Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 03

#পর্ব-০৩
তপু : চাচী ও চাচী দেখ সায়ন ভাইজান আইসা পড়ছে
সায়ন : মা…ও মা কই তুমি?
মা : খোকা তুই এসেছিস!আ..আমার যে কি খুশি লাগছে!আজ ১০ বছর পর তুই😪😪
সায়ন : এই দেখ আবার কান্না শুরু করল,মা…দেখি আমার দিকে তাকাও তো…
মা : 😪😪
সায়ন : (মার চোখ মুছে দিতে দিতে)আচ্ছা মা এত দূর থেকে কি আমি তোমার এই কান্না মাখা পেত্নীমার্কা মুখটা দেখার জন্য আসলাম?আমার মার সেই চাঁদমুখটা কই গেল?এই তপু,টর্চ লাইট টা নিয়ে আয় তো মার চাঁদমুখটা কোথায় গেল খুঁজতে হবে তো😎
মা: তবে রে শয়তান ছেলে😆
সায়ন : That’s like my mom,just perfect smile.Now come on give me a hug😇
মা : কি?

সায়ন : Come on mom…
(এক রকম জোর করেই সায়ন মাকে জড়িয়ে ধরল)
সায়ন : জানো মা তোমার এই হাসিমাখা মুখটা আর তোমার এই স্পর্শটাকে খুব মিস করেছি এতদিন😞
মা : ছেলেটার কথা শুনে বুকের বাঁ পাশে একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করলাম।আর দেরি না করে সায়নের কপালে একটা মিষ্টি ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দিলাম।তখনই…
বাবা : কি গো আমার ছেলেটাকে কি বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবে?অত দূর থেকে এসেছে,কিছু খেতে টেতে দেবেতো নাকি?
সায়ন : বাবাকে দেখেই বাবার দিকে ছুটে গেলাম,উনাকে ঝটপট সালাম করে ফেললাম।বাবা আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন
বাবা : এত বছর পর ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পেরে খুব শান্তি লাগছে।অনেক কষ্টে নিজেকে কনট্রোল করে নিলাম
সায়ন : সত্যিই বিদেশের এত লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করলেও কোথাও একটা অপূর্ণতা থেকেই গিয়েছিল।কিন্তু আজ আর কোন অপূর্ণতা নেই,বাবা-মার বুকে যেই পরম প্রশান্তিটা আছে এটাকেই এত বছর ধরে মিস করছিলাম।ইচ্ছে করছে সারা জীবন এভাবেই উনাদের আঁকড়ে ধরে রাখি😇
বাবা : ঠিক আছে বাবা,তুই অনেক টায়ার্ড তাই ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট কর।আর আসমা,তুমি তাড়াতাড়ি খাবার রেডি কর ছেলেটা কত দূর থেকে এসেছে…

সায়ন : আরে মা,আর কত খাওয়াবে?আর পারব না প্লিজ মা এবারের মত ছেড়ে দাও😳
মা : চুপচাপ খা বলছি,ইশ রে না খেয়ে খেয়ে চেহারার কি হাল বানিয়েছে😨
সায়ন : কিহ্😯তুমি জানো কত কষ্ট করে এই বডি মেইনটেইন করেছি?আর তুমি কিনা বলছ…
মা : তুই চুপ করতো তোদের এই বয়সী ছেলে-মেয়েদের এই এক সমস্যা ডায়েট ডায়েট করে একেবারে খাওয়া-দাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিস।তোদের বয়সে আমরা কখনও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কোন বাছ বিচার করতাম না অথচ তোরা…
সায়ন : মা..ওটা টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ছিল আর এটা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি এন্ড এই সেঞ্চুরিতে we are very much concerned about our health and body fitness…
মা : চুপ আর একটা কথাও বলবি না,আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছি দেখি চুপচাপ মুখ খোল তো…
সায়ন : আর না করতে পারলাম না,কত বছর পর মা মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে😳চোখে পানি চলে আসছে,অবাক হয়ে মার দিকে তাকিয়ে আছি
মা : কি রে খোকা কি দেখছিস অমন করে?
সায়ন : জানো মা আমি না তোমাদের খুব মিস করতাম 😔
মা : কি বলব বুঝতে পারছি না,আমিও যে আমার ছেলেটাকে অনেক মিস করেছি
বাবা : কি গো তোমাদের মা-ছেলের কথা কি শেষ হল?আরে আরে কি হচ্ছে এখানে!আসমা এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না…
মা : কি ঠিক হচ্ছে না শুনি?
বাবা : ছেলেকে পেয়ে ছেলের বাবাকেই ভুলে গেলে😞
মা : মা..ম..মানে?
বাবা : মানে শুধু ছেলেকে মুখে তুলে খাইয়ে দিলেই হবে?ছেলের বাবার দিকেও তো খেয়াল রাখতে হবে তাইনা?😎
মা : (😮এই লোকের মাথার ঠিক আছে তো?ছেলের সামনে এসব কি বলছে😮)উফ!বুড়ো বয়সে ভীমরতি😡
বাবা : পাগলিটা উঠে চলে গেল, খুব লজ্জা পেয়েছে মনে হয়
সায়ন : মার লজ্জারাঙা মুখটা দেখে খুব ভাল লাগছে আর তারসাথে ফ্রি হিসেবে বাবার দুষ্টু দুষ্টু হাসিতো আছেই😎ইশ!এতদিন কতকিছু যে মিস করেছি😞
বাবা : বুঝলি খোকা,বুড়ি হয়ে গেলেও তোর মায়ের লজ্জাটা কিন্তু একটুও কমেনি।ওর ঐ লজ্জারাঙা মুখটা যতবার দেখি ততবারই নতুন করে ওর প্রেমে পড়ে যাই😇
সায়ন : থ্যাক্স বাবা
বাবা : (অবাক হয়ে)থ্যাঙ্কস কেন?
সায়ন : মার হাত থেকে আজকে আমাকে বাঁচানোর জন্য।তুমি না আসলেতো মা আজকে আমাকে খাইয়ে খাইয়েই মেরে ফেলত😨
বাবা : হা হা হা এত বছর পর তোকে কাছে পেয়েছে এটুকু তো করবেই
মা : এই তুমি যাবে?ছেলেটাকে এবার একটু রেহাই দাও,এত জার্নি করে এসেছে এবার একটু ঘুমোক…
বাবা : হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি,এই খোকা তুই বরং এখন একটু ঘুমা নাহলে আবার তোর ঐ রণচণ্ডী মা আমাকেই নিজের শিকার বানাবে…
সায়ন : রণচণ্ডী😱😱
বাবা : হুম শুধু রেগে গেলে,অন্যসময় মায়াবতী,মমতাময়ী😊
মা : কি হল তুমি যাবে নাকি আমি আসব?
বাবা : এই না না তোমাবে আসতে হবে না,আমিই যাচ্ছি
সায়ন : 😁😁😂

সায়ন : রুমে নিজের বিছানায় শুয়ে আছি,রুমটা এখনও ঠিক আগের মতই আছে কোনকিছুই চেঞ্জ হয়নি।সেই চেয়ার-টেবিল,ড্রেসিং টেবিল,আলমারি আর তাতে রাখা আমার ছেলেবেলার জামা-কাপড় আর খেলনা,টেবিলে সাজানো বিভিন্ন রাইটারের লেখা কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস আর সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা সিরিজের প্রতিটা ভলিউম ঠিক আগের মতই সাজিয়ে রাখা আছে আর তার পাশেই ওয়্যারড্রোবের উপরে আমার প্রিয় মাউথ অর্গ্যানটা রাখা আছে।
এক সময় এই মাউথ অর্গ্যানটাই ছিল আমার সব সময়ের সাথী কিন্তু কানাডা যাওয়ার পর থেকে আমার মাউথ অর্গ্যানের সাথে রিলেশনটা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।তার জায়গায় সখ্যতা গড়ে উঠেছে বেস গিটারের সাথে কিন্তু আজ পুরোনো সাথীটাকে দেখে আর থাকতে পারলাম না,মাউথ অর্গ্যানটা হাতে তুলে নিলাম।সুর তুললাম পুরনো খুব প্রিয় একটা রবীন্দ্র সংগীতের…

জাগোরণে যায় বিভাবরী
আঁখি হতে ঘুম নিলো হরি
কে নিলো হরি
মরি মরি মরি মরি
জাগোরণে যায় বিভাবরী
যারও লাগি ফিরি একা একা
আঁখি পিপাসিত নাহি দেখা।।
তারি বাণী শুনি তারি বাণী
কি আপনি মরি মরি
জাগরণে যায় বিভাবরী…

ঠোঁট থেকে মাউথ অর্গ্যানটা সরিয়ে চোখ মেলে তাকালাম,দেখলাম মা দাঁড়িয়ে আছে
সায়ন : মা তুমি?তুমি কখন এলে?
মা : অনেক্ষণ তোর মাউথ অর্গ্যান বাজানো দেখছিলাম
সায়ন : ওহ
মা : জানিস খোকা,তুই চলে যাওয়ার পর প্রতিটা দিন আমি এই মাউথ অর্গ্যানটা হাতে নিয়ে বসে থাকতাম।মনে হতে তুই আমার পাশেই বসে আছিস
সায়ন :….
মা : আচ্ছা শোন লিখন,টগর আর কনক এসেছিল।তুই ঘুমাচ্ছিস ভেবে ওদেরকে চলে যেতে বলেছিলাম,তুই সময় করে একবার ওদের সাথে দেখা করে আসিস কেমন?
সায়ন : আচ্ছা মা

বৃষ্টি : কি রে তুই এখানে কি করিস?
তাসনিয়া : কি আর করব সমুদ্র দেখি,দেখ ঢেউগুলো কি সুন্দর একটার উপর আরেকটা আছড়ে পড়ছে।মনে হচ্ছে যেন কেউ ওদের শিখিয়ে দিয়েছে কোন ছন্দে আছড়ে পড়তে হবে😌
বৃষ্টি : তুই আর তোর এই দার্শনিক কথাবার্তা,সবই আমার মাথার উপর দিয়ে গেল😣
তাসনিয়া : তোর মাথায় কখনও ঢুকবেও না,কি করে ঢুকবে এত আজে বাজে চিন্তা দিয়ে মাথাটা ভর্তি করে রেখেছিস যে ভাল কিছু রাখার জায়গায় তো নেই😂
বৃষ্টি : বেশ করেছি এট লিস্ট তোর মত এসব উল্টো পাল্টা চিন্তা করে পাগল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে তো দাঁড়িয়ে নেই😠
তাসনিয়া : আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আমার ভুল হয়ে গেছে,আর বলব না এমন করে,এবারতো একটু হাস…
বৃষ্টি : হুম
তাসনিয়া : আচ্ছা এবার বল তোর মুড অফ কেন?
বৃষ্টি : এমনিই
তাসনিয়া : আচ্ছা তোর সেই চকলেট বয়টাকে তো আজ কোথাও দেখতে পেলাম না…
বৃষ্টি : ওরা নেই,কাল রাতেই চলে গেছে
তাসনিয়া : আচ্ছা তারমানে এই জন্যেই আমার জানপাখিটার মনটা এত খারাপ😏
বৃষ্টি : আমার মন মোটেও খারাপ না
তাসনিয়া : তা তো দেখতেই পাচ্ছি,একদিনেই কেমন দেবদাস সরি পার্বতী হয়ে গেছে😎
বৃষ্টি : উফ!তোর সাথে কথা বলতে আসাই আমার ভুল হয়েছে।তুই থাক তোর সমুদ্র আর প্রকৃতি নিয়ে,আমি গেলাম হুহ
তাসনিয়া : এই বৃষ্টি থাম বলছি,আর দোস্ত রাগ করছিস কেন আমিতো জাস্ট ফান করছিলাম
বৃষ্টি : তুই থাক তোর ফান নিয়ে,আমি বদদোয়া দিলাম তোর একটা হিটলার মার্কা বর হবে যে তোকে অলটাইম পেইন দিবে।সারাক্ষণ ডেভিল রাক্ষস টাইপের বিহেভ করবে তোর সাথে…😡
তাসনিয়া : এই বৃষ্টি এই শোন না…যাব্বাবা এই মেয়েতো দেখছি এক্কেবারে রেগে গেছে।যাক ওকেতো পরে দেখে নিব,এখন চুপচাপ সূর্যাস্ত দেখি…

মা : কি রে খোকা এই অসময়ে শুয়ে আছিস যে,শরীর খারাপ লাগছে?
সায়ন : কই না তো,আসলে লং জার্নি করে এসেছিতো তাই একটু বেশিই টায়ার্ড…
মা : তাহলে এক কাজ কর তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়
সায়ন : মা এক মিনিট
মা : কি?
সায়ন : এক মিনিট দাঁড়াও আর হ্যাঁ চোখ বন্ধ করে রাখবে,আমি না বলা পর্যন্ত খুলবে না কিন্তু…
মা : কি পাগলামি হচ্ছে সায়ন?কি শুরু করেছিস এসব…
সায়ন : এইতো মা এই হয়ে গেছে,এই যে মা এবার চোখ খুলতে পারো…
মা: (চোখ খুলেই দেখলাম সায়ন আমার সামনে একটা প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে)এটা কিরে খোকা?
সায়ন : খুলেই দেখো না…
মা : ঝটপট প্যাকেটটা খুলেই দেখলাম একটা হালকা সবুজ রঙের শাড়ী যার উপর সোনালি রেশমি সুতোর কাজ করা,একটা পশমী চাদর,একটা জায়নামাজ আর একটা তসবি
সায়ন : কি পছন্দ হয়েছে?
মা : তুই আবার এসব কেন…
সায়ন : চুপ করতো মা ছেলের জন্য এতদিন অনেক কষ্ট করেছো,এখন ছেলে রোজগার করতে শিখেছে তাই চুপচাপ ছেলে যা বলে তাই করবে ঠিক আছে?
মা : কিন্তু…
বাবা : আহ্ আসমা ছেলেটা এত শখ করে তোমার জন্য এগুলো নিয়ে এসেছে,তুমি আর কথা বাড়িয়ো না
সায়ন : শুধু মার জন্য কেন আনব?আমিতো তোমার জন্যও অনেক কিছু এনেছি
বাবা : তাই নাকি?কই আমার গিফ্ট কই
সায়ন : এই নাও
বাবা : বাহ্ বাহ্ খুব ভাল হয়েছে রে খোকা
সায়ন : আচ্ছা মা তোমরা কি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি?আমার ক্ষুধা লেগেছে তো…
মা : এইতো বাবা যাচ্ছি…
সায়ন : বাবা-মা চলে গেল।আমি আবারও চিন্তার জগতে হারিয়ে গেলাম।আচ্ছা তাসনিয়া কি এখনও সি-বীচে বসে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর রাত জাগা পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে?আমি যেমন ওর কথা ভাবছি ও কি আমার কথা ভাবছে?আচ্ছা ওর মুখটাও তো আমি দেখিনি তাহলে ওর মাঝে কি এমন আছে যা আমাকে ওর দিকে আকৃষ্ট করছে?আমি কেন ওকে ভুলতে পারছি না?ওর সাথে কি আমার আদৌ আর কখনও দেখা হবে?যদি না হয় তাহলে আমি কি করব,কি করে থাকব ওকে ছাড়া?
মা : সায়ন..এই খোকা…
সায়ন : (চমকে উঠে)কি..ক..কিছু বলছিলে মা?
মা : বলছিলাম মানে?সেই কখন থেকে তোকে ডেকে যাচ্ছি,তুই কিছু শুনছিলিই না।কোন রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলি?
সায়ন : সরি মা একটা জিনিস নিয়ে ভাবছিলামতো তাই খেয়াল করিনি
মা : আচ্ছা ঠিক আছে,এখন তাহলে খেতে আয়
সায়ন : হুম
(খাবারের টেবিলে)
মা : হ্যাঁ রে খোকা,তুই আমাদের জন্য এতকিছু নিয়ে আসলি।ছোঁয়ার জন্য কিছু আনিসনি?
সায়ন : (অবাক হয়ে)ছোঁয়া!ছোঁয়াটা আবার কে?
মা : তুই ছোঁয়ার কথা ভুলে গেছিস!!তোর আফজাল আঙ্কেলের মেয়ে যার সাথে তুই সবসময় মারামারি করতি…
সায়ন : ওহ্ তুমি ঐ শাকচুন্নিটার কথা বলছ?
মা : শা..শাকচুন্নি😮
সায়ন : হ্যাঁ শাকচুন্নি,আচ্ছা মা ও এখনও এ বাড়িতে কি করছে?
মা : কি করছে মানে?ও তো এ বাড়িতেই থাকে…
সায়ন : হোয়াট!কেন ওর কি নিজের বাড়ি নেই যে এখানে পড়ে আছে?
বাবা : সায়ন মুখ সামলে কথা বলবে,আমার ছোঁয়া মার ব্যাপারে একটা বাজে কথা বলবে না বুঝেছো😡
সায়ন : অবাক কাণ্ড বাবা হঠাৎ এভাবে রেগে গেল কেন?আমিতো জাস্ট এমনিই জানতে চাইলাম😦
মা : এসব কি হচ্ছে সায়নের বাবা?ছেলেটা এতদিন পরে এসেছে ওকে একটু শান্তি মত খেতেতো দেবে নাকি?
বাবা : হ্যাঁ তোমার ছেলেকে ভাল করে খাওয়াও আর যা ইচ্ছা কর,শুধু ওকে বলবে ছোঁয়ার ব্যাপারে যেন একটাও বাজে কথা না বলে
সায়ন : (বাবা উঠে চলে গেল)মা আমি কি এমন বাজে কথা বললাম বলতো,বাবা হঠাৎ এমনভাবে রিয়্যাক্ট কেন করল?
মা : রিয়্যাক্ট করার মত কারণ আছে তাই করেছে
সায়ন : মানে?
মা : ও কিছু না,তুই খেয়ে ঘুমিয়ে পড় আমি তোর বাবার ব্যাপারটা দেখছি…

বৃষ্টি : কি রে তোর আবার কি হল,খাচ্ছিস না কেন?
তাসনিয়া : এমনিই
লোপা : দেখ না দোস্ত কি সুন্দর এ্যারেঞ্জমেন্ট!দেখেই মনটা ভাল হয়ে যাচ্ছে আর তুই কিনা এমন গোমড়া মুখ করে বসে আছিস😯
বৃষ্টি : আর ডিনার আইটেম দেখেছিস?চিকেন বার-বি-কিউ,রূপচাঁদা ফ্রাই আর তারসাথে চাপা শুটকির ভর্তা উফ I can’t wait yaar😋
লোপা : চুপ কর রাক্ষসী,সবসময় শুধু খাই খাই তাইনা?
বৃষ্টি : কিহ্ আমি রাক্ষসী😱তুই রাক্ষসী তোর চৌদ্দ গুষ্টি রাক্ষসী😡
তাসনিয়া : এই তোরা থামবি?নাহলে কিন্তু আমিই চলে যাব
বৃষ্টি : এই না না,তুই যাবি কেন?এই আমরা চুপ করলাম,লোপা hold your tongue😷
লোপা : কি হয়েছে দোস্ত,তোর মুড এমন অফ কেন?
তাসনিয়া : বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে রে,এতদিন কখনও সবাইকে ছেড়ে বাইরে থাকিনি তো..
(সবাই সমস্বরে হেসে উঠল😁😁😁)

তাসনিয়া : ওই ওই তোর এমন দাঁত বের করি হাসছিস কেন?আমি হাসির মত কি কিছু বলেছি?😡
বৃষ্টি : হাসব নাতো কি করব?এই ১০ দিনেই তোর এই অবস্থা তাহলে বিয়ের পরে কি করবি?
তাসনিয়া : বিয়ে মাই ফুট,যে আমাকে আমার ফ্যামিলির থেকে আলাদা করতে চাইবে তাকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে😏
লোপা : ও তাই নাকি?আগে বলবি তো যে তোর ঘরজামাই লাগবে😂
তাসনিয়া : লোপা বাচ্চা,তোরে আমি খাইছি😡
লোপা : আমি আবার কি করলাম?তুই যেমন বর চাইছিস তেমনতো একমাত্র ঘরজামারাই হয়
তাসনিয়া : মোটেও না আমার ঘরজামাই লাগবে না হুহ
বৃষ্টি : তা ম্যাডাম আপনার কেমন বর লাগবে শুনি?
তাসনিয়া : আমার এমন একজনকে চাই যে কিনা আমার পরিবারকে নিজের পরিবার মনে করবে,আমার ছোট ছোট ভাল লাগা মন্দ লাগার দিকে খেয়াল রাখবে।যার কোন বাজে অভ্যাস থাকবে না আর যে সবার দিকে খেয়াল রাখবে,কাউকে কক্ষণও কোন কষ্ট দেবে না।আমি রাগ করে থাকলে আমার রাগ ভাঙাবে,আমার উপর কখনও রাগ করবে না,আমি খেতে না চাইলে নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দেবে আর আমি যখন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাব তখন আমার হাত ধরে আমার পাশে বসে থাকবে,আমি তার কাঁধে মাথা রেখে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাব….
চলবে….