সিনিয়র বউ

Life’s First Love– পর্ব -৩

লেখা: রায়হান আহমেদ।
তারপর নিপা চলে গেল আর আমি মুচকি মুচকি হাসছি, কি থেকে কি হয়ে গেল।
হটাৎ ফোন টা বেজে উটল, চেয়ে দেখি তারিফ
কল দিয়েছে। (তাহসিন)।
হ্যাল তাহসিন কখন আসবি? (তারিফ)।
কোথায় যাব, (তাহসিন)।
কোথায় মানে আমরা প্রতিদিন কোথায় থাকি? (তারিফ)।
অহ সরি ভুলে গিয়েছিলাম,আমি এখন অফিস এ, (তাহসিন)।
কিহ তুই অফিস এ,!! (তারিফ)।
হুম অফিস এ, শুন কালকের এই পরি টা এখন আমার সামনে,! (তাহসিন)
কি বলস সত্যি, ও এই কানে কি করে (তারিফ)
আরে এই পরি টা আমার পি.এ, (তাহসিন)।
মামা এই সুযোগ টা মিস করবা না ওকে (তারিফ)।
ওকে দোস্ত, তাহলে এখন রাখি, বাই (তাহসিন)
ওকে বাই, (তারিফ)।
উফফফ কি ভাবে এই পরি টা কে পটাই, বুঝতেই পারতেছি না, বাট যে কোনো মূল্যে ওকে আমার চাই চাই। ওকে ছাড়া আমি থাকতেই পারব না,? (তাহসিন)।
হ্যাল মধু (তাহসিন)।
জ্বি স্যার (মধু)।
আমার কেবিন এ একটু আস ত (তাহসিন)।
স্যার আসব (মধু)।
হা আস, বস, আর শুন এখন থেকে আমাকে আর স্যার বলবে না, ওকে ভাইয়া বলবা ওকে, (তাহসিন)।
ওকে স্যার (মধু)।
উফফ আবার (তাহসিন)
সরি ভাইয়া (মধু)।
হুম এখন শুন, তোমাকে আমি একটা কথা বলি, তুমি আমাকে একটা হেল্প করবা, (তাহসিন)।
মানে, ভাইয়া আমি আপনাকে কি ভাবে হেল্প করতে পারি, (মধু)
আরে শুন, আমি যেদিন নিপা কে দেখি, সেই দিন নিপার প্রেমে পড়ে যাই,আমি নিপা কে অনেক খুজেছি বাট পাই নি, আমি জানতাম না যে নিপা আমাদের অফিস এ কাজ করে তা ও আবার আমার পি.এ, যে কোনো মূল্যে আমি নিপা কে চাই, আজ যখন আমি নিপা কে দেখি অনেক টাই অবাক হয়ে যাই, কারন যা কে আমি খুজছি সে নিজে থেকে এসে আমাকে ধরা দিল, তাই আমি সুযোগ টা হাত ছাড়া করতে চাই না,, তুমি আমাকে হেল্প করবে ত,? (তাহসিন)।
হুম ভাইয়া করব (মধু),
কি হল তোমার ২ গালে হাত দিয়ে মন খারাফ করে বসে আছ কেন,? (তাহসিন)।
ভাইয়া আপনি যা ভাবছেন তা ত হবে না (মধু)
হবে না মানে,নিপার কি বয়ফ্রেন্ড আছে (তাহসিন)।
না ভাইয়া বয়ফ্রেন্ড নেই, (মধু)।
তাহলে (তাহসিন)।
আজ পর্যন্ত নিপা আপু অনেক প্রপোজ পাইছে
বাট একটা কে ও হা বলে নি সব টি কে রিজেক্ট
করেছে, আর সাতে সাতে ২ গালে ২ টা করে থাপ্পড় পড়েছে, অনেক রাগী নিপা আপু, এখন আপনি বলেন কি করব, (মধু)।
বুঝেছি, সুজা সুজি কাজ হবে, না একটু বেখা হতে হবে, সমস্যা নেই, তুমি আমাকে হেল্প করবা ওকে, আমি যা বলব তুমি শুধু তাই কর,
ওকে, (তাহসিন)।
ওকে ভাইয়া (মধু)।
আচ্ছা এখন তুমি যাও, (তাহসিন)
হুম (মধু)।
উফফফ এই স্যার টা কি পাগল হয়ে গেছে, আর কারও প্রেমে পড়তে পারল না, নিপা আপুর প্রেমে পড়েগেছে, আমি ত ছিলাম, আমি কি একটু ও কিউট না,, আমকে বোন বানিয়ে ফেলছে, বেটা আজব!! (মধু)।
বেটা বেয়াদব কোথাকার আজ প্রথম এসেই আমার ১২ টা বাজিয়ে দিল, ৩ দিনে আমি কি ভাবে ১২ টা ফাইল শেষ করব, বেয়াদব কোথাকার, কুত্তা বিলাই, গরু, উফফ বুঝেছি আমার এই ব্যাবহার এর জন্য আমার প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে, বেয়াদব, আমাকে এখন ও চিন নাই, আমি কি জিনিস, আমি এর প্রতিশোধ নিবই, তখন বুঝবা নিপা কি জিনিস, (মধু)।
আপু আসব (মধু)।
হা আয় (নিপা)।
আপু কিছু নিয়ে টেনশন করছ মনে হয় (মধু)।
হুম রে দেখ না এই বেয়াদব টা ১২ টা ফাইল ধরিয়ে দিছে, যে ৩ দিনের ভিতরে এই ১২ টা ফাইল এর কাজ শেষ করতে হবে তা না হলে আমার খবর আছে, বল ত এখন কি করি,এসেই
অত্যাচার শুরু করেছে,, (নিপা)।
হুম স্যার অনেক রাগী, বাট স্যারের মন টা খুব
ভাল, উনার সাতে আমি কথা বলেছি, (মধু)।
হুহ ভাল না ছাই কুত্তা কোথাকার, (নিপা)।
এই কানে কে জেন কাকে কুত্তা বলল, (তাহসিন)।
স্যার আপনি, (নিপা)।
হুম বসুন, এখন বলুন, এই কানে কুত্তা কে, (তাহসিন)।
কেউ না স্যার (নিপা)।
ও তা হলে কি আমি ভুল শুনেছি (তাহসিন)।
হতে পারে, (নিপা)।
শুনুন মিস নিপা, এই কানে কি হয় না হয় আমি সব জানি এন্ড দেখি, এই যে একটু উপরে দেখেন, সি,সি, ক্যামেরা লাগানো বুঝেছ, (তাহসিন)।
জ্বি স্যার, (নিপা)।
হুম এখন নিজের কাজে মন দাও,আর মধু তুমি তোমার কাজে জাও, (তাহসিন,)।
ওকে স্যার (মধু)।
কাজ কর, বলেই আমি চলে আসলাম,
আর হাসলাম, (তাহসিন)
কি বেপার স্যার কে দেখলে আমার এত ভয় হয় কেন, আমি ত কাউকে ভয় পাই না, সবাই আমাকে ভয় পায়, আর আমি কি না স্যার কে,
দূর ভাল লাগে না,
চলবে…..