Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 19
উফ আপি দেখেনা রেহান ভাইয়া কি করছে?চিৎকার করতে করতে রুহীর রুমে আসলো রুপন্তী।আর পিছে পিছে রেহান।বেচারা হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে।বেচারী রুপন্তীর চুলগুলো আউলা ঝাউলা হয়ে আছে।রুহী অবাক চোখে রেহান আর রুপন্তী কে দেখছে।
আচ্ছা কি হয়েছে জানতে পারি?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
আপি খালি বিরক্ত করে।ভালো লাগেনা। বড় মামাকে বলে দিবো কিন্তু।রাগে চিৎকার করে কথা গুলো বলছিলো রুপন্তী।আরে পাগল তুই।এতো রাগলে বিয়ের পর কি করবি?ইস আমার তো বেচারা তোর জামাইটার জন্য টেনশন হচ্ছে।বেচারা শেষমেষ একটা পাগল বৌ পাবে। আহারে!!!বলেই হাসিতে ফেঁটে পড়লো রেহান।সাথে রুহী ও হেসে দিলো।রুপন্তী রাগী চোখে রেহান তারপর রুহীর দিকে তাকাচ্ছে।শেষমেষ বোনটাও এই পাগলের দলে চলে গেলো?ভাবতেই বুক ফেঁটে কান্না আসছে রুপন্তীর।
কেঁদেই দিবে এমন অবস্থা ঠিক তখনই রায়না রহমানের উপস্থিতি।আরে আরে রুপন্তী মামনি কি হয়েছে তোর?জিজ্ঞেস করে উঠলেন রায়না রহমান।মামী!!!! রায়না রহমান কে জড়িয়ে কেঁদে দিলো রুপন্তী।ভাইয়া কে কিছু বলোনা?শুধু বিরক্ত করে।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুপন্তী।রেহান আমার মেয়েটার আশেপাশে তোকে দেখলে তোর খবর আছে শয়তান ছেলে।
রেহান কে ধমকাতে লাগলেন রায়না রহমান।আরে মাম্মী তোমার মেয়ে আস্ত পাগল সেটা বুঝোনা?বলে উঠলো রেহান।মামী!!!!!কেঁদে উঠলো রুপন্তী।
তা আজিজ রোয়েনের সাথে দেখা করাবেনা?আমরাও দেখতে চাই আমাদের কোব্রা কিং কে।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।হুম আসতে বলবো।ভীষন ব্যাস্ত মানুষ ওনি।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
হুম।মুচকি হেসে শব্দ করলেন সাইফ রহমান।
পরদিন দুপুরে রোয়েন বলেছে আসবে।বাসায় রান্না বান্না হচ্ছে।রুহী আনিলা বেগমের কাজে একটু আধটু সাহায্য করছে।সাইফ রহমান আর তার পরিবার রোয়েনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।আজিজ রায়হানের মুখে রোয়েনের কথা শুনে ওনাদের বেশ পছন্দ হয়েছে।তাই কোব্রা কিংকে সরাসরি দেখতে চায় তারা।ঠিক সময়ে কালো চকচকে গাড়িটা এসে উপস্থিত আজিজ রায়হানের ম্যানসনের সামনে।
রুহী দৌড়ে জানালার কাছে এসে দাঁড়ালো।ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি টেনে আনলো রুহী।
একজন বডিগার্ড গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ির দরজা খুলে দিলো।ব্লাক লম্বা কোট, ব্ল্যাক ডেনিম প্যান্ট,সানগ্লাস আর সেই মনমাতানো কিলার লুক।কলিংবেল বাজতেই আজিজ রায়হান দরজা খুলে দিলেন।সাথে আছে সাইফ রহমান আর রেহান।আজিজ রায়হান রোয়েনকে সোফায় এনে বসালেন।স্যার ওনি তোমার আন্টির ভাই রুহীর মামা আর ও রেহান ওনাদের ছেলে।সাইফ রহমানের সাথে পরিচিত হলো রোয়েন।রেহানকে দেখা মুহূর্তেই দুজনে হেঁটে একে অপরের কাছে চলে এলো।যেন কোন অদৃশ্য টান।রোয়েন কিছু না বলে রেহানকে জড়িয়ে ধরলো।
রোয়েনের বাহুডোরে বন্দী রেহান।ভাইয়া!!ভাইয়া বলতে পারি আপনাকে?বলে উঠলো রেহান।হুম রেহানকে জড়িয়ে বলে উঠলো রোয়েন।রেহান কে ছেড়ে সরে আসলো রোয়েন।কি খবর রেহান?রেহানের মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
ভালো ভাইয়া।আপনার কি খবর?ভালো বলেই সিড়ির দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।দুষ্টু মিষ্টি রুহী দাঁড়িয়ে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট টাকে কিসের মতো করে রেখেছে।হালকা গলা পরিষ্কার করে রাগী চোখে তাকালো রুহীর দিকে রোয়েন।রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে সাইফ রহমানের দিকে তাকালো রোয়েন।মামী কই?বলে উঠলো রোয়েন।তোমার মামী গোসলে গেলো।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।সোফায় এসে বসলো রোয়েন।সবার সাথে কথা বলার মাঝেই ফোনে মেসেজ টোন বেজে উঠলো।
রুমে দেখতে চাই ইন থ্রি মিনিটস।ইটস মাই অর্ডার।মেসেজ দেখে আড় চোখে রুহীর রুমের দিকে তাকালো রোয়েন।সময়ের ব্যাপারে বেশ সতর্ক রোয়েন।তবে এই মেয়ে কেন ডাকছে এভাবে ঠিক বুঝতে পারছেনা রোয়েন।ওয়াশরুমে যেতে চাই বলে উঠলো রোয়েন।হুম যান স্যার, বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
রোয়েন উঠে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো।রুহীর সামনে দাঁড়িয়ে বড় একটি নিশ্বাস টেনে নিলো রোয়েন।ভিতরে ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে কে জানে।সাত পাঁচ ভেবেই দরজা খুলে দিলো রোয়েন।ভিতরে জানালার বাহির থেকে আলো এসে পড়েছে একখানা মসৃন সাদা পিঠের ওপর।কাঁধের ওকর কালো তিলটা যেন রোয়েনকে ডাকছে।রোয়েন রুমের ভিতর ঢুকে দরজার সামনে দাঁড়ালো।পিঠের ওপর কোঁকড়া লম্বা চুল গুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে সামনে ফিরে দাঁড়ালো রুহী।কালো একটি শাড়ী পরে আছে ও।সাথে কালো স্লিভ লেস ব্লাউজ আর লম্বা খোলা চুল।উফ রোয়েন যেন স্বয়ং নিজের ডার্ক কুইনকে দেখতে পাচ্ছে।রুহীর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠেছে।রুহী!!!!এসব কি?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।রুহী কিছু না বলে রোয়েনের সামনে এসে দাঁড়ালো।কেমন লাগছে আমায়?মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করলো রুহী।রুহীর চুলের ভিতর হাত ঢুকিয়ে ওর কাঁধ স্পর্শ করলো রোয়েন।রুহী চোখ বুঁজে রোয়েনের স্পর্শগুলো উপভোগ করছে।রুহী রোয়েনের হাত সরিয়ে খাটে এসে শুয়ে পড়লো।রোয়েন ধীর পায়ে এগিয়ে এসে রুহীর ওপর আধশোয়া হয়ে ওর গলায় মুখ ডুবালো।রুহীর নিশ্বাস ভারি হচ্ছে।রোয়েনের স্পর্শগুলো ওকে মাতালতায় ভরে দিচ্ছে।রোয়েন মাথা উঠিয়ে রুহীর রসালো ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবালো।রুহীর ঠোঁটে পরম আবেশে প্রবেশ করছে রোয়েনের ঠোঁট।
রোয়েনের কালো কোট খামচে ধরেছে রুহী।এভাবে বেশ কিছুক্ষন গভীর চুম্বনপর পর রুহীর পেটের কাছে নেমে এলো রোয়েন।পেটের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে সেখানে ঠোঁট বুলাতে লাগলো রোয়েন।রুহীর পেট থেকে মুখ উঠালো রোয়েন।রুহী চোখ বুজে সুখের সাগরে সাঁতার কাটছে।জানো একসময়ে এখানে ছোট্ট একটা রুহী আসবে যে আমাকে বাবাই বলে ডাকবে।মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুঁটিয়ে বলল রোয়েন।রোয়েনের কথায় রুহীর চোখ আনন্দে ভেসে উঠেছে।অবশ্যই আসবে, কথাটা মনে মনে বলল রুহী।
রোয়েন উঠে বসে রুহীর পায়ে একটা নুপুর পরিয়ে দিয়ে সেখানে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো।রুহী উঠে বসে রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরলো।
রোয়েন ও আষ্টেপৃষ্ঠে ওর মায়াবতীকে বুকে জড়ালো।রুহী আমাকে যেতে হবে।সবাই খারাপ ভাবছে বলে উঠলো রোয়েন।রুহী সরে এলো রোয়েনের কাছ থেকে।
রোয়েন রুহীর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
রোয়েন সোফায় এসে সাইফ রহমানের পাশে বসলেন।বেশ ভালোই জমে উঠেছে তাদের।রেহান ও বেশ ফ্রেন্ডলি আচরন করছে রোয়েনের সাথে।সাইফ রহমান ফোনে কথা বলার ফাঁকে উঠে চলে যেতেই রেহান রোয়েনের পাশে এসে বসলো।ভাইয়া একটা কথা বলতে পারি?মুখে দুষ্টু হাসি এনে বলল রেহান।প্লিজ!!! বলে উঠলো রোয়েন।
ওয়াশরুমে এতক্ষন কি করলেন?এক গাল হেসে বলল রেহান।
হোয়াট ননসেন্স!!!তুমি কি করো ওয়াশরুমে গিয়ে?মুহূর্তের মাঝেই মুখ কঠিন হয়ে এলো রোয়েনের।
আরে ভাইয়া আমি তো জাস্ট এমনি জিজ্ঞেস করছিলাম সিম্পলি।কিছুটা ভয় পেয়ে সরে গেলো রেহান।
দূর থেকে রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে দুষ্টুমি হাসি দিচ্ছে।রোয়েন চোখ রাঙ্গাতেই ভেঁংচি কেঁটে সডে গেলো।
ঐতো মা আসছে!!রেহান বলে উঠলো।ফোনে ব্যাস্ত থাকা রোয়েন পাশে তাকাতেই!!!
চলবে