Love Right

Love Right ! Part- 19

পরেরদিন সকালবেলা নীল ডাইনিং এ বসে ওয়েট করছে নিশুর জন্য।ও এখনো নামে নি।এদিকে আজকে একটা ইম্পরট্যান্ট মিটিং এটেন্ড করতে হবে।ও বিরক্ত হয়ে গেছে ওয়েট করতে করতে।
ইশু:কি হলো ভাইয়া মুখ ভার করে বসে আছিস কেন?
নীল:এত করে বললাম তাড়াতাড়ি নিচে আসতে।আজকে একটা ইম্পরট্যান্ট মিটিং আছে না কে শুনে কার কথা!
ইশু নীলের দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো…মিটিং টা কি অফিসের নাকি শুধু দুজনের ?
নীল:ফাজিলের সাথে থেকে থেকে দিন দিন ফাজিল হচ্ছিস!
ইশু হাসছে ওর কথা শুনে।
ইশু:ঐ যে আসছে!…তোমার নিশুপাখি!
নীল ওপরে তাকাতেই দেখলো নিশু সিঁড়ি দিয়ে নামছে।নীল শাড়িতে ওকে কেমন দেখাচ্ছ সেটা ভাষায় প্রকাশ করার জন্য নীল কোন উপমা খুজেঁ পেলো না।প্রতিটা মুহূর্ত এই মেয়ে ওকে নিজের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।ইশু এসে নীলের সামনে গুনগুন করে গেয়ে উঠলো….পড়ে না চোখের পলক,কি তোমার রূপের ঝলক!!
নীল হাসতে হাসতে ওর সাথে তাল মেলালো..দোহাই লাগে শাড়িটা তোমার একটু ঠিক করে পরো!
ইশু ও নিশু:😮
নীল মুচকি হেসে নিশুর দিকে তাকিয়ে বললো…শাড়ি তো খুলে যাচ্ছে!
ইশু:কোন ব্যপার না!…আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
ইশু শাড়ি ঠিক করছে না যুদ্ধ করছে নিশুর মাথায় ঢুকছে না।
অবশেষে অনেক কষ্টে শাড়ি ঠিক করলো দুজনে।
নীল সোফা থেকে উঠে ইশুকে বললো….ওকে তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে নিতে বল আমি গাড়িতে আছি।

নীল গাড়ির সামনে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।নিশু এসে ওর পাশে দাঁড়ালো।
নীল:এমনিতে অনেক দেরী করে ফেলেছো তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসো।
নিশু গাড়িতে বসতেই নীল গাড়ি স্টার্ট দিলো।
নিশু অনেক্ষন চুপ করে বসে আছে।নীলের ওপর ভীষণ মেজাজ খারাপ হচ্ছে।অসভ্যটা ওকে একটু দেখছেও না।নাহ একে শান্তিতে থাকতে দেওয়া যাবে না।ও হুট করে নীলকে ধমক দিয়ে বলে উঠলো…এই তুমি বারবার আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখছিলে?…অসভ্য লুচু!…মেয়ে দেখো নি জীবনে?
নীল:😮কখন?
নিশু:কখন?(নীলকে ভেঙাচ্ছে ও)
নীল:😐
নিশু:চোরের মত লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলে কেন?
নীল:হকিস্টিক চেনো?
নিশু ভয় পেয়ে গেলো ওর কথা শুনে।
নিশু:কেন আমার মাথায় বাড়ি মারবে নাকি?
নীল:না নিজের মাথায় মারবো!
নিশু:আমি সিউর হকিস্টিকই ভেঙ্গে যাবে।
নীল:😐

