Love Right ! Part- 25 ( Last-Part)
রাতের বেলা ইশু আর নিশু শোওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।নীল এসে টোকা দিতেই ইশু ভেতর থেকে সাড়া দিলো।
নিশু:কি হলো জান!আমাকে ছাড়া থাকতে পারছিলে না বুঝি?
নীল:কি করবো বলো?তুমি নাকি আমাকে ভেবে রাতে উল্টোপাল্টা…
নিশু:একদম উল্টোপাল্টা কথা বলবে না!(ধমক দিয়ে)
নীল:কেন জান?
নিশু ওর দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি দিয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো।নীল ইশুর দিকে তাকিয়ে বললো..তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে!
ইশু:কি?
নীল:তানিম ভাইকে তুই ভালোবাসিস?
ইশু চুপ করে আছে দেখে নীল আবার বললো..দেখ ইশু তোর মত না থাকলে আমরা কিচ্ছু করবো না।সে যেই হোক!সবার আগে আমার বোন!তারপর অন্যকিছু ভাবা যাবে।
ইশু এখনো চুপ করে আছে।
নীল:কি হলো বল?তানিম ভাইকে কি বারন করে দেবো?
নিশু কাথা থেকে মাথা উঠিয়ে বললো…আমি ভালো করেই জানি ও তানিম ভাইকে ভালোবাসে।তোমার বোনতো তোমার স্বভাব পেয়েছে বেচারাকে কষ্ট দিয়ে শান্তি পায়।
নীল:আমার কথা আলাদা!সবার কপালে তো আর তোমার মত পাগল জোটে না?
নিশু নীলের দিকে তাকিয়ে রাগী লুকে বললো..আমি পাগল?
ইশু হাসতে হাসতে বললো…এই ভাইয়া তুই জানিস না পাগলকে পাগল বললে সে রাগ করে?
নিশু:তুই পাগল তোর ভাই পাগল।
নীল হাসতে হাসতে বললো..হ্যাঁ!ওর ভাইয়ের বউও পাগল!
নিশু:অসভ্য একটা।
নিশু আবার কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো।নীল আর ইশু হাসছে ওর কান্ড দেখে।
নীল:কি রে ইশু?নিশু ঠিক বলেছে নাকি?তুই তানিম ভাইকে..
ইশু লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি বলে উঠল..আমি তোর মত নির্লজ্জ না!
নীল মুচকি হেসে ওর সামনে থেকে উঠে পড়লো।নিশুর কাছে আসতেই দেখলো কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।নীল কাথাটা সরিয়ে ওর কপালে একটা চুমু দিয়েই বেরিয়ে গেলো।নিশু পুরো শরীরে অদ্ভুত এক আনন্দের শিহরণ বয়ে গেলো।
ইশু:কি রে হাঁ করে তাকিয়ে আছিস কেন?আজকে রাতে আর ঘুম হবে?
নিশু ওর কথা শুনে লজ্জায় মুখটা নিচু করে ফেললো।
অবশেষে বড়রা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো তিনটে বিয়ে একসঙ্গেই হবে।নিশুর বাবা মা যেহেতু দেশে নেই তাই উনারা ফিরলেই বড় করে অনুষ্ঠান করা আপতত বিয়েটা সেরে ফেলা যাক।সামনে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হলো।
সেদিন রাতে বেলা নীল খাটে বসে অফিসের কাজ করছিলো এমন সময় নিশু এসে ওর সামনে দাঁড়িলো।নীল ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই বললো…কিছু বলবে?
নিশু:উহুঁ!
নীল আবার কাজে মনযোগ দিলো।কিন্তু নিশু এখনো আগের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে।নীল আবারও জিজ্ঞেস করলো কিছু বলবে কি না?
নিশু আবারও না বললো।শেষে নীল ল্যাপটপটা সামনে থেকে সরিয়ে নিশুকে টেনে ওর কোলের ওপর বসিয়ে নিশুর দুহাতের ওপর নিজের দুহাত রেখে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে বললো…কি বলবে বলো।
নিশু:না বলবো না।
নীল:কেন?(অবাক হয়ে)
নিশু:এতক্ষণ যে দাঁড়িয়েছিলাম হুঁশ ছিলো না?
নীল:তুমি না বললে আমি বুঝবো কি করে?
নিশু:কিন্তু এখন আমি কিচ্ছু বলবো না।
নীল:আচ্ছা ঠিক আছে বলা লাগবে না।যতক্ষণ না আমার নিশুপাখির রাগ কমছে ততক্ষণ আমরা এভাবেই বসে থাকবো ঠিক আছে?
নিশু নীলের কোলে আরেকটু জেঁকে বসে ওকে ধমক দিয়ে বললো..ছাড়ো আমাকে!
নীল ওর কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।
নিশু:কি হলো ছাড়ছো না কেন?মেয়ে দেখলেই হুঁশ থাকে না তাই না?
নীল ওকে আরেকটু কাছে টেনে নিয়ে বললো..ছেড়েছি তো।
নিশু:অসভ্য একটা।সুযোগ পেলেই জড়িয়ে ধরার ধান্দা।
নীল:কি করবো বলো?আমার নিশুপাখিটাকে সারা শরীরে অদ্ভুত একটা সুগন্ধ আছে,যেটা সারাক্ষণ আমাকে মাতাল করে রাখে।
নিশু একেবারে কাঠ হয়ে বসে আছে।উফফফ!নীল কাছে এলেই এমন হয় কেন?
নিশু:ছাড়ো আমাকে!(ঘোর লাগা কন্ঠে)
নীল ওর চুলের নাক ডুবিয়ে দিয়ে বললো…এই যে ছেড়েছি তো!
নিশু:আমি তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছিলাম।
নীল ওকে জড়িয়ে ধরেই বললো…বলো!
নিশু:ভুলে গেছি।
নীল:তাহলে থাক পরে বলো।
নিশু:না আমি এখনই বলবো।
নীল কিছুটা হতাশ হয়ে বললো..শান্তিতে যে একটু ভালোবাসবো সেই উপায়টুকুও নেই।ঠিক আছে বলো,কি বলবে?
নীলের কথাটা শুনে নিশুর একটু খারাপ লাগলো।ও নীলের দিকে ফিরে একেবারে নীলের মুখোমুখি বসে দুহাত দিয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরলো।
নিশু:রাগ করেছো?
নীল:??
নিশু হুট করেই নীলের বুকে নিজের মাথাটা চেপে ধরে বলল..আচ্ছা সরি।আর এমন হবে না।
নীল:আমি রাগ করি নি নিশু!
নিশু:তাহলে জড়িয়ে ধরো নি যে।
নীল আপনমনেই হেসে ফেললো।তারপর নিশুকে উদ্দেশ্য করে বললো…ধরলে কিন্তু সহজে ছাড়বো না।
নিশু:ছাড়াতে চায় কে?
নীল:তোমার ভয় করে না?
নিশু:কিসের ভয়?
নীল:এই যে এত রাতে আমার ঘরে এসে আমার কোলে জাঁকিয়ে বসে আছো?আমি যদি উল্টোপাল্টা কিছু…
নীল ওর কথাটা শেষ করতে পারলো না নিশু তার আগেই ওর ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে বসলো।নীল কথা বন্ধ করে হাঁ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
নিশু:এই যে আমি আগুনে ঘি ঢেলে দিলাম।এই বার দেখি তুমি কি করো?
নীল:মানে?
নিশু:মানে তোমাকে সিডিউস করলাম!..মানে তুমি আমার পুরো পারমিশন পেয়ে গেলে।
নীল নিশুর মাথাটা দুহাতে বুকের সাথে চেপে ধরে বললো…ও কথা বলো না নিশু।আমার নিশুপাখি যে আরো অনেক বড় কিছুর দাবিদার।ওকে আমি ছোট করি কি করে?
নিশু নীলের অজান্তেই ওর বুকে একটা চুমু খেলো। তারপর নীলের দুগালে,কপালে,গলায় চুমু খেলো।
নীল হাসতে হাসতেই বললো…এত ভালোবাসলে তো সহ্য করতে পারবো না নিশু।
নিশু নীলের কথার জবাব না দিয়ে বললো…সরি!
নীল:😮কিসের জন্য?
নিশু:এই যে তোমাকে ভবিষ্যতে তোমার সমসময় আমার জালাতন সহ্য করতে হবে তাই।…এখন বলো বিয়ে করবে নাকি?
নীল মিটমিট করে হাসতে হাসতে বললো..না করে আর উপায় আছে?এই চরিত্রহীন ছেলেকে এখন কে বিয়ে করবে?
নিশু:মানে?
নীল:মানে এই যে তুমি আমার চরিত্র হনন করে আমাকে চরিত্রহীন করে দিলে,এখন আমাকে আর কে বিয়ে করবে?
নিশু:অসভ্য একটা!
নীল:এখন আমি অসভ্য?
নিশু:অসভ্য নয় তো কি?আমি কি করেছি তোমার সাথে?
নীল:কি করনি তুমি?সেদিন অফিসে কি করে ছিলে মনে আছে?
নিশু:একটা চুমুতেই বুঝি মানুষ চরিত্রহীন হয়ে যায়?
নীল:কে বললো একটা চুমু?আমি তো দিনরাত চব্বিশঘন্টাই তোমাকে চুমু খাই!
নিশু:😮
নীল:আমি যখন তোমার দিকে তাকাই তখন আমার ঠোঁটদুটো তোমার গালে চুমু খায় তুমি জানো?
নিশুর গাল দুটো লজ্জায় ভীষণ লাল হয়ে যাচ্ছে।নীল সেদিকে তাকিয়েই হাসছে।এমনিতে সারাদিন এমন ভাব দেখায় যেনো ও কিছুকেই পরোয়া করে না।এখন নীল দুটো কথা বলতেই লজ্জায় পাকা টমেটোর মত লাল হয়ে যাচ্ছে!
নীল:কি হলো?
নিশু:তুমি সত্যিই অসভ্য নীল।
নীল:কি করবো বলো আমার নিশুপাখির যে এই অসভ্য নীলটাকেই পছন্দ!
নিশু:উহুঁ মোটেও না।নীলের সব কিছুই নিশুর পছন্দ।
দুইবছর পর,
নিশু ডেলিভারি হচ্ছে।নীল বাইরে পায়চারি করছে।আয়াত,লারা ইমতিয়াজ সাহেব,ইলারা বেগম সবাই আছে।
নীল:বাবা?এতক্ষণ লাগছে কেন বলতো?
ইমতিয়াজ সাহেব:তুই এত অস্থির হচ্ছিস কেন?শান্ত হয়ে বোস!
নীল:শান্ত হয়ে বসবো কি করে বলতো?নিশুকে তুমি জানোই মুখে যতই বকবক করুক আসলে তো ও ভীষণ ভিতু।একটু কিছুতেই ভয় পেয়ে যায়।অথচ এতক্ষণ হয়ে গেলো কোন খবর পাচ্ছি না।
ইমতিয়াজ সাহেব ছেলের অস্থিরতা দেখে একটু হাসলেন।নিশুকে অপারেশন থিয়েটাকের ঢুকানো হয়েছে সবে আধঘণ্টা আর এই ছেলে এখনই এত অধৈর্য হয়ে গেছে।
প্রায় দুঘণ্টা পর ডাক্তার বেরিয়ে এলো।ডাক্তার কে দেখেই নীল দৌঁড়ে গেলো।ডাক্তার থমথমে মুখে নীলের দিকে চেয়ে আছে।
নীল:নিশু ঠিক আছে?
ডাক্তার:দেখুন আপনি এত অধৈর্য হবেন না।আপানকে শক্ত হতে হবে।
নীল:মানে?
ডাক্তার:উই আর সরি!মিস্টার হাসান।আমরা আপনার ওয়াইফকে..
নীল ইমতিয়াজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললো…বাবা উনি কি বলছে?
ইমতিয়াজ সাহেব ছেলের মুখের দিকে বোকার মত তাকিয়ে আছে।এই ছেলেকে সামলাবে কি করে?
ইলারা বেগমও পাশে দাঁড়িয়ে আছে।উনি নীলকে কিছু বলার আগে নীল জ্ঞান হারালো।
তিনদিন পর যখন নীলের জ্ঞান ফিরলো তখন ইমতিয়াজ সাহেব নীলের পিঠে হালকা চাপড় মেরে হাসতে হাসতে বললেন….এই যে বাপের ব্যাটা!কোথায় নাতনীদের নিয়ে বাসায় যাবো,না তোর জন্য খামোখা হস্পিটালে বসে থাকতে হচ্ছে।তুই না আমার ছেলে?
