Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 08

#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-০৮
(পরদিন সন্ধ্যা)
নিজের রুমের বিছানায় বসে আছে ছোঁয়া,হাতে আঁকা মেহেদীর দিকে তাকিয়ে আনমনেই একবার হাসল।সবাই মিলে দুহাত ভর্তি করে মেহেদী পরিয়ে দিয়েছে,হাতের ঠিক মাঝ বরাবর জ্বলজ্বল করছে সায়নের নামটা।
কি অদ্ভুত তাইনা?চেনা নেই জানা নেই,একটা মানুষের নাম হাতের উপর লিখে দিল আর তাতেই নিজের জীবনটা চিরতরে তার সাথে জড়িয়ে গেল😫
আসলেই কি অদ্ভুত মেয়েদের জীবন!নিজের মনেই একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিল ছোঁয়া আর তারসাথেই দুফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল দুচোখ বেয়ে।তখনই ওর দরজায় কেউ নক করল…
মা : ছোঁয়া মা,দরজাটা খোল
ছোঁয়া : চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ালাম তারপর দরজাটা খুলে দিলাম
মা : কি রে মা,এখনও রেডি হোস নি!ও বাড়ি থেকে যে গায়ে হলুদের জিনিসপত্র চলে এসেছে।তুই ঝটপট রেডি হয়ে নে,আমি ওদিকটা ম্যানেজ করছি
ছোঁয়া : আচ্ছা মা আসছি…
আমিতো তোমাদের সবার হাতের পুতুল হয়ে গেছি,যেভাবে নাচাচ্ছো নেচে যাচ্ছি।এখনও তাই করব…

মারুফ : ওই সায়ন কোথায় রে?
রাকিব : সায়ন…এই দিপু সায়নকে দেখছিস?
দিপু : না দেখি নাই
তন্ময় : দেখ কোন কোনায় মুখ লুকিয়ে বসে আছে
মারুফ : এই শালা মাথামোটার ব্যাপারটা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না।ইচ্ছে করছে এক থাপ্পড়ে গাধাটার মাথার স্ক্রুগুলো টাইট করে দেই
রাকিব : তুই কি বলতে চাইছিস পরিষ্কার করে বলতো
মারুফ : দেখ ছোঁয়াকেতো আমি দেখেছি,ওর মত সুন্দরী আর ভাল মেয়ে আজকাল দেখায় যায় না।আর ওই শাল হনুমান ওর মত একটা মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না!!ওর জায়গায় আমি হলেতো…
(তখনই)
সায়ন : তাই নাকি?তা ওকে যখন এতই পছন্দ তখন তুই ই ওকে বিয়ে করে ফেল না…
মারুফ : ছি!সায়ন,তুই একথা বলতে পারলি?ছোঁয়াতো আমার ভাবি তাই ওকে নিয়ে এসব কথা ভাবতে নেই
সায়ন : ভাবি মাই ফুট…
রাকিব : ওই শালা চুপ কর বলছি
সায়ন : কেন চুপ কেন করব?এমনিতেই সবাই মিলে আমাকে পাপেট বানিয়ে দিয়েছিস তারপরও চুপ করে থাকতে বলছিস!
দিপু : পাপেট??
সায়ন : পাপেটই তো,যখন যার যা ইচ্ছা তাই করাচ্ছে আমাকে দিয়ে।নিজেদের ইচ্ছেমত নাচাচ্ছে!
তন্ময় : কি যা-তা বলছিস!তোকে আবার কখন কি করানো হল?
সায়ন : কি করানো হল!এই একটু আগেইতো গায়ে হলুদ মেখে ভুত বানিয়ে দিয়েছিলি,how silly…
মারুফ : What!!ওই শালা,বিয়ে তোর তো গায়ে হলুদওতো তোকেই দিতে হবে তাইনা?
সায়ন : বিয়ে মাই ফুট…
রাকিব : কিহ্!!!
তন্ময় : আরে বাদ দেতো,এখন যত ঢং করার করতে দে।বাসররাতটা পার হতে দে তখন দেখবি বউয়ের আঁচল ধরে ধরে ঘুরছে,ননস্টপ ছোঁয়া পেছন পেছন ঘুরছে…
সায়ন : আমি ঘুরব ঐ ডাইনীটার পিছু পিছু!একেতো আমি এই বিয়েটাই করব না আর ঐ মেয়ের পিছে ঘোরাঘুরির তো প্রশ্নই উঠে না..
মারুফ : ঠিক আছে দেখা যাবে
সায়ন : হ্যাঁ হ্যাঁ just wait and watch…

