Childhood marriage ! Part- 05
সায়ন : চোরটা পালানোর চেষ্টা করছিল,কিন্তু আমার নামও সায়ন এত ইজিলিতো চোরকে ছাড়ছি না…
চোরটার গায়ের উপর কম্বলটা ফেলে দিয়েই জাপটে ধরলাম,বেটা চোর দাঁড়া আজ তোর একদিন কি আমার একদিন…
ছোঁয়া : ওরে বাবা গো মাগো গেলাম গো…চোর চোর চোর….কে কোথায় আছো বাঁচাও এই চোরটা মনে হয় আমাকে মারতেই এসেছে…
সায়ন : বাবা-মা কোথায় তোমরা তাড়াতাড়ি এসো,দেখ চোর ধরেছি…
(ওদের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাবা-মা ছুটে আসলেন,এসেইতো তাদের চোখ ছানা-বড়া,সায়ন একজনকে জাপটে ধরে আছে।কিন্তু সে কে বোঝা যাচ্ছে না কারণ তাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে)
মা : এসব কি খোকা?
সায়ন : মা দেখ চোর ধরেছি,কত বড় সাহস আমাদের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল!
ছোঁয়া : মা!!!তারমানে কি উনি….ওহ্ গড কেমনে সম্ভব!উনিতো কানাডা…(মনে মনে)
বাবা : কিন্তু ও কে?আর এভাবেই বা বেঁধে রেখেছিস কেন?
সায়ন : কি যে বল না বাবা!চোরকে এভাবে রাখব নাতো কি মাথায় তুলে নাচব?
ছোঁয়া : ভ্যাঁ…কাকিয়া…কাকাই…😭😭
মা : আরেহ্ এটাতো ছোঁয়ার গলা,কিন্তু ওকেতো কোথাও দেখছি না😳
ছোঁয়া : দেখবে কিভাবে?তোমাদের ছেলে কি আমাকে দেখার মত অবস্থায় রেখেছে😟(মনে মনে)
বাবা : ছোঁয়া…ছোঁয়া মা….
ছোঁয়া : এ্যা হে হে হে😪কাকাই গো,আমাকে বাঁচাও…
মা : ঐ দেখ আবারো ছোঁয়ার গলা,মেয়েটা গেল কই?এই সায়ন,তুই কাকে ধরেছিস?
সায়ন : ছো…ছোঁয়া মানে?আ..আমি আবার ওকে ক..কখন…
বাবা : কথা না বাড়িয়ে কম্বলটা সরা
সায়ন : হ্যাঁ বাবা,এই সরাচ্ছি
ছোঁয়া : কম্বলটা সরতেই কাকিয়া আর কাকাই জোরে একটা চিৎকার দিয়ে উঠল।সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,আমার খুব অস্বস্তি লাগছে।সব ওই এ্যানাকণ্ডাটার জন্য,আল্লাহ দড়ি ফেলাও উইট্ঠা যাই থুক্কু এই এ্যানাকণ্ডাডারে উঠাই দেই😩
মা : ছোঁয়া তুই!!
বাবা : হ্যাঁ রে মা,তুই এখানে আসলি কিভাবে?
ফুলি : হয় আপামনি,আপনে এইহানে কেন?
ছোঁয়া : এ্যাঁ…(ন্যাকা কান্না করে)আমিতো আমার গল্পের বইগুলো নিতে আসছিলাম,কিন্তু আমি কি করে জানব যে এখানে একটা এনাকণ্ডা এসে বসে আছে😟
সায়ন : হোয়াট!এই মেয়ে আমি এনাকণ্ডা?
ছোঁয়া : খালি এনাকণ্ডা না,আপনি..আপনি একটা খাটাশ আর ইম্পর্টেড লাল বান্দর,আর আর মিচকা শয়তান,শওড়া গাছের ভূত,কালো বিলাই আর আর আর…
সায়ন : Shut up you idiot😡
ছোঁয়া : আফ্রিকান গণ্ডার,মুখপোড়া হনুমান,তারছেঁড়া পাবলিক….
সায়ন : I said stop it…
ছোঁয়া : কেন আমি কেন চুপ করব?আমার যা ইচ্ছে তাই বলব,আপনি করার কে?
সায়ন : ওহ্ রিয়েলি?ঠিক আছে বল
ছোঁয়া : আপনি একটা খাটাশ,খবিশ,রাক্ষস গণ্ডার…
সায়ন : আমি এগুলো হলে তুমি কি হ্যাঁ? তুমি একটা শাকচুন্নী,একটা ডাইনী,একটা মাথামোটা পাবলিক,বুদ্ধির ঢেঁকি আর আর…
মা : এই তোরা থামবি?অনেক হয়েছে,আর কত ঝগড়া করবি এবার তো থাম
ছোঁয়া : দেখ না কাকিয়া তোমার ছেলে আমার সাথে কেমন বিহেভ করছে
সায়ন : হ্যাঁ মা তুমিই বল কে বেশি বাজে বিহেভ করছে?আমি নাকি এই ডাইনিটা?
