Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 26

কলেজে একটা ছেলে খুব বিরক্ত করছে।আজেবাজে কথা বলে, গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করে,খুব বাজে ইঙ্গিত করে আপি।আর ঐদিন তো সব লিমিট ক্রস করে ফেলেছিলো।বলেই জোরে কেঁদে দিলো রুপন্তী।বোনের মাথায় হাত রাখলো রুহী।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে রুপন্তীকে দেখছে।দেখো রুপন্তী পুরোটা না বললে কেমন করে বুঝবো।জানি কষ্ট হচ্ছে,কিন্তু পুরোটা বলো।বলে উঠলো রোয়েন।রুপন্তী কিছুটা সামলে নিয়ে বলতে লাগলো।কলেজ থেকে ফিরছিলাম তখন আমার উড়না টেনে খুলে ফেলে,আমাকে জড়িয়ে ধরে পুরো কলেজের সামনে উড়না ধরে ঘুরিয়েছে।বলেই রুহীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো রুপন্তী।রুহীর চোখ ভরে এসেছে।জ্বলজ্বল চোখে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।রোয়েন রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।কপালের রগ ফুলে উঠেছে।রুপন্তী আগে বলো নি কেন এসব?তোমাদের চুপ থাকার তারা তোমাদের অসহায় ভাবে,বাসায় এসে কিছু বলবানা আর চুপচাপ ওদের অত্যাচার গুলো সহ্য করবা।আরেকদিন যখন সকল লিমিট ক্রস করবে তখনকার পরিনতি কি হবে?কখনো ভেবে দেখেছো?ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।সরি জিজু,মাথা নিচু করে বলল রুপন্তী।লিসেন কাল তোমাকে আমি কলেজে নিয়ে যাবো।এরপর থেকে আর কোন সমস্যা হবেনা।বলে উঠলো রোয়েন।
জি ভাইয়া।
হসপিটালে ওয়েটিং রুমে বসে আছে রোয়েন।ওর সিরিয়াল নাম্বার ৫০এখন ৪০চলছে।পকেট থেকে ফোন বের করে কিছুক্ষন কথা বলে আবার ও চুপচাপ বসে রইলো।কিছুক্ষন পর রোয়েনের ডাক পড়লো।রোয়েন উঠে ডাতারের রুমে ঢুকার সময় দরজায় নেমপ্লেটের দিকে চোখ পড়ে রোয়েনের।ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন।বুকটা ধক করে উঠে রোয়েনের।কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে ভিতরে ঢুকলো রোয়েন।সাজ্জাদ মাথা নিচু করে ফাইল দেখছে।দরজার শব্দ পেয়ে মাথা তুলে তাকালেন সাজ্জাদ হোসেন।সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেলেন ডাক্তার।কারোর মুখে কোন কথা নেই।সাজ্জাদের ভেজা চোখজোড়া দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো এতো বছর পর বেস্টফ্রেন্ড কে দেখে কতোটা খুশি তার থেকে ও বেশি কষ্ট লাগা কাজ করছে।কারন ৭ বছর আগে যখন শুনেছিলো রোয়েন মারা গেছে সেই বন্ধু আজ ওর সামনে।রোয়েনের কাপড় দেখে বুঝেই গেছে সে কি?
,
,
,
,
সাজ্জাদ চিনেছিস?রোয়েন বলে উঠলো।সাজ্জাদ দৌড়ে এসে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।দোস্ত তুই আছিস ভেবেই কি যে শান্তি লাগছে বলার মতো না।রোয়েন ও বন্ধুকে জড়িয়ে ধরেছে।আমি ঠিক আছি।তুই যে ফ্লাইটে বাংলাদেশে এসেছিলি শুনেছিলাম সেটা নাকি এ্যাক্সিডেন্ট করেছিলো।খবর পেলাম সকল প্যাসেঞ্জাররাই নাকি মারা গিয়েছিলো।আরে গাঁধা আমাদের টা না আরেকটা এ্যাক্সিডেন্ট করেছিলো।আল্লাহর লাখ লাখ শোকর।এসে বস দোস্ত।কি খাবি?রোয়েনের হাত ধরে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো সাজ্জাদ।কিছু খাবোনা একটা কাজে এসেছিলাম।বলে উঠলো রোয়েন।কাজের কথা পরে হবে আগে বল কি খাবি?বলে।উঠলো সাজ্জাদ।কফি।বলে উঠলো রোয়েন।ওকে(সাজ্জাদ)।ফোন করে কফি পাঠাতে বলে আবার ও রোয়েনের সামনে এসে বসলো সাজ্জাদ।কোন হাসপাতালে আছিস?জিজ্ঞেস করে উঠলো সাজ্জাদ।
মাথা নাড়লো রোয়েন।ডাক্তারি পেশায় নেই আমি।কোব্রা টিমের লিডার আমি।সাজ্জাদ কিছুটা ভয় পেয়ে ও সামলে নিলো নিজেকে।দোস্ত রাতের পর রাত জেগে এতো পড়াশুনা করে মাফিয়া হলি কেন?প্রশ্ন করে উঠলো সাজ্জাদ।কারন আছে বাট আই কান্ট এক্সপ্লেইন নাউ।বলেই মাথা নিচু করলো রোয়েন।চোখ জোড়া জ্বলছে।আমার কাছে কিছু আছে তোর জন্য।বলে উঠে পড়লো সাজ্জাদ।
রোয়েনের সামনে সাজ্জাদ ওদের রেজাল্ট রোয়েনের সার্টিফিকেট ধরলো।জানিস চার্লস স্যার কি বলছিলো তোর রেজাল্ট দেয়ার সময়?জ্বলজ্বলে চোখে বলল সাজ্জাদ।কি বলল?রেজাল্ট আর সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।Royen is ideal for all medical students.শালা তিনটা ডিপার্টমেন্ট মিলিয়ে ফাস্ট হয়েছিস।হাসি মুখে বলে উঠলো সাজ্জাদ।রোয়েন জ্বলজ্বল চোখে রেজাল্ট দেখছে।
বড় সামলে রেখেছিলাম এগুলোকে।জানের বন্ধুকে পেয়ে যাবো এভাবে ভাবিইনি।রোয়েন সার্টিফিকেট বুকে জড়িয়ে রাখলো।
,
,
,
,
সামনের মাসে রিউনিয়ন আছে।না করবিনা আসতে হবে।বলে উঠলো সাজ্জাদ।
হুম আসবো বলে উঠলো রোয়েন।বিয়ে করেছিস?জিজ্ঞেস করে উঠলো সাজ্জাদ।
নাহ তবে খুব জলদি করবো।বলে উঠলো রোয়েন।পাত্রী দেখেছিস?হেসে প্রশ্ন করলো সাজ্জাদ।মাথা ঝাঁকালো রোয়েন।ভাবি কে দেখবো।বলে উঠলো সাজ্জাদ।হুম দেখাবো।তুই বিয়ে করেছিস?(রোয়েন)
হুম দুই বাচ্চার বাপ ও হয়েছি।বলেই হেসে দিলো সাজ্জাদ।ভাবি কি করে রোয়েন?
অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়ছে।বলে উঠলো রোয়েন।ওহ ভালো(সাজ্জাদ)।
আচ্ছা কাজের কথা বল।কি হয়েছে।কফিতে চুমুক দিয়ে বলল সাজ্জাদ।রোয়েন কফি রেখে কিছু কাগজ পত্র সাজ্জাদের সামনে রাখলো।আমার মাকে পেয়েছি।যে এখন বর্তমানে আমার ফিয়্যান্সে আই মিন রুহীর মামী।ওনার সম্বন্ধে বেশ কিছু খবর জোগাড় করেছি।বুঝতে পারলাম মায়ের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে।স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনার উপায় নেই?একনাগাড়ে বলে উঠলো রোয়েন।কাগজ গুলো মন দিয়ে দেখে রোয়েনের দিকে তাকালো সাজ্জাদ। দেখ দোস্ত আন্টির প্রবলেম টা ভেরি ক্রিটিকাল।ওনার আগের কোন স্মৃতি ওনার মনেই নেই।যদি মনে করানোর চেষ্টা করা হয় তবে ওনাকে বাঁচানো যাবেনা।রোয়েনের বুক ধক করে উঠলো।খুব কষ্টে মাকে পেয়েছে ও।হারাতে চায়না।অস্ট্রিয়া তে যে হসপিটালে আন্টি এডমিট ছিলো তুই সেখানে চলে যা।হয়ত ওনারা কোন উপায় বের করতে পারবেন।বলে উঠলো সাজ্জাদ।মাথা ঝাঁকালো রোয়েন।কফি শেষ করে বেরিয়ে এলো।অস্ট্রিয়া যাবে রোয়েন।মাকে চায় সে।
,
,
,
,
রুহী আর রোয়েন ভিডিও কলে কথা বলছে।
বাবা মানবেননা।মন খারাপ করে বলল রুহী।কেন মানবেনা? আমার কথা বলবা।পরে কোন কাজ না হলে তোমার প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলিয়ে দেবো।বলে উঠলো রোয়েন।দেখো ঐখানে গেলে অন্তত রেহানকে রুপন্তী মানাতে পারবে।ওদের প্রবলেম টা সল্ভ হবে।বুঝতে পারছো রুহী?বলে উঠলো রোয়েন।হুম।বলল রুহী।কাল তোমার বাবাকে বলো কলেজে ক্যাম্পে যাবে তোমরা দুইবোন।বাকিটা আমি সামলাবো।বলে উঠলো রোয়েন।হুম। বলেই মুচকি হাসলো রুহী।সারারাত ভরে মিষ্টি প্রেম চলল ওদের।
সকালে রুপন্তী কে নিয়ে কলেজে এলো রোয়েন।রুপন্তী গেটের সামনে যেতেই ছেলেটি রুপন্তীর হাত ধরে টান দিতেই রুপন্তী নিজের হাত ছাড়িয়ে চলে গেলো ভিতরে।গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো রোয়েন।ছেলেটার শার্টের কলার টেনে ধরলো।বেচারা ভয়ে জান যায় যায় অবস্থা।নিজের আস্তানায় নিয়ে এলো ছেলেটাকে।সেখানে ইচ্ছেমতো মারধর করলো ছেলেটাকে।ছেলেটার দুটো হাত নিজের হাতে কেঁটে দিলো রোয়েন।ছেলেটার নিথর দেহ পড়ে আছে রোয়েনের সামনে।রোয়েনের সারা মুখ রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে।দরজায় নক পড়তেই কেউ বলল ভিতরে আসো।রুহী ভিতরে ঢুকলো।দরজার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলেন আজিজ রায়হান কিরে মা কিছু বলবি?জিজ্ঞেস করলেন আজিজ রায়হান।
জি বাবা।বলছিলাম কি কলেজ ক্যাম্পেইন আছে।আমাকে আর রুপন্তীকে যেতে হবে।বলে উঠলো রুহী।কতো দিন?বলে উঠলেন আজিজ রায়হান
১৭ দিন বাবা।বলে উঠলো রুহী।না মা এভাবে একা পাঠাবোনা তোদের।বাবা প্লিজ সবাই যাবে।বলে উঠলো রুহী।না রুহী এমন করিসনা।একা পাঠাবোনা।রুহী প্রিন্সিপ্যালের নম্বরে কল করতেই রিসিভ হলো।হ্যালো স্যার!!!
হুম বলো।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী কি বলবে বুঝতে পারছেনা।
তোমার বাবাকে ফোন দাও।প্রিন্সিপ্যালের সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি।বলে উঠলো রোয়েন।জি,বাবা স্যারের সাথে কথা বলো।আজিজ রায়হান বেশকিছুক্ষন কথা বলে রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো।শোন দুষ্টুমি করবিনা তোরা।টিচারের সাথে থাকবি।অন্য কোনদিক যাবিনা।বুঝলি?বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
ঠিক আছে বাবা।ফোন হাতে নিয়ে রুমে চলে এলো রুহী।
চলবে