নীল:নিশু…
ইমতিয়াজ সাহেব:কিচ্ছু হয় নি নিশুর।পাঁজি মেয়েটা মাথায় কোন ভূত চেপেছিলো কে জানে?ডাক্তার কি সব বলতে বলেছে আর ঐ অসভ্য ডাক্তারটা সেটাই বলেছে।
নীল হাঁ করে ইমতিয়াজ সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।নিশু কি করে এমন কাজ করতে পারলো?
ইমতিয়াজ সাহেব ছেলের মনে অবস্থা বুঝতে পেরে নিশুকে ভেতরে ঢুকিয়ে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
নীল ওকে দেখেই চোখমুখ শক্ত করে নিলো।নিশু কাছে আসতেই নীল মুখ ঘুরিয়ে নিলো।নিশু চট করে নীলকে জড়িয়ে ধরে বললো..ভুল হয়ে গেছে নীল!আর কক্ষনো এমন করবো না।
নীল চুপ করে রইলো।নিশুর এই পাগলামি ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
নিশু:কি হলো ধরবে না?
নীল:ছাড়ো আমাকে নিশু আমার ভালো লাগছে না।
নিশু নীলের হাতটা নিয়ে ওর কোমরের ওপর রাখলো।আজকে আর তাতেই কাজ হলো না।নিশু কি করবে বুঝতে পারছে না।নীল ওকে দূরে সরিয়ে রাখবে সেটা ও কিছুতেই সহ্য করতে পারবে না। নীলকে জড়িয়ে ধরেই হাউমাউ করে কেঁদে দিলো।নীল আর পারলো না সরিয়ে রাখতে।
নিশুকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে সারা গালে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিলো।ওর চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছে।এই প্রথম নিশু ওকে কাঁদতে দেখলো।
নীল:আমাকে কেন এত জ্বালাও নিশু?তুমি জানো তুমি কতবড় অন্যায় করেছো আমার সাথে?
নিশু কান্না থামছে না।নিজের ওপর ভীষণ রাগ হচ্ছে ওর।নীলকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে ও।
নিশুর কান্না দেখেই নীলের সব রাগ পানি হয়ে গেলো।ও নিশুর চোখের পানি মুছে দিয়ে আহ্লাদী গলায় বললো…হয়েছে থাক।আর কাঁদতে হবে না।
কিন্তু নিশুর কান্না থামছে না।নীল একহাত দিয়ে ওকে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো…আর কাঁদতে হবে না।এই যে জড়িয়ে ধরলাম।এবার কান্নাটা থামাও!…প্লিজ নিশু।
নিশুর কান্না থেমেছে ঠিকই কিন্তু মুখটা ভার করে রেখেছে।
নীল আচমকা নিশুকে চেপে ধরে ওর ঠোঁটে কিস করা শুরু করলো।নিশু ওর কলার চেপে ধরেছে।
ছেড়ে দেওয়ার আগেই নীল ওর ঠোঁটে হালকা করে একটা কামড় বসিয়ে দিলো।
নীল:আমাকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি!
নিশু:এত কম?
নীল ওর চালাকি বুঝতে পেরে বললো…আদর দিয়ে দিয়ে একেবারে তোমাকে পুরো বাঁদর বানিয়ে ফেলেছি।
আরো পাঁচবছর পর,নীল সোফায় বসে টিভি দেখছিলো।এমন সময় নুহারা দৌঁড়ে এসে ওর কোলের ওপর বসে পড়লো।
নীল:একি মামনি তুমি ঠান্ডায় খালি পায়ে আছো কেন?জুতো কই?
নুহারা:মা বলেছে জুতো না পরলে কিচ্ছু হবে না।
নীল:(অসভ্য মেয়ে একটা!নিজে তো একটা বাঁদর আমার মেয়েগুলোকে বাঁদর বানানোর প্ল্যান করছে।)
নীল নুহারকে কোলে নিয়ে ওদের রুমের কাছে যেতেই আওয়াজ পেলো নিশু কাঁদছে।নীল দ্রুত ভেতরে ঢুকেই দেখলো নুশারা মুখে দুধ নিয়ে বসে আছে কিন্তু গিলছে না,নিশু হাতে ফিডার নিয়ে বসে আছে।এইজন্যই নিশুর বিরক্ত হয়ে প্রায় কেঁদে দেওয়ার অবস্থা।নীলকে দেখেই নুশারাও দৌঁড়ে এসে ওর কোলে উঠলো।নীল দুজনকে দুই কাধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।নিশু বিরক্ত হয়ে বললো..কি চাই?
নীল:নুহারার মোজা নিতে এসেছি।জুতোও নেই।এই ঠান্ডায় খালিপায়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে।
নীলের কথা শুনে নিশু রাগী চোখে নুহারার দিকে তাকালো।ও তাকাতেই নুহারা নীলের গলা জড়িয়ে ধরে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।
নিশু:আমার মত এমন একটা ভালো মেয়ের ঘরে যে কি করে এই বিচ্ছুদুটো জন্ম নিলো আমার মাথায় আসে না।…একদম তোমার মত হয়েছে।এক একটা হাড়ে হাড়ে বজ্জাত!
নীল:মানে?
নিশু: মানে দেখছো না একটা দুইঘন্টা ধরে দুধ মুখে নিয়ে বসে আছে।গিলছে না তো নাই।আরেকটাকে সেই বিকেল থেকে যুদ্ধ করে জুতা মোজা পরিয়েছি,দুইমিনিট না যেতেই খুলে ফেলেছে!
নীল এতক্ষনে ব্যাপারটা বুঝতে পারলো।ওর বেশ হাসি পাচ্ছে।কিন্তু এখন ভুলেও হাসা যাবে না।
ও ড্রয়িংরুমে কার্টুন চালিয়ে নিশুর কাছে এলো।
নিশু:দুইটা সেকেন্ডে এদের জন্য শান্তি নেই।
নীল হাসছে নিশুর দিকে তাকিয়ে।নিশুর মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো।
নিশু:হাসবে না তুমি!
নীল:কেন হাসছি জানো? এই যে তুমি আমাকে জালাচ্ছো, এখন আমার মেয়েটা তোমাকে জ্বালাচ্ছে, হিস্ট্রি রিপিটস!
নিশু:হ্যাঁ তুমি হাসতেই থাকো।মেয়েদের তো কিছু বলবে না।
নীল আবারও হেসে ফেললো।নিশুর রাগে লাল হয়ে যাচ্ছে।
নিশু:ভালো হবে না নীল!
নীল নিশুকে বুকে টেনে নিয়ে হাসতে হাসতে বলল…নিশুর মেয়েরা তো নিশুর মতই হবে তাই না? মাথার তার দু একটা ছেঁড়া না থাকলে হয়?
নিশু নীলের বুকে মুখ লুকিয়েই হেসে ফেললো।আসলেই মেয়েদুটো ওর স্বভাব পেয়েছে।দুষ্টুমিতে পাকা।য
নিশু ঠিক আগের মতই নীলকে কাছে পাওয়ার জন্য উতলা হয়ে থাকে।কিন্তু মুখে স্বীকার করলো না।নীলের দিকে তাকিয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বললো…ছাড়ো আমাকে তুমি তোমার মেয়েদের নিয়েই থাকো!
নীল নিশুর কোমরে হালকা সুড়সুড়ি দিয়ে বললো…উহু!এত সহজে তোমাকে ছাড়ছি না।কমপক্ষে আরো ডজন খানেক বাচ্চা চাই।তার আগে নো ছাড়াছাড়ি অনলি জড়াজড়ি।
নিশু:দিন দিন তুমি অসভ্য হয়ে যাচ্ছো।
নীল:😁তাহলে তো আরেকটু অসভ্যতা করাই যায়?(ভ্রু নাচিয়ে)
(আসলে কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই শেষ করে দিয়েছি।অনেক অনেক ভালোবাসা সবাইকে।❤)
খুব ভালো লাগলো
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আপনার থেকে আরো এইরকম গল্প আশা করবো
আবারো ধন্যবাদ
অনেক ভালোবাসা💜💜💜💜💜☺