ছোঁয়া : কিহ্ আমি ডাইনী😡
সায়ন : হ্যাঁ ডাইনী আই থিঙ্ক তুমি তার থেকেও খারাপ
ছোঁয়া : দেখছো কাকিয়া😳
মা : চুপ একদম চুপ,তোরা দুজন আর একটাও কথা বলবি না।এই তুমি ওদের কিছু বলছ না কেন?
বাবা : আমি বাবা এসবের মধ্যে নেই।এদিকটা বরং তুমিই সামলাও
মা : এই যে অাপনারা দুইজন,রাত অনেক হয়েছে চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়েন
সায়ন : শুনেছেন মিস শাকচুন্নি?
ছোঁয়া : ওই মি.মাথামোটা,আপনি চুপ থাকেন বুঝলেন?
সায়ন : কিহ্ মা দেখেছো এই শাকচুন্নিটা আবার আমাকে…
ছোঁয়া : বলবইতো আপনিতো মাথামোটাই,নাহলে আমাকে জড়িয়ে ধরাে পরও বুঝলেন না যে আমি একটা মেয়ে?তার উপর আমার চিল্লাচিল্লীতেও বুঝলেন না!আচ্ছা মাথামোটা পাবলিকতো আপনি…
সায়ন : মা…
মা : ও তো ঠিকই বলেছে তুই এতকিছুর পরও বুঝলি না!
সায়ন : আসলে মা এক্সাইটমেন্টে কিছুই বুঝতে পারিনি
ছোঁয়া : মাথায় এক ফোঁটা বুদ্ধি থাকলেতো বুঝবেন
সায়ন : হেই ইউ স্টপ
মা : চুপ…
ছোঁয়া : আমিতো চুপই আছি কাকিয়া,তোমার ছেলেইতো…
সায়ন : আমি কি হ্যাঁ?
মা : তোরা দুইজন আর একটা কথা বললে আমি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাব,চুপচাপ ঘুমা।রাত বিরাতে এসব একদম ভাল লাগে না
ছোঁয়া : (এই রে কাকিয়া ক্ষেপে গেছে)আচ্ছা কাকিয়া
সায়ন : আচ্ছা মা,গুড নাইট
ছোঁয়া : যাওয়ার আগে ওই মাথামোটা টাকে একটু ভেংচি দিয়ে যাই😜😜
সায়ন : কত্ত বড় শয়তান মেয়ে আমাকে ভেংচি দিচ্ছে,তোমাকে তো আমি পরে দেখে নিব😡😡
ছোঁয়া : রুমে চলে আসলাম আর এসেই ঘুম😴
সায়ন : আমিও আর কথা না বাড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম😴
(পরদিন সকালে)
বাবা : কই গো সায়নের মা,কোথায় তুমি?
মা : এই যে,কই কি কি কিনলে দাও
বাবা : এই নাও,সায়ন অার ছোঁয়া উঠেছে?
মা : না এখনও ঘুমাচ্ছে
বাবা : ঘুমাক কয়েকদিন দুজনেরই অনেক ধকল গেছে
মা : হুম
বাবা : কি ব্যাপার মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে আছো?
মা : ভাবছি এবারতো ওদেরকে সত্যিটা জানানো উচিত
বাবা : এত তাড়াহুড়োর কি আছে?
মা : তাড়াহুড়ো আর কোথায়,আমারতো মনে হচ্ছে এখনই উপযুক্ত সময়।আর তাছাড়া ওরা যেভাবে ঝগড়া করছে তাতেতো পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যাবে…
বাবা : ওহ্ তাহলে এই জন্যেই আপনি এত তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন?এটাই তারমানে আসল কারণ?
মা : (চুপ)
বাবা : চিন্তা কর না আসমা,এই বয়সে একটু আধটু ঝগড়া করবে এটাই স্বাভাবিক।দেখবে সময় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে
মা : তারমানে তুমি কিছু বলবে না?
বাবা : না আমার মনে হয় আরো কিছুদিন যাক তারপর সুযোগ বুঝে জানানো যাবে…
মা : দেখো তুমি যা ভাল বোঝ
সকালের স্নিগ্ধ রোদের আলো মুখে পড়তেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেল ছোঁয়ার,আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসল।জানালার পর্দা সরাতেই চোখ ছানাবড়া
ছোঁয়া : ওহ্ শিট!এত বেলা করে ঘুমিয়েছি?ছোঁয়া ছোঁয়া ছোঁয়া তুই আর এ জীবনে মানুষ হতে পারবি না।যাই আগে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি…
সায়ন : এই বেটা সূর্যটা ঘুমের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ল।কোথায় একটু বেশি করে ঘুমাব তা না এখন এত সকাল সকাল উঠতে হচ্ছে।যাই ফ্রেশ হয়ে নেই…
ছোঁয়া : টুথপেস্ট আর ব্রাশ নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাচ্ছিলাম,কিন্তু দরজার বাইরে পা রাখতেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেলাম।ওই কে রে?
সায়ন : এই মেয়ে দেখে চলতে পারো না?চোখ কোথায় থাকে তোমার?
ছোঁয়া : আমার চোখতো কপালেই আছে কিন্তু আপনারটা মনে হয় কানাডাতেই রেখে এসেছেন
সায়ন : What nonsense!
ছোঁয়া : You’re nonsense.একেতো চোখ বন্ধ করে হাঁটতে গিয়ে আমাকে ফেলে দিলেন,তার উপর আবার আমাকেই দোষ দিচ্ছেন!
সায়ন : কিহ্ আমি চোখ বন্ধ করে হাঁটছিলাম নাকি তুমি?কাকে কি বোঝাচ্ছি আমি!এই মেয়েতো শুধু ঝগড়াই করতে পারে,মাথায় বিন্দু মাত্র বুদ্ধি থাকলে তো কিছু বুঝবে…
ছোঁয়া : কিহ্ কি বললেন আপনি?আমার মাথায় কোন বুদ্ধি নেই!
সায়ন : না নেই আর বোধহয় কখনও ছিলও না,পুরোটাই গোবর পোরা..
ছোঁয়া : গোবর পোরা তাইনা?ওয়েট…
সায়ন : হোয়াট…
ছোঁয়া : হাতের টুথপেস্টের টিউবটা পুরোটাই হাতের উপর ঢেলে নিলাম তারপর কিছু বুঝে উঠার আগেই বজ্জাতটার মুখে লেপ্টে দিলাম
সায়ন : Oh shit!what the hell is this!you silly girl what have you done?বুদ্ধি-শুদ্ধি কি সত্যি সত্যি লোপ পেয়েছে?
ছোঁয়া : (হাসতে হাসতে)না মাঠে চরতে গেছে
সায়ন : মানে!!!
ছোঁয়া : আপনিইতো বললেন আমার নাকি কোনকালেই কোন বুদ্ধি ছিল না,বুদ্ধির জায়গায় গোবর পোরা তাই…
সায়ন : What!how dare you to make fun of me?
ছোঁয়া : কি আশ্চর্য এত জোরে জোরে চেঁচাচ্ছেন কেন?আমি বাবা যাই,দেরি হয়ে যাচ্ছে…
সায়ন : Hey you,wait…এই মেয়ে কই যাচ্ছো?
ছোঁয়া : ভাগ ছোঁয়া ভাগ নাহলে তোর খবর আছে।টা টা…
সায়ন : ইউ ইডিয়ট গার্ল,আই সয়্যার তোমাকে আমি ছাড়ব না…দেখো নেব তোমাকে..
ছোঁয়া : যখন দেখতে চাইবেন শুধু একবার ডাকবেন,আমি আপনার সামনে চলে আসব।এখন যাই কেমন…
সায়ন : হেই হেই ওয়েট…যাব্বাবা পালিয়ে গেল!যাও যাও তোমাকেতো আমি পরে দেখে নেব আপাতত মুখটা পরিষ্কার করতে হবে।ওহ্ গড ঠিক করে তাকাতেও পারছি না…
ফুলি : ও আল্লাহ গো…ভু..ভু..ভুউতততত
সায়ন : হোয়াট!এই মেয়ে আবার কি বলছে এসব!
ফুলি : ও খালাআম্মাগো আমারে বাঁচানগো..এই ভূত বেটা আমারে খাইয়া ফেলাইব…
সায়ন : Shut up you silly girl..
ফুলি : ও আল্লাহ এই ভূতডা দেহি ইংরাজিত কতা কয়!বুঝছি শিক্ষিত ভূত ও খালাআম্মাগো….
মা : কি রে ফুলি,এত চেঁচাচ্ছিস কেন?
ফুলি : খালাম্মা ভূ…ভূ..ভূউততত
মা : কিসের ভূত?কোথাকার ভূত?আরেহ..😱এ এটা কে..ক..কে..😱
সায়ন : মা…আমি…
মা : সা..সায়ন!!!
সায়ন : হুম
ফুলি : ভা..ভাইজান আপনে!!
সায়ন : হুম
মা : তোর এই অবস্থা কিভাবে হল?
ফুলি : খালাম্মা ভাইজান মনে হয় শেভিং ক্রিম মনে কইরা টুথপেস্ট লাগাইয়া ফেলছে😁😂
সায়ন : চুপ একদম চুপ,তোকে এত কথা বলতে কে বলেছে😡
ফুলি : খালাম্মা…
মা : তুই শুধু শুধু ওকে বকছিস কেন?আর পুরো মুখে এভাবে টুথপেস্ট মেখেছিস কেন?সেভ করতে চাইলেওতো কেউ এভাবে মাখে না..
সায়ন : মা তুমিও😩
মা : তুই এমন কাজ করলে আমি কি করব বল
সায়ন : আমি কি শখ করে মেখেছি নাকি..
মা : তাহলে?
সায়ন : ওই হাড় বজ্জাত,ডাইনী,শাকচুন্নীটা কই?
মা : তুই কার কথা বলছিস বলতো..
সায়ন : এই বাড়িতে কয়টা শাকচুন্নী আছে বলে তোমার মনে হয়?
মা : আমিতো কিছুই বুঝছি না
ফুলি : খালাম্মা আমি বোধহয় বুঝছি
মা : কি বঝছিস?
ফুলি : ভাইজান মনে হয় আপামনির উপর চেতছে
মা : ছোঁয়ার উপর!কিন্তু কেন?
সায়ন : ওহ হ্যাঁ ছোঁয়া,ওই ডাইনীটাইতো আমার এই অবস্থা করেছে…
মা : ছোঁয়া😱কিন্তু কেন?তুই নিশ্চয় কিছু করেছিস…
সায়ন : হোয়াট!মা…তুমি এখনও ওই বজ্জাত মেয়েটাকেই সাপোর্ট করছ!সত্যি করে বলতো তুমি আমারই মা তো?
মা : কিহ্ তোর সন্দেহ আছে নাকি😮
সায়ন : তুমি আমার মা হয়ে ওই হাড় বজ্জাত মেয়েটাকে সাপোর্ট করছ!!
মা : তুই থামতো,আগে তোর মুখটা একটু দেখার মত করি।এই ফুলি,একটা বালতিতে করে পানি আর সাবান নিয়ে আয়তো…
(কিছু্ক্ষণ পরে)
সায়ন : (আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে)ওহ্ গড চোখ-মুখ কেমন লাল হয়ে গেছে!মিস শাকচুন্নী এর শোধতো আমি তুলবই,তোমাকে যদি উচিত শিক্ষা না দিতে পারি তাহলে আমার নামও সায়ন না…
ছোঁয়া : যাক বাবা,পাঁজিটাকে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছি আর বাড়ি থেকেও বেরিয়ে এসেছি।এখন সারাদিন নিশ্চিন্তে থাকা যাবে,সারাদিন ক্যাম্পাসেই কাটিয়ে দিব পরের চিন্তা পরেই করব।এখন যাই নাহলে আবার ক্লাসের দেরি হয়ে যাবে…
(এদিকে বাড়িতে)
মা : হ্যাঁ গো শুনছো?
বাবা : হ্যাঁ বল
মা : আমার মনে হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা ব্যবস্থা করতে হবে
বাবা : কোন বিষয়ে?
মা : সায়ন আর ছোঁয়ার ব্যাপারে
বাবা : কেন আবার কি হল?
মা : ওরা একজন আরেকজনকে নিজের শত্রু বলে মনে করছে,আজকে ছোঁয়া যা করেছে…
বাবা : ও আবার কি করল?
মা : পুরো ঘটনা খুলে বললাম
বাবা : হাহাহা এতকিছু হয়ে গেল আর আমি কিছুই জানলাম না?
মা : এই হাসি বন্ধ করতো,আমি সিরিয়াস মুডে আছি আর উনার ফাইজলামিই শেষ হচ্ছে না!
বাবা : হ্যাঁ ম্যাডাম এইবার বলেন
মা : এভাবে আর কিছুদিন চলকে থাকলে সবকিছুই আমাদের হাতের বাইরে চলে যাবে তাই বলছি..
বাবা : ওদেরকে সত্যিটা জানিয়ে দিতে তাইতো?
মা : হুম
বাবা : আচ্ছা ঠিক আছে,আর দুয়েক দিনের মধ্যেই আমি সব ক্লিয়ার করে দিব।ঠিক আছে?
মা : হুম
বাবা : এবারতো একটু হাসো..মুখটা অমন বাংলা পাঁচের মত করে রেখেছো কেন?
মা : একটা শুকনো হাসি দিলাম।ভাবছি ওরা যখন সত্যিটা জানতে পারবে তখন কত বড় ঝড় উঠবে আল্লাহই ভাল জানেন।আমারতো ভাবতেই বুকটা ভয়ে কেঁপে উঠছে,হে আল্লাহ সবকিছু সামলে নেওয়ার ধৈর্য্য তুমি আমাকে দান কর…
চলবে…