Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 103 (Last-Part)

আরাভ কে কোলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে রুহী।আরাবী কে নিয়ে মা গেছে পাশের ফ্ল্যাটে।আরাভ টা ও খুব কাঁদছে।ওর কান্না কোন ভাবেই থামাতে পারছেনা রুহী।তাই আরাভ কে নিয়ে হাঁটার জন্য বের হলো রুহী।ঘরটাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।ফুলের মোঁ মোঁ গন্ধে রুহীর মন প্রান জুড়ে যাচ্ছে।গুন গুন করে গান করছে আর বাবুকে বুকের সাথে লাগিয়ে রেখে হাঁটছে।হঠাৎ হাঁটার মাঝেই রোয়েনকে দেখতে পায় রুহী।সেদিকে যেতে নিবে ঠিক তখনই রুহীর ডাক পড়ে মেয়েলি এক কন্ঠে।রুহী পিছনে তাকিয়ে ওর সারামুখজুড়ে হাসি ফুঁটে উঠে।তানহা আজিম রুহীর কাছে এগিয়ে আসে।কেমন আছেন আন্টি?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।এই তো মামনি ভালো।তোমার ছেলে তাইনা?দেখো মায়ের কোলে কেমন আরাম করে শুয়ে আছে।একনাগাড়ে বলেন তানহা আজিম।রুহী হেসে ছেলের কপালে চুমু দেয়।
দেখি তো আমার কোলে দাও তো।রুহী আরাভ কে তানহা আজিমের কোলে দিতেই আরাভ কেঁদে উঠলো সজোরে।আরে না রুহী দিও না আমার কোলে।তোমার ছেলের এই আপুটাকে পছন্দ হয়নি।আদুরে কন্ঠে বলেন তানহা আজিম।কিছুক্ষন থাকলে চেনা হয়ে গেলেই কোলে উঠবে আপনার।বলে উঠে রুহী।ছেলেটা কিন্তু খুব সুন্দর।ঠিক তোমার হাসবেন্ডের মতো হচ্ছে।রুহী হেসে ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল সবাই বলে ওর বাবার মতো হচ্ছে।হুম।তা মেয়ে কোথায় রুহী?জিজ্ঞেস করেন তানহা আজিম।শাশুড়ীর আম্মুর সাথে পাশের বাসায় গেলো।বলে উঠে রুহী।ওহ ভালো।চলো কোথাও বসি তোমার ও হয়ত কষ্ট হচ্ছে।বলে উঠেন তানহা আজিম।জি চলুন।তানহা আজিমের সাথে নিজের রুমে চলে যায় রুহী।রুহী জানতে পারলো নেক্সট মান্থ তানহা আজিম দুবাই যাচ্ছেন।একেবারে সেটেল হয়েই ফিরবেন।
এদিকে রুপন্তী রোয়েনকে দেখে অপ্সরাকে আড় চোখে দেখে।এই মাইয়া শেষমেষ আমার জিজুর ওপর মরতে হইলো তোরে?অপ্সরার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে রুপন্তী।কোন মতে নিজেকে সামলিয়ে রোয়েনের দিকে তাকায় ও। আরে জিজু!!!বলে রুপন্তী অপ্সরার দিকে তাকায়।জিজু ডাক শুনে অপ্সরার মুখ লজ্জায় ছোট হয়ে যায়।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে রুপন্তী আর অপ্সরার দিকে চেয়ে আছে।অপ্সরা ওনি আমার জিজু প্লাস ভাসুর মানে রুহী আপুর হাসবেন্ড।ওনাদের টুইনসের কথাই তোকে বলেছিলাম।বলে হেসে দেয় রুপন্তী।অপ্সরা খুব লজ্জা পায় না মানে আসলে সরি জিজু বলে উঠে অপ্সরা।হ্যালো অপ্সরা।বলে উঠে রোয়েন।অপ্সরা হ্যালো বলেই পিছু ফিরে দ্রুত হেঁটে রুপন্তীর রুমে চলে যায় অপ্সরা।রুপন্তী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলে সরি জিজু ও বুঝে উঠে নাই।ইটস ওকে রুপন্তী।ইট হ্যাপেনস সামটাইম।বলে সামনের দিকে হেঁটে যায় রোয়েন।
রেহান সবে উঠলো ঘুম থেকে।আজ তার বিয়ে আর বর সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠলো।কি অবাক কান্ড।ফ্রেশ হয়ে নেয় রেহান।নাস্তা করে বেরিয়ে যায়।বিকেলে রুপন্তীকে সাজাতে দুজন পার্লারের মেয়ে চলে আসে।রুপন্তীকে আজ টুকটুকে লাল রংয়ের বেনারসী পরানো হয়েছে।আয়নায় দেখে নিজেকে চিনতে পারছেনা রুপন্তী।ওকে পুরো পাল্টে দিয়েছে মেয়ে গুলো।বড় হারটা ওর পেট থেকে একটু নিচে নেমে গেছে।হাতে অনেক গুলো চিকন চুড়ির সাথে মোটা বালা ও আছে।চুল একটু কার্ল করে সাইড দিয়ে নেমে গেছে।খাটে বসে পড়লো রুপন্তী।মেয়ে গুলো ওর পায়ে আলতা পরাচ্ছে।আলতা ও নিজেই আনিয়েছে।খুব শখ ছিলো রুপন্তীর আলতা পরে বিয়ে করবে।লাল টুকটুকে আলতা আর সাদা পায়ে কি সুন্দর লাগছে তা বলার মতো না।রুহী রানী গোলাপি রং এর একটা শাড়ী পরেছে।খুব সুন্দর করে সেজেছে ছোট বোনটার বিয়ে বলে কথা।রোয়েন কালো শেরওয়ানী পরেছে।খুব সিম্পল কোন কাজ নেই।তবে এতেই দারুন লাগছে ওকে।রেহান কে অফ হোয়াইট কালারের শেরকয়ানী পরানো হয়েছে।সন্ধ্যা সাতটায় বেরিয়ে পড়লো কনভেনশন সেন্টারের উদ্দেশ্যে।খুব ভালো ভাবেই বিয়েটা সম্পন্ন হলো রুপন্তী আর রেহানের।
কিছুক্ষন পর
রেহানকে রোয়েন রুমের সামনে নিয়ে এসেছে।ভিতরে অপেক্ষা করছে রেহানের প্রান পাখি।বড় একটা নিশ্বাস নেয় রেহান।কে জানে কি করতে যাচ্ছে ও।রুমের কাছে আসতেই রেহান ভাইয়ের দিকে তাকায়।তার জড়িয়ে ধরে ভাইকে।রোয়েন অবাক রেহানের কাজে।ভাইয়া থ্যাংকস বলে উঠে রেহান।হোয়াই রেহান?ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলল রোয়েন।তুমি সেদিন বাবা আর ফুপা না বললে হয়ত এ দিনটা আসতোইনা।বলে উঠে রেহান।ধন্যবাদ দিস না ভাই যাহ আমার ছোট্ট বোনটা ওয়েট করছে।রেহান হেসে রুমে ঢুকে যায়।রোয়েন নিজের জানের কাছে চলে আসে।রুহী শাড়ী পাল্টে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিয়েছে।হঠাৎ পেটে গভীর চুমুর পরশ পেতে লাগলো রুহী।পেটের কাপড় সরিয়ে রোয়েন রুহীর পেটে চুমু দিচ্ছে।বাবুরা ঘুমিয়ে গেছে।রুহীর পুরো শরীরে কাঁপন ধরে গেছে।পেট থেকে সরে রুহীর কাছে আসে রোয়েন।রুহীর কপালে হাত স্পর্শ করায় রোয়েন।রুহী চোখ বুজে ওর ছোঁয়া উপভোগ করছে।রোয়েন রুহীর কপালে গালে ঠোঁট বুলিয়ে ওর আঁচল খুলে ওর রসালো ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়।নতুন ভাবে একে অপরকে পেতে শুরু করে ওরা।
এদিকে রেহান রুমে এসে রুপন্তীকে না পেয়ে খানিকটা চিন্তিত হয়।রেহান খাটের কাছে আসতেই পিছন থেকে কে যেন ওর বুক জড়িয়ে ধরে।রুপন্তী বড় বড় নিশ্বাস ফেলছে।রেহান রুপন্তীর হাত ধরে ওকে সামনে আনতেই রুপন্তী নিচে বসে রেহান পা ছুঁয়ে সালাম দেয়।
রেহান রুপন্তীকে উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়।রুপন্তীর মুখ সামনে এনে ধরে রেহান।কি অপরুপ ওর বৌটা।ইসস শেষমেষ ছোট্ট পুচকিটা বৌ হয়ে গেলো।বৌ!!ডাকে রেহান।হুম!!!চোখ বুজে জবাব দেয় রুপন্তী।ভালোবাসি বৌ!!!বলে রেহান।রুপন্তী তাকায় ওর চোখজোড়া বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।কিছু বলছেনা ও।পা উঁচু করে রেহানের ঠোঁটে ঠোঁট ছু্ইয়ে দিতেই রুপন্তীর কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে লাগিয়ে দেয় রেহান।রুপন্তী কে চুমু দিতে বিছানায় শুইয়ে দেয় রেহান।রুপন্তীর শাড়ীর আঁচল সরিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবায় ও।আজ এই ভালোবাসার তো শেষ হবার নয়।আজীবন বেঁচে থাকুক ভালোবাসা গুলো।এই নিস্তব্ধ পরিবেশে শুধু ঘন ঘন নিশ্বাসের আওয়াজ আসছে।পুরো পরিবেশটাই যেন প্রেমে পরিপূর্ন হয়ে গেছে।
.
.
.
.
.
.
.
১৬বছর পর
নাস্তার টেবিলে বসে আছে রোয়েন।চোখে চশমা। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই নিউজ পেপারে মনযোগ দেয় রোয়েন।চোখে কিছুটা রাগ রাগ ভাব।আরে সরি সরি ভুলেই গেছিলাম।বলে রুহী টেবিলের কাছে এগিয়ে আসে।পিছন থেকে রোয়েনের গালে চুমু দেয় রুহী।সরি ভুলে গেছিলাম।কানে হাত দিয়ে বলে রুহী।তাই বলে মর্নিং কিস এখন?রুহী কেন ভুলে যাও বলতো?কিছুটা রেগে যায় রোয়েন।আধ ঘন্টাইতো লেট হলো রোয়েন বলে উঠে রুহী।শুধু আধঘন্টা মনে হচ্ছে তোমার কাছে?হাফ এন আওয়ার ইজ এ হিউজ টাইম রুহী।আরো কিছু লাগবে আমার।বলে উঠে রোয়েন।
আরো কিছু কি চাও তুমি?কথা কি ছিলো জাস্ট ওয়ান কিস।অন্য কিছুনা।বলে উঠে রুহী।
রোয়েন উঠে রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
হঠাৎ সিড়ির দিকে তাকিয়ে রুহীকে নিয়ে অন্যদিকে চলে যায় রোয়েন।সিড়ি বেয়ে নামছে আরাবী ওর পিছনে চুপচাপ নামছে আরাভ।জানিস আরাভ ক্লাশে কি হয়েছিলো?
কি হয়েছিলো?জিজ্ঞেস করে উঠে আরাভ।কালকের পার্টিতে না তোর ফ্রেন্ড জনি ধুম করে পড়ে গেছে সবার সামনে।সবার তো কি হাসি বিশ্বাস করবিনা।আমার ও খুব হাসি পাচ্ছিলো তবে হাসিনি বেচারা তো লজ্জা পেতো তাইনা?হুম।বলে আরাভ।এই হলো আরাভ আা আরাবী রুহী আর রোয়েনের প্রিন্স আর প্রিন্সেস।আরাবী খুব প্রাণোচ্ছল মেয়ে।হাসি খুশি থাকতে খুব পছন্দ করে।কিন্তু আরাভ তার উল্টো।
অধিকাংশ সময় চুপ থাকে।বেশি কথা বলেনা কখনোই।প্রচুর রাগ ওর তবে কার সাথে কেমন ব্যাবহার করতে হবে তা খুব ভালো ভাবেই জানে আরাভ।
সবাই বলে আরাভ ওর বাবার মতোই হয়েছে।একদম রোয়েনের কার্বন কপি।
আরাবী আর আরাভ নিচে এসে বাবা মাকে না পেয়ে কিছুটা অবাক হলো।আরাভ বাবাই আর মাম্মার কথা শুনেছিলি না?জিজ্ঞেস করে আরাবী।মাথা ঝাঁকায় আরাভ। হুম!!! অস্ফুট স্বরে বলল আরাভ।
রুহীর ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যাস্ত রোয়েন।রুহীকে নিজের মাঝেই জড়িয়ে রেখেছে রোয়েন।
রোয়েন কে সরায় রুহী।ওদের খাওয়া দিতে হবে রোয়েন।বলে উঠে রুহী।রোয়েন চুপচাপ রুহীকে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসে।
আরাভ আরাবী টেবিলে বসে আছে।রুহী আর রোয়েনকে দেখে ওরা বলল গুড মর্নিং বাবাই মাম্মা।রুহী ছেলে মেয়ের মাথা ঠোঁট ছোঁয়ায়।গুড মর্নিং আরাভ আরাবী।রোয়েন ওদের সামনে বসলো।আরাবী খাচ্ছে আর মায়ের সাথে কথা বলছে।অপরদিকে আরাভ চুপচাপ খাচ্ছে।
ছেলের দিকে তাকায় রোয়েন আরাভ শোন!!জি বাবাই বলে উঠে আরাভ।আজ তোর এডমিশন নিতে যাওয়ার কথা না কলেজে?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
জি বাবাই যাবো।বলে উঠে আরাভ।
রোয়েন বলে জলদি কলেজে যা।ভর্তি হয়ে নিবি।কোন দরকার হলে আমায় কল দিস।ওকে বাবাই বলে উঠে কাঁধে ব্যাগ চেঁপে বেরিয়ে যায় আরাভ।
ছোট বেলায় স্কুলে সবাই ডাকতো প্রতিবন্ধী বলে।ছোট বড় সবাই প্রতিবন্ধী বলে ওর টিটকারি করতো।কখনো আওয়াজ তুলেনি ও।
বাবা বলেছে কখনো ভায়োলেন্স না হতে।ও কখনো হয়নও।বাবাই বলেছে কখনো এর ওর সাথে।মিশবিনা।ও মেশেনি।বাবাই বলেছে কখনো আশেপাশে যাতে আড্ডা দিতে না দেখে।কখনো আড্ডা দেয়নি আরাভ।
বাবার থা মেনে চললে ও মাঝে মধ্যে ও খুব খারাপ লাগে ওর।ওর কি কারোর সাথে কথা বলার শখ নেই?ফ্রেন্ড বানানোর শখ নেই?
নাহ বাবা চায়নি তাই ওর ও ফ্রেন্ড দরকার নেই।
কলেজের সামনে এসে পৌছায় আরাভ।খুব নাম করা কলেজে চান্স পেয়েছে ও।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গেটের ভিতর ঢুকে যায় রেহান।ও ঢুকতেই পাশে কিছু ছেলে মেয়ের হাসি শুনতে পায়।আড়চোখে পাশে তাকিয়ে দেখে তিনচারটা ছেলে মেয়ে ওর পা নিয়ে হাসছে।মুখ শক্ত করতেই সরে যায় ওরা।
চেহারায় রাগী ভাব নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে আরাভ।
কিছুক্ষন পর বেরিয়ে আসতেই একজনের সাথে সজোরে ধাক্কা খায় আরাভ।সামনে পেট মোটা একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে।ওনার ফাইল গুলো নিচে পড়ে গেছে।আ’ম সরি!!!নিচু হয়ে লোকটার ফাইল তুলে দেয় আরাভ।
লোকটা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।গড ব্লেস ইউ চাইল্ড।আরাভ থ্যাংকস দিয়ে বেরিয়ে আসে।
কলেজ থেকে সোজা ঘরে আসে আরাভ।বাসার সামনে নতুন জুতা দেখে কিছুটা অবাক হয় ও।দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই নানাকে দেখতে পায়।আরাভ সালাম দেয় আজিজ রায়হানকে।আজিজ রায়হান নাতিকে জড়িয়ে ধরলো।কেমন আছো নানা ভাই?জিজ্ঞেস করেন আজিজ রায়হান।এই তো নানা ভালো।বলে উঠে আরাভ।রুহী একগ্লাস জুস নিয়ে বাবার হাতে ধরিয়ে দেয়।আরাভ কাজ হলো তোর?জিজ্ঞেস করে রুহী।জি মাম্মা বলে উঠে আরাভ।তুই ফ্রেশ হয়ে নেয় বাবা।বলে উঠে রুহী।আরাভ উপরে চলে যায় দৌড়ে।
রুহী বাবার সাথে গল্প করতে শুরু করে।
সাতদিন ক্লাস করে আরাভ ওর কলেজে।ওকে নিয়ে স্যাররা ভীষন খুশি।কলেজ থেকে বের হতেই আরাভ দেখতে পায় দুতিনজন মিলে একজনকে খুব মারছে।আরাভ ভ্রু কুঁচকে সেদিকে চলে যায়।ঐদিনকার ভুড়ি ওয়ালা লোকটাকে ওর প্রিন্সিপ্যালের ছেলে আর্ভিন আর ওদের আরেকটা ক্লাশমেট আর ও একজন লোক খুব পেটাচ্ছে।
আরাভ ওনাদের থামাতে চেষ্টা করলো।তারা থামবার পাত্র নয়।লোকটাকে বেধড়ম পেটাচ্ছে।লোকটার ড্রাইভার আরাভ কে বলল স্যারের কোন দোষ নেই।এরা তিনজন একটা মেয়ে কে খুব বিরক্ত করছিলো।মেয়েটার উড়না খুলে নেয়ার চেষ্টা করছিলো।স্যার মেয়েটাকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করতেই এরা স্যার কে মারতে শুরু করে।আরাভের প্রচুর রাগ হয়। আর্ভিন বাকিদের মারতে শুরু করে আরাভ।শেষমেষ দারোয়ান এসে ওকে আটকায়।নাহলে আজ তাদের মেরেই ফেলতো আরাভ।
দারোয়ান আর্ভিন সহ বাকিদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করলো।আরাভ বাসায় ফিরে আসে।রোয়েন হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে ছেলেকে মন মরা দেখে খানিকটা অবাক হয়।রোয়েনের নিজের হাসপাতাল আছে।আরাভের পাশে বসে ছেলের হাত ধরে রোয়েন।
কি হলো বাবা মন খারাপ কেন?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
নাথিং বাবাই।আ’ম ওকে।বলে।উঠে আরাভ।পরদিন সকালে কলেজ থেকে রোয়েনের ফোনে কল আসে।কানে ফোন ধরতে প্রিন্সিপ্যাল জানালো রোয়েন যেন আজ আরাভের সাথে আসে।খানিকটা চিন্তিত হয় রোয়েন।
আরাভ কে নিয়ে কলেজে আসে রোয়েন।প্রিন্সিপ্যালের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রোয়েন আর আরাভ।ডাক্তার রোয়েন চৌধুরী।আপনার ছেলে আরাভ তাইনা?জিজ্ঞেস করেন প্রিন্সিপ্যাল। জি হ্যা আমারই ছেলে।
ও যে আস্ত গুন্ডা সেটাকি জানেন আপনি?রোয়েন তাকায় প্রিন্সিপ্যালের দিকে তারপর আরাভের দিকে তাকায়।যতোদূর জানে ছেলে খারাপ কিছু করবেনা।তারপর ও জিজ্ঞেস করে রোয়েন কি করেছে ও?
