সিনিয়র বউ

Life’s First Love– পর্ব -৪

লেখা: রায়হান আহমেদ।
আগেই বলে দিয়েছিলাম, যে গল্পের সৌন্দর্যের
জন্য রোমান্টিক করার জন্য,গল্প টা একটু ভিন্ন ধরনের হবে,, সো কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না।।
তারপর প্রতিদিন আমি নিপা কে কোনো না কোনো ভাবে অত্যাচার করতাম। আমার খুব ভালই লাকত, বাট নিপার ত এখদম না, নিপা আমাকে মাজে মাজে বকত সেটা আমি বুঝতাম, বাট অনেক ভাল লাকত, অনেক সময় মুখ ভেংচি দিয়ে চলে যেত, আর যে সময় আমি খুব রেগে গিয়ে ওকে বকতাম, তখন দেখতাম নিপা অনেক টাই ভয় পেয়ে যেত, সাতে সাতে আবার সরি ও বলে দিতাম।
এই ভাবেই কেটে গেল আমাদের ৫ মাস, ৫ টা মাসে ও আমি অকে কিছুই করতে পারলাম না, অনেক বার চেষ্টা করেছিলাম, ভালোবাসার কথা টা বলার জন্য, বাট পারলাম না, ভালবাসারর কথা টা বলতে গেলেই একটা না একটা বাধা এসে পড়ে যেত, আর সব থেকে বড় বাধা টা হচ্ছে ভয়, অনেক ভয় হত, মধু যেই ভাবে বলেছে যে, এই কথা বললেই, ২ গালে ২ টা করে থাপ্পড় পড়ে, তারপর আর কি ভাবে বলি, যদি সত্যি থাপ্পড় দিয়ে দেয়,মান সম্মান কিছুই থাকবে না, যাই হোক, আজ অনেক দিন পর তারিফ এর সাতে আড্ডায় যাব, প্রায় ৫ মাস পর, যাই একটু আড্ডা দিয়ে আসি,?
হ্যাল, স্যার (নিপা),
আমার কেবিন এ একটু আস? (তাহসিন)।
স্যার আসব, (নিপা)
হা আস,(তাহসিন),
শুন আজ একটা কাজে আমি এখনই চলে যাব,
আর আমি যাওয়ার পর তুমি কিন্তু সবার বস,
সো বেখায়ালী হবে না, ওকে, সময় মত চলে যেও, (তাহসিন),
আমি কবে বেখায়ালী হলাম, (নিপা)
তোমাকে আমি তর্ক করতে এই কানে ডাকি নি,
যা বলছি শুন, আর কোনো কথা না, যাও (তাহসিন)।
হুহ (নিপা)।
কত বড় বেয়াদব, সারাটা দিন কাজের মধ্যে রাখে আবার বলে আমি না কি বেখায়ালী,
এই টা কোন ধরনের কথা, দ্বারা তকে একটা
সুজোগ পাই, তকে আমি এমন নাচ নাচাবো তুই কল্পনা ও করতে পারবি না, সালা বেয়াদব,
আজ ৫ টা মাস ধরে আমার জীবন টা একদম তেনা তেনা হয়ে গেছে, সব এই বেয়াদব টার জন্য, (নিপা এসব বিড় বির করে বলছে, আর মধু এসে সব শুনছে আর মুচকি মুচকি হাসছে)
আপু কি হইছে তোমার? (মধু)
কিছু না রে,তুই কখন আসলি, (নিপা)
অনেক আগে এসে দেখি তুমি কি সব বকছ (মধু),
ও কিছু না, সালা বেয়াদব টার কথা ভাবছি, আর ভাবছি এই চাকরি টা ছেরে দিব, (নিপা),
কিহ না আপু তুমি চাকরি ছাড়বে কেন? (মধু)
না ছেড়ে উপায় নেই রে, দেখ আজ ৫ টা মাস ধরে আমার জীবন টা তেনা তেনা হয়ে গেছে, প্রতি দিন সালা বেয়াদব টা কোনো না কোনো বাহানায় আমাকে অত্যাচার করেই যাচ্ছে, আমি কত সহ্য করব বল, আমি ত একটা মানুষ? (নিপা)।
হুম তা টিক, বাট চাকরি টা ছের না? (মধু)
ওকে আচ্ছা চল একটা জায়গায় যাব, অনেক দিন হল যাই না, আজ সব ফ্রেন্ড ও যাবে তুই ও চল আমার সাতে, (নিপা)।
কোথায় আপু (মধু)।
একটা পার্টি আছে, ক্লাব এ (নিপা)
না আপু এসব এর মাজে আমি যাই না (মধু)
দূর পাগলি অই টা অন্য রকম, কিছু হবে না চল আমার সাতে (নিপা)।
ওকে, (মধু)।
তারপর মাধরী কে নিয়ে গাড়িতে উটলাম। (নিপা)।
দোস্ত ৫ মাস হয়ে গেল এখন ও কিছুই করতে পারিস নি (তারিফ)
না রে অনেক চেষ্টা করেও পারি নি, ভিতরে কেমন যেন একটা ভয় কাজ করত, তাই আর বলি নি, আর কি ভাবে বলব বল? আজ ৫ মাস ধরে অকে শুধু অত্যাচার করে যাচ্ছি একটা দিন ও ভাল করে কথা বলি নি, (তাহসিন)।
সালা তুই এমন করিস কেন, (তারিফ)
আরে এমন না করলে আমার ভাল লাগে না (তাহসিন)।
কি রে এই ভাবে হা করে থাকিয়ে আছিস কেন? (তারিফ)।
গারিতে উট (তাহসিন)।
কোথায় যাবি (তারিফ)
উট আগে তার পর বলছি (তাহসিন)।
(আমি যে সময় তারিফ এর সাতে কথা বলতে ছিলাম, টিক সেই সময় চেয়ে দেখলাম মধু আর নিপা গারি করে কোথাও যাচ্ছে, অনেক সাজগোজ করেছে, তাই কিছু টা সন্দেহ হচ্ছে)
কি রে ক্লাব এ আনলি কেন? (তারিফ)।
অই দেখ, (তাহসিন)।
এই পরি এই কানে কেন? (তারিফ)
কি জানি চল ভিতরে গিয়ে দেখি (তাহসিন)।
মামা পরির সাতে আরেকটা পরি কে রে, চশমা পড়া, (তারিফ),
ও মধু আমি ছোট বোন এর মত দেখি (তাহসিন)।
ভাইয়া চলেন ভিতরে (তারিফ)।
সালা ভাইয়া কবে থেকে হলাম? (তাহসিন)
এই যে আপনার ছোট বোন উনার স্বামী আমি তাই আজ থেকে ভাইয়া (তারিফ)।
বুঝেছি চলেন,, (তাহসিন)
তারপর আমরা ভিতরে গেলাম, গিয়ে দেখি অনেক মানুষ, কেউ কেউ মদ কাচ্ছে আবার কেউ কেউ জুস, অই সবের মাজে মদ বেশি চলে
যাই হোক,,,
আপু এই দিকে তাকাও (মধু)
কেন কি হইছে (নিপা)
আরে তাকাবে ত (মধু)
আমি হা করে থাকিয়ে আছি, স্যার এই কানে (নিপা)।
এখন কি হবে, (মধু)
কিছুই হবে না তুই দেখ আমি কি করি (নিপা)।
হাই স্যার, গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসছেন, (নিপা)
হুম (তাহসিন)।
কোথায় দেখি (তাহসিন)।
হটাৎ ডান্স শুরু হয়ে গেল
এইত আমার গার্লফ্রেন্ড বলেই নিপার হাত ধরে ডান্স করা শুরু করলাম,, নিপা অনেক টাই অবাক হয়ে গেল,, (তাহসিন)।
হটাৎ সব বাতি নিবে গেল, সবাই কে হালকা হালকা দেখা যাচ্ছে, খুব কাছ থেকে, আমি নিপার হাত ধরে টান দিয়ে আমার বুকের কাছে নিয়ে আসলাম, নিপার ২ হাত আমার কাদে, আর আমার ২ হাত নিপার কোমড়ে,
কি করছেন কি আপনি (নিপা)
দেখছ না কি করছি (তাহসিন)
হুম ছাড়ুন আমাকে (নিপা)
ছাড়ার জন্য ত আর ধরি নি (তাহসিন)
বলছি না ছাড়ুন, (নিপা)
চুপ একদম চুপ (তাহসিন)
তুমি কি কিছু বুঝ না, মানুষ এত অত্যাচার কার উপরে করে, নিজের কাছের মানুষের উপর, তুমি কি বুঝ না,,তোমাকে যে দিন আমি প্রথম দেখি সেই দিন তোমার প্রেমে পড়ে যাই, তুমি কি বুঝ না, যে আমি কেন তোমাকে এত অত্যাচার করি (তাহসিন)
প্লিজ স্যার আমাকে ছেরে দিন, আর এসব প্রেম ভালবাসা আমি পছন্দ করি না, (নিপা)।
(আমি নিপা কে এক টানে একদম আমার কাছে নিয়ে আসলাম, আমার মুখ আর নিপার মুখ একদম কাছেই,)।
আমি বুঝতে পারছি না যে, স্যার এর কাছে যাওয়া মাত্রই আমার শ্বাস এত ঘন হয়ে গেল,
আমার হার্ট বিট বেড়ে গেছে,, আমি চোখ বন্ধ করে ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছি। হটাৎ আমি অনুভব করলাম স্যার এর হাত আমার পেটে, স্যার আমার পেটে হালকা হালকা চাপ দিচ্ছেন,
এই দিকে স্যারের স্পর্শে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, আমি চোখ বন্ধ করে আছি, তারপর স্যার আমার গারে কিস করে বসলেন,, আমি
কোনো ভাবে অনেক কষ্ট করে নিজেকে সামলিয়েছি, স্যার কে এক ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ছারিয়েছি, যেই চলে আসব টিক এই সময় স্যার আবার আমার হাত ধরে টেনে কাছে নিয়ে গেলেন, টিক আগের মতই আমার গারে কিস করতে লাগলেন, আমি কেমন জেন হয়ে গেলাম, আমার কথা বের হচ্ছে না, হটাৎ আমার কি হয়ে গেল,,, (নিপা)।
চলবে….