I AM YOUR VILLAIN LOVER

I AM YOUR VILLAIN LOVER !! Part- 12

চিঠি পড়া শেষ করে চিঠিটা হাতের মাঝে দুমড়ে মুচড়ে নিলো মেঘ।তারপর মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ বসে রইলো মেঘ। তারপর মাথা ওপরে তুলে একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে সোফা থেকে উঠে নিজের রুমে চলে গেলো। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো মেঘ। ফ্রেশ হয়ে এসে ফোন হাতে নিয়ে বর্ষার বাড়িতে ফোন করলো মেঘ

— হ্যালো কে বলছেন?(বর্ষার বাবা আশরাফ খান)

— আসসালামু আলাইকুম আংকেল। আমি মেঘ বলছি, বর্ষা কি আপনার ওখানে আছে?

— ওয়ালাই কুমুসসালাম, হ্যা মেঘ বাবা বর্ষা এখানেই আছে। সকালেই তো এলো, কেনো তোমায় বলে আসেনি।

— জ্বি আংকেল বর্ষা আমায় বলেই গেছে। আসলে আমি ফোন করে শিওর হচ্ছিলাম ও ভালো ভাবে গিয়ে পৌছেছে কি না। ওকে আংকেল এখন তাহলে রাখি।আল্লাহ হাফেজ

কথাগুলো বলেই আশরাফ খানকে আর কিছু বলার সুজোগ না দিয়েই ফোন কেটে দিলো মেঘ। তারপর বাকা হেসে আলমারি থেকে কাপড় চোপড় বের করে পরে নিয়ে রেডি হলো। রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো মেঘ।
,
,
,
বিকাল ৩.০০ টা

বর্ষা ওদের বাসার ছাদে দাড়িয়ে আছে। আর ভাবছে গত কাল রাতের কথা। কালকে রাতে বর্ষা যখন চিঠি লিখে রেখে মেঘের বাসা থেকে বেরিয়ে আসে তখন রাস্তায় কিছুক্ষণ হাটার পরেই বর্ষার পিছু নেয় কয়েকজন নেশাখোর লোক। বর্ষা বেশ ভয় পেয়ে যায় লোকগুলোকে দেখে। বর্ষা দৌড়াতে থাকে ফুটপাত ধরে। ঐ সময় বর্ষার কপাল ভালো থাকায় রাস্তায় কিছু লোক এগিয়ে আসে বর্ষাকে সাহায্য করতে। বর্ষা লোক গুলোর কাছ থেকে মুক্তি পেতেই একটি বয়স্ক ভালো লোকের সাহায্য নিয়ে সিএনজি করে চলে আসে নিজের বাড়ির সামনে। তারপর লোকটাকে বিদায় দিয়ে বর্ষা সারারাত বাসার বাইরেই কাটিয়ে দেয়।

বর্ষা মেঘের বাসা থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভেবেছিলো ও অনেক দুরে কোথাও চলে যাবে। কিন্তু পরে যখন রাস্তায় বিপদে পরে তখন বুঝতে পারে একজন যুবতী মেয়ের একা একা বাড়ি ছেরে দুরে কোথাও যাওয়া কতটা রিস্কি হবে। আর বর্ষা কোনো মতেই ওর পেটের বাচ্চার ক্ষতি হতে দিতে চায়না। তাই বর্ষা সিদ্ধান্ত নেয় ও নিজের বাবার বাসায় ফিরে আসবে আর সেখানেই থাকবে।

সকাল হলে বর্ষা যখন ওর বাবার বাসায় ঢোকে তখন বর্ষাকে দেখে হাজারটা প্রশ্নের ডালি খুলে নেয় ওর মা বাবা। সকলের প্রশ্ন শুনে বর্ষা বুঝতে পারে ওর আর আগের মতো মুল্য নেই এই বাড়িতে। বাবা মা ওকে ভালবাসলেও তারা যদি জানতে পারে বর্ষা পালিয়ে এসেছে শশুড়বাড়ি থেকে তাহলে কখনোই সেটা মেনে নিবে না ওর বাবা মা। কেননা তারা মেঘকে অনেক ভালবাসে। আর ভালো জানে মেঘকে। তারা কেউ বিশ্বাসই করবে না হয়তো বর্ষার কথা। তাই বর্ষা ওর বাবা মায়ের কাছে লুকায় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কথা গুলো।

ছাদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব ভাবছিলো বর্ষা। হঠাৎ বর্ষার চোখ যায় নিচে গেটের সামনে এসে দাড়ানো একটি কালো রঙের গাড়ির দিকে। গাড়িটা বর্ষার চেনা। এটা তো মেঘের গাড়ি। মেঘের গাড়ি দেখে কিছুটা অবাক হয় বর্ষা। আর তখনি বর্ষাকে আরো বেশি অবাক করে দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসে মেঘ। নীল পাঞ্জাবী, চোখে কালো সানগ্লাস, হাতে দামি ঘড়ি, সিল্কি চুলগুলো বাতাসে উড়ছে, মুখে বাকা হাসি। গাড়ি থেকে নেমে ছাদে বর্ষার দিকে তাকায় মেঘ। তারপর চোখের চশমাটা খুলে বর্ষাকে একটা চোখ টিপ মারে। তারপর বর্ষাকে উদ্যেশ্য করে একটা ফ্লাইং কিস ছুরে দেয় মেঘ। বর্ষা মেঘের এমন কান্ড দেখে হা করে তাকিয়ে আছে মেঘের দিকে। মেঘের এমন রুপ যেনো কত বছর হলো দেখেনা বর্ষা।

বর্ষাকে অবাক হতে দেখে বাকা হেসে গাড়ি থেকে কিছু জিনিস পত্র নিয়ে বাসার ভিতর ঢুকলো মেঘ। মেঘকে বাসায় ঢুকতে দেখে বর্ষাও দ্রুতো নেমে এলো ছাদ থেকে।

মেঘ বাসার ভিতর ঢুকে বর্ষার মা বাবাকে সালাম করলো। তারপর বর্ষার মায়ের হাতে অনেকগুলো ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বললো

— আন্টি এই প্যাকেট গুলোর মাঝে আপনার আর আংকেলের জন্যে কিছু কাপড় চোপড় আছে। আর বাকি প্যাকেট গুলোর মাঝে আপনাদের জন্যে মিষ্টি আর ফলমুল আছে এগুলো নিয়ে যান।

মেঘের কথা শুনে বর্ষার মা মুচকি হেসে বললো

— এসব নিয়ে আসার কি দরকার ছিলো বাবা। তুমি কি আমাদের মেহমান নাকি। তুমি তো এ বাড়িরই ছেলে।তুমি বসো আমি বর্ষাকে ডাকছি।

— কি বলেন আন্টি এত বড় একটা সুখবর নিয়ে এসেছি আর আপনাদের জন্যে কিছু আনবো না। তা কি কখনো হয়?

মেঘের কথা শুনে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বর্ষার বাবা বললো

— কি সুখবর মেঘ বাবা। কই বর্ষাতো আমাদের কিছু বলেনি।

আশরাফ খানের কথা শুনে মেঘ বর্ষাকে নিচে নামতে দেখে ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে বর্ষার হাত ধরে বললো

— একি বর্ষা তুই আংকেল আন্টিকে কিছু বলিস নি? ওহ বুঝতে পেরেছি আসলে বর্ষা লজ্জা পেয়েছে আংকেল। আমিই বলছি। আপনারা নানুভাই আর নানুমনি হতে চলেছেন।(লজ্জা মাখা মুখ করে)

মেঘের কথা শুনে আনন্দে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠলো বর্ষার বাবা মায়ের মুখে। এদিকে মেঘের এমন কান্ড দেখে অবাকের ওপর অবাক হচ্ছে বর্ষা। মেঘের এ যেনো এক নতুন রুপ দেখছে বর্ষা। বর্ষাকে অবাক হতে দেখে বর্ষার দিকে তাকিয়ে আবারও একটা চোখ টিপ মারলো মেঘ।

— কি রে বর্ষা তুই তো আমায় কিছু বললি না। এত বড় একটা সুখবর জানালি না আমায়। মেঘ বাবা তুমি বর্ষার রুমে গিয়ে রেস্ট নাও। বর্ষা মা মেঘকে তোর রুমে নিয়ে যা। আমি মেঘ বাবার জন্যে নাস্তা রেডি করি।

বর্ষার মায়ের বলতে দেরি কিন্তু মেঘ বর্ষার হাত ধরে বর্ষাকে নিয়ে বর্ষার রুমে যেতে দেরি করলো না। এদিকে বর্ষার বাবা আশরাফ খানের খুশিতে চোখ মুখ চকচক করছে। উনি নানুভাই হবে এর চাইতে আনন্দের আর কি হতে পারে। আশরাফ খান চলে গেলো মেঘের বাবা আহসান চৌধুরীকে ফোন করবে বলে।
,
,
,
বর্ষার হাত ধরে বর্ষাকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো মেঘ। তারপর বর্ষার দিকে ঘুরে দাড়িয়ে চোখের সানগ্লাস টা খুলে মাথার ওপর আটকিয়ে রাখলো। তারপর বাকা হাসতে হাসতে এগিয়ে যেতে লাগলো বর্ষার কাছে।

মেঘকে এগিয়ে আসতে দেখে ভয়ে যেনো গলা শুকিয়ে যেতে লাগলো বর্ষার। বর্ষা পিছাতে পিছাতে কাপা কাপা গলায় বললো

— তু তু তুই এ এখানে ক কেনো এসেছিস মে মেঘ। আ আর এমন আচরনই বা ক করছিস কেনো?

বর্ষার কথার উত্তরে মেঘ কিছু না বলে ডেভিল হেসে বর্ষার কাছে গিয়ে বর্ষার কোমড় জরিয়ে ধরে বর্ষাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। তারপর বর্ষার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো

— আমার থেকে পালাতে চেয়েছিলে কেনো সুইটহার্ট? মেঘ চৌধুরীর কাছ থেকে পালানো কি এতই সহজ?

কথাটা বলেই বর্ষার ঘারের সাথে নাক ঘষতে লাগলো মেঘ। মেঘের এমন কথা আর আচরনে কেপে উঠলো বর্ষা। তারপর কাপা কাপা গলায় বললো

— আ আমাকে ছা ছার মেঘ কি ক করছিস কি তুই। ছার আমায় কেনো এমন করছিস তুই?

বর্ষার কথা শুনে বর্ষাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো মেঘ। তারপর বর্ষার পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বললো

— তুই অস্বস্তি বোধ করছিস কেনো রে সরিষা। আমি তো এর আগেও তোকে টাচ করেছি তাইনা? তোর পেটে তো আমারই সন্তান। তাহলে আমার স্পর্শে তুই আনইজি ফিল করছিস কেনো।

মেঘের কথা শুনে বর্ষা বুঝতে পারলো মেঘ কি বোঝাতে চাইছে ওকে। মেঘ যে এখনো মানতে পারেনি ওর পেটে মেঘের সন্তান এটা বর্ষা বুঝে গেছে।

বর্ষা শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মেঘকে দুরে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মেঘের শক্তির সাথে কিছুতেই বর্ষা পেরে উঠছে না। এদিকে মেঘ একবার বর্ষার গলায় তো একবার বর্ষার ঘারে ক্রমাগত নাক ঘষে চুমো একে যাচ্ছে। বর্ষার অসস্তির শিমা যেনো পার হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা যখন কিছুতেই মেঘের শক্তির সাথে পেরে উঠছে না তখন বর্ষা অঝোড়ে কাঁদতে শুরু করলো। কাঁদতে কাঁদতে বর্ষার শরীর কেমন নিস্তেজ হয়ে আসছে। একেতো বর্ষা ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না তার ওপর ওর শরীর খুব দুর্বল। বর্ষাকে নিস্তেজ হয়ে পরতে দেখে বর্ষাকে ছেরে দিয়ে কোলে তুলে নিলো মেঘ। তারপর বিছানায় নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো। বিছানায় শুইয়ে দিতেই বর্ষা কাপা কাপা গলায় একটা কথাই বললো

— যদি বিশ্বাস করতে না পারিস তাহলে ভালবাসার দাবি নিয়ে আসিস না। কারন বিশ্বাস না থাকলে কখনো ভালবাসা হয়না,,,

এতটুকু বলেই চোখ বন্ধ করে নিস্তেজ হয়ে ঘুমের রাজ্জে পারি দিলো বর্ষা। বর্ষার বলা কথাটা যেনো তিরের মতো গিয়ে বিধলো মেঘের বুকে। মেঘ কিছুক্ষণ বর্ষার কাছে বসে বর্ষার দিকে অপলক তাকিয়ে রইলো। এই কয়েকদিনের মাঝেই বর্ষার চেহারাটা কেমন জানি হয়ে গেছে। আগের উজ্জালতা নেই। মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে বর্ষার। বর্ষার দিকে কিছুক্ষণ অপলক তাকিয়ে থেকে মেঘের চোখ থেকেও ঝড়ে পরলো দুফোটা পানি। মেঘ নিজের চোখটা মুছে নিয়ে বর্ষার গায়ে চাদর টেনে দিয়ে দরজা খুলে কোথায় যেনো চলে গেলো।

বর্ষার মা বার বার জিগ্যেস করায় মেঘ বললো জরুরি একটা কাজে যাচ্ছে তারাতারিই ফিরবে।
,
,
,
রাত ১০.১৫ টা

বর্ষার ঘুম ভাঙলো মুখের ওপর কারো গরম নিশ্বাস আর কয়েক ফোটা পানি পরার কারনে। বর্ষা চোখ বন্ধ অবস্থাতেই সামনের মানুষটার দিকে হাত বারালো। কিন্তু হাতে কারো স্পর্শ পেলো না বর্ষা। তাই চোখ মেলে তাকিয়ে চারিদিকে ভালো করে দেখতে লাগলো। কিন্তু রুমে বর্ষা ছারা আর কেউই নেই। বর্ষা কিছুটা অবাক হলো কারন ও পুরোপুরি অনুভব করেছে ওর মুখের ওপরে কেউ ছিলো আর সে হয়তো কান্না করছিলো আর তার চোখের পানিই বর্ষার মুখের ওপর পরেছে। বর্ষা হাত দিয়ে নিজের গালে স্পর্শ করে দেখলো সত্যিই ওর গালে কয়েকফোটা পানি লেগে আছে। কিন্তু বর্ষা কিছুতেই বুঝতে পারছে না কে ছিলো ওর রুমে।

বর্ষা বিছানা ছেরে উঠে বাইরে বের হলো। বাইরে বের হয়ে বর্ষা দেখলো মেঘ বর্ষার মা বাবার সাথে একসাথে বসে গল্প করছে। বর্ষাকে দেখে ওর মা বলে উঠলো

— বর্ষা মা তুই উঠেছিস? এখন শরীর কেমন লাগছে তোর?

— হুমম ভালো লাগছে আম্মু। আমি এতক্ষণ সময় ধরে ঘুমালাম তোমরা আমায় ডাকলে না কেনো?

— আমরা ডাকতে চেয়েছিলাম বর্ষা কিন্তু মে,,

এতটুকু বলতেই বর্ষার মাকে থামিয়ে দিয়ে মেঘ বললো

— আন্টি আপনি বর্ষার খাবার রেডি করুন। ওর শরীর এমনিতেই দুর্বল তার ওপর অনেক্ষন হলো কিছু খায়নি।

আর বর্ষা তুই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েছিস? নাকি ওমনিই বাইরে বেরিয়ে এলি?

মেঘের কথা শুনে বর্ষার মা বর্ষার খাবার বারতে চলে গেলেন। আর বর্ষা মেঘের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে রুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
,
,
ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বর্ষা দেখলো মেঘ ওর জন্যে খাবার নিয়ে বসে আছে। মেঘের এমন কান্ড দেখে বর্ষা যেনো অবাকের ওপর অবাক হচ্ছে। মেঘ কেনো এমন করছে সেটা কিছুই বুঝতে পারছে না বর্ষা।

বর্ষাকে চুপ করে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মেঘ নরম শুরে বললো

— এখানে খাবার রাখা আছে বর্ষা এসে খেয়ে নে। আর কালকে সকালেই আমার সাথে বাসায় যাবি তুই। তাই তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পর।

মেঘের কথা শুনে রাগ দেখিয়ে বর্ষা বললো

— তুই কেনো এসেছিস এখানে? চলে যা এখান থেকে। আমি আর কোনো দিন ঐ বাসায় ফিরবো না। তোর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই আমার। চলে যা আমার সামনে থেকে তুই।

বর্ষার কথা শুনে ডেভিল হাসলো মেঘ। তারপর বিছানা ছেরে উঠে দাড়িয়ে বাইরে যেতে যেতে বললো

–আমি ছাদে যাচ্ছি ১৫ মিনিট পর রুমে আসবো। এসে যদি দেখি তুই এখনো খাবার খাসনি তাহলে তোর আর তোর অনাগত বাচ্চার জন্যে ব্যাপারটা ভালো হবে না।

মেঘের কথা শুনে রাগে যেনো শরীর জ্বলে যাচ্ছে বর্ষার। বর্ষা রাগি গলায় বলে উঠলো

— কি করবি তুই আর কি করার বাকি রেখেছিস তুই? কেনো এসেছিস এখানে কি চাস তুই মেঘ কি চাস?

— তোকে চাই, তুই চাস বা না চাস তোকে আমার সাথেই থাকতে হবে আমার বাসায়। তাই বেশি কথা না বলে খেয়ে দেখে ঘুমিয়ে পর সকালে আমার সাথে বাসায় যাবি।

— যাবো না আমি ঐ বাসায় কি করবি তুই হ্যা কি করবি?

বর্ষার কথা শুনে ডেভিল হেসে বর্ষার কাছে এগিয়ে এসে মেঘ ফিসফিসিয়ে বললো

— বেশি কিছু করবো না সুইটহার্ট, শুধু আমার শশুড় শাশুড়ি আর তোর প্রতিবেশিদের বলবো তোর পেটের বাচ্চাটা আমার নয়। ওটা তোর অবৈধ সম্পর্কের ফসল।

মেঘের কথা শুনে মুখ ছিটকিয়ে বর্ষা বলে উঠলো

— ছিঃ,,,,

বর্ষার ছিঃ বলা শুনে মেঘ আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *