Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 04

#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-০৪
সবাই : 😂😂😂
তাসনিয়া : ওই তোরা এমন বান্দরের মত হাসছিস কেন?
বৃষ্টি : হাসব নাতো কি করব শুনি?তুই যে কথা বললি তাতে না হেসে উপায় আছে?😂😂
তাসনিয়া : ঐ বান্দরনী থাম কইতাছি নাইলে কিন্তু তোর ঐ সুন্দর চুলগুলা আর আস্ত থাকব না😡
বৃষ্টি : ওই মুখপুড়ি তোর চোখ খালি আমার চুলের দিকে পড়ে কেন বলতো
তাসনিয়া : পড়বেইতো পুরো ব্যাচে আমার চুলের সাথে টক্কর দেয়ার মত তো একজনের চুল আছে তাই…
বৃষ্টি : তোরা দেখছিস এই রাক্ষসীটা আমার চুল…
তাসনিয়া : এখন বলতো তোরা হাসছিলি কেন?আমি হাসার মত কি বললাম?
লোপা : হাসব নাতো কি করব?তুই যে বর্ণনা দিলি তাতে তোর জন্য একটা না ৪/৫টা ছেলে খুঁজতে হবে😂
তাসনিয়া : কেন ৪/৫টা দিয়ে আমি কি করব?😨
বৃষ্টি : কারণ তোর ঐসব রিকুয়্যারমেন্ট একটা ছেলে কিছুতেই পূরণ করতে পারবে না😂😂
তাসনিয়া : ধ্যাত তোদের সাথে কথা বলাটাই আমার ভুল হয়েছে,থাক তোরা আমি গেলাম…
সবাই : 😂😂😂
তাসনিয়া : তোরা যতই হাসিস,বিয়ে আমি তাকেই করব যে আমার সবগুলো রিকুয়্যারমেন্ট পূরণ করবে।তা নাহলে সারাজীবন চীরকুমারীই থেকে যাব হুহ(মনে মনে)

বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে একটা বই পড়ছিল সায়ন,তখনই হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকল ওর ছোটবেলার বন্ধুরা…
টগর : আরে দোস্ত কেমন আছস?শেষমেষ আমাদের কথা মনে পড়ল তাহলে?
লিখন : ছাড়তো ওর আবার আমাদের কথা মনে পড়বে?ওরতো মনে হয় আমাদের নামগুলোও মনে নেই
কনক : এভাবে বলিস না প্লিজ।সায়ন আমাদের ভুলতেই পারে না…এই সায়ন বল না যে তোর সব মনে আছে…
সায়ন : (হালকা হেসে)মনে থাকবে না কেন?তোদেরকে কি চাইলেও ভুলতে পারি?সেই ছোটবেলা থেকে তোদের সাথে হেসে খেলে বড় হয়েছি…
কনক : দেখছিস তোরা শুধু শুধু ওর দোষ দিচ্ছিলি
সায়ন : সে যাই হোক দিপু রাকিব ওরাতো সবাই ঢাকায় সেটেল্ড তাহলে তোরা শুধু শুধু এই গ্রামে পড়ে আছিস কেন বলতো?
টগর : ওহ আমরা ভাবলাম সবাইতো শহরেই যায় আমরা নাহয় গ্রামেই কিছু করলাম☺
সায়ন : হুম বুঝলাম
লিখন : আমরা তিন বন্ধু মিলে বিজনেস শুরু করেছি,ফিশ ফার্মিং এণ্ড হ্যাচারি।একদিন সময় করে তোকে পুরো প্লটটা ঘুরতে নিয়ে যাব
সায়ন : তা নাহয় গেলাম তার আগে বল তোরা সোস্যাল সাইটে এ্যাক্টিভ নাই কেন?
কনক : আর সোস্যাল সাইট,সারদিন প্লট নিয়ে বিজি থাকি।আমাদের সময় কই?আর গ্রামের নেটওয়ার্কের যে অবস্থা…
সায়ন : তারপর বিয়ে শাদি করেছিস?
লিখন : আমি আর টগর অলরেডি মেরিড খালি ঐ শালা হারামজাদাটা এখনও ব্যাচেলর হয়ে বসে আছে
কনক : ব্যাচেলর আর থাকতে দিলি কই?আমার বিয়ের জন্যে তো তোরা উঠে পড়ে লেগেছিস😳
টগর : তো কি করব সারাজীবন কি তোকে ব্যাচেলরই বানিয়ে রাখব নাকি?
সায়ন : 😁😁

লিখন : কি রে হাসছিস কেন?
সায়ন : জানিস কানাডায় বসে আমি এই একটা জিনিসই মিস করেছি।তোদের এই দুষ্টু মিষ্টি খুনশুঁটিগুলোকে।ওখানকার লাইফটা অনেক লাক্সারিয়াস বাট মানুষগুলো অনেকটা যান্ত্রিক লাইফ লিড করে।কারো সাথে দুদণ্ড ভাল করে কথা বলার টাইমও ওদের হাতে নেই…
লিখন : আচ্ছা বাদ দে,এখন বল বিয়ে কবে করছিস?
সায়ন : বিয়ে আর আমি😮
টগর : এতে অত অবাক হওয়ার কি আছে?বয়সতো কম হল না বিয়েতো করতেই হবে তাইনা?
সায়ন : না রে দোস্ত আমাকে দিয়ে ওসব বিয়ে টিয়ে হবে না
কনক : কেন হবে না?তুই বল তোর কেমন মেয়ে পছন্দ আমরা যেখান থেকে পাব তাকে খুঁজে এনে তোর সামনে দাঁড় করাব😊
সায়ন : আরে বাদ দে তো ওসব
লিখন : কেন বাদ কেন দিব,ওই শালা বলবি কিনা বল
সায়ন : আচ্ছা ঠিক আছে বলছি।চোখ বন্ধ করে ফেললাম,চোখের সামনে ভেসে উঠল তাসনিয়ার ঐ নিষ্পাপ চোখজোড়া
কনক : কি রে বলছি বলে আবার চুপ করে গেলি কেন?
সায়ন : হুম আমার এমন একজনকে চাই যে খুব আহামরী সুন্দরী হবে না কিন্তু তার চোখজোড়া হতে হবে এক্সট্রা অর্ডিনারী,একবার ঐ চোখের দিকে তাকালে মনে হবে যেন অতল কোন সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছি,মন চাইবে সারাজীবন ওভাবেই ঐ চোখে হারিয়ে যাই।আর হ্যাঁ সে আমাকে ভালোবাসুক বা না বাসুক আমার বাবা-মাকে নিজের বাবা-মার মতই ভালোবাসতে হবে।ও যদি আমাকে ভালো নাও বাসে তাতেও আমার কোন প্রবলেম নেই,আমি তাকে এত ভালোবাসা দিব যে ও চাইলেও আর আসাকে ছেড়ে যেতে পারবে না,বাধ্য হবে আমাকে ভালোবাসতে😇
টগর : O M G
সায়ন : চোখ মেলে তাকালাম,দেখলাম সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।কি রে তোদের আবার কি হল?
লিখন : মান গেয়া বস ইউ আর গ্রেট
সায়ন : মানে?
কনক : মানে আমরা যদি মেয়ে হতাম এতক্ষণ তোর প্রেমে পড়ে যাইতাম
সায়ন : কি যা-তা বলছিস বলতো
টগর : যা-তা না দোস্ত তুই এত্ত রোমান্টিক😱
সায়ন : যাহ্ শালারা তোদের আর বক বক করতে হবে না,পারলে এমন একটা মেয়ে খুঁজে নিয়ে আয়
লিখন : মাফ কর বাপ এইরকম মেয়ে আর আমাদের পক্ষে খুঁজে বের করা সম্ভব না,ইনফ্যাক্ট এমন মেয়ে বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীতেও খুঁজে পাবিনা।তোর বিশ্বাস না হলে চেষ্টা করতে থাক
সায়ন : ওহ তাই বল😩
টগর : কি রে কনক তোর আবার কি হল?এদিক সেদিক তাকিয়ে কাকে খুঁজছিস বলতো?
কনক : না মানে ছোঁয়া…ওকেতো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না😒
লিখন : ওহ্ তাই বল😝
সায়ন : মানে কি তোরা আবার ঐ ছিপকালিটার পিছনে লাগলি কেন?
কনক : ওই শালা একদম বাজে কথা বলবি না,তুই জানিস ছোঁয়া এখন কত্ত সিন্দরী হয়েছে?ওকে দেখলেই এলাকার সব ছেলের মাখা ঘুরায়😏
সায়ন : তাই নাকি?তা তাদের মধ্যে তুইও আছিস নাকি? 😆
কনক : ওই শালা একদম হাসবি না বলে দিচ্ছি
সায়ন : ওকে ওকে এই যে আমি চুপ😷
কনক : দোস্ত শোন না ঐ ছোঁয়াটা না কাউকে পাত্তাই দিতে চায় না,তুই একটু হেল্প কর না প্লিজ যাতে ও আমার ব্যাপারটা একটু চিন্তা করে দেখে😕
সায়ন : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি ব্যাপারটা
কনক : Thanks dosto thank you so much…😊
সায়ন : ওই শালা ম্যানারস ভুলে গেছিস নাকি?
কনক : মানে?
সায়ন : মানে দোস্তও বলছিস আবার থ্যাঙ্কস ও দিচ্ছিস😯ওই ব্যাটা তোর সাহসতো কম না😡
টগর : জানিস না ফ্রেণ্ডশিপ মে নো সরি নো থ্যাঙ্কস?
কনক : হুম বুঝলাম
লিখন : আচ্ছা এখন সব চলতো,অনেক রাত হয়েছে বেচারা এতটা জার্নি করে এসেছে এবার অন্তত ওকে একটু ঘুমাতে দে…
টগর : হ্যাঁ তাই চল…
সায়ন : ওরা চলে গেল বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছি সত্যিই কি অমন মেয়ে পাওয়া যাবে না?কিন্তু তা কি করে সম্ভব?আমিতো অমন কাউকে পেয়েছিই,তাসনিয়া।হ্যাঁ ও ঠিক তেমন যেমনটা আমি চাই।এখন আমার একটাই কাজ তাসনিয়াকে খুঁজে বের করা,কিন্তু কিভাবে?ওর নাম ছাড়া যে আমি আর কিছুই জানিনা…

বৃষ্টি : এই তাসু,কি করছিস এসব?আমার কিন্তু খুব ভয় করছে
তাসনিয়া : তুইতো ভয় পাবিই ভিতুর ডিম একটা
বৃষ্টি : আমাকে যা ইচ্ছা বল ঠিক আছে কিন্তু মাথাটা প্লিজ ভেতরে ঢুকা প্লিজ দোস্ত…
তাসনিয়া : না..আমি আজকে এভাবেই যাব,সারা রাস্তা এমন করেই থাকব…
লোপা : এই তাসু,তোর মাথা ঠিক আছে তো?এভাবে কেউ জানালা দিয়ে মাথা বের করে রাখে!কখন কি এ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যায়😕
তাসনিয়া : কিচ্ছু হবে না,আমার খুব মজা লাগছে।তোরাও একবার করে দেখ তাহলে বুঝবি
লোপা : দরকার নেই আমাদের বোঝার,তুই ভেতরে আসবি কিনা বল
তাসনিয়া : না…আমি মোটেও ভেতরে আসছি না,বরং আমি এখন জানালা দিয়ে বের হয়ে ছাদে উঠে যাব।আরও মজা হবে😃
বৃষ্টি : What!!তাসু তোর মাথাটা গেছে,I am pretty sure😳
লোপা : তাসু প্লিজ আর পাগলামি করিস না,ভেতরে আয় ফর গডস সেক প্লিজ…
তাসনিয়া : কি আর করার মন খারাপ করে মাথাটা বাসের ভেতরে নিয়ে চুপচাপ সিটে বসে পড়লাম
লোপা : কি রে আবার কি হল?ম্যাডামের এমন মুড অফ কেন?
তাসনিয়া : তো কি করব?আমি একটু মজা করছিলাম তাও তোদের সহ্য হল না,আমাকে জোর করে ভেতরে ঢুকিয়ে নিলি😔
বৃষ্টি : ওহ্ এখন আমাদের দোষ তাইনা?
তাসনিয়া : তোদেরইতো দোষ
লোপা : তা ম্যাডাম আপনার মনে আজকে এত ফূর্তি কই থেকে আসছিল জানতে পারি?
তাসনিয়া : খুশি হব না!আজ এতদিন পরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি,আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে😇
বৃষ্টি : হোয়াট😯ট্যুর শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে সবার মন কত খারাপ আর তুই কিনা…
লোপা : I can’t believe this
তাসনিয়া : বিশ্বাস না হলে করিস না,তোদের কি কেউ জোর করছে😏
(হঠাৎই বাসের সাউণ্ডবক্সে গান বেজে উঠল,তাসনিয়ে ওদেরকে নিয়ে সিটে থেকে নেমে নাচতে লাগল..)
ক্যাটওয়াক ওয়ালী বেবি হে তেরি চাল
ব্যাকলেস স্যুট বিচ লাগতি কামাল
ও কিত্থে চালি জান্দিয়ে।।
তেনু পুছ নাহে একহি সাওয়াল
ও ডাস দে কাওয়ারিয়া কিসনে তু নাল
ও দুরু দুরু জানিয়ে জান কাট জানিয়ে
ইনেমি নাখরে তু কারনা সোনিয়ে
দিল মেরা তেরে লিয়ে ধাড়কে
আজ ফির কিত্থে চাল দিয়ে
মোরনী বানকে মোরনী বানকে।।
বাস তার নিজস্ব গতিতে চলছে,বাসের মধ্যে খুব হাই বিটের কিছু গান বাজছে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে ওরা যে যার মত নাচছে আর মজা করছে…

ছোঁয়া : কখন থেকে গেটের কড়া নাড়াচ্ছি কিন্তু কেউ খুলছেই না!উফ আজকেই অমাবস্যা হওয়া লাগল?অন্ধকারে ভাল করে কিছু দেখাও যাচ্ছে না,একা একা এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেও কেমন ভয় ভয় করছে।এই বিদঘুটে অন্ধকারে গা ছম ছম করছে মনে হচ্ছে পেছন থেকে এক্ষুণি কেউ এসে আমায় জাপটে ধরবে।কি যে করিনা,কাকাইকে একবার জানালেইতো আমাকে ভার্সিটি থেকে নিয়ে আসতো।এই সারপ্রাইজের চক্করে পড়ে শুধু শুধু এত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।কি যে করিস না ছোঁয়া,নিজের উল্টো পাল্টা কাজের জন্য নিজেকেই সব সময় বিপদে ফেলিস😞।দেখি আরেকবার শেষ চেষ্টা করে দেখি…কাকাই ও কাকাই,কাকিয়া..কই তোমরা?দরজাটা খোল প্লিজ…
কাকিয়া : এই তুমি কি কিছু শুনতে পেলে?
কাকাই : কি শোনার কথা বলছো বলতো?
ছোঁয়া : কাকাই…কাকিয়া…
কাকাই : এই মনে হচ্ছে আমার ছোঁয়া মায়ের গলা…
কাকিয়া : তাইতো কিন্তু এত রাতে…
ছোঁয়া : কাকিয়া…ও কাকাই…দরজাটা খোল প্লিজ আর কতক্ষণ এভাবে একা একা দাঁড়িয়ে থাকব?
কাকিয়া : এই চলতো
কাকাই : কোথায়?
কাকিয়া : কে এসেছে ওটা পরেও ভাবা যাবে আপাতত চল দরজাটা খুলি..
কাকাই : হ্যাঁ তাই চল..
(মেইন গেট খুলতেইতো ওরা অবাক,ছোঁয়া দাঁড়িয়ে আছে।উনাদের দেখেই ও কাকিয়ার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল)
ছোঁয়া : জানো কাকিয়া,এই কয়দিনে তোমাদের আমি কত্ত মিস করছি?আর দুয়েক দিন তোমাদের না দেখে থাকতে হলে তো আমি পাগল হয়ে যেতাম
কাকিয়া : তার আগে বল তুই এত রাতে?
ছোঁয়া : এ মা তোমরা ভুলে গেছ,আমারতো আজকেই ফেরার কথা ছিল
কাকাই : কিন্তু তুই যে ফোন দিয়ে বললি কাল ফিরবি?
ছোঁয়া : ওহ্ ওটাতো তোমাদের সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য..
কাকিয়া : (ছোঁয়ার কান ধরে)দেখাচ্ছি তোর সারপ্রাইজ,এত রাতে একা একা বাড়ি ফিরলি কিছু একটা হয়ে গেলে😳
ছোঁয়া : আরে কাকিয়া কি করছ লাগছে তো
কাকিয়া : লাগুক লাগার জন্যেইতো ধরেছি।সনসময় তোমার বাঁদরামো তাইনা?😡
ছোঁয়া : কাকাই…
কাকাই : নাহ্ ছোঁয়া,এই ব্যাপারে আমি তোর কাকিয়ার সাথে একমত।এত রাতে একা একা আসাটা তোর মোটেও ঠিক হয়নি,আমাকে একবার বলতে পারতি…
ছোঁয়া : আমি কি জানতাম নাকি যে এত দেরি হয়ে যাবে?আমাদেরতো পৌঁছানোর কথা বিকেলের মধ্যেই কিন্তু রাস্তায় জ্যামের জন্যে…
কাকাই : আচ্ছা ঠিক আছে এখন ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে
কাকিয়া : নাহ ওকে এত সহজে ছাড়ব না আমি
কাকাই : আহ্ আসমা,মেয়েটা জার্নি করে এসেছে।ওকে একটু রেস্ট নিতে দাও,বকাটা পরেও দেয়া যাবে…
কাকিয়া : এই তুমি,তোমার লাই পেয়ে পেয়েই মেয়েটা এমন মাথায় উঠে গেছে।আদর দিয়ে দিয়ে একেবারে বাঁদর বানিয়ে ফেলেছো
ছোঁয়া : কাকাই😢
কাকাই : তুই যা তো মা ফ্রেশ হয়ে নে
ছোঁয়া : আচ্ছা😊

ছোঁয়া : আহ্ কতদিন পরে কাকিয়ার হাতের রান্না খেলাম,খাবারতো নয় যেন অমৃত😇যাই এবার একটু ঘুমাই…
ওহ্ শিট এখানেতো একটাও গল্পের বই নেই,বই না পড়লেতো আবার আমার ঘুমই আসে না।কিন্তু বইগুলো গেল কই?হুম নিশ্চয় ওই রুমে ফেলে এসেছি,আচ্ছা যাই নিয়ে আসি…

ওহ্ গড এত্ত অন্ধকার কেন?লাইট জ্বালাব?না থাক এমনিতেই মাথা ব্যাথায় অবস্থা খারাপ তার উপর এই আলো জ্বাললে মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে যাবে,তার থেকে এভাবেই খুঁজি
সায়ন : ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,হঠাৎই কিছু একটার খসখস আওয়াজ শুনলাম।মনে হচ্ছে আমার রুমে কেউ এসেছে,কিন্তু এই সময় কে আসবে?আচ্ছা আমি কোন স্বপ্ন দেখছি নাতো?হ্যাঁ স্বপ্নই হবে,আচ্ছা আমি ঘুমাই
ছোঁয়া : বইতো পেলাম,কিন্তু রুমে যাওয়ারও শক্তি পাচ্ছি না।মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে,কি করব রুমে যাব?না থাক,আজকের মত এখানেই থেকে যাই।বেডটার দিকে এগিয়ে গেলাম…
সায়ন : আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,হঠাৎই মনে হল আমার উপর ভারি কিছু পড়ল।লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম আর তার সাথে চিৎকার…
ছোঁয়া : বিছানায় হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়তেই মনে হল শক্ত কিছু একটার উপর পড়লাম।তারপরই বুঝলাম ওটা আসলে একটা মানুষ,ভয়ে গলা শুকিয়ে আসলো চোর টোর নয়তো😳জোরে একটা চিৎকার দিয়েই দিলাম দৌঁড়।ভাগ ছোঁয়া ভাগ বেঁচে থাকলে অনেক বই পড়তে পাররতে পারবি আপাতত মিলখা সিং হয়ে দৌঁড় লাগা নাহলে যে সর্বনাশ হয়ে যাবে…
To be continued..