Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 15

#পর্ব-১৫
সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরল সায়ন,সারাদিন এদিক-ওদিকে ঘুরে ফিরেই কাটিয়ে দিয়েছে।আজকে অফিসে পর্যন্ত যায়নি ও,কি করে যাবে?রাতে ছোঁয়ার সাথে ওর যা হয়েছে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না…বার বার শুধু মনে হচ্ছে তাসনিয়াকে ও ধোঁকা দিয়েছে…
সায়ন : আরে,সেই কখন থেকে কলিংবেল চেপে যাচ্ছি কিন্তু মেয়েটা দরজা খুলছে না কেন?অগত্যা এক্সট্রা কি দিয়েই দরজাটা খুললাম…
উফ!এই মেয়ের আর আক্কেল হবে না,সেই কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে,পুরো বাড়িটা এখনও অন্ধকার করে রেখেছে কেন!ছোঁয়া…ছোঁয়া…
(কোন সাড়া-শব্দ নেই)
সায়ন : এখনও লাইট জ্বালোনি কেন?কথা বলতে বলতেই লাইটগুলো জ্বেলে দিলাম।কিন্তু একি,ছোঁয়া কোথায়?ওকেতো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না…
হঠাৎই টেবিলের উপর রাখা একটা কাগজের দিকে চোখ গেল।মনে হল কিছু লেখা আছে,ঝটপট খুলে ফেললাম…
“আপনাকে কি বলে সম্বোধন করব জানিনা তাই সম্বোধন ছাড়াই লিখছি।আপনি বলেছিলেন আর কক্ষণও আমার মুখ দর্শন করতে চান না,তাই চলে যাচ্ছি।যদি নিজের অজান্তেই কোন দোষ করে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিয়েন আর চিন্তা করবেন না আমি কারো কাছে কিছুই বলব না।ভাল থাকবেন…
ইতি
ছোঁয়া”
সায়ন : চিঠিটার দিকে বেশ কিছু্ক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম তারপর ভাঁজ করে রেখে দিলাম।আচ্ছা মেয়েটা গেল কোথায়?কোথায় আবার যাবে,যেখান থেকে এসেছিল সেখানেই চলে গেছে।কিন্তু ঠিকমত পৌঁছতে পেরেছে তো?কাউকে কি জিজ্ঞেস করব?না থাক কেউ জানতে পারলে আমার খবর আছে তার থেকে বরং এটাই ঠিক আছে।ভালই হল ও চলে গেছে,ওর মুখ দর্শনের কোন ইচ্ছেই আমার নেই…

(পরদিন)
লোপা : তাসু প্লিজ,কিছুতো একটা মুখে দে…
ছোঁয়া : না রে,আমার ভাল লাগছে না।তুই বরং খেয়ে নে
লোপা : দেখ তুই কাল সকাল থেকে তেমন কিছুই খাসনি,মারুফ আমাকে সব বলেছে।এভাবে চলতে থাকলেতো তুই অসুস্থ হয়ে পড়বি
ছোঁয়া :…
লোপা : প্লিজ দোস্ত..জেদ করিস না,দেখ যা হয়েছে তাতেতো তোর কোন দোষ নেই।তুই কেন শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস?
ছোঁয়া : আমার ভাল লাগছে না লোপা,আমাকে একটু একা থাকতে দে প্লিজ
লোপা : চুপ একদম চুপ,আগে তুই কিছু খাবি তারপর যা ইচ্ছে হয় করিস
ছোঁয়া : না…
লোপা : দেখ তাসু,দেখিস ভাইয়া খুব তাড়াতাড়ি নিজের ভুল বুঝতে পারবে কিন্তু তা দেখার জন্যেতো তোকে সুস্থ থাকতে হবে তাইনা?
ছোঁয়া : কিন্তু আমার কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না
লোপা : দেখ তুই যদি না খাস,তাহলে কিন্তু আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলব।বলে দিব যে তুইই তার তাসনিয়া বুঝেছিস?
ছোঁয়া : নাহ্
লোপা : তুই যদি আমার কথা না শুনিস তাহলে আমি তাই করব
ছোঁয়া : প্লিজ দোস্ত
লোপা : তাহলে হা কর,আমি নিজ হাতে তোকে খাইয়ে দিব
ছোঁয়া : তাহলে কাউকে কিছু বলবি নাতো?
লোপা : না,আর তুই যে এখানে আছিস তাও কাউকে বলব না
ছোঁয়া : বাবা-মা জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে,উনাদেরকে কিছু জানতে দেয়া যাবে না
লোপা : আচ্ছা ঠিক আছে।দুই-তিনদিন পর আমিই তোকে ঐ বাড়িতে নিয়ে যাব,বলব আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম তাই তোকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি।কয়েকদিন পরইতো ভার্সিটি খুলবে তাই কেউ কিছু সন্দেহও করবে না
ছোঁয়া : আচ্ছা
লোপা : ঠিক আছে,এবার হা করতো
ছোঁয়া : চুপচাপ ওর কথামত কাজ করলাম😪😪
লোপা : ভাগ্গিস তুই আমার কথামত এখানে চলে আসলি,নাহলে যে কি হত!মেয়েটা যেই রকম পাগলী আর জেদী তাতে হয়তো নিজের কোন ক্ষতি করে ফেলতো!কিন্তু এখন কি হবে?হে আল্লাহ তুমি ভাইয়ার ভুলটা তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে দাও যাতে আমার বান্ধবীটার দুঃখ দূর হয় আমিন…(মনে মনে)

কলিগ-১ : আরে মাহবুব সাহেব যে!আমরাতো ভাবছিলাম আজকেও আসবেন না।তা রাতে ঘুম কেমন হল?
কলিগ-২ : ভালই তো হয়েছে মনে হচ্ছে
কলিগ-৩ : কি যে বলেন না ভাই,আমরা যা করেছি তারপর ভাল ঘুম না হয়ে পারে?
কলিগ-৪ : যা বলেছেন,ঘুম না হয়ে যাবে কই?
(সবাই সমস্বরে হেসে উঠল)
সায়ন : আপনারা কি বিষয়ে কথা বলছেন আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
কলিগ-১ : যাই বলেন ভাই,আমরা কিন্তু ভেবেছিলাম আপনি আজকে অফিসেই আসতে পারবেন না কিন্তু…
সায়ন : কেন?অফিসে কেন আসতে পারব না?
কলিগ-২ : মাহবুব সাহেব,শুধু শুধু কেন না বোঝার ভান করছেন বলুনতো…
সায়ন : মানে?কি বলতে চাইছেন একটু ক্লিয়ার করে বলবেন?আসি সত্যিই কিছু বুঝছি না
কলিগ-৩ : আপনি কি সত্যিই…
সায়ন : জ্বি সত্যি,এখন কেউ কি আমাকে ক্লিয়ারলি কিছু বলবেন?
কলিগ-৪ : আসলে কাল রাতে আমরা আপনার জুসের গ্লাসে একটু হুইস্কি…
সায়ন : হোয়াট!!!
কলিগ-১ : আসলে আপনি বিদেশ থেকে পড়াশোনা করেছেন তবুও বলছিলেন ড্রিংক করেন না তাই…
কলিগ-৩ : আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না তাই একটু…
কলিগ-৪ : কিন্তু যখন ঐ সামান্য এ্যালকোহলেই আপনি…
সায়ন : এসব কি বলছেন আপনারা!
কলিগ-১ : আপনি যখন সেন্সলেস হয়ে গেলেন আমরাতো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম।
কলিগ-২ : তারপর কোন রকমে আপনাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে এসেছি
কলিগ-৪ : আপনিতো নিজের ঠিকানায় বলতে পারছিলেন না,ভাগ্যিস জাফর সাহেব আপনার বাসাটা চিনতেন,নাহলে যে কি হত…
সায়ন : কিহ্!You don’t know what have you done
কলিগ-৩ : সরি স্যার
সায়ন : ওদেরকে আর কিছুই বললাম না,সোজা নিজের কেবিনে গিয়ে ঢুকলাম।তবে কি ছোঁয়া যা বলছিল সব সত্যি?সত্যিই কি আমিই ওর কাছে….
হতেওতো পারে,সবার সব কথা শুনেতো মনে হচ্ছে কাল রাতে আমার কোন হুঁশই ছিল না…
আর আমি কিনা মেয়েটাকে শুধু শুধু এত কথা শোনালাম!নাহ্ কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি,ওকে এক্ষুণি সরি বলতে হবে।কিন্তু এখনতো আমি সবে অফিসে আসলাম,আচ্ছা ঠিক আছে বাসায় ফিরেই ওকে সরি বলে দিব…

(সন্ধ্যায়)
সায়ন : কখন থেকে মেয়েটার নাম্বার ডায়াল করে যাচ্ছি কিন্তু কিছুতেই রিসিভ করছে না!কিন্তু ওর সাথে কথা না বলতে পারলে ওকে সরিটা বলব কি করে?কিন্তু আমাকেতো সরি বলতেই হবে কারণ অপরাধটা যে আমারই…
ছোঁয়া : উনি কখন থেকে ফোন দিয়েই যাচ্ছেন কিন্তু আমি রিসিভ করছি না।করব না,কিছুতেই করব না যত ইচ্ছে ফোন দিক তাতে আমার কি?কিন্তু আমি যে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না,উনার কণ্ঠটা শুনতে যে খুব ইচ্ছে করছে।
ধুর ছাই ফোনটাই অফ করে দেই,নাহলে আর বেশিক্ষণ নিজেকে কনট্রোল করতে পারব না…
সায়ন : যাব্বাবা এতক্ষণতো ফোনটা খোলাই ছিল,এখন আবার বন্ধ দেখাচ্ছে!কাহিনীটা কি হল?
বুঝেছি ম্যাডাম অনেক রাগ করেছে,অবশ্য করবে নাই বা কেন?বিনা দোষে এত্তগুলো কথা শোনালাম মেয়েটাকে!ঠিক আছে ও যদি এভাবেই থাকতে চায় তো থাক,আমার কি?আমিতো এখানে ভালই আছি…

(দুদিন পর)
মা : আরে,ছোঁয়া মা তুই!তুই হঠাৎ করে?সায়ন কই?ওকেতো দেখতে পাচ্ছি না..
ছোঁয়া : হ্যাঁ মা আসলে…
লোপা : আসলে আন্টি,দুলাভাই আসেনি
মা : আসেনি মানে?তাহলে কি ছোঁয়া একা একা…
ছোঁয়া : আমি কিছুই বলতে পারছি না,মাকে মিথ্যা বলতে খুব খারাপ লাগছে তাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি।কি করব সত্যি বললে যে মা অনেক কষ্ট পাবে…
মা : কি রে কথা বলছিস না কেন?তুই কি একা একা এসেছিস?
লোপা : না না আন্টি,একা আসতে যাবে কেন?আসলে আমিতো ঢাকা গিয়েছিলাম আর কালকেই আমাদের ক্যাম্পাস খুলবে তাই ওকে সাথে করে নিয়ে আসলাম(ইয়া আল্লাহ আর যে মিথ্যা বলতে পারছি না,তুমিই একমাত্র সহায়,এই বিপদ থেকে বাঁচাও)
মা : কিন্তু তাই বলে সায়ন ওকে একা ছেড়ে দেবে?
লোপা : আ..আসলে আন্টি,ভাইয়াও আসতে চেয়েছিল কিন্তু ছুটি পায়নি তাই..
মা : তোমরা যাই বল ও কিন্তু কাজটা মোটেও ঠিক করেনি
লোপা : আমি অসহায় চোখে ছোঁয়ার দিকে তাকালাম,আর মিথ্যে বলার শক্তি বা সাহস কিছুই আর অবশিষ্ট নেই আমার মাঝে
মা : আমার ছেলেটা আর মানুষ হল না,নতুন বউকে এভাবে কেউ একা ছাড়ে?আর আমাদেরকে তোর আসার ব্যাপারেও কিছুই জানায় নি!
ছোঁয়া : আহ্ মা,এসব বাদ দাওতো।উনি ব্যস্ত মানুষ তাই হয়তো ভুলে গেছেন।আচ্ছা শোন না,আমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে।কি রান্না করেছো তাড়াতাড়ি দাওতো…
লোপা : আন্টি আমারও কিন্তু অনেক ক্ষিধে লেগেছে(মিথ্যে কথা,আমরা একটু আগেই খেয়েছি কিন্তু প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য…
মা : আচ্ছা ঠিক আছে,তোরা হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আমি খাবার বাড়ছি…
ছোঁয়া : মা চলে গেল,আমরা দুজনেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম….

সায়ন : আজ এক সপ্তাহ হল ছোঁয়া চলে গেছে।ও যাওয়ার দুদিন পরেই বাসায় ফোন দিয়ে জানতে পেরেছি যে ও বাসায়ই আছে।ওকে একা যেতে দেওয়ার জন্য মার কাছে অনেক বকাও অবশ্য খেতে হয়েছে কিন্তু কি করব আমাদের মাঝে ঠিক কি কি হয়েছে তাতো আর মাকে খুলে বলতে পারব না…
ও চলে যাওয়ার পর প্রথম দুই-একদিন তেমন কিছুই মনে হয় নি কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হল প্রবলেম।না চাইতেও ওকে প্রচণ্ড রকম মিস করতে শুরু করেছি,যতক্ষণ অফিসে থাকি তেমন প্রবলেম হয় না কিন্তু বাসায় ঢুকলেই ওকে মিস করতে শুরু করি।ওর সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত মনে পড়ে যায়,ওর সাথে যেসব খারাপ ব্যবহার করেছি সেগুলো মনে পড়লে নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে…
অদ্ভূতভাবে এই সাতদিনে তাসনিয়ার কথা একটা বারের জন্যও মনে পড়েনি,সত্যি কথা বলতে ওর নামটা পর্যন্ত মনে পড়েনি।দিনরাত শুধু ছোঁয়াকে নিয়েই ভেবে চলেছি,ও এখন এখানে থাকলে কি করতো?এখন কোথায় আছে?কি করছে?এমন হাজারো প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,মনে হচ্ছে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি…

ছোঁয়ার চলে যাওয়া আজকে দশদিন পেরিয়ে গেল,আমার অবস্থা আগের থেকেও অনেক খারাপ হয়ে গেছে।কোন কিছুতে মন বসছে না,না বাসায় না অফিসে,কেমন যেন আনমনা থাকছি সব সময়।এই কয়দিনে আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি That she has become my obsession.In fact I can’t live without her.
আমি ঠিক বুঝতে পারছি ও যদি আমার পাশে থাকে তাহলে আমার আর কাউকে লাগবে না।একমনে এসবই ভাবছিলাম তখনই ফোনটা বেজে উঠল…
সায়ন : হ্যাঁ মারুফ বল
মারুফ : কি রে শালা,সুন্দরী বউ পেয়েতো আমাদেরকে একেবারে ভুলেই গেছিস…
সায়ন : ফাইজলামি বাদ দিয়ে যা বলতে চাইছিস বলে ফেল
মারুফ : কি ব্যাপার?তুই হঠাৎ এভাবে কথা বলছিস কেন?
সায়ন : আমি আবার কিভাবে কথা বললাম?
মারুফ : যাহ্ শালা তোর সাথে আর কথাই বলব না,ভাবীকে দে আমি ভাবীর সাথে কথা বলব…
সায়ন : ও নেই

মারুফ : নেই মানে?(আমি সবই জানি কিন্তু না জানার ভান করছি,শয়তানটার পেটের কথা বের করার জন্য)
সায়ন : নেই মানে নেই
মারুফ : তুই হঠাৎ এভাবে কথা বলছিস কেন?কি হয়েছে দোস্ত,আমাকে বল হয়তো আমি কোন হেল্প করতে পারব…
সায়ন : এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না,সবটা ওকে খুলে বললাম
মারুফ : সবই জানি তবুও চুপ থাকলাম,দেখি আর কি বলে
সায়ন : কি রে কিছু বলছিস না কেন?
মারুফ : কাজটা কিন্তু তুই একদম ঠিক করিস নি
সায়ন : আমি জানিতো তাই…
মারুফ : তুই এখন কি করতে চাইছিস?
সায়ন : দোস্ত I need Chowa,I just want to be with her,I can’t live without her…
মারুফ : তাহলে তাসনিয়া?
সায়ন : আমি কোন তাসনিয়াকে চিনি না,আমার শুধু ছোঁয়াকে চাই আর কাউকে না
মারুফ : এটাইতো চাইছিলাম,হাসি আটকে বললাম,তাহলে আর দেরি করছিস কেন?ভাবীর কাছে যা,উনাকে সরি বলে উনার রাগ ভাঙ্গা…
সায়ন : ভয় হচ্ছে,ও আমাকে ক্ষমা করবে তো?
মারুফ : হ্যাঁ করবে,তুই শুধু একবার সরি বলেতো দেখ
সায়ন : যদি না করে?
মারুফ : অপরাধটা যেহেতু তোর শাস্তিতো তোকে পেতেই হবে।So go ahead and face the fear bro..
To be continued…
#যারা এখনও সায়নের ছোঁয়াকে না চিনতে পারা নিয়ে কনফিউজড তাদেরকে বলছি This is only a story guys আর গল্প আর রিয়ালিটির মধ্যে সবসময়ই আকাশ-পাতাল ব্যবধান থাকে,কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।তাই গল্পকে গল্পই ভাবুন প্লিজ,রিয়ালিটির সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।আর কারো কণ্ঠ একবার বা দুবার শুনেই পরবর্তীতে তাকে আইডেন্টিফাই করার এ্যাবিলিটি কত জনেরই বা থাকে?আমিতো চেনা মানুষের কণ্ঠও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিনতে পারিনা।আর ওই গল্পটা কিন্তু একেবারেই আমার কাল্পনিক একটা কাহিনী তাই কিছু কিছু ভুল-ত্রুটি থেকে যেতেই পারে,সেগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন…