Childhood marriage ! Part- 02
#লেখিকা:সানজিদা সেতু
#পর্ব-০২
তন্ময় : দোস্ত একবার সামনে তাকাইয়া দেখ
সায়ন : কেন কি হইছে?তোদের জ্বালায় কি একটু শান্তিতে ঘুমাইতেও পারুম না😟চুপচাপ বসে থাক আর আমাকে ঘুমাইতে দে😡
দিপু : আরে বেটা ঘুমাইতে তো সারা জীবনই পারবি,কিন্তু এখন না দেখলে যে এই জিনিস আর কখনই দেখবার পারবি না।তখন কিন্তু সারা জীবন পস্তাইতে হইব
সায়ন : তা কি এমন জিনিস দেখাবি যা না দেখলে আমি সারা জীবন পস্তাব?
রাকিব : আরে বেটা একবার চোখতো খোল তাইলেতো দেখবি😎
মারুফ : দোস্ত এক ঝাঁক হুরপরি
সায়ন : What!!!কই দেখিতো তোরা এত এক্সাইটেড কেন😏
মারুফ : আমিতো সামনের মাইয়াডার উপর পুরাই ক্রাশ
তন্ময় : ঐ শালা ওইডা তোর ভাবি,বুইঝা শুইনা কতা কবি বুঝলি?
মারুফ : ওই বেটা ওইডা আমার না তোর ভাবি
দিপু : আমিতো দোস্ত লাল ড্রেস পরা মাইয়াডারে দেখতাছি,দেখনা হাসলে কি সুন্দর গালে টোল পড়ে😇
রাকিব : তোরডার থেইকা আমারডা বেশি সুন্দর বুঝলি?হায় মে তো মারগায়া😇
(ওদের চারজনের মধ্যে রীতিমত ঝগড়া বেঁধে গেল,হঠাৎ…)
রাকিব : চুপ একদম চুপ😡আর একটা কথা বললে দুইটারই মাথা ফাটাব বুঝলি😡ওই শালারা আমরা কি কক্সবাজারে ঝগড়া করার জন্য আসছি নাকি?
দিপু : ঠিক বলছিস দোস্ত,আমরা এখানে এসেছি ঘুরব ফিরব মজ মাস্তি করব তারপর খুশি মনে ফিরে যাব।তা না তোরা শুধু শুধু একটা মেয়েকে নিয়ে…
রাকিব : হুম After all এত বছর পর আমাদের সায়ন আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে,ওর জন্য হলেও আমাদের এটুকুতো করতেই হবে☺
দিপু : এই এক মিনিট এক মিনিট,সায়নের কথায় মনে পড়ল সায়ন কই?ওকে তো কোথাও দেখতে পাচ্ছি না😒
রাকিব : তাইতো গেল কোথায় ছেলেটা😟
তন্ময় : সব তোর জন্যে মারুফ,তুই তখন ঝগড়া না করলে এমন হত না
মারুফ : কি বললি তুই,আমি ঝগড়া করছিলাম নাকি তুই😡
তন্ময় : Of course তুই,আমি আবার কখন ঝগড়া করলাম!!
মারুফ : দেখ তন্ময় একদম বাজে কথা বলবি না,ঝগড়াটা তুই শুরু করেছিস আমি না😡
তন্ময় : কিহ্😡
দিপু : চুপ একদম চুপ😡Both of you just shut up😡আর একটা কথা বললে খুব খারাপ হয়ে যাবেবে বলে দিচ্ছি
রাকিব : কখন থেকে দেখছি দুজন এমন সিলি ম্যাটার নিয়ে ঝগড়া করে যাচ্ছিস!এখন চুপচাপ সায়নকে খুঁজে বের কর কুইক।ছেলেটা এখানকার কিছুইতো চেনে না,কি না কি বিপদে পড়ে যাবে আল্লাহই জানে😟
(কিছু্ক্ষণ পর)
মারুফ : আরে,ওইতো সায়ন
রাকিব : কি রে দোস্ত,এখানে কি করিস?
সায়ন :…..
দিপু : সায়ন…কি রে কথা বলছিস না কেন?জানিস আমরা সবাই কত টেনশন করছিলাম😕
সায়ন :….
দিপু : ওহ হ্যালো,আপনাকে আমরা কিছু একটা বলছি জনাব।শুনতে পাচ্ছেন?
সায়ন :…..
তন্ময় : ওই শালা কানে কি তুলা গুজে রেখেছিস😒
সায়ন : (চমকে উঠে)কি..ক আমাকে কি কিছু বলছিস?
মারুফ : What!তার মানে তুই এতক্ষণ কিছুই শুনিস নি😮
রাকিব : Oh god!I can’t tolerate this any more😩
দিপু : আচ্ছা ঠিক আছে চল এখন হোটেলে ফিরে যাই,পরে আবার বের হব ওকে?
মারুফ : কি রে তুই যাবি না?
তন্ময় : হচ্ছে টা কি সায়ন?তোর কি আজ এখানেই থাকার প্ল্যান আছে নাকি?
রাকিব : কি রে কথা বলছিস না কেন?
সায়ন : দো..স…ত প…পরী!!!
দিপু : পরী😮কিসের পরী কোথাকার পরী😮
রাকিব : Have you gone mad😡
সায়ন : আ..আমি সত্যি বলছি ও সত্যিই পরী…
দিপু : গেছে গেছে মাথাটা পুরোই গেছে
রাকিব : এই সায়ন ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস?
মারুফ : সায়ন এই সায়ন রুমে চল বলছি
সায়ন : ও মানে ওই পরীটা ওদিকে…
তন্ময় : চুপ একদম চুপ,চুপচাপ হোটেলে চল বলছি।আর একটা কথা বললে কিন্তু কানের নিচে দুইটা লাগিয়ে দিব😡
(কিছু্ক্ষণ পর)
সায়ন : কি আশ্চর্য তোরা আমার কথা বিশ্বাস করছিস না কেন আমিতো সেটাই বুঝতে পারছি না
তন্ময় : বিশ্বাস করার মত কিছু বললে তো বিশ্বাস করব
সায়ন : এখানে আবার অবিশ্বাসের মত কি আছে?
রাকিব : ওই শালা,তুই পরী দেখছিস এটা অবিশ্বাস করার মত কথা না😡
সায়ন : বিশ্বাস কর দোস্ত মেয়েটা না সত্যিই পরীর মত সুন্দর😍
মারুফ : মেয়ে😮এতক্ষণতো পরী ছিল এখন আবার মেয়ে হয়ে গেল কেমনে😦
দিপু : এই তোরা একটু চুপ করতো,এবার সায়ন সাহেব একটু ঝেড়ে কাসুন তো আসলে কি হয়েছে
সায়ন : তোরা যখন ঝগড়া করছিলি তখন দেখলাম একটা মেয়ে আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে গেল।তোরা বিশ্বাস কর মেয়েটা এক্কেবারে পরীর মত সুন্দর 😍
মারুফ : সায়ন তুই ঠিক আছিসতো?তুই বলছিস একটা মেয়ের কথা😯I can’t believe this yaar
সায়ন : বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি,I just can’t forget her killer eyes😍
তন্ময় : হুম বুঝছি,বেটা নির্ঘাত প্রেমে পড়ছে
সায়ন : আমি প্রেমে পড়িনি দোস্ত প্রেমই আমার উপর পড়ছে😇
রাকিব : এই সরতো যত্তসব পাগল ছাগলের আখড়া এসব…
(পরদিন)
মারুফ : কি রে কোন মাইয়াডা?
সায়ন : একটু দাঁড়া ভাল করে দেখতে দে তো
দিপু : সেই কখন থেকে দাঁড়া দাঁড়া করছিস কখন দেখাবি
সায়ন : তোরা থামবি?
রাকিব : কেন কেন থামবে ওরা?আধা ঘণ্টা ধরে এভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস সবাইকে।কিন্তু তর হুরপরীতো দূরে থাক একটা মশা-মাছি পর্যন্ত আসার নাম নেই😠
তন্ময় : ধুর শালা তোর কথা শুনে আসাটাই ঠিক হয়নি,এই চলতো আর কিছু্ক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে মানুষ আমাদের ইভটিজার ভেবে পেদানি দেবে😒
(হঠাৎ)
-এক্সকিউজ মি,আপনারা কি এখানে কারো জন্যে অপেক্ষা করছেন?
(সবাই একসাথে পেছন ফিরে তাকালো,দেখল তিনটা মেয়ে ওদের দিকে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে)
তন্ময় : না মানে হ্যাঁ
-কি মানে মানে করছেন বলুনতো,কখন থেকে দেখছি সবাই এখানে দাঁড়িয়ে কেমন উসখুশ করছেন!
রাকিব : না মানে দেখুন আমরা এখানে একজনের জন্য ওয়েট করছি
-তা এতক্ষণ হয়ে গেল উনি যখন আসছেন না,তাহলে হয়তো আজ আর আসবেন না।শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থেকে কি করবেন?
দিপু : দেখুন আমরা কিন্তু এখানে…
মারুফ : এই দিপু আর কথা বাড়াস না চল এখান থেকে,পরে দেখা যাবে
তন্ময় : হুম তাই চল
(ওরা কিছুদূর এগিয়ে গেল)
সায়ন : (বিড়বিড় করে) I was only in love of her eyes but now I am also in love of her sweet voice
রাকিব : What!কি বললি তুই?
সায়ন : What a lovely voice😍
দিপু : এই সায়ন কি যা-তা বলছিস?
সায়ন : যা-তা না দোস্ত,এই মেয়ে তো দেখছি আমাকে পাগল করে দেবে!!
মারুফ : হোয়াট!মেয়ে কোন মেয়ে?
সায়ন : যাকে দেখানোর জন্য তোদেরকে নিয়ে গিয়েছিলাম
তন্ময় : কিন্তু সে তো আসেনি,এই এক মিনিট এক মিনিট ওই মেয়ে কি এসেছিল?
সায়ন : হুম আর কি সুন্দর কণ্ঠ😇
মারুফ : কিন্তু আমরা তো ওখানে শুধু ঐ তিনটা মেয়ের সাথেই…
রাকিব : তারমানে কি ওদের তিনজনের মধ্যেই কেউ?
সায়ন : হুম
তন্ময় : ঐ শালা ব্লু ড্রেস পরাটা কিন্তু আমার,ওইডার দিকে কিন্তু নজর দিবি না বলে দিচ্ছি
মারুফ : ওই তোর মানে!ওইটা আমার হবু বউ আর তোর ভাবি বুঝছোস বেটা?
রাকিব : চুপ একদম চুপ😡একটা পাগলেই মাথা খারাপ করে দিচ্ছে এখন আবার তোরাও শুরু করলি😠
দিপু : এই সায়ন এবার বলতো কোন মেয়েটা?
সায়ন : যে আমাদের বকা দিচ্ছিল…
রাকিব : হোয়াট!কিন্তু ঐ মেয়েতো বোরখা পরে ছিল আর হিজাব দিয়ে মুখও ঢাকা ছিল তাহলে তুই চিনলি কেমনে?
মারুফ : তুই শিওর যে এটাই সেই মেয়ে?
সায়ন : হুম ১০০%
দিপু : কিন্তু কিভাবে?
সায়ন : কারণ আমি সেদিনও ওকে এভাবেই দেখেছি।বলেছিলাম না I just love her eyes😍
তন্ময় : তারমানে তুই মেয়েটার পুরো ফেসটা দেখতে পাসনি?
সায়ন : No and I don’t need that
রাকিব : You have completely losted Sayon😡
সায়ন : I just love her eyes and it’s enough for me to love her😇
মারুফ : You have gone completely mad
সায়ন : হুম আমি পাগল হয়ে গেছি because I am in love😇
(দুদিন পর)
মারুফ : এই নে ধর
সায়ন : এটা কি?
মারুফ : খুলেই দেখ
সায়ন : ভাঁজ করা কাগজটা ঝটপট খুলে ফেললাম।বেশ গোটা গোটা হাতে লেখা…
“তাসনিয়া মাহবুব
বি.এস.সি(সম্মান)প্রথম বর্ষ
ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষা সফরে এসেছে”
পড়া শেষ করে বড় বড় চোখ করে মারুফের দিকে তাকালাম
মারুফ : আপাতত এতটুকুই ইনফরমেশন ম্যানেজ করতে পেরেছি।এর থেকে বেশি কিছু জানতে গেলে বিপদে পড়ে যেতাম😟
সায়ন : (মারুফকে জড়িয়ে ধরে)Thank you bro thanks a lot…
রাকিব: এই দেখ কাজটা করলাম আমরা আর থ্যাঙ্কসটা পেল কে,মারুফ😔
সায়ন : আরে ইয়ার মন খারাপ করিস না তোরা আরো বেশি কিছু পাবি
দিপু : রিয়েলি?
সায়ন : হুম আচ্ছা চল সবাইকে আজকে আমার তরফ থেকে ট্রিট।এখানকার স্পেশাল কাঁকড়া ফ্রাই আর তার সাথে রূপচাঁদা মাছ চলবে?
তন্ময় : চলবে মানে,দৌঁড়বে😃
সায়ন : আচ্ছা চল তাহলে যাওয়া যাক,ঝটপট খেয়ে আবারতো তোদের ভাবির খোঁজে যেতে হবে তাইনা?
সবাই একসাথে : 😁😁😁
ওখানে ওরা আরো দুদিন ছিল তারপর ওদেরকে ফিরে আসতে হল।না ফিরে অবশ্য কোন উপায়ও ছিল না,সায়নের বাসায় সবাই ওর জন্য অপেক্ষা করছে তাই এক রকম বাধ্য হয়েই ফিরে আসতে হল।
এই দুদিনে সায়ন অনেকভাবে চেষ্টা করেছে তাসনিয়ার সাথে কথা বলার কিন্তু সম্ভব হয়নি,মেয়েটা একটু বেশিই কনজারভেটিভ।সব সময় বোরখা আর হিজাব পরে থাকে,কারো সাথে তেমন একটা মেশেও না,সবাই যখন সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এ গা এলিয়ে দিয়েছে তখন ও বীচের কোন একটা ছাতার নিচে বসে চুপচাপ বসে বসে সমুদ্র দেখছে!বেশিরভাগ সময়ই বীচের কোন নিরিবিলি জায়গায় বসে থাকে,হয়তো কোলাহল থেকে দূরে সরে থাকতে চায়।সায়ন এই জিনিসটা খুব ভাল ভাবেই খেয়াল করেছে,ওরা যেদিন চলে আসলো সেদিন খুব সকালে সায়ন বীচে হাঁটছিল,একটা নিরিবিলি জায়গায় তাসনিয়াকে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে গেল।তাসনিয়া খুব মনোযোগ দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিল তাই সায়নকে খেয়াল করেনি
সায়ন : হাই আপনি এত সকালে!
তাসনিয়া : (চমকে উঠে)ওহ্ আপনি
সায়ন : কেন অন্য কারো আসার কথা ছিল নাকি?
তাসনিয়া : না মানে এমনিই আর কি
সায়ন : আচ্ছা আপনি কি সব সময়ই এমন একা থাকতে পছন্দ করেন?
তাসনিয়া : না ঠিক তা না তবে প্রকৃতির কাছে গেলে একা থাকতেই বেশি ভাল লাগে
সায়ন : কেন বলুনতো?
তাসনিয়া : আসলে আমি প্রকৃতির কাছে এসে একান্তভাবে তাকে উপভোগ করতে চাই,প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চাই আর এটা একমাত্র একা থাকলেই সম্ভব।সবার সাথে থাকলে এটা সম্ভব হয় না…
সায়ন : আপনি বুঝি প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসেন?
তাসনিয়া : তা বলতে পারেন,ওই যে দেখুন সমুদ্রের ঐ উত্তাল ঢেউগুলো একটার পর একটা আছড়ে পড়ছে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে ঐ সামুদ্রিক পাখিগুলো কি নিপুণভাবে একটার পর একটা ডুব দিয়ে যাচ্ছে…
সায়ন : কি বলব বুঝতে পারছি না শুধু অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম
তাসনিয়া : একটা জিনিস জানেন প্রকৃতি তার আপন গতিতেই চলে,প্রকৃতির কোনকিছুই অপরকে ক্ষতি করতে চায় না।আমরা মানুষরাই না বুঝে প্রকৃতিকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছি আর তারজন্যই প্রকৃতি মাঝে মাঝে আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে
সায়ন : হুম
তাসনিয়া : এই জায়গাটা আমার অনেক পছন্দের একটা জায়গা,আমি যখনই এখানে বসে থাকি আমার মনে হয় ঐ উত্তাল সমুদ্র যেন আমাকে কাছে টানছে,ইচ্ছে করে ঐ নোনা জলের মধ্যে হারিয়ে যাই…
(তাসনিয়া আর কথা না বাড়িয়ে সমুদ্রের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল,হয়তো ঐ ঢেউগুলো গোনার চেষ্টা করছে)
সায়ন : আমরা আজকে চলে যাচ্ছি,আশা করি অন্য কোথাও কখনও না কখনও আবার দেখা হবে…
তাসনিয়া : হুম
সায়ন: তাসনিয়া আর কোন কথা বলল না,হয়তো আবারও প্রকৃতির টানে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেছে।আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ ওখান থেকে চলে আসলাম…
(সন্ধ্যায়)
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দেবে,সবাই যার যার মত সিটে বসে গল্প জুড়ে দিয়েছে
রাকিব : যাক সিটগুলো ভালই পড়েছে,শান্তি করে যাওয়া যাবে
মারুফ : হুম
সায়ন : যে যার মত বক বক করছে আমি একটা কথাও বলছি না।কি করব এত বছর পর বাড়ি ফিরে যাচ্ছি তার জন্য খুশি হব নাকি তাসনিয়াকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি তার জন্য দুঃখ করব?জানিনা আর কখনও মেয়েটার সাথে দেখা হবে কিনা,কখনও বলা হবে কিনা ভালোবাসি তাসনিয়া,প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার সময় আমাকে কি পাশে নেওয়া যাবে?সকালে ও যখন সমুদ্রের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল খুব বলতে ইচ্ছে করছিল আমার কাঁধে মাথা রেখে হারিয়ে যাও প্রকৃতির মাঝে,একা যেও না আমাকেও তোমার সাথে নাও নাহলে হয়তো প্রকৃতি তোমাকে আমার থেকে কেড়ে নেবে।কিন্তু বলার সুযোগ হয়নি,জানিনা আর কখনও হবে কিনা…
To be continued….