Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 06

ছোঁয়া : Oh god!ক্যাম্পাস থেকে ফিরতে এত দেরি হয়ে গেল,বিকালে আবার সোহানার বার্থডে।ঠিক সময়মত না পৌঁছলে ডাইনীটা আমাকে কাঁচাই খেয়ে ফেলবে,যাই ঝটপট গোসলটা সেরে নিই।ইয়া আল্লাহ এইডা আমি কি দেখলাম😱জোরে একটা চিৎকার দিয়েই চোখ বন্ধ করে ফেললাম
সায়ন : সবে গোসলটা শেষ করেছি,চেঞ্জ করছিলাম তখনই একটা চিৎকার শুনতে পেলাম।তাকিয়ে দেখে ছোঁয়া চোখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,আরেকবার চিৎকার দিতে যাবে তার আগেই ওর মুখটা চেপে ধরলাম
ছোঁয়া : চিৎকার দিতে যাব তার আগেই শয়তানটা আমার মুখ চেপে ধরল!এত শক্ত করে চেপে ধরেছে যে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে,নিজেকে ছাড়ানোর জন্য উশখুশ করতে লাগলাম
সায়ন : মেয়েটা এত নড়াচড়া করছে কেন?এই মেয়ের মাথায় কি ছিট আছে নাকি!দুজনে একসাথে বাথরুমে জানতে পারলে তো কেলেঙ্কারি কাণ্ড হয়ে যাবে,কি আর করা লাফালাফি কমানোর জন্য ওর হাতদুটো পেছনে দিয়ে চেপে ধরলাম
ছোঁয়া : প্লিজ হাতটা সরান,দম নিতে পারছি না তো…মনে মনে এটাই বলছিলাম আর চোখ দিয়ে ইশারা করছিলামকিন্তু এই সালা বলদ দেখি কিছুই বোঝে না😩কোন কিছুতে কাজ হচ্ছে না দেখে হালকা একটা গুঁতো দিলাম
সায়ন : আউচ!এই মেয়ে সমস্যা কি?
ছোঁয়া : শেষবারের মত চোখে চোখে ইশারা করলাম
সায়ন : এতক্ষণে বুঝলাম ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,আলতো করে মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে নিলাম
ছোঁয়া : জোরে জোরে কয়েকটা নিঃশ্বাস ফেললাম তারপর চিৎকার দিতে যাব আবারও উনি আমার মুখ চেপে ধরলেন।আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম…
সায়ন : লিসেন আমরা দুজনে একসাথে বাথরুমে ঢুকেছি জানলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।আমি এখনই তোমার মুখ ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু প্লিজ কোন চিৎকার করবে না ফর গডস

সেক প্লিজ…
ছোঁয়া : হালকা করে মাথাটা ঝাঁকালাম,উনি হাতটা সরিয়ে নিলেন।ওই মিয়া সমস্যা কি আপনার?
সায়ন : কিসের সমস্যা?
ছোঁয়া : এইডা বাংলাদেশ,কানাডা না..এখানকার কেউ আপনার মত বেপর্দা হয়ে গোসল করে না জানেন না?
সায়ন : মানে কি?আমার যেভাবে ইচ্ছা গোসল দিব তাতে তোমার কি?
ছোঁয়া : তা নাহয় বুঝলাম,কিন্তু দরজা লাগান নি কেন?হাত ব্যথা করছিল বুঝি?
সায়ন : হ্যাঁ করছিল তাতে তোমার কি?
ছোঁয়া : আমার কি মানে?আপনার জন্য আমাকে আজকে এত বাজে জিনিস দেখতে হল
সায়ন : হোয়াট!!
ছোঁয়া : ইয়া খোদা,বিয়ের আগেই একটা পরপুরূষের…এখন আমার কি হবে?কে বিয়ে করবে আমাকে?
সায়ন : Hey wait wait wait তুমিতো দেখছি স্টিম ইঞ্জিনের গতিতে দৌঁড়াচ্ছো,সময়মত ব্রেক মারো নাহলে কিন্তু নিজেই বিপদে পড়বে
ছোঁয়া : ওই মিয়া আমার বিপদ নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না,আগে নিজের চিন্তা করেন…
সায়ন : মানে?
ছোঁয়া : মানেটা খুব সহজ,জামা-কাপড় পরে আগে আদিম মানব থেকে আধুনিক মানুষ হন
সায়ন : ওহ্ শিট সরি সরি জাস্ট গিভ মি এ মিনিট…
ছোঁয়া : ওকে আপনি চেঞ্জ করেন,আমি বাইরে দাঁড়াচ্ছি
সায়ন : Oh shit!ওকে কেউ দেখে ফেললে তো…ওহ্ নো আটকাতে হবে ওকে।ও দরজায় হাত দিতে যাবে তার আগেই ওকে এক টানে সরিয়ে আনলাম…
ছোঁয়া : দরজা খুলতে যাব তখনই উনি একটানে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলেন!দুজনের মধ্যে এখন তেমন কোন দূরত্ব নেই,দুজন দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দও শুনতে পাচ্ছি।ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপছে,কিছুই বলতে পারছি না
সায়ন : শসসস্ কথা বল না প্লিজ
ছোঁয়া : আ..আপনি এ..এসব কি করছেন!
সায়ন : শসসস কেউ শুনতে পেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে,প্লিজ একটু চুপ করে দাঁড়াও।আমি সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাব,তার আগে তুমি হুটহাট করে কিছু করে বস না প্লিজ…
ছোঁয়া : থ্যাঙ্কস গড…
সায়ন : কিছু বললে?
ছোঁয়া : না মানে বলছিলাম কি আপনি যদি একটু দূরে সরে দাঁড়াতেন….
সায়ন : ওহ্ সরি
ছোঁয়া : হুম।আচ্ছা আমি ঘুরে দাঁড়াচ্ছি আপনার হলে বলেন
সায়ন : ওকে…ঝটপট চেঞ্জ করে নিলাম।মিস ছোঁয়া..
ছোঁয়া : জ্বি?
সায়ন : লিসেন আমি বেরিয়ে যাচ্ছি,now it’s your turn
ছোঁয়া : ওকে
সায়ন : (মুচকি হেসে)টেনশন নিও না,কেউ যাতে আমাকে দেখতে না পায় সেভাবেই বের হব
ছোঁয়া : ছোট্ট করে একটা হাসি দিলাম,উনি বেরিয়ে গেলেন।এনাকণ্ডাটাকে যতটা খারাপ ভেবেছিলাম অতটাও খারাপ না☺

ছোঁয়া : ওহ্ শিট!অনেক রাত হয়ে গেল,তোদেরকে বার বার বলেছিলাম সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে হবে কিন্তু তোরা…কাকাই আর কাকিয়া না জানি কত্ত টেনশন করছে…
সোহানা : আরে ছাড়তো,সব সময় এত কাকাই-কাকিয়া করিস কেন বলতো?আবে ইয়ার এখন আর তুই সেই ছোট্ট বাচ্চাটি নেই,এখনতো তুই ভার্সিটিতে পড়িস সো একটু রাত করে ফিরতেই পারিস…
ছোঁয়া : হ্যাঁ তা পারি কিন্তু তবুও…
লোপা : ওহ্ হো জাস্ট গ্রো আপ ইয়ার…
ছোঁয়া : অটো বাড়ির সামনে এসে থামতেই ভয়ে ভয়ে ভেতরে গিয়ে ঢুকলাম
কাকিয়া : ছোঁয়া,বুদ্ধি-শুদ্ধি কি লোপ পেয়েছে তোমার?
ছোঁয়া : (চমকে উঠে)মা..ম..মানে কাকিয়া?
কাকিয়া : এখন কয়টা বাজে সেই খেয়াল আছে?
ছোঁয়া : না মানে কাকিয়া,সোহানার বার্থডে ছিল তাই…
কাকিয়া : বার্থডে হয়েছে তাতে কি?ভদ্র ঘরের মেয়ে-বউ রা সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে থাকে না,খারাপ দেখায়
কাকাই : আহ্ আসমা,কি শুরু করলে?ছোঁয়া মা যা তো ফ্রেশ হয়ে নে তারপর সবাই মিলে একসাথে খাব
ছোঁয়া : আমিতো খেয়ে এসেছি,কিন্তু এখন চুপ থাকাই বেটার
কাকিয়া : কি হল এখনও দাঁড়িয়ে আছো কেন?
ছোঁয়া : জ্বি কাকিয়া,খুব অবাক লাগছে,কাকিয়া হঠাৎ আমার সাথে এমন ব্যবহার করলেন কেন?
কাকাই : এসব কি করছিলে আসমা?তোমার কি মাথা টাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি?মেয়েটা এই প্রথম একটু দেরি করে ফিরেছে আর তুমি…
কাকিয়া : মাথাটা বোধহয় সত্যি সত্যিই গেছে,আসলে এত টেনশন নিতে পারছি না।কি করব বল একমাত্র ছেলে তো…
কাকাই : কেন এত টেনশন কর বলতো,আমিতো আছি তাইনা?টেনশন নিও না সব ঠিক হয়ে যাবে
কাকিয়া : তাহলে চল না সব ওদেরকে খুলে বলি…
কাকাই : হুম বলব,এখন অন্তত একটু শান্ত হও প্লিজ…

ছোঁয়া : আচ্ছা কাকিয়া,একটা কথা বলবে?
কাকিয়া : কি কথা রে মা?
ছোঁয়া : এই রাক্ষসটা কি সত্যিই তোমার ছেলে?
সায়ন : চুপচাপ ডিনার করছিলাম,ওর কথা শুনে বিষম লেগে গেল,বলে কি এই মেয়ে!
(কাকিয়া আর কাকাই অবাক হয়ে ছোঁয়ার দিকে তাকালো)
ছোঁয়া : না মানেনে বলছিলাম কি তোমরা দুজনেই এত ভাল অথচ তোমাদের ছেলে কিনা একটা রাক্ষস!!!
সায়ন : হোয়াট দ্য…শক্ত করে ওর হাত পেছনে টেনে চেপে ধরলাম
ছোঁয়া : আহ্ লাগছে তো..ছাড়ুন বলছি…
সায়ন : লাগুক লাগার জন্যেইতো ধরেছি,আমি রাক্ষস তাইনা?ঠিক আছে এবার এই রাক্ষস কি করতে পারে তাই দেখবে…
ছোঁয়া : কাকিয়া…কাকাই…দেখলে তোমাদের এই রাক্ষস ছেলে আবার কি বলল?
সায়ন : ইউ…
কাকিয়া : আহ্ সায়ন ছোঁয়া তোরা থামবি?আমি আর জাস্ট নিতে পারছি না,এই তুমি কিছু বলছ না কেন?
কাকাই : ওহ্ হ্যাঁ যা বলছিলাম,তোমরা দুজন ডিনারের পর একটু আমাদের রুমে আসবে জরুরী কথা আছে।
ছোঁয়া : জরুরী দরকার তাহলে এখনই বল না…
কাকাই : না এখন না,আমার রুমে আসো তারপর বলব
ছোঁয়া : আচ্ছা
সায়ন : ওকে বাবা

বাবা : আচ্ছা শোন তোমাদের যে জন্য ডেকেছিলাম,আজ তোমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় একটা সত্যি তোমরা জানতে পারবে
ছোঁয়া : মানে?
সায়ন : কি বলতে চাইছ একটু ক্লিয়ার করে বল প্লিজ
বাবা : আচ্ছা ছোঁয়া মা,তোর কখনও মনে হয়নি যে তোর মা-বোন থাকতেও তোকে এখানে কেন থাকতে হয়?কেন তুই ও বাড়িতে যেতে চাইলেও যেতে দেওয়া হয়না?
ছোঁয়া : একবার না অনেকবার মনে হয়েছে কিন্তু…
বাবা : আর সায়ন,ছোঁয়াতো তোর ছোট তারপরও ও তোকে নাম ধরে কেন ডাকে?ওর তো উচিত তোকে ভাইয়া বলে ডাকা তাইনা?
সায়ন : সেটা আমি কি করে জানব?ও তো একটা বেয়াদপ মেয়ে তাই…
ছোঁয়া : কিহ্ আমি বেয়াদপ!আপনি বেয়াদপ…
মা : উফ!তোরা একটু চুপ করবি প্লিজ…
বাবা : দেখ তোরা দুজনেই এখন বড় হয়েছিস,নিজেদের ভাল-মন্দ বুঝতে শিখেছিস এখনও যদি নিজেদের মধ্যে এমন ঝামেলা করিস তাহলে সারাজীবন একসাথে থাকবি কিভাবে?

দুজনে একসাথে : সারা জীবন মানে?আমি ওর সাথে থাকতে পারব না
বাবা : তোমরা না চাইলেও তোমাদের একসাথেই থাকতে হবে,তোমরা থাকতে বাধ্য
সায়ন : মানে!!বাবা তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি?
মা : হয়নি তবে হতে পারে
ছোঁয়া : মানে?
মা : বেশি কথা না বলে উনার কথাগুল মন দিয়ে শোন
বাবা : তোমরা জানো যে আমি আর ছোঁয়ার বাবা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আর আমার সেই বন্ধুটি যখন মারা যান তখন তোমরা দুজনেই অনেক ছোট
দুজনে : হুম
বাবা : আমাদের দুজনেরই ইচ্ছে ছিল আমরা বন্ধু থেকে আত্মীয় হব…
সায়ন : হোয়াট!!!
বাবা : আশরাফ মারা যাওয়ার পর ছোঁয়াদের পরিবারে একটা ধ্বস নেমে আসে,দুই মেয়েকে নিয়ে আয়েশা ভাবি অথৈ সাগরে পড়ে।আশরাফের কাছে আমি অনেকভাবে ঋণী ছিলাম তাই ওদের এই অবস্থা আমি দেখতে পারছিলাম না
সায়ন : বাবা তুমি এসব…
বাবা : আমি ভাবিকে হেল্প করতে চাইছিলাম কিন্তু উনি রাজি হলেন না শেষে কোন উপায় না দেখে আমাকে আর তোমার মাকে এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হল…
সায়ন : কোন সিদ্ধান্ত বাবা?
বাবা : আমরা ঠিক করলাম ছোঁয়াকে এ বাড়ির বউ করে নিয়ে আসব
সায়ন : কিহ্😮
ছোঁয়া : কাকাই এসব তুমি কি বলছ?
বাবা : হ্যাঁ রে মা,আমি ঠিকই বলছি।তোরা দুজনেই তখন অনেক ছোট তাই তোদের কিছুই মনে নেই…
সায়ন : কিন্তু বাবা এসব তুমি আগে কেন বলনি?
বাবা : তোদের কচি মনে আমরা কোন চাপ ফেলতে চাইনি তাই তোদের কিছুই জানাইনি কিন্তু এখন সময় এসেছে সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার।তোরা দুজনেই এখন ম্যাচ্যুর,দুজনের দ্বায়িত্বি দুজনে নিতে পারবে তাই আমরা চাই পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার সাথে তোমাদের বিয়েটা আবারও দিয়ে ঘরের বউকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে…
সায়ন : ইম্পসিবল,ওকে বিয়ে করা আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব না
বাবা : যেটাকে তুমি অসম্ভব বলছো সেটা অলরেডি সম্ভব হয়ে গেছে বুঝেছো?তুমি মানো বা না মানো ছোঁয়া এখন তোমার স্ত্রী
ছোঁয়া : আ..আমি একটু আসছি
সায়ন : হোয়াট!বাবা ইউ হ্যাভ গন কমপ্লিটলি ম্যাড
কাকিয়া : কি বললি তুই?
সায়ন : তো আর কি বলব মা?ওকে আমি কিছুতেই আমার স্ত্রী মানতে পারব না
মা : কিন্তু কেন?সমস্যা কোথায়?ওর মত মেয়েকে যে কেউ নিজের ঘরের বউ বানাতে চাইবে
সায়ন : যে চায় চাক তাতে আমার কি?
বাবা : তোমার চাওয়া না চাওয়ায় কিছু আসে যায় না,কয়েকদিন পরেই তোমাদের বিয়ে আর এই কথাটা মাথায় ভাল করে ঢুকিয়ে নাও
সায়ন : কিন্তু বাবা..আহ ফরগেট ইট
মা : খোকা!কোথায় যাচ্ছিস?যাস না বলছি আমার কথাটা একবার শোন
বাবা : আসমা ওকে যেতে দাও,ওর ঘাড়ে যে ভূত চেপে বসেছে তা নেমে যাক…

ছোঁয়া : মাথায় কোন কাজ করছে না,প্রচণ্ড কান্না পাচ্ছে।এতদিন আমি যাদেরকে আপন ভেবে এসেছি আজ তারাই আমার সাথে….
যাদেরকে এত আপন ভাবতাম তারাই আমার কাছ থেকে এত বড় সত্যিটা লুকিয়েছে!কিভাবে পারল ওরা😭😭
.
সায়ন : অনেক্ষণ ধরে ছাদে পায়চারি করছি,মাথায় কোন কাজ করছে না।এই বিয়েটা আমি কোনভাবেই করতে পারব না,ওকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারব না।বাবা-মা কিভাবে ভাবতে পারল যে আমি ওকে…
না কিছুতেই না,আমি শুধুমাত্র একজনকেই ভালোবাসি আর সেটা তাসনিয়া।আমার বুকে আর কারো জন্য কোন জায়গা নেই।যেভাবেই হোক এই বিয়েটা আটকাতে হবে আর তাসনিয়াকে খুঁজে বের করতে হবে।কিন্তু আমিতো ওর সম্পর্কে কিছুই জানিনা,তাতে কি যেভাবেই হোক ওকে তো আমি খুঁজে বের করবই?ডিয়ার তাসনিয়া জাস্ট ওয়েট এণ্ড ওয়াচ তোমার এই আশিক তোমার জন্য ঠিক কি কি করতে পারে….
To be continued….