(ছোঁয়ার বাসায়)
উঠোনের এক কোণে ছোট করে একটা স্টেজ বানানো হয়েছে।পুরো স্টেজটা গাঁদা আর গোলাপ ফুল দিয়ে সাজ্নো হয়েছে আর এর মাঝেই ছোঁয়াকে বসানো হয়েছে।একটা কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি আর তারসাথে গাঁদা আর গোলাপ ফুল দিয়ে বানানো গহনা।কানের দুল,হাতের চুড়ি,গলার মালা আর মাথার সিঁথিপাটি সবকিছুই ফুল দিয়েই বানানো এছাড়া আর তেমন কোন সাজগোজ নেই কিন্তু তবুও ওকে অসাধারণ লাগছে।সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে,থাকবে নাই বা কেন ওকে দেখে ফুলপরীর থেকে কোন অংশে কম লাগছে না…
সবার সামনে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করলেও ভেতরে ভেতরে যেন একেবারেই কুঁকড়ে যাচ্ছে ছোঁয়া,ওর ভেতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে।একমনে অনেককিছু চিন্তা করে যাচ্ছে যেন সব অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে।ঠিক তখনই খুব পরিচিত একটা কণ্ঠ শুনতে পেল,বাস্তবে ফিরে আসলো ছোঁয়া…
লোপা : দোস্ত….
ছোঁয়া : লোপা তুই!
লোপা : হ্যাঁ আমি,কি ভেবেছিলি দাওয়াত না করলেই আমি আমার বেস্টফ্রেণ্ডের বিয়ে মিস করব?
ছোঁয়া : আ..আসলে আমি…
লোপা : আচ্ছা ফরগেট ইট,আমি কিছু মনে করিনি
ছোঁয়া : হুম
লোপা : By the way congratulations দোস্ত…
ছোঁয়া : (অবাক হয়ে)কিন্তু কেন?
লোপা : কেন আবার তোর নতুন জীবনের জন্যে…
ছোঁয়া : ওহ্
লোপা : কি ব্যাপার,আমার স্যুইটহার্ট টাকে এমন লাগছে কেন?কি রে তুই কি এই বিয়েতে খুশি না?
ছোঁয়া : কই নাতো,এমন কোন ব্যাপার নেই
লোপা : দেখি,আমার দিকে তাকাতো
ছোঁয়া : হুম
লোপা : এবার বলতো কি প্রবলেম?
ছোঁয়া : আ..আসলে সায়নের সাথে আমি কিভাবে…আ..আমি ঠিক বুঝতে পারছি না
লোপা : (মুচকি হেসে)কি আশ্চর্য!আমিতো ভেবেছিলাম তুই এই বিয়েটা নিয়ে অনেক খুশি হবি কিন্তু এখনতো দেখছি…
ছোঁয়া : খুশি হব!কিন্তু কেন?
লোপা : আচ্ছা তুই একবার ভেবে দেখতো তোর ঠিক কেমন ছেলে পছন্দ…
ছোঁয়া : আমার কেমন ছেলে…
লোপা : যে তোকে তোর ফ্যামিলির থেকে আলাদা করবে না,তাদের থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চাইবে না আর…
ছোঁয়া : হ্যাঁ কিন্তু তুই হঠাৎ আমাকে এসব কেন বলছিস?
লোপা : বলছি কারণ তুই এমন একজনকে পেয়ে গেছিস বাট তুই নিজেই সেটা ভুলে গেছিস
ছোঁয়া : মানে?
ছোঁয়া : মানে..সায়ন ভাইয়া ঠিক তেমন যেমনটা তুই চাস
ছোঁয়া : কিহ্!!
লোপা : না মানে পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই তেমন।অন্তত যেটুকু আমরা দেখতে পাচ্ছি,বাঁকিটাতো তোকেই মিলিয়ে দেখতে হবে।মানে আস্তে আস্তে তুই নিজেই বুঝতে পারবি
ছোঁয়া : তুই বলছিস?
লোপা : হ্যাঁ আমি বলছি
ছোঁয়া : কিন্তু উনি কি আমাকে মেনে নেবেন?
লোপা : কেন নেবে না,আমার জান্টুসটা কি দেখতে খারাপ?তুই বরং উনার সাথে ফাইট করা বাদ দিয়ে কিভাবে উনার মন জয় করা যায় সেই চেষ্টা কর
ছোঁয়া : হুম
লোপা : আর তাছাড়া এত টেনশন কেন নিচ্ছিস,উনার সাথে তোর নামতো অনেক আগেই জড়িয়ে গেছে।এখন শুধু সেটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে বুঝেছেন ম্যাডাম?
ছোঁয়া : মানে?ঠিক বুঝলাম না
লোপা : আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি,Mrs Tasniya Mahbub Chowa আপনার নামের সাথে এই মাহবুব অংশটা কিভাবে এসেছে আপনি জানেন?
ছোঁয়া : কিভাবে?
লোপা : দুলাভাইয়ের পুরো নামটা কি জানেন?
ছোঁয়া : নাতো,কাকিয়াকে কখনও জিজ্ঞস করা হয়নি
লোপা : আচ্ছা আমিই বলে দিচ্ছি,উনার নাম মাহবুবুল হাসান সায়ন
ছোঁয়া : হোয়াট!!!তারমানে আমার নামটা…
লোপা : জ্বি ম্যাডাম,সো নো টেনশন জাস্ট ওয়েট এণ্ড ওয়াচ আপনার পতিদেবের মন এমনিই গলে যাবে
ছোঁয়া : ওক্কে ডার্লিং তাই হবে
লোপা: সে যা হবার হবে,আপাতত তোর গায়ে হলুদতো দিতে দে।তোকে একেবারে ভুতনী বানিয়ে দিব যাতে দুলাভাই বাসর রাতেই তোকে দেখে ভয় পেয়ে যায় আর আমার কাছে ছুটে আসে😁
ছোঁয়া : যাহ্ শয়তান একটা,এখন থেকেই আমার বরটার দিকে নজর দেয়া হচ্ছে😯
লোপা : তো কি করব ম্যাডাম?আপনি নিজেইতো বিয়েটা করতে চাইছেন না তাই…
ছোঁয়া : ও হ্যালো,আমাদের বিয়েটা অলরেডি হয়ে গেছে বুঝেছেন?সো আমার বরটার দিকে একদম নজর দিবেন না,ও শুধু আমার আর কারো না…
লোপা : ওক্কে ম্যাম তাই হবে

(বিয়ের দিন)
নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও সায়নকে বর সেজে ছোঁয়াদের বাড়িতে যেতে হয়েছে।সায়ন এমনিতেই দেখতে অসম্ভব হ্যাণ্ডসাম তার উপর আবার ক্রিম আর গোল্ডেন কালার কম্বিনেশনের শেরোয়ানীতে একেবারে রাজপুত্রের মত লাগছে।বিয়ে বাড়ির কেউই ওর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না।
আর ছোঁয়া?মিষ্টি কালারের বেনারসি শাড়ি,তার সাথে ম্যাচিং ওড়না আর পুরো গা ভর্তি জড়োয়া গহনা আর হালকা মেকাপে একেবারে অপ্সরী লাগছে ওকে।এ বাড়িতে এসে পর্যন্ত সায়ন উশখুশ করছে আর ওর বকবকানির ঠেলায় ওর বন্ধুরা সবাই ওর কাছ থেকে পালিয়েছে।মারুফ,রাকিব আর টগর বাড়ির বাইরের দিকটায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিল তখনই মারুফের চোখটা এক জায়গায় আটকে গেল
মারুফ : ইয়ে মানে দোস্ত,তোরা কথা বল আমি একটু আসছি…
টগর : যাব্বাবা এর আবার কি হল!!
রাকিব : কি আবার হবে,সামনে তাকা তাহলেই বুঝতে পারবি
টগর : ও…এই ব্যাপার??

মারুফ : এক্সকিউজ মি…
লোপা : জ্বি আমাকে বলছেন?
মারুফ : হ্যাঁ আপনাকেই
লোপা : তো বলুন কি বলবেন..
মারুফ : হাই আমি মারুফ,সায়নের কাজিন আর আপনি?
লোপা : সরি আমি যাকে তাকে নিজের পরিচয় দেই না
মারুফ : That’s not fare.আমার মত একটা সুন্দর,হ্যাণ্ডসাম ছেলেকে আপনি যাকে-তাকে বলে সম্বোধন করছেন!!
লোপা : ও..বুঝলাম
মারুফ : কি বুঝলেন?
লোপা : বুঝলাম যে আপনি আমার সাথে ফ্লার্ট করতে চাইছেন…
মারুফ : হুম..করাটা কি দোষের কিছু?আই মিন এটাইতো উচিত তাইনা?
লোপা : মানে?
মারুফ : মানে নামনে যদি আপনার মত এমন একজন সুন্দরী মেয়ে থাকে তাহলে…বুঝতেইতো পারছেন…
লোপা : হুম বুঝলাম
মারুফ : আবার কি বুঝলেন?
লোপা : বুঝলাম যে আপনি মেয়ে পটাতে ওস্তাদ
মারুফ : তারমানে আপনিও…
লোপা : আমিও??
মারুফ : I mean you are also impressed right?
লোপা : সেটা আপনার পরে জানলেও চলবে,আপাতত ওদিকে চলেন
মারুফ : কেন?
লোপা : এখনইতো বিয়েটা পড়াবে সো…
মারুফ : ও হ্যাঁ,তাহলে চলুন যাওয়া যাক
লোপা : হুম

ছোঁয়া : মাথা নিচু করে বসে আছি,তখনই বাইরে থেকে কেউ আওয়াজ দিল।সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথার ঘোমটাটা আরেকটু বড় করে টেনে দেওয়া হল তারপর ভেতর থেকে অনুমতি দেওয়ার পর কয়েকজন ঘরে ঢুকল।সম্ভবত কাজী সাহেব আর তার সাথে পাত্র পক্ষের কয়েকজন লোক…
কাজী সাহেব এক নিঃশ্বাসে কিছু কথা বললেল যার কোনকিছুই আমার কানে ঢুকল না,শুধু এটুকু বুঝলাম আমাকে কবুল বলতে বলছেন
সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে অনেকটা যন্ত্রের মতই বলে দিলাম…
“কবুল…কবুল…কবুল”
সবাই একসাথে বলে উঠল “আলহামদুলিল্লাহ”।তারপর সবাই মিলে আমাদের নতুন জীবনের জন্য মোনাযাত করতে লাগল,মোনাযাত শেষে সবাই বেরিয়ে গেল।অামি আর কিছু ভাবতে পারছি না,চুপটি করে ঠিক রোবটের মত বসে আছি….

“চাঁদগ্রাম নিবাসী মৃত আশরাফ সিদ্দিকীর…….”
সায়ন : এই পর্যন্ত শোনার পরে আর কিছুই শুনতে পেলাম না,পাব কি করে?আমি কি আর এই জগতে আছি!বুকের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে,তাসনিয়া ছাড়া অন্য কাউকে…
আমি আর নিতে পারছি না,সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই মনে হল কেউ হালকা খোঁচা দিল।বাস্তবে ফিরে আসতেই শুনতে পেলাম…
“আপনি কি এই বিবাহে সম্মত আছেন?বলুন কবুল….”
সায়ন : আমি অবাক হয়ে সবার দিকে তাকাচ্ছি
মারুফ : কি রে কবুল বলছিস না কেন?বল কবুল…
সায়ন : চোখ কটমট করে মারুফের দিকে তাকালাম
কাজী : রাজি থাকলে বলুন কবুল…
সায়ন : উফ!এইটা লোক নাকি টেপরেকর্ডার!কখন থেকে সেই এক কথা বলে যাচ্ছে,বলুন কবুল বলুন কবুল!কবুল মাই ফুট…(মনে মনে)
কাজী : বলুন কবুল…কি হল জনাব,আপনি কি এই বিয়েতে রাজি না..?
সায়ন : আ..আমি মা..মানে…
বাবা : সায়ন😡

সায়ন : জ্বি বাবা?(বাবার রাগে লাল হয়ে যাওয়া চোখ দেখে প্রচণ্ড ভয় লাগছে)
বাবা : উনি কি বলছেন শুনতে পাচ্ছো না?😡
সায়না : জ্বি পা..প..পাচ্ছি
বাবা : তাহলে চুপ করে আছো কেন?
সায়ন : না মানে বাবা…
বাবা : কাজী সাহেব আপনি আবার বলেন…
কাজী : জ্বি জনাব বলুন কবুল…
সায়ন : এই লোককে মন চাইছে একটা উষ্টা দিয়ে ফেলে দিই,বেটা বজ্জাত টেপরেকর্ডারের মত কবুল কবুল করেই যাচ্ছে!আরে বেটা তোর যখন বিয়ে করার এতই শখ তাইলে নিজেই কর না…
বাবা : কি হল?আবার বলতে হবে?😡
সায়ন : না বাবা,ঠিক আছে আর বলতে হবে না
বাবা : তাহলে বল…
সায়ন : জ্বি…কবুল…কবুল…কবুল…
সবাই : আলহামদুলিল্লাহ্….
চলবে…
#আশা করি সবার কনফিউশনের অনেকটাই আজকে ক্লিয়ার হয়ে গেছে,যেটুকু বাঁকি আছে তাও আগামী দুই/এক পর্বের মধ্যেই ক্লিয়ার করে দিব ইনশা আল্লাহ।ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন আর গল্পটা কেমন লাগছে জানাতে ভুলবেন না…