Childhood marriage ! Part- 10
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-১০
ছোঁয়া : এটাইতো চাইছিলাম,উনি আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি আর এমন বিহেভ করছি যেন কিছুই হয়নি
সায়ন : ওর একেবারে কাছে চলে এসেছি,ওর উন্মুক্ত কোমড়ে হাত দিতে যাব তখনই তাসনিয়ার কথা মনে পড়ল।ওর দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম তারপর ওর হাত ধরে দূরে ছুড়ে ফেললাম
ছোঁয়া : উনি এমন কিছু করে বসবেন ভাবতেও পারিনি,অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম কিন্তু একি উনিতো আমার দিকে ফিরেও তাকালেন না,হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন
সায়ন : রুম থেকে বেরিয়ে চুপচাপ পুকুরপাড়ে চলে আসলাম,মাথাটা কাজ করছে না।আমি কি করে পারলাম,তাসনিয়া ছাড়া অন্য কারো দিকে তাকাতে?নাহ্ আমাকে ওর থেকে দূরে যেতে হবে,তা নাহলে আমি হয়তো তাসনিয়ার সাথে বেঈমানী করে ফেলব…
ছোঁয়া : বালিশে মুখ গুঁজে নিরবে চোখের জল ফেলছি,উনি আমার সাথে এমন করবে ভাবতেই পারছি না।প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে,ইচ্ছে করছে উনার কলার ধরে জিজ্ঞেস করি,’কি নেই আমার মাঝে যে এভাবে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন?’
(দুদিন পর রাতে)
ছোঁয়া : অনেক রাত করে রুমে ঢুকলেন উনি,সারাদিনে একবারও আমার দিকে ফিরেও তাকাননি।রাগে দুঃখে কি করব বুঝতে পারছি না,নিজের চুল নিজেই ছিড়তে ইচ্ছে করছে।উনি রুমে ঢুকতেই বালিশ-কাঁথা নিয়ে দরজার দিকে হাঁটতে লাগলাম
সায়ন : এই মেয়ে,ওদিকে কোথায় যাচ্ছো?
ছোঁয়া : আমার ঘুম পাচ্ছে
সায়ন : ঘুম পাচ্ছে তো ঐদিকে যাচ্ছো কেন?
ছোঁয়া : এখানে ঘুমালে আপনার প্রবলেম হবে তাই…
সায়ন : আমার প্রবলেম হবে!তোমাকে কে বলেছে?
ছোঁয়া : কেউ না
সায়ন : তাহলে?শোন মেয়ে মাথাটা একটু কম চালাবে বুঝেছো?
ছোঁয়া : হুম
সায়ন : এখন হা করে দাঁড়িয়ে না থেকে এক কোণায় চুপচাপ শুয়ে পড়
ছোঁয়া : জ্বি
সায়ন : কি হল,এখনও দাঁড়িয়ে আছো যে?
ছোঁয়া : না মানে বলছিলাম কি মেঝেতে ঘুমাতে আমার প্রবলেম হচ্ছে তাই…
সায়ন : তাই?
ছোঁয়া : সবাইতো ঘুমিয়ে পড়েছে,আমি চুপচাপ আমার রুমে…না মানে আমি আগে যে রুমে থাকতাম সেই রুমে চলে যাই?সবার উঠার আগেই চলে আসব,কেউ জানতেও পারবে না যে আমি ঐ রুমে…
সায়ন : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে যাও
ছোঁয়া : চুপি চুপি নিজের রুমে চলে আসলাম,খুব টায়ার্ড ছিলাম তাই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়লাম
সায়ন : ভালই হল মেয়েটা চলে গেল,এমনিতেও ওর থেকে দূরে থাকতে চাইছিলাম…
এটলিস্ট রাতে শান্তি করে ঘুমানো যাবে,ও চোখের সামনে থাকলে অজানা একটা টান অনুভূত হয়,তখন চোখের ঘুমও গায়েব হয়ে যায়।তারথেকে বরং এটাই ভাল…
সবে ভোরের আলো ফুটে উঠতে শুরু করেছে,হঠাৎ হঠাৎ দুই-একটা জায়গা থেকে আযানের মধুর ধ্বনি ভেসে আসছে।হঠাৎই দরজায় কারো নক করার শব্দ কানে আসলো…
সায়ন : এই সাত সকালে আবার কে আসলো?দিল তো আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে…
চরম বিরক্তি নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম,দরজা খুলতেই দেখলাম হাতে বালিশ-কাঁথা নিয়ে ছোঁয়া দাঁড়িয়ে আছে।
সমস্যা কি,এই সাত-সকালে দিলেতো আমার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে…
ছোঁয়া : আ..আসলে একটু পরেই সবাই উঠে পড়বে,তখন যদি সবাই দেখে যে আমি ঐ রুমে তাহলে…
সায়ন : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে,তোমার যা ইচ্ছে কর আমিতো আবার ঘুমাব
ছোঁয়া : আচ্ছা
সায়ন : আর শোন কেউ যেন আর আমাকে বিরক্ত না করে…
ছোঁয়া : জ্বি আচ্ছা
সায়ন : নাহ্ এভাবে আর হবে না,এর একটা পার্মানেন্ট সল্যুশন বের করতেই হবে…
।
দিনগুলো এভাবেই চলে যাচ্ছে।সারাদিন সবার সামনে হ্যাপি কাপলের অভিনয় করছি,রাত একটু গভীর হতেই ছোঁয়া ওর আগের রুমে চলে যাচ্ছে আর ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই এই রুমে চলে আসছে।অনেক ভেবে ভেবেও এসব থেকে বেরোনোর কোন সলিউশন খুঁজে পাচ্ছি না।হঠাৎই একটা প্ল্যান মাথায় আসলো…
সায়ন : কাল সারা রাত ধরে চিন্তা করে করে একটা উপায় পেয়েছি।প্ল্যান মোতাবেক সব করার জন্য আজ একদম সকাল সকাল উঠে পড়েছি।ঝটপট সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলাম।আমার দিকে সবাই বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে…
মা : কি রে খোকা,কোথাও যাচ্ছিস নাকি?
সায়ন : হ্যাঁ মা একটু ঢাকায় যেতে হবে
মা : হঠাৎ?
সায়ন : হ্যাঁ মা,ওই একটা চাকরির ব্যাপারে কিছুদিন ধরেই কথা-বার্তা চলছিল কাল রাতে হঠাৎ করেই কনফার্মেশন চলে আসছে…
মা : আমাদের আগে বলিস নি কেন?
সায়ন : আসলে মা খবরটা অনেক রাতে পেলাম আর তখন তোমরা সবাই ঘুমাচ্ছিলে তাই…
মা : কিন্তু তাই বলে…
সায়ন : প্লিজ মা রাগ কর না,আমি যাব আর আসব…
ছোঁয়া : আমি জানি আপনি এত সহজে আসবেন না(মনে মনে)
সায়ন : মা প্লিজ…
মা : আচ্ছা ঠিক আছে অন্তত নাস্তাতো করে যা…
সায়ন : আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে মা,রাস্তায় কিছু খেয়ে নিব প্রমিজ…
মা : কিন্তু…
সায়ন : তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছ মা…
মা : আচ্ছা ঠিক আছে,দেখে-শুনে যাস আর নিজের খেয়াল রাখিস…
সায়ন : আচ্ছা মা,আল্লাহ হাফেজ…
ছোঁয়া : এই যে শুনুন…
সায়ন : অবাক হয়ে পেছনে ফিরে তাকালাম
ছোঁয়া : এক মিনিট ওয়েট করেন প্লিজ…
সায়ন : কিছু বলবে?
ছোঁয়া : উনার দিকে ছুটে গিয়ে একটা ব্যাগ বাড়িয়ে দিলাম উনার দিকে
সায়ন : এটা কি?
ছোঁয়া : এটাতে একটা টিফিন বক্সে কিছু খাবার আছে
সায়ন : প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হচ্ছে।এসবের আবার কি দরকার?
ছোঁয়া : না মানে আপনি সকাল থেকে কিছুই খান নি,যাত্রা পথে কোথায় কি খাবেন না খাবেন তার তো ঠিক নেই তাই…
সায়ন : আমার এসব লাগবে না,তুমি এগুলো ভেতরে নিয়ে যাও
ছোঁয়া : মনটাই খারাপ হয়ে গেল,সাথে করে নিয়ে গেলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত?মাথা নিচু করে প্যাকেটটা নিয়ে ভেতর যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম
মা : বৌমা…
ছোঁয়া : জ্বি মা?
মা : এদিকে এসো
ছোঁয়া : মার দিকে এগিয়ে গেলাম
মা : টিফিন বক্সটা এদিকে দে
ছোঁয়া : জ্বি মা?
মা : যা বলছি কর
ছোঁয়া : চুপচাপ বক্সটা এগিয়ে দিলাম
মা : সায়ন…
সায়ন : জ্বি?
মা : এটা ধর
সায়ন : কিন্তু মা…
মা : কোন কিন্তু না,ছোঁয়াতো ঠিক কথাই বলেছে।জার্নিতে কোথায় কি খাবে তার কি কোন ঠিক আছে?
সায়ন : না মা তেমন কোন ব্যাপার নেই
মা : ওসব কিছু আমি শুনতে চাই না,মেয়েটা এত শখ করে তোর জন্য এগুলো রেডি করেছে আর তুই…
সায়ন : অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে ছোঁয়ার দিকে তাকালাম
ছোঁয়া : উনি এমনভাবে আমার দিকে তাকালেন,মনে হচ্ছে যেন ঐ চোখ দিয়েই আমাকে ভস্ম করে দেবেন।আর তাকিয়ে থাকার সাহস হল না তাই মাথাটা নিচু করে ফেললাম
সায়ন : পেটে পেটে শয়তানি বুদ্ধিতে ভরা আর এখন দেখ এমন ভান করছে যেন ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে জানেনা😡(মনে মনে)
মা : কি হল সায়ন?আমি কি বললাম?
সায়ন : মায়ের কথায় হুশ ফিরল।কি বলছিলে মা?
মা : টিফিন বক্সটা ব্যাগের মধ্যে নাও
সায়ন : অনিচ্ছা স্বত্তেও বক্সটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম।তারপর ছোঁয়ার দিকে একবার তাকিয়েই বেরিয়ে পড়লাম
ছোঁয়া : উনি চলে গেলেন কিন্তু যাওয়ার আগে আমার দিকে যেভাবে তাকালেন তার একটাই অর্থ দাঁড়ায়,’তোমাকে তো আমি পরে দেখে নিব’
.
সায়ন : ট্রেন তার নিজস্ব গতিতে চলছে আর আমি আমার গন্তব্যের আরো কাছে এগিয়ে যাচ্ছি।হ্যাঁ গন্তব্য,এই মুহূর্তে ছোঁয়ার থেকে দূরে সরে যাওয়াটাই আমার আসল লক্ষ্য।যদিও বাসায় বলে এসেছি যে আমি আজ/কালকের মধ্যেই ব্যাক করব কিন্তু না এত সহজে আমি বাড়ির পথে পা বাড়াচ্ছি না।তবে চাকরীর কথাটা কিন্তু মিথ্যা না,সত্যি সত্যিই একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আমার চাকরির অফার এসেছে।কানাডা থেকে দেশে আসার আগেই ওদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছিল তবে আজকেই যে দেখা করতে হবে এমন কোন কথা হয়নি।ওরা বলেছিল আমটর যখন সুবিধা হবে,ওদের সাথে যোগাযোগ করতে।একমাত্র ছোঁয়ার থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্যেই এত তাড়াহুড়ো করে চলে আসা…
(বিকেলে)
যাক বাবা সবকিছু ভালই ভালই হয়ে গেল,চাকরিটাতো আগে থেকেই কনফার্ম ছিল শুধু ফর্মালিটিজ এর জন্য দেখা করা আর কি।তবে সব থেকে ভাল ব্যাপার হল মারুফের হেল্পে সুবিধামত একটা ফ্ল্যাটও যোগাড় হয়ে গেছে!এখন আর কোন চিন্তুা নেই,শান্তিমত ঢাকা শহরে থাকা যাবে আর সুযোগ বুঝে তাসনিয়াকেও খোঁজা শুরু করা যাবে।
আর দেরি না করে নতুন ফ্ল্যাটে চলে গেলাম,তেমন কোন আসবাব পত্র তো কেনা হয়নি,আপাতত মেঝেতে তোশকটা বিছিয়েই কোনমতে আজকের মত ব্যবস্থা করে ফেললাম।প্রচণ্ড টায়ার্ড লাগছে তাই ফ্রেশ হয়েই শুয়ে পড়লাম,তখনই ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠল,বাড়ির থেকে কল এসেছে…
সায়ন : হ্যালো…
(ওপাশ থেকে কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না,আরো কয়েকবার হ্যালো বলার পরও কোন সাড়া না পেয়ে সায়ন হঠাৎ করেই বুঝতে পারল ওপাশে কে ফোন ধরে আছে)
সায়ন : হ্যালো ছোঁয়া…
ছোঁয়া : হঠাৎ করে নিজের নাম উনার মুখে শুনতেই চমকে উঠলাম,অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছে
সায়ন : চুপ করে না থেকে মাকে দাও
ছোঁয়া : না মানে মা ফোন দিতে বলছিল তাই…
সায়ন : বুঝেছি বুঝেছি,এখন ফোনটা মার কাছে দাও
ছোঁয়া : মার দিকে ফোনটা এগিয়ে দিলাম,খুব খারাপ লাগছে উনি একটা বার কেমন আছি এটাও জিজ্ঞেস করলেন না!!
মা : কি রে খোকা,তোর না আজকে চলে আসার কথা ছিল…
ছোঁয়া : ওপাশ থেকে উনি কি বলছেন শুনতে না পেলেও ঠিকই বুঝতে পারছি।উনি এত তাড়াতাড়ি ফিরবেন না,ফিরে আসার জন্যে উনি যান নি…
মা : তাহলে কবে আসবি?
সায়ন : কবে যাব ঠিক বলতে পারছি না মা,বুঝতেইতো পারছো নতুন চাকরি…
মা : তোকে চাকরিটা নিতে কে বলল বলতো?
সায়ন : কি করব মা?তোমরাতো আর কানাডায় ফিরে যেতে দেবে না তাই বাধ্য হয়ে…
মা : আচ্ছা বাদ দে,ওখানে থাকছিস বোথায় আর খাচ্ছিসই বা কি?
সায়ন : ওসব নিয়ে তুমি চিন্তা কর নাতো,এখানে আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না।আমি একদম ঠিক আছি
ছোঁয়া : মা আরো কিছু্ক্ষণ কথা বলে ফোনটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন
মা : নে মা,এবার তুই কথা বল।সায়ন লাইনে আছে
ছোঁয়া : আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে ফোনটা কানে ধরলাম কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম যে উনি কেটে দিয়েছেন।বুক ফেটে কান্না আসছে কিন্তু এখন অমন কিছু করা যাববে না,কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে আমাদের মধ্যে কোনকিছুই ঠিক নেই…
হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন?না আমরা এখনও খাইনি,আপনি খেয়েছেন?
আরো কিছু্ক্ষণ এমন নাটক করে নিজের রুমে চলে আসলাম।ফোনটা রেখে দরজা বন্ধ করেই বিছানায় বসে পড়লাম,বালিশে মুখ গুঁজে কান্না করতে লাগলাম।কি এমন ক্ষতি হত একটু ভাল করে কথা বললে?আমিতো আর উনার কাছে স্ত্রীর অধিকার চাইনি তাহলে কেন এমন করছেন আমার সাথে?
সায়ন : দিনকাল এভাবেই কেটে যাচ্ছে।রোজ সকালে উঠে অফিসে যাচ্ছি,সন্ধ্যায় ফিরছি,ব্রেকফাস্ট;লাঞ্চ অফিসের ক্যান্টিনেই করছি।রাতে টুকটাক নিজের হাতেই রান্না করছি,খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।আসলে কানাডায় থাকার সুবাদে নিজের কাজ করার অভ্যাস আছে তাই তেমন কোন ঝামেলা মনে হচ্ছে না
তবে একটা প্রবলেম ঠিকই হচ্ছে,এখনও পর্যন্ত তাসনিয়ার কোন হদিস পাইনি।আমার বন্ধুরাও সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এ ব্যাপারে ওরা আমাকে কোন রকম হেল্প করবে না।মারুফ তো তাসনিয়ার কথাই সহ্য করতে পারছে না,ওর প্রসঙ্গ আসলেই নানাভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।ওদের ঐ এক কথা বিয়েটা যখন হয়েই গেছে তখন ছোঁয়ার সাথেই থাকতে হবে আমাকে আর ওদের সবারই নাকি ছোঁয়াকে অনেক পছন্দ হয়েছে।
অগত্যা নিজে নিজেই তাসনিয়াকে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিলাম।ফেসবুক,টুইটারে ওর নাম লিখে সার্চ দিচ্ছি,একটার পর একটা আইডি চেক করে যাচ্ছি কিন্তু কোনই লাভ নেই।এই ৭দিনে কত আইডি যে চেক করেছি তারও কোন হিসেব নেই।মাঝে মাঝে ইচ্ছে করছে হাল ছেড়ে দিতে কিন্তু ওর প্রতি টান থেকে আমি সেটা করতে পারছি না….
(দুদিন পর)
সায়ন : সকালে ঘুম ভাঙল কলিং বেলের শব্দে।আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে পড়লাম,দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এত সকালে আবার কে এলো?সাত-সকালে ঘুমের ১২টা বাজিয়ে দিল…
আস্তে করে দরজাটা খুলে দিলাম কিন্তু দরজা খোলার পর যা দেখলাম তাতেতো আমার চোখ ছানা-বড়া,এমনকিছু দেখতে হবে চিন্তাও করতে পারিনি!হা করে ওদিকে তাকিয়ে আছি….
To be continued….