আমার ছেলে আর ও একটা ছেলে আমাদের কলেজের আর একজন ছিলো।ওরা বসে গিটার বাজিয়ে গান করছিলো।আপনার ছেলে ওদের মারতে শুরু করেছে।ওরা সবাই হাসপাতালে এডমিট।
সরি স্যার আমার আরাভ কখনোই এমন ছিলোনা।আরাভ স্যার যা বলছে সেগুলো সত্যি?ছেলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে রোয়েন।আরাভ নিচে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে জি তবে আংশিক।দেখলেন ডাক্তার আবার মিথ্যাও বলছে।বলে উঠে প্রিন্সিপ্যাল। মিথ্যা বলছিনা।বলে উঠে আরাভ।যদি এই ছেলেকে টিসি দিয়ে দেয় কি করবো ওকে নিয়ে?ভাবতে থাকে রোয়েন।আরাভ সে সরি!!!রোয়েন বলে উঠে।না বাবাই সরি বলবোনা।সেখানে আমার দোষ ছিলোনা।ওরা একটা মেয়েকে,,,,কথা শেষ করতে পারেনা আরাভ।রোয়েন বলল সে সরি আরাভ।মাথা নাড়ায় আরাভ।আমার কথা শুনো বাবাই।বলে উঠে আরাভ।রোয়েন রেগে গিয়ে বলে সে সরি আরাভ। নো বাবাই আই কান্ট।তখনই রোয়েন সজোরে ছেলের গালে চড় বসায়।আরাভ মাথা নিচু করে চলে আসে কলেজ থেকে।সেদিন বাবার সামনে কিংবা রুম থেকে বের হয়নি আরাভ।ওর ইগো খুব বেশি।হয়ত তাই কারোর সাথে কথা বলতে চাইছে না ও।রাতে রোয়েন আর রুহী পাশাপাশি বসে আছে।রাগে কটমট করছে রোয়েন।রুহী স্বামীর কাঁধে হাত রাখে।প্লিজ শান্ত হও রোয়েন।তুমি জানো আমাদের বাচ্চারা এমন না।হয়ত কিছু হয়েছিলো।আরেকটু খবর নিতে হবে।বলে উঠে রুহী।রোয়েন বলল ওকে টিসি দিলে কি করবো আমি?কই ভর্তি করাবো?কোথাও ভর্তি নিবেনা ওকে।রুহী স্বামীকে জড়িয়ে ধরলো।রুহীকে জড়িয়ে ধরে রোয়েন।এটাই একটা শান্তির জায়গা।পরদিন সকাল রুহী নাস্তা নিয়ে আরাভের রুমে আসতেই জোরে চিৎকার দিলো।রোয়েন আরাবী দৌড়ে নিচে এলো।রুহী খুব কাঁদছে।রোয়েন আরাভ কই আমার?আমার ছেলে কই?কাঁদতে থাকে রুহী।রোয়েন দ্রুত একে ওকে কল দেয় কিন্তু আরাভ কে পাওয়া যায়নি।পুলিশকে জানায় কিন্তু হদিস পাওয়া যায়নি আরাভের।
সমাপ্তি

 

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ তাবাসসুম রাইনা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *