Childhood marriage ! Part- 17
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-১৭
সায়ন : তারপর আরো দুদিন কেটে গেছে,এই দুদিনে হাজার চেষ্টা করেও ছোঁয়ার সাথে দেখা করতে পারিনি।মেয়েটা বিভিন্ন অযুহাতে আমাকে এ্যাভয়েড করে গেছে।ওদের বাড়ি থেকে পরদিনই ফিরে এসেছি,ওকে না নিয়েই,ওর সাথে যে দেখা হয়নি সেটা ইচ্ছে করেই কাউকে জানাইনি।কি লাভ শুধু শুধু সবাইকে টেনশন দিয়ে?
প্রথমে মনে হয়েছিল ছোঁয়া চাইলেও আমার থেকে পালাতে পারবে না কিন্তু এখন মনে হচ্ছে I was wrong,she can do anything that she wants.ইনফ্যাক্ট ছোঁয়া যে এতটা জেদি সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না!
আমার ছুটি প্রায় শেষ,আগামীকালই ফিরে যেতে হবে কিন্তু যার জন্য এলাম তারই কোন খবর নেই!এখন মনে হচ্ছে ওর রাগ ভাঙ্গানো তো দূরে থাক যাওয়ার আগে ওকে একবার সরিও বলতে পারব না…
ভয় হচ্ছে ও যদি আমাকে কখনও মাফ না করে!যদি আমার থেকে দূরে সরে যায়!যদি ওকে হারিয়ে ফেলি!এক সময় যাকে দুই চোখে দেখতেও পারতাম না,আজ তাকে এক নজর দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছি,ওকে ছাড়া কিভাবে থাকবো ভাবতেও ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠছে…
কি আর করার,যেভাবেই হোক ওর সাথে দেখাতো আমাকে করতেই হবে কিন্তু কিভাবে?দ্রুত চিন্তা করছি,কোন একটা উপায়তো বের করতেই হবে…
(পরদিন)
লোপা : এই তাসু,তোর মাথায় কি চলছে বলতো…
ছোঁয়া : কেন?আমি আবার কি করলাম?
লোপা : এত সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছিস?
ছোঁয়া : কোথায় আবার,বাড়িতে…
লোপা : বাড়িতে মানে?কোন বাড়ি?
ছোঁয়া : মানে কি লোপা,আমার আবার কয়টা বাড়ি?
লোপা : তুই তোর শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিস!
ছোঁয়া : হুম
লোপা : মানে!এতদিন তোকে হাজার বুঝিয়েও ও বাড়িতে পাঠাতে পারিনি আর আজ নিজে নিজেই যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিস!
ছোঁয়া : হ্যাঁ হচ্ছি,কারণ উনি একটু আগেই চলে গেছেন
লোপা : চলে গেছেন মানে?
ছোঁয়া : মানে আবার কি?উনি ঢাকায় ফিরে গেছেন…
লোপা : তা নিউজটা আপনাকে কে দিল?
ছোঁয়া : কে আবার দেবে,একটু আগে ও বাড়িতে ফোন দিয়েছিলাম।তারপরই শুনলাম…
লোপা : শোন তাসু,কাজটা কিন্তু তুই মোটেও ঠিক করলি না
ছোঁয়া : কোন কাজটা?
লোপা : এই যে ভাইয়া তোর জন্য ওয়েট করে করে চলে গেল আর তুই কিনা একটাবার উনার সাথে দেখাও করলি না!
ছোঁয়া : তোকে কে বলল উনি আমার জন্যই এসেছিলেন?
লোপা : আমিতো আর তোর মত গাধা না তাই বুঝে নিয়েছি
ছোঁয়া : মানে?
লোপা : মানে আবার কি,বিয়ের পর একটা ছেলে হুট করে বাড়ি চলে এলো তারপর আবার বউ বাড়ি নেই বলে শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে যাওয়া,বিভিন্ন অযুহাতে তার সাথে দেখা করতে চাওয়া এসবের মানে কি?মানে একটাই উনি আপনার প্রেমে পড়েছেন ম্যাডাম…
ছোঁয়া : প্রেমে পড়েছেন না ছাই,হয়তো বাবা-মার সাথে দেখা করতে এসেছেন আর মা অসুস্থ জেনে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন।এর থেকে বেশি কিছু না…
লোপা : হুম বুঝলাম
ছোঁয়া : কি বুঝলি?
লোপা : আপনে যে একটা আস্তা গাধা হেইডাই বুঝবার পারছি।তোর যা ইচ্ছা হয় কর,আমি আর কিচ্ছু বলব না…
মা : আরে..ছোঁয়া মা যে!তুই হঠাৎ এই সময়ে!সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো?বেয়াইন সাহেবার শরীর ঠিক আছো তো?
ছোঁয়া : হ্যাঁ মা সব ঠিক আছে,মার শরীরটা আগের থেকে একটু ভাল তাই ভাবলাম আর ওখানে থেকে কি করব তাই এখানে চলে আসলাম
মা : তা ভাল করেছিস মা,যা মা ভেতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে
ছোঁয়া : রুমে গিয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম।যাক বাবা,এতদিন পর নিজের বাড়িতে নিজের মত করে থাকা যাবে।এই কয়দিনে উনার থেকে পালিয়ে বেড়াতে বেড়াতে একেবারে টায়ার্ড হয়ে গেছি তাই শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়লাম…
.
সায়ন : সকালের নাস্তা সেরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম,এখন দুপুর পেরিয়ে বিকেল হতে চলল।নাহ্ আর দেরি করা যাবে না,একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে তাই এখন রওনা দিলেও বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে রাত হয়ে যাবে…
মা : কিরে খোকা,তুই এখানে!
সায়ন : হ্যাঁ মা আমি
মা : তুই না ঢাকায় যাবি বলে বেরিয়ে গেলি…
সায়ন : না মানে মা ট্রেনের টিকিট পাইনি তাই অফিস থেকে আরও একদিনের ছুটি নিয়ে নিয়েছি
মা : তা ভালই করেছিস,ঘরে গিয়ে দেখ ছোঁয়া এসেছে
সায়ন : তাই নাকি?যাক প্ল্যানটা তার মানে কাজে লেগেছে…
কি অবাক লাগছে?অবাক হওয়ার কিছু নেই,আজ সকাল সকাল বাড়ি থেকে চলে যাওয়া তারপর আবার ফিরে আসা এসবই আমার প্ল্যান।আমি ঠিক জানতাম,আমি চলে গেছি জানলেই ও বাড়ি ফিরে আসবে…
মা : কি রে এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস,যা ভেতরে যা…
সায়ন : হ্যাঁ মা যাচ্ছি…
চুপচাপ ঘরে ঢুকলাম,ম্যাডাম দেখলাম টেবিলে বসে পড়ছে।আমাকে দেখেই চমকে উঠল…
ছোঁয়া : আ..আপনি!
সায়ন : হ্যাঁ আমি,কেন কোন সমস্যা?
ছোঁয়া : আ..আপনিতো ঢাকায়…
সায়ন : যেতেতো চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি
ছোঁয়া : কেন?
সায়ন : আমার সুন্দরী বউটার সাথে দেখা না করে কিভাবে যাই বল?
ছোঁয়া : মা..ম..মানে?
সায়ন : মানে..তোমার এই চাঁদমুখটা না দেখে কিভাবে যাব তুমিই বল…
ছোঁয়া : আচ্ছা উনার মাথা ঠিক আছে তো?এমন অদ্ভূত অদ্ভূত কথা বলছেন কেন?পাগল-টাগল হয়ে গেলেন না তো?
সায়ন : এই যে ম্যাডাম,কি এত ভাবছেন বলুনতো?সারাদিন পর আমি বাসায় ফিরলাম,যাওতো এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত নিয়ে এসো তো..গলাটা একদম শুকিয়ে গেছে
ছোঁয়া : জ্বি…হঠাৎ কি হল উনার?কিছুইতো বুঝতে পারছি না,উনি চলে গিয়ে আবার ফিরে কেন আসলেন?আর এসেই এমন অদ্ভূত বিহেভ!উনিতো আমার মুখ দেখবেন না বলেছিলেন আর এখন এসব…
এমন আকাশ-পাতাল চিন্তা করতে করতে কখন যে রুমে চলে এসেছি খেয়ালই করিনি,হুঁশ ফিরল কারো সাথে ধাক্কা লেগে..
সায়ন : ও শরবতের গ্লাসটা হাতে নিয়ে রুমে ঢুকল,দেখেই বোঝা যাচ্ছে আকাশ-পাতাল চিন্তা করছে,কোন দিকে খেয়াল আছে বলেও মনে হচ্ছে না।আমি একভাবে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখনই ওর সাথে ধাক্কা লাগলো আর গ্লাসের পুরো শরবতটাই পড়ল আমার গায়ে…
ছোঁয়া : ওহ্ গড!এটা আমি কি করলাম?এখন কি করি,উনিতো আমাকে একেবারে কাঁচাই খেয়ে ফেলবেন😨
সায়ন : ওর দিকে তাকালাম,মেয়েটা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছে
ছোঁয়া : I..i..am sorry…😨
সায়ন : ওর কাণ্ড দেখে প্রচণ্ড হাসি পাচ্ছে,অনেক কষ্টে হাসি আটকে রেখেছি।ওর ভীতু ভীতু মুখটা দেখতে প্রচণ্ড ভাল লাগছে তাই মুখটা আরও গম্ভীর করে রাখলাম
ছোঁয়া : ছোঁয়া আব তো তু গেয়ি…রাক্ষসটা কেমন কটমট করে তাকাচ্ছে!কখন যে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে…
সায়ন : নাহ্ আর ভয় দেখানো যাবে না,পাগলীটা মনে হয় এবার কেঁদেই ফেলবে।ছোঁয়া…
ছোঁয়া : আ..আমার ভুল হয়ে গেছে,আ..আর কক্ষণও এমন হবে না…
সায়ন : ছোঁয়া…ছোঁয়া…
ছোঁয়া : আ..আপনি যা বলবেন আমি তাই করব,আপনি চাইলে আমি এক্ষুণি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব,আর কক্ষণও আপনার সামনে আসবো না..
সায়ন : (ধমক দিয়ে)ছোঁয়া…
ছোঁয়া : ভয়ে ভয়ে উনার দিকে তাকালাম
সায়ন : চুপ একদম চুপ,আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাওতো।আচ্ছা আমি কি তোমাকে বকেছি বা মেরেছি?
ছোঁয়া : না
সায়ন : তাহলে এভাবে ভয় পাচ্ছো কেন?আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক?
ছোঁয়া : তার থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর,আপনি একটা রাক্ষস(মনে মনে)
সায়ন : ওর মুখটা দুহাতে তুলে ধরলাম তারপর মুচকি হেসে বললাম,”ম্যাডাম,এই অবেলায় গোসল করানোর এতটাই যখন ইচ্ছে করছিল তাহলে একবার বললেই পারতেন,পানি দিয়ে ভাল করে গোসল দিতাম,এভাবে শরবতটাতো আর নষ্ট হত না…”
ছোঁয়া : উনার কথা শুনে চমকে উঠলাম,উনি এসব কি বলছেন!মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেছেন…
সায়ন : ও এক মনে কি যেন ভাবছে,বুঝতে পারছি খুব অবাক হয়ে গেছে।ওকে খুব ইনোসেন্ট লাগছে,নিজেকে ধরে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে।আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি…
ছোঁয়া : হায় আল্লাহ উনি এসব কি করছেন!গায়ের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে উনাকে একটা ধাক্কা দিয়েই দৌঁড়ে পালালাম
সায়ন : পাগলী একটা,খুব লজ্জা পেয়েছে।এখনতো পালালে রাতে কি করবে?
(রাতে)
সায়ন : অনেক্ষণ ধরে নিজের রুমে অপেক্ষা করছি কিন্তু ম্যাডামের কোন দেখাই নেই!কখন যে আসবে?আর যে অপেক্ষা করতে পারছি না।অনেক কষ্ট দিয়েছি ওকে আর না..আর কোন কষ্ট দেব না ওকে,অনেক অনেক ভালোবাসবো…
আচ্ছা সবাই তো ঘুমিয়ে পড়েছে তাহলে ও এখনও কি করছে?নাকি আমার থেকে আবারও পালানোর চেষ্টা করছে?ওহ্ বুঝেছি,ঠিক আছে আমিও দেখব আর কতক্ষণ পালিয়ে বেড়াতে পারো…
ছোঁয়া : উনি নিজের রুমে চলে যেতেই আমি আমার রুমে চলে এসেছি,উনার সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে না।তখন উনি আমার সাথে ওসব…নাহ্ কিছুতেই উনার সামনে পড়া যাবে না তাই দরজা বন্ধ করে বসে আছি।
নক নক…নক নক…
সায়ন : ছোঁয়া..দরজা খোলো…
ছোঁয়া : আ..আপনি এখনও ঘুমাননি?অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পড়ুন..
সায়ন : হ্যাঁ ঘুমাবো,তার আগে দরজাটা খোল কথা আছে..
ছোঁয়া : না এখন দরজা খুলব না,আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে।আপনার যা বলার কাল সকালে বলেন প্লিজ…
সায়ন : না..আমি এখনই বলব,কথা না বাড়িয়ে দরজা খোল বলছি
ছোঁয়া : আমি কি বলেছি আপনি বোঝেন নি?যা বলার কাল সকালে বলবেন গুড নাইট
সায়ন : ছোঁয়া ভালই ভালই দরজাটা খোল বলছি নাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে😡
ছোঁয়া : বললামতো খুলব না
সায়ন : তুমি নিশ্চয়ই চাও না এত রাতে এখানে কোন সিনক্রিয়েট হোক…
ছোঁয়া : এই রাক্ষসটাকে কোন বিশ্বাস নেই,যা বলছে হয়তো তাই করে ফেলবে
সায়ন : লাস্ট টাইম জিজ্ঞেস করছি,দরজা খুলবে কিনা বল…
ছোঁয়া : আর কথা বাড়ালাম না,ঝটপট দরজা খুলে দিলাম
সায়ন : ছোঁয়া…
ছোঁয়া : প্রবলেম কি আপনার?কি এমন কথা বলবেন যে সকাল পর্যন্ত ওয়েট করতে পারছেন না!
সায়ন : ওয়েট,বলছি…
ছোঁয়া : কেন ওয়েট কেন করব?যা বলার তাড়াতাড়ি বলে বিদায় হোন তো..
সায়ন : ছোঁয়া ঐ রুমে চল
ছোঁয়া : কেন?ওখানে যাব কেন?
সায়ন : একবারে কোন জিনিস বোঝ না কেন তুমি?কথা না বাড়িয়ে চল বলছি…
ছোঁয়া : না যাব না
সায়ন : ভালই ভালই যাবে নাকি…
ছোঁয়া : না গেলে কি করবেন শুনি?
সায়ন : কি করব দেখবে?
ছোঁয়া : হ্যাঁ আমিও দেখব আপনি আমাকে কিভাবে নিয়ে যান
সায়ন : নাহ্ এই মেয়ে দেখছি এভাবে শুনবে না,দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা..ওকে কোলে তুলে নিলাম
ছোঁয়া : উনি এমন কিছু করবেন ভাবতেও পারিনি,ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম
সায়ন : ভয় নেও,ফেলে দিব না তারপরও বেশি ভয় পেলে আমার গলা জড়িয়ে ধরতে পারো
ছোঁয়া : কত্তবড় শয়তান,দাঁত বের করে হাসছে!আর জড়িয়ে ধরব! ইচ্ছাতো করছে গলা টিপে মেরে ফেলি কিন্তু ভয়ও তো লাগছে তাই আলতো করে গলাটা জড়িয়ে ধরলাম
সায়ন : That’s like a good girl
ছোঁয়া : তোর গুড গার্লের খেতা পুড়ি(মনে মনে)এসব কি অসভ্যতামি হচ্ছে!নামিয়ে দিন বলছি
সায়ন : কেন তুমিইতো বললে আমি কি করতে পারি দেখবে তাইতো দেখাচ্ছি।হাজার হোক পাঁচটা না দশটা না আমার একটামাত্র বউ,তার কথা কি ফেলতে পারি?
ছোঁয়া : উফ!এত আদিখ্যেতা অসহ্য।সমানে হাত-পা ছুড়তে লাগলাম তার সাথে উনার বুকে কিল ঘুষিতো আছেই
সায়ন : যতই লাফালাফি কর না কেন আমি তোমাকে ছাড়ছি না আর ভুলেও চিৎকার দেবে না,বাবা-মা উঠে পড়লে কি হবে বুঝতেই পারছো..
ছোঁয়া : উফ!ব্ল্যাকমেইলার একটা(মনে মনে)
সায়ন : জ্বি ম্যাডাম আমি ব্ল্যাকমেইলার,আর আমার কথামত কাজ না করলে আরো অনেক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করতে হবে
ছোঁয়া : আরে উনি আমার মনের কথা বুঝলেন কি করে!নাকি আমি কথাটা জোরেই বলেছিলাম?(মনে মনে)
সায়ন : জ্বি না ম্যাডাম কথাটা আপনি মনে মনেই বলেছিলেন
ছোঁয়া : কি আশ্চর্য!এবারও শুনে ফেললেন!কিন্তু কিভাবে?(মনে মনে)
সায়ন : মনের মিল থাকলে সবই সম্ভব ম্যাডাম
ছোঁয়া : এ্যা..আবার!থাক বাবা আমি আর কোন কথাই বলব না
সায়ন : That will be better for you
ছোঁয়া : অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম
সায়ন : ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলাম।রুমে চলে এসেছি,ওকে আস্তে করে নামিয়ে দিলাম
ছোঁয়া : এসবের মানে কি?কি ভেবেছেন আপনি,যখন যা ইচ্ছে হয় করবেন আর আমি কিছুই বলব না!জ্বি না মিস্টার তা হবে না,আমিতো আপনাকে…
সায়ন : ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লাম তারপর ওর দুহাত ধরে ওকে আরেকটু কাছে টেনে আনলাম
ছোঁয়া : আরে,উনি এসব কি করছেন?কিছুইতো বুঝতে পারছি না…
সায়ন : ছোঁয়া…I am sorry,sorry for whatever I did to you…
To be continued….