Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 27
ফোন রেখে প্রিন্সিপ্যালের সাথে হাত মিলালো বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।রাতে চোখ লাগতেই খাটে কেমন যেন ঝাঁকুনি অনূভব হয় রুহীর।আজ রুপন্তী ওর পাশে ঘুমায়নি।দুই বোনে আজ তুৃুমুল ঝগড়া বেঁধেছিলো, যার পরিনতিতে রুপন্তী নিজের রুমে চলে গেছে।চোখ বুজে পাশে হাতড়াচ্ছে রুহী।হঠাৎ কারোর লোমশ বুকে হাত লাগতেই ছ্যাঁত করে উঠলো বুকখানা।কারোর গরম নিশ্বাস ওর কাঁধে পড়ছে।সেই চিরচেনা অনুভূতি,সেই শরীরের মনমাতানো ঘ্রান।রুহী নিজের হাতখানাকে সেই লোমশ বুকে বিচরন করাচ্ছে।তুমি এখানে?চোখ বুজে বলল রুহী।রুহীর গলা জড়িয়ে ওর গালে ঠোঁট ঠেঁকালো রোয়েন।I need you,Can i have you right now?নেশাধরানো কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।রুহী বড় নিশ্বাস নিয়ে রোয়েনের মাথার পিছনে হাত রেখে নিজের কাছে টেনে আনলো।রুহীর গালে চুমো খেতে রুহীর গায়ের ওপর থেকে কাঁথা সরিয়ে দিয়ে নিজের ভরটুকু রুহীর ওপর ছেড়ে দিলো রোয়েন।রুহীর ভালোবাসার মাতালতায় ভরা রোয়েন।রুহীর গলায় ঠোঁট বুলাতে বুলাতে একহাতে রুহীর শার্টের বোতাম খুলছে।রুহী আজ আটকাতে চায়না রোয়েনকে।রোয়েনের ভালবাসার গভীরতায় ডুব দিতে চায়।রুহীর গলার খাঁজে ঠোঁট বুলিয়ে বুকের একপাশের লাল তিলটায় চুমো একেঁ দিলো রোয়েন।
রুহী চোখ বুজে বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে সুখগুলোকে জানান দিচ্ছে। রুহীর ঠোঁটের দিকে এগিয়ে এসে আলতো করে দুতিনটে চুমুদিয়ে গভীরচুম্বনে লিপ্ত হলো ওরা।
বেশকিছুক্ষন পর রুহীর থেকে সরে এসে ওকে বুকে টেনে নিলো রোয়েন।সুখের স্বপ্নের ভাঙ্গনে চোখ খুলে তাকায় রুহী।রোয়েনের শার্টের ওপর বেশখানিকটা বোতাম খোলা।সেখানেই মাথা দিয়ে রেখেছে রুহী।উফ কি যে লোভ হচ্ছে রুহীর।রোয়েনের বুকে ঠোঁটের ছোঁয়া দিতে লাগলো রুহী।রোয়েন চোখ বুজে রুহীকে শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে।কিছুক্ষন পর রুহী রোয়েনের বুকে মাথা রাখে।থেমে গেলে কেন?যা করছিলে বন্ধ করলে কেন?বলেই লজ্জায় লাল হয়ে গেলো রুহী।রুহীর কথায় বেশখানিকটা অবাক হয় রোয়েন।একটা মেয়ের কাছে নিজের ইজ্জত টা সবচেয়ে বড়।এতো সহজে তারা সেটা খোঁয়াতে চায়না।তারওপর বিয়ের আগে তো নাইই।কিন্তু এই মেয়েতো?? দুঃখের মাঝে ও হাসি পাচ্ছে রোয়েনের।যতো প্রিয়মানুষ হোকনা কেন নিজের ইজ্জতটাই সবচেয়ে বড়।কথা গুলি ভাবতে থাকে রোয়েন।
কি করে ভাবলে তোমার সাথে আমি সে গুলো করবো?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
তখন তো বলছিলে বলেই মাথা নোয়ালো রুহী।
রুহী পাগল তুমি?এতো সহজে কি করে রাজি হলে?দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
ভালবাসি তাই।আস্তে করে বলল রুহী।
ভালোবাসি কথায় রোয়েনের মনে সুখের হাওয়া বইতে লাগলো।মুখে হাসি এনে বলল তোমাকে চাই তবে বিয়ের পর যখন আমার কোব্রা কিংডমের রানী বানাবো তখন।বলেই রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁয়ালো রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের বুকে মুখ গুঁজে দিলো।
পরদিন সকাল খুব ভোরে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী আবার বালিশে এসে ঘুমিয়ে পড়লো।সেদিন বিকেলে রুহী আর রুপন্তীকে নিয়ে বেশ কিছু শীতের পোষাক কিনে দিলো রোয়েন।এসময় ভিয়েনায় ভীষন শীত পড়ে।রোয়েন ওদের তিনজনের ভিসার ব্যাবস্থা করতে থাকে।
রুপন্তীর কিছুই ভালো লাগেনা।নিজের ওপর ভীষন রাগ হচ্ছে ওর।কি করে পারলো রেহানকে এভাবে কথা গুলো শুনাতে?রেহানের তো কোন দোষ ছিলোনা তারপর ও যা না তা শুনিয়ে দিয়েছিলো।প্রত্যেক দিনই রেহানকেই ভাবে রুপন্তী।এভাবে বেশ কিছুদিন কেঁটে যায়।ওদের ভিসা চলে আসে। রোয়েন পরদিন রাতের জন্য টিকিট কাঁটিয়ে নিলো।রুহী রুপন্তীকে নিয়ে এক বান্ধুবীর বাসায় রাত কাঁটাবে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।নিচে আসতেই ওরা রোয়েনের গাড়ি দেখতে পেলো।রুপন্তী পিছনের সিটে বসলো।রুহী পিছনের সিটে বসতে যাবে তখনই রোয়েন বলল আমার পাশে সাপ নেই বলেই লুকিং গ্লাস দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে রুহীর দিকে তাকালো।রুপন্তী ইশারা করলো রুহীকে সামনে বসার জন্য।রুহী চুপচাপ রোয়েনের পাশের সিটে বসে পড়লো।আঁধার পথ ধরে গাড়ি চলছে।রুপন্তী আর রুহী অনবরত গল্প করেই চলছে।রোয়েন নিজের মতোই গাড়ি চালাচ্ছে আর রুহীকে দেখে নিচ্ছে মাঝে মাঝে।ঘরে পৌছে রুপন্তী ওর রুমে চলে গেলো।রুহী রুমে ঢুকেই দেখলো রোয়েন খাটের মাঝে পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে।
এখানে কেন?হালকা হেসে প্রশ্ন করলো রুহী।
আজ প্রথম তোমার রুমে এসে থাকছিনা।বলে উঠলো রোয়েন।
আমি তোমার সাথে কিছু করতে পারি।ভয় লাগছেনা?
ঠোঁটে বাঁকা হাসি টেনে আনলো রোয়েন।কিছু করবে তুমি?কি করতে পারো আমি ও দেখতে চাই।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী অপেক্ষা না করে রোয়েনের ওপর আধশোয়া হয়ে রোয়েনের গলায় মুখ ডুবালো।গলা থেকে সরে এসে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।
এটুকুই করতে পারো?অন্য সময় তো দেখি রোম্যান্সের জন্য পাগল হয়ে যাও।কিন্তু আজ জাস্ট গলায়?এনি থিং রং রুহী?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
রোয়েনের বুকে মাথা রাখলো রুহী।না বাট আজ টায়ার্ড লাগছে।বলে উঠলো রুহী।
ইটস ওকে।রুহীকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো রোয়েন।
পরদিন রাতে বেরিয়ে পড়লো ওরা।দীর্ঘ দুইদিনের জার্নির পর ভিয়েনায় পৌছে গেলো ওরা।রেহানের বাসায় পৌছুতে বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে এলো।দরজায় কলিংবেল বাজায় রোয়েন।রুহী আর রুপন্তী ঠান্ডায় জড়োসড়ো হয়ে আছে।এতো সুয়েটার কানটুপি পরার পরও এদের এ অবস্থা।ভীষন হাসি পাচ্ছে রোয়েনের।কিছুক্ষন পর একটা মেয়ে এসে দরজা খুলল।
Hallo???মেয়েটি বলে উঠলো।দেখতে বেশ ফর্সা নীল চোখ গোলাপি গাল ভীষন সুন্দরী।রুপন্তী আর রুহী মেয়েটাকে দেখছে। ওদের চোখ সরছে না মেয়েটার ওপর থেকে।রুপন্তীর মাথায় চলছে যন্য কিছু।রেহানের বাসায় এতো সুন্দরী এই মেয়ে কি করছে?রেহান কি তাহলে অন্য মেয়েকে ভালোবা,,,,,,,না না এমন হতে পারেনা।ভাবতে থাকে রুপন্তী।
Hallo.Ich möchte mich treffen Rehan(রেহানের সাথে দেখা করতে চাই).বলে উঠলো রোয়েন।বেশ কয়েক বছর অস্ট্রিয়ায় থাকার কারনে ভাষা বেশ ভালো মতো রপ্ত হয়েছে ওর।
রুহী রোয়েনের দিকে অবাক চোখে চেয়ে আছে।
কি বলছে রোয়েন এসব?কিছুই বুঝতে পারছেনা ওরা দুই বোন।
Ich rufe ihn an(ওকে স্যার।ওনাকে ডেকে পাঠাচ্ছি)
বলে মেয়েটি চলে গেলো।রোয়েন রুহী আর রুপন্তী কে নিয়ে ভিতরে এসে বসলো।
সার্ভেন্টের ডাকে ল্যাপটপ অফ করে সিড়ির কাছে আসে রেহান।ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠলো রেহানের।নিচে নেমে এলো ও।রোয়েনের সাথে কোলাকুলি করে সোফায় এসে বসলো।
ভাইয়া চলে এলেন যে এভাবে?বলে উঠলো রুহী।
রুপন্তীর দিকে আড়চোখে তাকালো রেহান।তারপর বলল অফিসের কাজ ছিলো।তাই এসে পড়েছি।
ওহ।(রুহী)
চলবে