Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 12

এগুলো তো সব আমার ছবি!কিন্তু এগুলো এখানে…কিছুইতো বুঝতে পারছি না
নাহ্ মাথাটা কোন ভাবেই কাজ করছে না,কি করি কি করি…ফোনটা হাতে তুলে নিলাম।
লোপা : হ্যালো তাসু,ফোন দিয়ে ভালই করেছিস।আমি তোকেই ফোন দিতে যাচ্ছিলাম…
ছোঁয়া : আমাকে?কিন্তু কেন?
লোপা : তোকে একটা গুড নিউজ দেওয়ার আছে
ছোঁয়া : কি?
লোপা : সেটা পরে দিচ্ছি আগে বল তোর কণ্ঠ এমন লাগছে কেন?কিছু কি হয়েছে?
ছোঁয়া : দোস্ত আমি না কিছু বুঝতে পারছি না,আমার কাছে সবকিছুই কেমন যেন গোলমেলে মনে হচ্ছে
লোপা : কেন কি হয়েছে?
ছোঁয়া : আসলে উনি এখনও আমাকে এ্যাভয়েড করছেন অথচ উনার একটা এ্যালবামে আমার অনেকগুলো ছবি অার সবগুলো ছবিতেই আমি নেকাব পরা।সম্ভবত আমাদের কক্সবাজার ট্যুরের ছবি,আমার মাথায় না কিছুই আসছে না…
লোপা : ওর কথা শুনে হাসতে লাগলাম
ছোঁয়া : কি রে তুই হাসছিস কেন?
লোপা : আসলে আমি তোকে এই নিউজটাই দিতে চেয়েছিলাম,গুড নিউজটা এটাই যে ভাইয়া তোকেই ভালোবাসে
ছোঁয়া : কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?

লোপা : সম্ভব,উনি তোকে কক্সবাজারেই দেখেছেন আর তোরে প্রেমে পড়েছেন
ছোঁয়া : কিন্তু উনিতো তখন বিদেশে ছিলেন
লোপা : জ্বি না ম্যাডাম,উনি কয়েকদিন আগেই দেশে ফিরেছিলেন তারপর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন কক্সবাজার।হয়তো তখনই তোর ছবিগুলো তুলেছেন…
ছোঁয়া : কিন্তু তুই এত শিওর হয়ে এসব বলছিস কিভাবে?
লোপা : ওহ্ এসবতো আমাকে মারুফ বলেছে
ছোঁয়া : মারুফ মানে!লোপা…মারুফ ভাইয়াকে তুই চিনলি কিভাবে?
লোপা : ইশ রে,মুখ ফসকে বলে ফেলেছি
ছোঁয়া : কি রে কথা বলছিস না কেন?আচ্ছা তোর আর মারুফ ভাইয়ার মাঝে কি কিছু…না মানে ভাইয়াকে কি তুই ভালোবাসিস?
লোপা : হুম
ছোঁয়া : সত্যি😃কনগ্রাচুলেশনস দোস্ত..
লোপা : আচ্ছা এখন এক কাজ কর ভাইয়াকে সব সত্যিটা বলে দে…
ছোঁয়া : কিন্তু আমার একটা জিনিস মাথায় আসছে না,উনি আমাকে চিনতে পারলেন না কেন?
লোপা : কারণ উনিতো তোর ফেস দেখেন নি,আর তাছাড়া তখনতো আপনি আপনার চোখের প্রবলেমের জন্য চশমা পরে ছিলেন
ছোঁয়া : তাও ঠিক কিন্তু আমিতো উনাকে দেখিনি তাহলে…
লোপা : জ্বি না ম্যাডাম,আপনি আমি আমরা সবাই উনাকে দেখেছি
ছোঁয়া : কোথায়?কখন?
লোপা : কোথায় আবার কক্সবাজারে,লাবণী পয়েন্টে…
ছোঁয়া : কিন্তু…
লোপা : আচ্ছা আমি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি,তুইও উনার ফেস দেখিস নি তাই…
ছোঁয়া : মানে?
লোপা : মানেটা হল…আমাদের ট্যুরের সেকেণ্ড ডে তে তুই কয়েকজন ছেলেকে বকা দিয়েছিলি মনে আছে?
ছোঁয়া : হ্যাঁ কিন্তু ওরাতো সবাই মাংকি টুপি….
তারমানে কি ওদের মধ্যে উনিও ছিলেন?😯
লোপা : জ্বি ম্যাডাম আর সেদিন ওরা তোকেই খুঁজতে এসেছিল আর যাতে কেউ চিন্তে না পারে তাই মাংকি টুপি পরে…
ছোঁয়া : 😂😂😂
লোপা: হাসিস না বান্ধবী,বেচারারা জীবনে প্রথমবার কোনন মেয়েকে স্টক করছিল,ভয়তো একটু পাবেই…
ছোঁয়া : হুম বুঝলাম
লোপা : মারুফতো বলছিল তোরা নাকি তার পরদিনই ঝাউবনের কাছে অনেক্ষণ কথা বলেছিস,তখনতো ভাইয়া কোন মুখোশ পড়ে ছিল না তাহলে তুই উনাকে চিনলি না কেন?
ছোঁয়া : কিহ্ তারমানে সেদিন ওখানে উনি ছিলেন!আ..আসলে তুইতো জানিস প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে আমার আর কোনদিকে খেয়াল থাকে না তাই…
লোপা : তাই কার সাথে কথা বলছিস সেটাও খেয়াল করিস নি!I can’t believe yaar…
ছোঁয়া : কি করব বল আমিতো এমনই তুই তো সবই জানিস…
লোপা : আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে,এখন এক কাজ কর,ভাইয়া আসলে সবকিছু সত্যি সত্যি বলে দিবি কেমন?আর সব জানার পর উনি তোকে কি কি ভাবে আদর করেন সব কিন্তু আমাকে বলতে হবে😉
ছোঁয়া : যাহ্ শয়তান…
লোপা : কি বললি!আমি শয়তান!!
ছোঁয়া : শুধু শয়তান না মিচকে শয়তান
লোপা : আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তাই
ছোঁয়া : তোকে একটা রিকুয়েস্ট করি?
লোপা : আদেশ করুন মহারাণী
ছোঁয়া : আমি না বলা পর্যন্ত উনাকে কিছু জানাস না প্লিজ আর মারুফ ভাইয়াকেও নিষেধ করিস
লোপা : কিন্তু কেন?
ছোঁয়া : আমি সুযোগ বুঝে বলে দিব
লোপা : ঠিক আছে তাই হবে…

ফোন রেখে দিলাম,মনে মনে খুব আনন্দ হচ্ছে।তারমানে আমার জন্যই উনি আমাকে এভাবে এ্যাভয়েড করছেন!
ঠিক আছে আমিও দেখে নেব কতদিন এ্যাভয়েড করতে পারেন,এত সহজে তো আমি উনাকে নিজের পরিচয় দিব না।আস্তে আস্তে উনি নিজেই সব বুঝতে পারবেন,তখন পর্যন্ত উনার টেস্ট নিতে থাকি কি বলেন আপনারা?
এতদিনতো অন্য কাউকে ভালোবাসেন ভেবে দূরে দূরে থাকতাম,কিন্তু এখন…একনতো আপনি চাইলেও আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না।
সো ডিয়ার হাজবেণ্ড জাস্ট ওয়েট এণ্ড ওয়াচ আপনার জন্য আপনার এই বিউটিফুল ওয়াইফ ঠিক কি কি করতে পারে…
মি.হাজবেণ্ড আগে আগে দেখো হোতাহে কিয়া…
সায়ন : ইশ রে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল!না জানি মেয়েটা এখন কি করছে,এমনিতেই শরীর খারাপ ছিল তার উপর বাসায় একা।আর আমিও কাজের চাপে সারাদিনে একবারও ওর খোঁজ নিতে পারিনি…
ঝটপট দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলাম,একি চারিদিকে এত অন্ধকার কেন?ছোঁয়া…ছোঁয়া…কই গেল মেয়েটা…
ছোঁয়া : যাক শেষমেষ জনাবের আসার সময় হল!আমি বাবা এত সহজে সাড়া দিচ্ছি না,সারাদিন আমাকে একা একা রেখে এখন আবার দেরি করে আসা!এখন বোঝ কেমন লাগে😁
সায়ন : এখানেও তো নেই,গেলো কোথায় মেয়েটা!এই ছোঁয়া…এটা কিন্তু ফাইজলামি করার মত কোন বিষয় না…কোথায় তুমি,বেরিয়ে আসো বলছি…
ছোঁয়া : হিহিহি কি কেমন মজা?আরো একটু খুঁজে দেখো তারপর সাড়া দিব…
সায়ন : আচ্ছা ও ঠিক আছে তো?ছোঁয়া…কোথায় তুমি?দেখো যদি ফাইজলামি করে এমন কর তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি…
ছোঁয়া : এই রে এবার মনে হচ্ছে খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে,জনাবতো দেখছি রীতিমত ভয় পেয়ে গেছে!এখন যদি বুঝতে পারেন যে আমি ইচ্ছে করে এসব শয়তানি করছি তাহলেতো আমার খবর আছে,নির্ঘাত উনার পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ আমার গালে বসে যাবে😳
সায়ন : প্রচণ্ড ভয় লাগছে,শুধু ওর নাম ধরে চিৎকার তরে ডাকছি।ছোঁয়া….
ছোঁয়া : এখন কি করি এখন কি করি?ছোঁয়া ছোঁয়া ছোঁয়া তাড়াতাড়ি কিছু একটা বুদ্ধি বের কর।হ্যাঁ পেয়েছি,এখন ঠিকঠাকমত কাজটা করতে পারলেই হয় নাহলে ছোঁয়া…আজ তো তু গেয়া…
সায়ন : ওকে খুঁজতে খুঁজতে যখন একেবারে হাল ছেড়ে দিয়েছি তখনই মনে হল একবার ছাদ থেকে ঘুরে আসিতো…
ছোঁয়া : উনাকে ছাদের দিকে আসতে দেখেই ঝটপট ছাদে চলে আসলাম
সায়ন : ছাদের গেট খুলতেই দেখলাম ছাদের এক কোণে কেউ পড়ে আছে।ছোঁয়া…ছোঁয়া…কি হয়েছে তোমার?ছোঁয়া…কি হল কথা বলছ না কেন?
ছোঁয়া : চুপ করে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই।বাঁচতে হলে চুপ করে থাকতে হবে😉
সায়ন : ওকে কোলে তুলে নিলাম,ইশ্ রে কপালটা কিভাবে কেটে গেছে!এখনও রক্ত পড়ছে…
ছোঁয়া : ইশ রে,তাড়াহুড়োয় একটু বেশিই জোরে লেগে গেছে।এখনও কাটা জায়গায় ব্যথা করছে😔
সায়ন : ওকে রুমে নিয়ে এসেই বিছানায় শুইয়ে দিলাম,এখনও জ্ঞান ফেরেনি।আচ্ছা ও থাক আমি একটু আসছি
ছোঁয়া : আরে উনি হঠাৎ কই গেলেন?ওইতো আসছেন,আবার ঘাপটি মেরে পড়ে থাকি…
সায়ন : ফার্স্ট এইড বক্স আর গরমপানি নিয়ে চলে আসলাম।আস্তে আস্তে ওর ক্ষত পরিষ্কার করছি
ছোঁয়া : আউচ…
সায়ন : ছোঁয়া…কি হয়েছে তোমার?
ছোঁয়া : আ..আমি কোথায়?
সায়ন : তুমি এখন বাসায়,এখন চুপটি করে থাকো তো আমি ড্রেসিং করে দিচ্ছি
ছোঁয়া : উনি ড্রেসিং করে দিচ্ছেন আর আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।আমিতো শুধু উনার থাপ্পড়ের হাত থেকে বাঁচতে এসব করলাম কিন্তু এখনতো দেখছি ভালই হল।আমিতো এটাই চেয়েছিলাম যে উনি আমার কেয়ার নিক।জালেতো আপনি ফেসে গেছেন মি.হাজবেণ্ড,এবার দেখবো আমাকে ভালো না বেসে আপনি আর কতদিন থাকতে পারেন…😎

(রাতে)
সায়ন : ছোঁয়ার জ্বরটা আবারও বেড়েছে,হয়তো কপালের আঘাতটার জন্য…
ছোঁয়া : আমার জ্বর এসেছে কিন্তু একটুও কষ্ট লাগছে না বরং উনার অবস্থা দেখে হাসি পাচ্ছে,টেনশনে বেচারার চোখ-মুখ একেবারে শুকিয়ে গেছে!আচ্ছা এই সুযোগটা কাজে লাগালে কেমন হয়?
সায়ন : অনেক রাত হয়ে গেছে,যাই ঘুমিয়ে পড়ি।উঠতে গেলাম কিন্তু পারলাম না,তাকিয়ে দেখি ছোঁয়া শক্ত করে হাতটা চেপে ধরে আছে।কি আর করার ওর পাশেই বসে পড়লাম,আস্তে আস্তে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি
ছোঁয়া : উনি ভেবেছেন আমি ঘুমাচ্ছি,আড় চোখে একবার তাকিয়ে দেখলাম তারপর মুচকি করে একটা হাসি দিয়ে উনার দিকে আরো কিছুটা ঘেঁষে শুয়ে পড়লাম
সায়ন : আর বসে থাকতে পারছি না,প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে কিন্তু ছোঁয়া এখনও ওইভাবেই আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে।কিছু্ক্ষণ ভেবে চিন্তে ওর পাশেই শুয়ে পড়লাম
ছোঁয়া : উনি শুয়ে পড়তেই মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি আসলো,হঠাৎ করেই উনাকে জাপটে ধরলাম…
সায়ন : ও আচমকায় আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল,সরিয়ে দিতে চেয়েও পারলাম না তারপর আনমনেই ওকে দুহাতে জড়িয়ে নিলাম।মেয়েটার মাঝে কিছু একটা আছে যা আমাকে ক্রমাগত ওর দিকে আকর্ষণ করছে।কিছুতেই নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না,ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি,ওকে আরো নীবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরলাম তারপর আস্তে আস্তে ওর চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিলাম…

(সকালে)
সায়ন : ঘুম ভাঙতেই দেখলাম ছোঁয়া এখনও আমার বুকে মাথা রেখে বাচ্চাদের মত ঘুমাচ্ছে।কি ভাবছেন?কাল রাতে আমাদের মধ্যে সবকিছু হয়ে গেছে?
নাহ্ তেমন কিছুই হয়নি,ভাগ্যিস সময়মত নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম!
কিন্তু এখন ওর ঘুমন্ত মুখটা দেখে আবারো ঘোর লাগছে,নাহ্ এভাবে আর বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যাবে না।নাহলে হয়তো রাতে যেটা হয়নি সেটা এখন এই মুহুর্তে হয়ে যাবে!
চুপচাপ ওকে নিজের বুক থেকে সরিয়ে বালিশে শুইয়ে দিলাম তারপর ওর দিকে আরেকবার তাকিয়েই বেরিয়ে আসলাম।
ছোঁয়া : আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসলাম,জ্বরটা আপাতত নেই কিন্তু কপালে এখনও বেশ ব্যথা আছে।
কাল রাতের কথা মনে পড়তেই মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠল,আচ্ছা উনি কোথায়?বুঝেছি আমার থেকে পালিয়েছেন,ঠিক আছে কাল রাতেতো নিজেকে কনট্রোল করেছেন কিন্তু নেক্সট টাইম কিভাবে করেন আমিও দেখব…
ঝটপট ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর কিচেনে ঢুকলাম।ব্রেকফাস্ট রেডি করছিলাম,তখনই উনি ফিরে আসলেন।আমি কিছুই বললাম না,নিজের মনে নিজের কাজ করে যাচ্ছি
সায়ন : রুমে ঢুকেই দেখলাম ছোঁয়া নেই।ছোঁয়া…ছোঁয়া…
ছোঁয়া : ডাকছে ডাকুক আমার কি?আমি বাবা সাড়া দিচ্ছি না
সায়ন : কোথায় গেল মেয়েটা?আচ্ছা রান্নাঘর থেকে আওয়াজ আসছে না?তারমানে রান্নাঘরে!ছোঁয়া….
রান্নাঘরে ঢুকতেই থমকে দাঁড়ালাম,ছোঁয়া রান্না করছে।ওড়নাটা কোমড় দিয়ে পেঁচিয়ে বেঁধেছে আর চুলটা বেশ উঁচু করে কাঁটা দিয়ে বেঁধেছে,পুরোই পাকা গিন্নী গিন্নী লাগছে।তবে আমার চোখ আটকে আছে অন্য জায়গায়…
ছোঁয়া ময়দা দিয়ে কিছু একটা বানাচ্ছিল আর ওর কপালে আর গালে কিছুটা ময়দা লেগে আছে।ওকে এভাবে দেখতে আরো কিউট লাগছে,ইচ্ছে করছে ওকে কাছে টেনে নিই।

আবারও ওর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি,আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি…
ছোঁয়া : উনি হঠাৎ আমার দিকে আসছেন কেন?উনি এগিয়ে আসছেন আর আমি পেছাচ্ছি,পেছাতে পেছাতে কখন যে দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে গেছে বুঝতেই পারিনি।আমি আর পেছাতে পারছি না কিন্তু উনি এখনও সামনে এগোচ্ছেন!
উনি একেবারে আমার কাছে চলে এসেছেন,আমি ভয়ে দেয়ালের সাথে আরো সেঁধিয়ে গেলাম তারপর আচমকায় চোখদুটো বন্ধ করে ফেললাম…
সায়ন : আমার আর ছোঁয়ার মাঝে মাত্র কয়েক ইঞ্চির গ্যাপ,দুজনের হার্টবিটের শব্দও মনে হয় দুজন শুনতে পাচ্ছি।ওর গরম নিঃশ্বাস আমার চোখে মুখে এসে পড়ছে যা আমাকে ওর দিকে আরও বেশি করে আকর্ষণ করছে…
চলবে….
#পাঠকদের কাছে প্রশ্ন,কে কে ভেবেছিলেন যে আমি সায়নকে মাংকিটুপি পরিয়ে দিব?ব্যাপারটা গাসাযকর হলেও এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না কারণ আর যাই হোক নায়ককে তো আর বোরখা পরানো যায় না!যাই হোক কেমন লাগল জানাবেন আর এর পরও যদি কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে মার্জনা করবেন…
আর হ্যাঁ এবার কিন্তু সব কনফিউশন ক্লিয়ার করে দিয়েছি,সো..সবাই কিন্তু আমাকে একটা করে মিষ্টি খাওয়াবে বলে দিচ্ছি…