অফিসের সামনে গাড়ি থামিয়ে নীল দরজা খুলে দিলো নিশু নামার জন্য।কিন্তু নিশু নামছে না।
নীল:কি হলো বসে আছো কেন?…আজকে কি তুমি প্ল্যান করে এসেছো যে আমাকে মিটিং টা এটেন্ড করতে দেবে না?
নিশু:তুমি যাও না, আমি আছি তো।
নীল:তোমাকে কি এভাবে গাড়িতে বসিয়ে রাখার জন্য সাথে করে এনেছি?…তুমি আমার সাথে মিটিং এটেন্ড করবে!
নিশু:আমি পারবো না।
নীল দাঁতেদাঁত চেপে বললো..প্লিজ নিশু আমরা মিটিংটা শেষ করে এসে তারপর ঝগড়া করি?
নিশু:না!
নীল:তো কি করবে তুমি?
নিশু:আমি বললাম তো তুমি মিটিং শেষ করে এসো আমি আছি।
নীল বিরক্ত হয়ে নিশুকে টেনে বের করলো।বের করতেই নিশু ফুঁপিয়ে ফুপিঁয়ে কান্না শুরু করে দিলো।
নীল:কি হলো কাদঁছো কেন?
নিশু কেঁদেই চলছে।নীল এতক্ষনে খেয়াল করলো নিশু দুহাত দিয়ে কোমরের দিকে শাড়ি চেপে ধরে আছে।নীল এবার বুঝতে পারলো ম্যাডাম কেন এত নাটক শুরু করে।নীলের প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে নিশু কান্ড দেখে,বাচ্চাদের মত কেঁদে চলেছে।ও নিশুর দিকে তাকিয়ে আছে এমন বেহাল দশাও ওকে কতটা আদর আদর লাগছে নীল বলে বোঝাতে পারবে না।নিশু এখনো ফুপিঁয়ে ফুপিঁয়ে কেঁদেই চলেছে।নীল এগিয়ে গিয়ে দুহাত দিকে ওকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বললো…কখন খুলেছে?
নিশু:গাড়িতে উঠার সময়।
নীল:আমাকে বললে না কেন?
নিশু:তোমার দেরী হয়ে যাচ্ছিলো।
নীল প্রচন্ড আদুরে গলায় বললো…হয়েছে থাক!এবার কান্না থামাও!
এবার নিশুর কান্না থেমে গেলো।নীল চট করে ওকে কোলে তুলে নিলো।
নিশু:কি করছো নীল?
নীল কোন কথা না বলে ওকে কোলে নিয়েই অফিসের ঢুকলো।স্টাফরা সব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
মনিকা রুশার দিকে তাকিয়ে ফিসিফিসিয়ে বললো…ম্যাম??..কি হচ্ছে এসব?
রুশা রাগে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
নীল নিশুকে নিয়ে ওর রুমে ঢুকে চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
নীল:তুমি বসো।আমি লারাকে ডেকে নিয়ে আসছি।
নিশু:লারা তো ছুটিতে।
নীল কিছুক্ষণ ভেবে নিশুর দিকে তাকিয়ে বললো… ঠিক আছে, দাড়াও!
নিশু:খুলে যাবে তো!
নীল:খুলুক!
নিশু:😐লুচু একটা মেয়ে দেখলেই হুঁশ থাকে না।
নীল:হুম!…আমি তো দুনিয়ার মেয়েকে নিয়েই থাকি!
নিশু:থাকোই তো।
নীল:বাজে কথা বলো না।
নিশু:হুম!…এখন সব বাজে কথা।মনে আছে রুশাকে নিয়ে কি করতে?
নীল:😮কি করতাম?
নিশু:একদম ভালো সাজার নাটক করবে না।আমি দেখেছি ও তোমার জামাকাপড় পরে বসেছিলো।
নীল:কখন?(অবাক হয়ে)
নিশু:দুবছর আগে!
নীল:😐
নিশু:আমাকে সহজ সরল পেয়ে এখন শাড়ি খুলতে বলছো?
নীল:কি সব বলছো তুমি?…আমার
মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।আমি ভেবেছিলাম তুমি একা সামলাতে পারবে না তাই। আমি বেরিয়ে যাচ্ছি।তুমি নিশ্চিন্তে শাড়ি ঠিক করতে পারো।
নিশু:(আমি তো মজা করছিলাম!এখন যদি থাকতে বলি নির্ঘাত আমার মাথা ফাটিয়ে দিবে শয়তানটা।)কেন বাইরে কি তোমার হ্যাঁ?…অফিসে সব মেয়ে স্টাফ!…আমি বুঝি না ভেবেছো?
নীল:ঠিকই বুঝেছো।আমি ওদের সাথে প্রেম করতে যাচ্ছি।তোমার কোন সমস্যা?
নিশু দৌড়ে গিয়ে একহাত দিয়ে ওর কলার চেপে ধরে আরেক হাত দিয়ে শাড়ি ধরে আছে।
নীল হাসছে ওর কান্ড দেখে।বেচারির কি করুণ দশা।ওকে হাসতে দেখে নিশু শাড়িটা ভালোকরে চেপে ধরে বললো..তুমি খুব খারাপ নীল!
নীল:এখন সব দোষ আমার??
নিশু:তোমারই তো সব দোষ।
নীল দরজার দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বললো…সব দোষ যখন আমার আমি তাহলে বেরিয়েই যাই??
নিশু চট করে ওকে জড়িয়ে ধরে বললো….আমি একা একা শাড়ি ঠিক করতে পারবো না তো!
নীল:আমি তো লুচু।মেয়ে দেখলেই আমার হুঁশ থাকে না।
নিশু এবার নীলের একটা হাত নিয়ে ওর কোমরে রাখতেই নীল ওর দিকে চেয়ে আছে।নিশু লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো।নীল ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসিফিসিয়ে বললো…নিজে আমাকে রূপের আগুনে জ্বালাবে আর শেষ পর্যন্ত সব দোষ আমার হবে?
নিশু লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

