বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 45

তিথি আবিরের হুট করে এমন কান্ডতে কিছু টা অবাক,,,ভাবে এই আবিরের আবার কি হলো যে এমন করছে,,,,একদিকে হেপ্পি যে আবির তার সাথে এমন ব্যবহার করছে,,,আবির তিথিকে কিছু টা টেনে নেয় নিজের দিকে তারপর কপালে হুট করে চুমু দেয়,,সুইমিংপুলে একটা রোমাঞ্চকর হয়ে গেলো,,,,
তিথি আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ ফাজলামি কম করেন,,যেতে দিন তো,,,
আবির তিথির কথা না শুনেই তিথির কাছে আসে,,, তিথির চুল গুলো খুলে দেয়,,তিথি আবিরের এমন কান্ড দেখে হতবাক যে করছে কি,,,
তিথিঃ চুল খুললেন কেন?
আবিরঃ তোমার খোলা চুল বেশি ভালো লাগে তাই,,
তিথিঃ হু,,,আচ্ছা সরেন তো
আবিরঃ কেন রোমাঞ্চ করবা না?
তিথিঃ হায় হায় আপনার মাথা গেছে নাকি,,,কি সব বলেন আজ,,
আবিরঃ না মাথা তো যায় নাই বাট হুঁশ গেছে তোমাকে দেখে,,,
তিথিঃ এ্যাাাা
আবিরঃ হ্যাঁ
তিথি আবিরের কথা পাত্তা না দিয়ে হালকা ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠে যায়,মুচকি হাসে যে আজ আবির তার সাথে এতো টা ভালো ব্যবহার করছে আর এতো টা রোমান্টিক,,,,,সুইমিংপুল এর উপরে উঠে তিথি আবিরকে বলে
তিথিঃ আপনি কি এখানে থাকবেন?
আবিরঃ তুমি তো নাই তাই কি আর করবো,,,
তিথিঃ নাচেন কিছু ক্ষন,,,
তিথি এই বলে যেতে লাগে দেখা হয়ে যায় মায়রার সাথে,,খুব অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে মায়রা,,,আবির উঠে চলে যায় তিথি বাগানে ভিজা কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মায়রার সামনে,,,বাগানে পানি মারামারি করায় শুকনা মাটি গুলো কাঁদা হয়ে যায়,,,
চুল গুলো একটা সরিয়ে অভিনয় করে তিথি মায়রাকে বলে
তিথিঃ ইশ কি লজ্জা কি লজ্জা,,,মিস্টার বজ্জাত টা ও না সুইমিংপুলে এইভাবে কিস করবে ভাবি নাই,,,,
এই কথা শুনে তো মায়রা তেলে ভাজা বেগুন এর মত হয়ে গেলো,,,
তিথিঃ হায় হায় আমার বজ্জাত যে এতো রোমান্টিক আগে ভাবি নাই, জানো মায়রা আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম সবার সামনে এইভাবে সুইমিংপুলে এক সাথে উফফফ

তিথি মায়রাকে এতো হিংসা লাগাচ্ছে যে মায়রার হাতের মুটো শক্ত করে রাখে,,,রাগে গজগজ করছে সে,,,,
মায়রাঃ আসছি,,,
মায়রা যেতে লাগে তিথি তার পা টা একটু সামনে এগিয়ে দেয়,,,পায়ের সাথে ধাক্কা খাওয়ায় মায়রা পড়ে যায় কাঁদাতে,,,খিলখিল করে হেসে উঠে তিথি,,,
তিথিঃ হাহা এতো বড় মেয়ে দেখে হাঁটতে পারো না???আল্লাহ কি যে হবে তোমার
মায়রা উঠে দাঁড়ায় পুরো মুখে শরীরের কাঁদা আর কাঁদা,,,
মায়রাকে এমন দেখে তিথি অনেক জোরে হাসে,,,
তিথিঃ উফফ সে লাগছে ইশ ফোন টা হলে একটা সেল্ফি অবশ্যই নিতাম,,,,
মায়রা তিথির এমন হাসি দেখে খুবই রাগী ভাব নিয়ে বলে
মায়রাঃ কাজটা ঠিক করলে না,,,দেখে নিবো আমি,,,,
তিথিঃ হায় হায় আমি কি করলাম,,,তুমি নিজে হাঁটতে পারো না তাই পড়ে গেলে,,,যাই হোক আমি যাই চেঞ্চ করে নেই,৷ টা টা মিস কায়রা থুক্কু ডাইরিয়া,,,
তিথি অইখান থেকে চলে যায়,,,আর মায়রা খুবই রাগী ভাবে বলে উঠে নিজে নিজের সাথে
মায়রাঃ তোমাকে আমি ছাড়বো না তিথি,,তুমি আমাকে এখনও জানো না আমি কি করতে পারি,,,তুমি আসল মায়রার রুপ দেখবে,,,তখন এই হাসি বের হবে,,,,
নেহাল আকাশ তারা বাগানের দিক দিয়ে যেতেই একটা মেয়েকে দেখে যে পুরো কাঁদাতে ভরা দুইজনে হেসে উঠে,,,
নেহালঃ ভাই কে এই পেত্নী,,
আকাশঃ আয় গিয়ে দেখি,,
নেহাল আর আকাশ মায়রার কাছে এসে বলে
আকাশঃ কে আপনি?
নেহালঃ পেত্নী হবে রে,,,
মায়রা খুব রাগে বলে
মায়রাঃ আমি মায়রা,,,
মায়রা শুনেই নেহাল কাশতে থাকে,,বেচারা এতো টা শকড হয় যে বলার বাহিরে,,,
নেহালঃ সরি সরি আমি আসলে জানতাম না যে তুমি হবে,,,,
আকাশঃ হ্যাঁ তাই তো নেহাল সে কখন থেকে বলে আসছে পেত্নী ডাইনি শাঁতচুন্নি আরো কত কি,,,
নেহাল আকাশকে গুতা দেয় আর চোখ বড় বড় করে তাকায়,,,
আকাশঃ সরি সরি,,,
মায়রাঃ যতসব
নেহালঃ হে মায়রা আম সরি,,,আমি আসলে অন্য কেউ ভেবেছি,,,আচ্ছা তোমার এমন অবস্থা কিভাবে
আকাশঃ পেত্নীদের আসল জায়গা যেখানে সেখানে তো থাকবে,,,
মায়রা আকাশের এমন কথায় রেগে যায় আরো,,হনহনিয়ে অইখান থেকে চলে যায়,,,
নেহাল আকাশকে বলে
নেহালঃ পাগল তুই হ্যাঁ?? কিসব বলছিস ওকে,,
আকাশঃ আরে ভাই ওর আসল জায়গা যেখানে সেখানে তো বললাম,,দেখ ওকে কিন্তু সে লাগছে এই কাদাতে জাস্ট ফাটাফাটি পেত্নী
নেহালঃ ধ্যাত তুই ও দেখি আমানের মত হইছিস,,,
নেহাল অইখান থেকে চলে যায় মায়রার পিছনে পিছনে
এইদিকে,,,
তিশা হলুদের কাপড় ছেড়ে একটা থ্রি পিছ পড়ে নেয়,,,রুমে সে একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে স্বপ্ন গুলো যে এখন সত্যি হচ্ছে,,ভালোবাসার মানুষ কে যে সে আপন করে পাচ্ছে,,,মুখে ছিলো এক রাশ হাসি,,,আনন্দ হচ্ছে এইভাবে যে আমান তার হয়েছে,,,,,
হুট করে পিছন থেকে কেউ যেন জড়িয়ে ধরে,,,পেটে কারো হাতের ছোঁয়া লাগে এই ছোঁয়া যে তার খুব পরিচিত,,,
তিশাঃ আমান,,,,
আমানঃ তুমি কি করে বুজলে আমি যে??
তিশাঃ তোমার হাতের স্পর্শ যে আমার খুব চেনা তাই,,,
আমান তিশার ঘাড়ে নিজের থুতনিটা রেখে বলে
আমানঃ ভালোবাসি প্রিয়তমা,,,,,
তিশাঃ আমিও যে ভালোবাসি,,,,
আমানঃ আমাদের স্বপ্ন গুলো যে সত্যি হচ্ছে এখন ভাবতে আনন্দ হচ্ছে অনেক,,,,,
তিশাঃ হুম ভাবতেই পারি নাই যে এইভাবে সত্যি হবে,,,,
আমানঃ হ্যাঁ আমাদের ভালোবাসা জিতে গেছে,,,,
তিশাঃ তিথির জন্য,,,
আকাশঃ হুম
তিশাঃতিথি না থাকলে যে এমন কখনো হতো না,,,তিথি আমাদের অনেক উপকার করেছে,,,
আমানঃ হুম আবির অনেক লাকি তিথির মত একজন জীবন সাথী পেয়ে,,,,
তিশাঃ হুম,,,।
তিশার হুট করে মনে পড়ে যে আমান তার রুমে আর সে তো রুমে একা,,,,
তিশাঃঅই তুমি এখানে কি ভাবে হুম
আমানঃ আরে আজিব আমার হবু বউয়ের কাছে আসছি
তিশাঃ কেউ দেখলে কি ভাববে যাও তো
আমান তিশাকে একটু কাছে টেনে নিয়ে বলে
আমানঃ যা ইচ্ছে ভাবুক এতে আমার কি হু,,,
আমান তিশাকে নিজের আরো কাছে টেনে নিয়ে কপালে চুমু দেয় আলতো করে,,, আমান তিশার রোমাঞ্চ চলছেই এখানে
অই দিকে
আহাদ সে কখন থেকে আরিশাকে খুজছে এক নজর দেখার জন্য,,বেচারা আজ একটু ও ভালো করে কথা বলতে পারে নাই তার প্রিয়তমার সাথে,,,অনেক খুজার পর দেখে আরিশা তার কিছু ফ্রেন্ডের সাথে গল্প করছে,,,
আহাদ অনেক সিরিয়াস মুড নিয়ে যায় আরিশার সামনে,,,
আহাদঃ আরু একটা ইম্পর্টেন্ট কথা বলবো যদি আসো তাহলে অনেক ভালো হয়,,,
আহাদ খুব সিরিয়াস মুড নিয়ে কথা বলে,,আহাদের এমন সিরিয়াস মুড দেখে আরিশা অনেক টা ভয় পায়,,,আরিশার এক ফ্রেন্ড বলে
নিশাতঃ আরে জিজু দুইদিন পর তো কাছেই পাবা এখন আমাদের সাথে একটু থাকতে দাও,,,
আহাদঃ আসলে খুব দরকার একটা অনেক বড় সমস্যা হয়ে গেছে,,,
আরিশাঃ কি হয়েছে?
আহাদঃ প্লিজ তাড়াতাড়ি আসো অনেক ইম্পর্টেন্ট কথা,,না বললে অনেক বড় ক্ষতি হবে,,
আরিশা খুব ভয় পেয়ে যায়,,,আহাদ আরিশাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তার রুমে যায়,,,
আহাদ দরজা লাগিয়ে দেয়,,,
আরিশাঃ কি হয়েছে আহাদ?
আহাদঃ বলছি
আরিশাঃ আমার ভয় করছে কি হয়েছে বলবা কি?
আহাদ আরিশার হাত ধরে বলে
আহাদঃ অনেক ভালোবাসি
আরিশাঃ হেএএএ
আহাদঃ ভালোবাসি অনেক
আরিশাঃ এইটা সিরিয়াস কথা??আমি ভাবছি যে কি না কি হইছে আর তুমি কিনা???
আহাদঃ এইটার চেয়ে বড় সিরিয়াস আর কি হতে পারে হুম,,,
আরিশাঃ ধ্যাত,,,
আহাদ আরিশাকে জড়িয়ে ধরে হুট করে
আরিশাঃ অই কি করছো ছাড়ো কেউ এসে যাবে,,,
আহাদঃ দরজা অফ কেউ আসবে না ম্যাম,,,
আরিশাঃ হু হইছে
আহাদঃ ভালোবাসো আমাকে?
আরিশাঃ অনেক বেশি,,,জানি না এতো ভালোবাসি কিভাবে শুধু জানি তুমি ছাড়া এখন আমি অসম্পূর্ণ,,,,
আহাদঃ আমিও যে ভালোবাসি অনেক,,অনেক অপেক্ষা করেছি শুধু তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শুনার জন্য,,,
আরিশাঃ আহাদ,,,,
আহাদঃ হুম
আরিশাঃ ছেড়ে যাবা না তো?
আহাদঃ ছেড়ে যাওয়ার জন্য তো আর অপেক্ষা করি নাই ম্যাম,,,ছেড়ে যাওয়ার জন্য তো আর বিয়ে করছি না,,,
আরিশাঃ কেন জানি খুব ভয় করছে আমার,,,মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু হবে,,,
আহাদঃ দূর পাগলী কিছু হবে না,,আমি আছি তো সব সময় তোমার পাশে,,,
আরিশা খুব শক্ত করে আহাদকে জড়িয়ে ধরে,,তার বুকে কেমন যেন অস্তিরতা কাজ করছে মনে হচ্ছে কিছু তো খারাপ হবে যা হওয়া উচিত নয়,,,
অইদিকে,,,
তিথি চেঞ্চ করে দেখে আবির নাই রুমে,,বারান্দায় গিয়ে বসে আর ভাবে আজ মায়রাকে কি না মজা বুজালো,,,
তিথিঃ হাহা আজ সে হইছে সে,,,ইশ যদি ভিডিও করে রাখতাম অই ডাইনীটার কাঁদায় পড়ে যাওয়া উফফফ কি না মজা হতো,,,আইসক্রিম খাইতাম আর দেখতাম তার পড়ে যাওয়া,,,,,
তিথি অনেক হাসে নিজে নিজে,,,তারপর ভাবতে থাকে আবিরের হলো টা কি,,,
তিথিঃ আজ অই বজ্জাত এর হলো টা কি??আজ এতো রোমান্টিক হচ্ছে? ব্যাপার তো ঠিক দেখাচ্ছে না,,,আচ্ছা অই বজ্জাত কি তাহলে আমাকে ভালোবাসে,,, দূর কিসব ভাবছি আমি,,,
দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির,,,কিছু টা লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে রুমে যায়,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি ব্যাপার হঠাৎ এতো লজ্জা পাচ্ছো যে,,,,
তিথিঃ কই না তো???
আবিরঃ হুম দেখতেছি তো,,,,

তিথিঃ কচু দেখেন হু,,,,
আবিরঃ সন্ধ্যায় কি পড়বা?
তিথিঃ কি পড়বো মানে?
আবিরঃ অনুষ্ঠানে কি ড্রেস পড়বা?
তিথিঃ ওহ আচ্ছা লেহেঙ্গা
আবিরঃ হুম,,,
তিথিঃ আর আপনি?
আবিরঃ সিউর না,,,
তিথিঃ অহ আচ্ছা,,,আচ্ছা আমি নিচে যাই দেখি সবাই কি করে
আবির তিথির হাত ধরে বলে
আবিরঃ একটু আমার কাছে থাকবে?
তিথিঃ আচ্ছা
আবিরঃ খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে বুকে নিয়ে শুতে,,,
তিথিঃ হেএএএএ
আবিরঃ সমস্যা আছে?
তিথিঃ কই না তো,,,,
আবির তিথিকে কোলে তুলে নেয় হুট করে
তিথিঃ আ,,,পনি হুট করে কোলে নিলেন যে?
আবিরঃ এমনি,,,মন চাইছে তাই
কথাটা শুনেই যেন লজ্জায় লাল হয়ে যায় তিথি,,,,আবির তিথিকে বিছানায় নিয়ে যায়,,শুয়ে দিয়ে নিজে ও শুয়ে পড়ে,,তিথিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে বলে
আবিরঃ জানি না কেন খুব ভালো লাগে তোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে,,,
তিথিঃ(আরে পাগলা তুই তো আমাকে ভালোবাসিস তাই হিহি,,,নিজে যেদিন আমাকে প্রোপজ করে বলবি যে তুই আমাকে ভালোবাসিস মিস্টার বজ্জাত অইদিন আমিও বলবো কত খানি ভালোবাসি)
আবিরঃ তিথি,,,
তিথিঃ জ্বি
আবিরঃ মুহূর্ত টা যদি থেমে যেতো তাহলে খুব ভালো হতো তাই না?
তিথিঃ হুম,,,
আবির আরো শক্ত করে ধরে তিথির মাথায় চুমু দিয়ে বলে,,,,,
আবিরঃ তোমার ঘ্রাণ টা আমার অনেক ভালো লাগে,,,,
তিথি তাড়াতাড়ি উঠে যায় আবিরের বুক থেকে আবির তাকিয়ে আছে হঠাৎ কি হলো যে তিথি উঠে গেছে,,,,
আবিরঃ কি হলো?
তিথিঃ ছি ঘামের ঘ্রাণ আপনার ভালো লাগে,,,
আবির হেসে দেয়,,,তারপর হাসি অফ করে বলে
আবিরঃ পাগলি একটা,,,শরীরের একটা আলাদা ঘ্রাণ আছে,,,,আর তোমার ঘ্রাণ মুগ্ধ করার মত বুজলা,,
তিথিঃ অহ,,,,
আবিরঃ উহু,,,,
তিথি আর কিছু বলে না আবির আবার তিথিকে টেনে নেয় বুকে,,,
এইভাবে তারা কিছু সময় এক সাথে কাটায়,,,
বিকাল হয়ে যায়,,,বাড়ির বাহিরে বাগানের সাইট অনেক বড় হওয়াতে অইখানে আয়োজন করা হয় আজ,,,বড় করে দুইটা স্টেজ বানানো হয়,,,একটাতে ব্যান্ডের লোকেরা গান বাজাবে যা নিচু করে বানানো হয় স্টেজ,,,
অন্য দিকে ফুল দিয়ে সাজানো হয় বড় স্টেজ যেখানে কনে বর বসবে,,চারপাশে লাইট লাগানো হয় কালার ফুল,,,খোলা জায়গায় এইভাবে স্টেজ আর সাজানোতে বেশ সুন্দর এই লাগছে,,,চেয়ার টেবিল সাজানো হচ্ছে এক পাশে,,,হলুদ অনুষ্ঠান বলে কথা,,,
সবাই আজ ব্যস্ত,,
আমানের বাবাঃ সব কিছু হয়েছে??
আবিরের বাবাঃ হ্যাঁ হয়ে তো গেছে,,,একটু পর সব মেহমান আসবে,,,
আহাদের বাবাঃ আরে বেয়াই চিন্তা করিয়েন না সব ঠিকঠাক হবে,,,,
আমানের বাবাঃ হুম ৪ টা বিয়ে যে এক সাথে,,,
আবিরের বাবাঃ আরে চারটা নয় দুইটা,,,
আমানের বাবাঃ আরে চারজন তো
আহাদের বাবা হেসে দেয় তাদের এমন কান্ডতে,,তিথির বাবা ও যোগ দেয় তাদের সাথে ,,তারা এইভাবে আড্ডা দিচ্ছে আর সব দেখছে ঠিক আছে কিনা,,,
সন্ধ্যা হয়ে আসে সব কিছু পারফেক্ট,,,,
আমান আহাদ হালকা আকাশী কালারের পাঞ্জাবি পড়ে আর আবির নীল পাঞ্জাবি,,,,,আমান আহাদ খুব জোর করে বাট আবির বলে তার তো বিয়ে না তাই সে বরদের মত রেডি হবে না,,,
অইদিকে আরিশা তিশা আকাশী কালারের লেহেঙ্গা পড়ে ফুলের গহনা ও,,,,দুইজনকে পার্লারের মেয়েরা সাজিয়ে যায়,,,বেশ সুন্দর লাগছে দুইজনকে,,,
আমান আর আহাদ স্টেজে বসে আছে,,অন্য স্টেজে গান বাজানো হচ্ছে মেহমানরা ও এসে যায় তারা ইনজয় করছে আজকের অনুষ্ঠান,,,,
আবির আকাশ আর নেহাল আর বাকি ফ্রেন্ডদের সাথে এক পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা করছে,,,আবিরের মা আবিরকে ডাক দেয়,য,
আবিরের মাঃ এই আবির এইদিকে আয় তো ,,,
আজ আবিরের মা একটা মেহেরুন কালারের শাড়ি পড়ে সাথে মিলিয়ে গহনা অসাধারণ লাগছে আজ তার মাকে,,আবির তার মায়ের কাছে এসে বলে
আবিরঃ বাহা আজ এতো সুন্দর লাগছে আমার মাকে কি ব্যাপার হুম,,বাবাকে বুজি আবার বিয়া করবা?
আবিরের মাঃ এক চড় মারবো ফাজিল ছেলে,,,
আবিরঃ হাহা সত্যি অসাধারণ লাগছে আজ আমার মাকে,,,
আবিরের মাঃ তোর বউকে আরো বেশি লাগছে,,,
আবিরঃ অহ তাউ তো আমার বউ কই??(ফাজলামি মুড নিয়ে)
আবিরের মাঃ আরিশা তিশার সাথে আছে এখন,,,
আবিরঃ উহু
আবিরের মাঃ শুন আরিশা আর তিশা এখন আসবে স্টেজে,,,,কিন্তু ফুলের যে দোপাট্টা আছে অইটা ধরতে হবে তোকে ও,,,,তুই তিথি আর তোর কাজিন ওদের ও বলেছি তোরা ধরবি কেমন,,,,ওরা আসবে এখন তুই গিয়েই ধরবি এক সাইট,,,,
আবিরঃ আচ্ছা
কিছু ক্ষন এর মধ্যে আরিশা আর তিশার আগমন হয় সব গান অফ করা হয় শুধু ঢোল বাজতে থাকে,,,তিশা আরিশার মাথার উপরে ফুলের অনেক বড় একটা পর্দার মত বানিয়ে ধরে আনা হচ্ছে,,,এক কোণা তিথি ধরে আর বাকি কোণা গুলো আবিরের অন্যান্য কাজিনরা,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে জাস্ট থ,,দিনের পর দিন তিথির রুপ যেন আবিরকে মুগ্ধ করে,,,নীল কালারের লেহেঙ্গা কাঁচা গুলের গহনা,,,যেন নীল পরী হেটে আসছে আবিরের দিকে,,,,কাকতালীয় ভাবে আজ আবিরের সাথে তিথির ড্রেসের কালার মিলে যায়,,,,চুল গুলো কাল করা তিথির,,,আজ তিথিকে যে নীল পরী লাগছে সত্যি,,,,সে অপরুপ চেহারা যা দেখে আবির আজ সত্যি ক্রাশিত,,,আবিরের মুখ দিয়ে হুট করে বের হয়,,
আবিরঃ(নীল পরী)

আবিরের মা আবিরকে বলে
আবিরের মাঃ আবির যা ধর গিয়ে
আবির তাড়াতাড়ি গিয়ে এক সাইট ধরে,,,,,আবিরের নজর কিন্তু আজ তিথির দিকে বারবার তিথির দিকে তাকাচ্ছে,,,,
তিশা আরিশা হাঁটতে থাকে তাদের জন্য ফুল দিয়ে রাস্তা বানানো হয় স্টেজ পর্যন্ত,,,স্টেজ এর সামনে আসে আহাদ আরিশার দিকে হাত বাড়ায় আর আমান তিশার দিকে,,,আরিশা আর তিশাকে স্টেজে তুলা হয়,,,,
ঢোলের আওয়াজে যেন মুহূর্ত টা আরো বেশি সুন্দর হয়ে আসছে,,,
তিথি এক পাশে দাঁড়ায় আর আবির তিথির কাছে গিয়ে দাঁড়ায়,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে ভাবে আজ যে তার মিস্টার বজ্জাতকে অসাধারণ লাগছে,,,
তিথিঃ (হায় আজ মিস্টার বজ্জাত নীল পাঞ্জাবিতে এতো হ্যান্ডসাম লাগছে যে বলার মত না,,,নিজের বরের উপর নিজে আর কত যে ক্রাশ খাবো আল্লাহ জানে,,,,)
আবির তিথির কানের কাছে মুখটা এনে বলে
আবিরঃ আজ তোমাকে পুরো নীল পরী মনে হচ্ছে,,,অনেক বেশি সুন্দর লাগছে নীল ড্রেসে,আজ পরী ও হার মানবে তোমার কাছে,,,,
তিথি আবিরের তারিফে লজ্জা পায়,,,,
আবিরঃ লজ্জা মাখা মুখ যে তোমায় আরো বেশি মায়াবতী লাগে,,,শুধু একটা শব্দ আসে কিউটি দ্যা বিউটি,,,,
তিথিঃ আপনাকে ও অনেক সুন্দর লাগছে,,,,(কিছু টা লজ্জা ভাব নিয়ে)
আবির তিথি একে অপরের দিকে তাকিয়ে আজ মুগ্ধ,,,নীল ড্রেসে আজ দুইজনকে অসাধারণ লাগছে,,,,আর তিথিকে তো নীল পরী আর আবিরকে কি বলবো ভাবছি🤔,,,,,,
চলবে,,,,,