বলবে।বলতে লাগলো রেহান।রুপন্তী লজ্জায় লাল হচ্ছে।রেহানের মুখ চিপ ধরলো।এবার থামেন তো।ছিঃ কিসব বলেন।
তোমার এই লজ্জা মাখা চেহারাটার প্রেমে বারবার পড়ি।নেশা ভরা হাসি দিয়ে বলল রেহান।
আমি আসি,বলে পিছনে ফিরে যেতে নিতেই রুপন্তীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো রেহান।
অনেক দিন মিষ্টি খাওয়া হয়না।একটু দেবে?বলে উঠলো রেহান।
মিষ্টি তো ফ্রিজে।আমি নিয়ে আসছি, ছাড়েন।বলে উঠলো রুপন্তী।
উহুম সেই মিষ্টি না।রুপন্তীকে সামনে ফিরালো রেহান।রুপন্তী মুখ নিচু করে আছে।রেহান দুহাতে রুপন্তীর মুখ উঠালো।
আই লাভ ইউ রুপন্তী।কথাটা বলে রুপন্তীর ঠোঁট জোড়াকে নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো রেহান।
রুহীর গলায় চুমু খেতে খেতে একসময় রুহীর বুকে ঘুমিয়ে পড়ে রোয়েন।সকালে সূর্যের আলোয় দুজনের ঘুম ভাঙ্গে।রোয়েন উঠে রুহীকে ডেকে তুলল।তারপর ড্রাইভে মন দিলো রোয়েন।
রুহীকে বাসার সামনে পৌছে দিয়ে চলে গেলো রোয়েন।
বিকেলে রুহী মামীর সামনে বসে আছে।মামী আপনাকে একটা গল্প শুনাই।একটা মেয়ের গল্প।মেয়ের গল্প?দেখি শুনি তো তোর গল্প।বলে উঠলো রায়না রহমান।
মেয়েটা একটা ছেলেকে ভীষন ভালোবাসতো।তার কথা ফেমিলিকে জানানোর পর ও পরিবার মেনে নেয়নি।পরিবার আরেকজায়গায় মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে।কিন্তু মেয়েটা তার প্রেমিককে এতোটাই ভালোবাসতো যে সে অন্য কারোর কথা ভাবতেই পারছেনা।তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটার সাথে ভেগে যাবে।এবং তারা সফল ও হয়।
ওরা পালিয়ে বিয়ে করে।এবং খুব সুখে কাঁটে তাদের জীবন।বিয়ের কয়েক বছর পর মেয়েটির কোল আলোকিত করে আসে একটা ছেলে বাবু।বাবুটা যত বড় হতে থাকে তার বাবার আচার আচরন পরিবর্তন হতে থাকে।কোন একটা অজানা কারনে তিনি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর ওপর খুব অত্যাচার করতো।তারপর,,, রুহীর ফোন বেজে উঠলো।
Prince charming calling.
মামী আমি এক্ষুনি আসছি।বলে রুমে চলে গেলো রুহী।
হ্যালো।
রুহী মিট করবা?গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
জি।বাট সকালেই তো ঘরে এলাম।ফোনে বলো না।
ফোনে হবেনা।সরাসরি বলতে হবে।গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।
হুম ঠিক আছে আসবো।বাট তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?জিজ্ঞেস করলো রুহী।
শুনো বললাম না এখানে বলা যাবেনা।সো যা বলছি করো।কিছুটা রেগে গেলো রোয়েন।বাবা বাসায় আছে এখন বের হবো কি করে?কিছুটা মন খারাপ করে বলল রুহী।
একটু ম্যানেজ করে নাও।হয়ত সামনে আর ম্যানেজ করতে নাও হতে পারে।জলদি চলে আসো আমার বাসার সামনে।বলে কল কেঁটে দিলো রোয়েন।
কি বুঝালো ও লাস্ট কথাটায়?ম্যানেজ করতে নাও হতে পারে?
মানে?বুক কাঁপছে রুহীর।জলদি বাবাকে মানিয়ে বেরিয়ে পড়লো রুহী।রোয়েনের বাসার সামনে আসতেই কালো কোটে আবৃত রোয়েন কে দেখতে পেলো রুহী।ধীর পায়ে রোয়েনের সামনে এসে দাঁড়ালো।
কি হলো?এভাবে ডাকলে?আর লাস্টে কি বললে এটা?সামনে ম্যানেজ করতে নাও হতে পারে??কাঁদো কন্ঠে বলল রুহী।
দেখো এতোদিন হয়ে গেলো আমাদের সম্পর্কের।পুরো এগারমাস হলো আমাদের সম্পর্কের।আমার বিরক্ত লাগছে এ সম্পর্কে থাকতে।সো আমাদের এটা শেষ করে দেয়া উচিৎ।বলে উঠলো রোয়েন।
রোয়েনের কথা গুলো কিছুই বুঝতে পারছেনা রুহী।মাথা ঘুরছে ওর।চোখ জোড়া ভিজে এলো রুহীর।
ফান করোনা প্লিজ। তুমি জানো আমি ফান খুব সহজে বিশ্বাস করে ফেলি রোয়েনের গালে হাত রেখে বলল রুহী।রোয়েন একঝটকায় রুহীর হাত ফেলে দিলো।এসব নিয়ে ফান করার ইনটেনশন নেই আমার।
আমি জাস্ট তোমাকে সহ্য করতে পারছিনা।
আমি এসম্পর্কে স্যাটিসফাইড না।যা চাই তা তুমি দিতে পারোনি আমাকে।ভেবেছিলাম সম্পর্কের সাথে সাথে সব ঠিক হবে।বাট আই ওয়াজ রং।তোমার মতো মেয়ে আমার জন্য না।আমি আরো ভালো কিছু ডিজার্ভ করি।তুমি চলে যাও।এরপর থেকে আর কখনো আমার সামনে আসবেনা।গেট আউট।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী কাঁদতে শুরু করেছে।প্লিজ এভাবে বলোনা।আমি সত্যি নিজেকে চেঞ্জ করবো, বলো তুমি কি চাও?সব দিবো আমি।প্লিজ রোয়েন।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।
আমি আমার আগের লাইফটা চাই।দিতে পারবে?বলো পারবে দিতে?সারারাত ভরে কথা বলতে বলতে বোরিং আমি।তোমার কারনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমি সেটার ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে?পারবেনা।সো প্লিজ চলে যাও।আমাকে আর কখনো কল দিবেনা।আমার সামনে আসবেনা।রুহী কাঁদতে কাঁদতে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরতে যাবে ঠিক তখনই রোয়েন ওর হাত শক্ত করে ধরে রাস্তায় নিয়ে এলো।যাও!!ধমক দিয়ে কথাটি বলে ঘরে ঢুকে গেলো রোয়েন।
চলবে