নিশু শাড়ি পড়ছে আর নীল ওর আঁচল গলায় ঝুলিয়ে বসে আছে।ফোনে কি যেন দেখছে।
নিশু:আমি শাড়ি নিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছি আর তুমি বসে বসে তামাশা দেখছো?
নীল:শাড়ি পড়তে বলেছিলো কে বলতো?….বাসায় থাকতে বলো নি কেন?…মা ঠিক করে দিতো!
নিশু:তুমি বলার সময় দিয়েছো?
নীল:ঠিক আছে কি করতে হবে বলো?
নিশু মুখ ভেংচি কেটে বললো….নাচতে হবে!
নীল উঠে এলো নিশুর শাড়িটা ঠিক করে দিতে।ও এতক্ষন ইউটিউবে দেখছিলো কি করে শাড়ি পরতে হবে।সবে শুরু করবে তার আগেই নিশু বলে উঠলো..খবরদার তাকাবে না বলছি।
নীল:না দেখলে ঠিক করবো কি করে?
নিশু:ঠিক আছে কিন্তু উল্টোপাল্টা কিছু করবে না!
নীল:😐এবার কিন্তু তুলে আছাড় মারবো নিশু!(ধমক দিয়ে)
ধমক খেয়ে নিশু চুপ হয়ে গেলো।নীলের শাড়ি পরানো প্রায় শেষ।ও ভালোকরে পিন সেট করে দিচ্ছে।নিশু ইচ্ছে করে পেটের ওপর থেকে হালকা করে আচঁল সরিয়ে দিলো।।নীল আবার শাড়িটে টেনে ঠিক করে দিলো।ও সামনে ফিরতেই নিশু আবার টেনে উঠিয়ে দিলো।
এবার নীল ধরে ফেলেছে যে নিশু ইচ্ছে করে এমন করছে।
নীল:অসভ্য মেয়ে!
নিশু পাল্টা ধমক দিয়ে বললো…তুমি অসভ্য!কি শাড়ি পড়িয়েছ সব দেখা যাচ্ছে।
নীল:নিশু??
নিশু:(আজকে সারাদিন তোমার মাথা আমি খারাপ করে দেবো মি.নীলাস হাসান।আমাকে ডায়রিয়া রোগী বানিয়েছিলে আমি ছেড়ে দেবো তোমাকে?)
নীল আবার সবগুলো পিন সেট করে দিলো ভালোভাবে।পুরোটা শেষ হতেই নীল ওকে নিয়ে বেরোনোর জন্য পা বাড়ালো।কিন্তু বেরোবার আগে নীল হুট করে ওকে থামিয়ে দিলো।
নিশু:কি হলো?
নীল পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখে নিলো সব ঠিক আছে কি না।
নিশু ওর দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো…কি ব্যপার নীল?.আমাকে নিয়ে টেনশনে আছো নাকি?…তোমার কপাল ভালো আমাকে পটিয়ে ফেলেছো।এখন আর ভয় নেই আমি কারো সাথে ভাগছি না।
নীল:আমি তোমাকে পটিয়েছি?…হুহ!..নীলাস হাসানের পেছনে কত মেয়ের লাইন লেগে থাকে আর নীলাস হাসান কি না তোমার মত পাগলের প্রেমে পড়বে?
ওর কথা শুনে নিশু মেজাজ বিগড়ে গেলো।ও চোখ গরম করে শাড়িতে হাত দিয়ে বললো…দেই আবার উঠিয়ে?
নীল:অসভ্য মেয়ে!….নামাও বলছি!
নিশু:না নামাবো না।
নীল ওকে ধমক দিয়ে আবার শাড়ি ঠিক করে দিলো।
নিশু:তোমার এত প্রবলেম কেন?
নীল:উফফফ!
নিশু:কি?
নীল:আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে নিশু?
নিশু:তোমার কারনে দেরী হচ্ছে!
নীল দাঁতেদাঁত চেপে বললো..হ্যাঁ আমি তো শাড়ি পরে পেট দেখিয়ে বেড়াচ্ছি আমার দেরী হবে না তো কার হবে?
নিশু:আমি মোটেও পেট দেখাচ্ছি না।তুমি একটা অসভ্য লুচু।মেয়ে দেখলেই হুশঁ থাকে না।
নীল:তাহলে বারবার আচঁল সরিয়ে দিচ্ছিলে কেন?
নিশু:সেটা তো তোমাকে জ্বালানোর জন্য!
নিশু কথা শেষ হতেই মাথায় হাত।ছি!ও ধরা খেয়ে গেছে।ধরা খেয়ে ওর মেজাজ আরো গরম হয়ে গেলো।
নিশু:তুমি আমাকে এত প্রশ্ন করছো কেন?(ধমক দিয়ে)
নীল:বিচ্ছু মেয়ে!…মাথায় শুধু এসব ঘোরে না?
নিশু ওকে পাল্টা ধমক দিয়ে বললো.. আমার মাথা গরম করাবে না বলে দিচ্ছি।
এদিকে ওদের ক্লায়েন্ট মি.ইশতিয়াক রহমান বেরিয়েই দেখলো নিশু এম.ডি রুম থেকে রেগে বেরোচ্ছে।পেছনে নীল। স্টাফরা সবাই দাঁড়িয়ে আছে।নিশু কি বলছে বোঝা যাচ্ছে না।তবে ওর যে মেজাজ গরম হয়ে আছে ভালোই বুঝতে পারছে।উনি ভেবেছেন নিশুই কম্পানির এম.ডি।
মিটিং রুমে নীল আর নিশু ঢুকতেই উনি এবং উনার এসিসট্যান্ট মি.অনিল এগিয়ে এলো।
মি.অনিল:গুড মর্নিং ম্যাম?
নিশু:গুড মর্নিং!
মি.ইশতিয়াক:আপনি বোধহয় কোন কারনে আপনার এসিসট্যান্ট ওর রেগে আছেন?
নীল:😮এসিসট্যান্ট?
নিশু মুচকি মুচকি হাসছে।নতুন ক্লায়েন্ট ওর নীলকে চেনে না।
নিশু:আপনাদের অঅনেক্ষন ওয়েট করিয়ে রাখলাম।এবার আমরা মিটিংটা স্টার্ট করি?
ইশতিয়াক রহমান:অবশ্যই!

নীল দাঁড়িয়ে আছে। কি ফাজিল মেয়ে ওকে এসিসট্যান্ট বানিয়ে দিলো?
একটুপর ওর ম্যানেজার এসে মিটিং রুমে ঢুকলো।
ম্যানেজার ওর দিকে এগিয়ে এসে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো…😮 আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেন স্যার?
নীল ইশারায় নিশুকে দেখিয়ে বললো..কি আর করবো বলুন হার মেজিস্ট্রি বলে কথা!
ম্যানেজার অবাক হয়ে ওর দিকে চেয়ে আছে।নিশুর দিকে তাকাতেই দেখলো ওর বেশ হাসি খুশি মুডে নীলের চেয়ারে বসে আছে।নীলাস হাসানের কতটা জুড়ে আছে এই মেয়েটা উনার আর বুঝতে বাকি রইলো না।
নীল অনেক্ষন ধরে খেয়াল করছে নিশু একটুও মনযোগ দিচ্ছে না উনারা কি বলছেন।একমনে বুড়ো ভদ্রলোক মি.ইশতিয়াক সাহেবের ভুঁড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।ও বুঝতে পারছেনা নিশু ইশতিয়াক সাহেবের ভুঁড়ির দিকে কেন তাকিয়ে আছে?
নীল:নিশু?(ফিসিফিসিয়ে)
নিশু:হুঁ?
নীল:কি করছো তুমি?
নিশু:ভাবছি!
নীল:কি ভাবছো?
নিশু:ইশতিয়াক সাহেবের কয় মাস!
নীল:ছি!ছি! নিশু তুমি এইজন্য এতক্ষন ধরে উনার ভুঁড়ির দিকে তাকিয়ে ছিলে?
নিশু:হুম!..দেখো না কি সুন্দর বেবি বাম্প!
নীল:নাউজুবিল্লাহ!
নিশু:উনাকেই জিজ্ঞেস করি কি করে উনি এত সুন্দর ভুঁড়ি বানিয়েছে?
নীল:খবরদার!…নিশু!
নীল আর কিছু বলার আগেই নিশু দাঁড়িয়ে গেলো।
নিশু:আমার একটা প্রশ্ন আছে!
নীল:(আল্লাহ তুমি ভদ্রলোকের মানইজ্জত রক্ষা করো!)
ইশতিয়াক রহমান:জ্বি বলুন?
নিশু:এখানে বলবো নাকি প্রাইভেটলি আলাদা করে বলবো?
নীল সহ বাকি সবাই:😮
ইশতিয়াক সাহেব বেশ উৎফুল্ল হয়ে জিজ্ঞেস করলেন…খুব বেশি পার্সনাল?
নিশু:জ্বি!
ইশতিয়াক সাহেব:আমারা মিটিং শেষ করে আলাদা করে বলি?
নিশু:জ্বি!
নীল:😐(গেলেই টের পাবা চান্দু এই মেয়ে কি জিনিস!)

নীল:এগুলো কি হচ্ছে নিশু?
নিশু:আমাকে যখন বেডরুম আর ওয়াশরুম দৌঁড় করয়েছিলে তখন মনে ছিলো না?
নীল:কিন্তু ঐ ভভদ্রলোক কি দোষ করেছে?
নিশু:😁

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *