Childhood marriage

Childhood marriage 3 !! Part- 03

নাহ সায়ন আর বাড়ি ফেরেনি।দেখতে দেখতেই কেটে গেছে সাত সাতটি বছর,রাগ আর অভিমানে এই সাত বছরে বাড়ি কেন ওই শহরের দিকে পর্যন্ত ফিরে তাকায়নি সায়ন।মাঝে মধ্যে হঠাৎ ফোনে মার সাথে দুই এক মিনিট কথা বলে এই যা,বাবার নামটা পর্যন্ত মুখে আনে না।যোগাযোগ বলতে জাস্ট এটুকুই…
(৭ বছর পর)
সিডনি শেলডন…
নামটা শুনলেই কেমন যেন রোমাঞ্চ অনুভব করে সায়ন,হবে নাই বা কেন ফেভারিট রাইটার বলে কথা আর তার উপর যদি হয় “The sands of time” তাহলেতো কথায় নেই…
ঠিক পাশের সিটে বসা মেয়েটার দিকে সায়নের বার বার তাকানোর কারণটাও এটাই,মেয়েটার হাতে থাকা বইটা।যদিও আগেও কয়েকবার পড়েছে তবু্ও আবারও পড়তে ইচ্ছে করছে।
ব্লু জিন্স পার্পল টপস,চোখে গোল ফ্রেমের চশমা,কানে হেডসেট আর হাতে একটা বলপয়েন্ট কলম যার ক্যাপটার মাঝে মাঝেই ঠাঁয় হচ্ছে ওর দাঁতের নিচে।ব্যাস এই টুকুই,হাতে ধরে রাখা ওই মোটা বইটাকে ভেদ করে মেয়েটার চেহারার আর কোন অংশই দেখা যাচ্ছে না।অবশ্য দেখার কোন ইচ্ছাও নেই সায়নের,শুধুমাত্র ওই বইটা আর মেয়েটার কলমে মার্ক করে করে গল্পের বই পড়ার এই অভ্যাসটাই টানছে ওকে।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠতেই সম্বিৎ ফিরলো সায়নের,সিডনি শেলডনকে আপাতত বাই বলে ঝটপট কলটা রিসিভ করলো।
সায়নঃ হ্যাঁ মারুফ বল

মারুফঃ কিরে কই তুই?সবাইতো চলে এসেছে খালি তোরই কোন দেখা নাই,তোর না এতক্ষণে চলে আসার কথা ছিল তাহলে…
সায়নঃ আর বলিস না দোস্ত,ট্রেন মিস করে ফেলেছি…
মারুফঃ হোয়াট!শালা তুই আর মানুষ হইলি না!যাই হোক এখন কি করবি?
সায়নঃ করব মানে!আরে বেটা করে ফেলেছি,আমিতো এখন বাসে
মারুফঃ ওহ তাই নাকি?আচ্ছা ঠিক আছে তা জনাব আপনি কখন পৌঁছবেন জানতে পারি?
সায়নঃ সেটা আমি কেমনে জানব?আমি কি কখনও এই রুটে এসেছি নাকি…
মারুফঃ আরে বাবা কোথায় আছিস সেটাতো বলতে পারবি নাকি?
সায়নঃ কোথায় আবার এই কুমিল্লা পেরোলাম ঘণ্টা দুয়েক আগে
মারুফঃ হোয়াট!কুমিল্লা!সর্বনাশ করেছে,শালা তোকে আর আসতে হবে না তুই ওইখান থেকেই ব্যাক কর
সায়নঃ আরে দোস্ত রাগ করছিস কেন?আরে বাবা আমি কি ইচ্ছে করে করেছি নাকি,সকালে ঘুম ভাঙলো না তাইতো…
মারুফঃ তুই আর তোর এই ঘুম,শালা তুই আসলেই কুম্ভকর্ণের জ্যাঠাতো ভাই।একবার খালি হাতের কাছে পাই তারপর তোর ক্লাস নিচ্ছি
সায়নঃ সে তোর যা ইচ্ছে হয় করিস,এখন রাখ আর বিরক্ত করিস না
মারুফঃ বিরক্ত!আমি তোকে..এক মিনিট এক মিনিট এই তোর পাশের সিটে কে আছে রে?
সায়নঃ সেটা জেনে তুই কি করবি?
মারুফঃ নিশ্চয়ই কোন মেয়ে,এই মেয়েটা দেখতে কেমন রে?খুব সুন্দরী তাইনা?আচ্ছা বয়স কেমন হবে রে?আমার সাথে মানাবেতো নাকি?ওকি একাই আছে নাকি সঙ্গে আর কেউ আছে?আচ্ছা মেয়েটার নাম কি?বাড়ি কোথায়,কোথায় যাচ্ছে এসব জানতে চেয়েছিস?না চাইলে এখনই জেনে নে কেমন…
সায়নঃ মারুফ…

মারুফঃ হ্যাঁ কিছু বলছিলি?
সায়নঃ বলছি যে তোর এসব ফালতু প্যাঁচাল আর ভালোলাগছে না,এবার দয়া করে ফোনটা রাখ আর আমাকে একটু ঘুমোতে দে
মারুফঃ এই তুই সত্যিই ঘুমোবি!শোন দোস্ত তুই নাহয় মেয়েটাকে সাথে করেই নিয়ে আয়,দেখ আমরাতো হাইকিংয়ে যাচ্ছি ওকেও নাহয় সঙ্গে করে নিয়ে যাবো।সময়টা খারাপ কাটবে না কি বলিস?
সায়নঃ নাহ তুই এভাবে শুনবি না দেখছি,ঠিক আছে আমিই রাখছি বাই পরে কথা হবে
নাহ বেশিদূর আর যাওয়া হলো না সায়নের,কিছুদূর যেতেই বাস নষ্ট হয়ে গেল কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি।ঠিক করতে দেরি হবে শুনে সায়নও বাসের আর যাত্রীদের মতোই বাস থেকে নেমে পড়লো।শুধু শুধু বাসের আশেপাশে ঘুরঘুর না করে চারপাশটা একটু ঘুরে দেখবে বলে বেরিয়ে পড়লো।
(ঘণ্টা খানেক পর)
আগের জায়গায় ফিরতেই চমকে উঠলো সায়ন,বাস কোথায় আশেপাশে একটা কাকপক্ষীও নেই!
– একি,বাসটা কোথায় গেল?এখানেইতো ছিল তাহলে…এই যে ভাই একটু শুনবেন?
(একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা সায়নের দিকে এগিয়ে আসলো)
– কিছু বলবেন?
– না মানে বলছিলাম কি,এখানে একটা বাস ছিল আপনি দেখেছেন?
– হ্যাঁ ছিলতো,একটু আগেই নিয়ে গেল
– কোথায়?
– কেন গ্যারেজে,এখানে নাকি ঠিক করা যাবে না তাই
– হোয়াট!আর প্যাসেঞ্জাররা?
– সবাইতো দেখলাম যে যার মতো চলে গেল
– মানেটা কি?এখন কি হবে,বান্দরবান পৌঁছাব কিভাবে?আচ্ছা ভাই এখান থেকে গাড়ি টারি কিছু পাওয়া যাবে না?
– এখানে কিছু পাবেন না,তবে কিলো দুয়েক দূরে একটা বাসস্ট্যান্ড আছে।ওখানে গিয়ে দেখেন কিছু পাওয়া যায় কিনা
– Oh my god এখন কি হবে…আচ্ছা ঠিক আছে থ্যাংকস।আর কিছু ভাবতে পারছি না,আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে হাঁটতে লাগলাম।রাস্তাটা বেশ আঁকাবাঁকা,খানিকটা এগোতেই একেবারে ঢালু হয়ে নেমে গেছে।সাবধানে নেমে আসলাম,হঠাৎই মনে হলো পাশের ঝোপের মধ্যে কিছু একটা আছে।ভয়ে ভয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলাম কিন্তু একি…

– শসসস…কুটুস সোনা,একদম ভয় পেওনা আমি আছিতো…তোমার কিচ্ছু হবে না।এই যে একটু এদিকে তাকাও,জাস্ট একটা ক্লিক করব আর দেখবে তোমার কত্ত কিউট একটা ছবি উঠে যাবে।Now come on be a brave boy…
– মেয়েটার কাণ্ড দেখে আর না হেসে পারলাম না,একটু শব্দ করেই হেসে উঠলাম
– হাসির শব্দ শুনে উঠে দাঁড়ালাম,ওই মিয়া হাসেন কেন?
– না মানে আপনি এখানে এভাবে…
– এক মিনিট এক মিনিট আপনি দেশ ট্রাভেলসের যাত্রী না?
– লম্বা,ছিপছিপে গড়ন,হালকা লম্বাটে মুখ,প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই ফর্সা,পরনে ব্লু জিন্স,পার্পল কালারের টপস তার সাথে গলায় প্যাঁচানো ম্যাচিং স্কার্ফ,মাথায় বেরেট হ্যাট আর চোখে সেই গোল ফ্রেমের চশমা।ঠিক যেন একটা পুতুল,একটা খরগোশ কোলে নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তখন মেয়েটাকে ঠিকভাবে দেখতে পারিনি,এখন মনে হচ্ছে না দেখে ভালোই হয়েছে নাহলে হয়তো আগেই হার্টএ্যাটাক করতো,এ যে মারাত্মক লেভেলের সুন্দরী…
– হ্যালো…এই যে…শুনতে পাচ্ছেন?
– (চমকে উঠে)ও হ্যাঁ,আমাকে কিছু বলছেন?
– এখানে কি আর কাউকে দেখতে পাচ্ছেন?
– মানে?
– মানে আশেপাশে যেহেতু আর কেউ নেই তাহলে আপনাকেই বলছি
– আচ্ছা আপনি…আমার পাশের সিটের মেয়েটা না?
– উম..মে বি
– মে বি মানে?আপনার পাশের সিটে কে বসেছিল আপনি দেখেন নি!এটা কি করে সম্ভব?
– আমি কি করে জানবো?আমিতো The sands of time পড়ছিলাম…
– হোয়াট দ্য…এনিওয়ে আপনি এখানে কি করছেন?
– (বেটায় কি কানা নি)ডিএসএলআরটা তুলে ধরলাম।ছবি তুলছিলাম,এখানকার ভিউগুলো যা সুন্দর না..আমারতো আর কোত্থাও যেতে ইচ্ছে করছে না মন চাইছে এখানেই থেকে যাই…
– হুম সেটাই ভালো,আপনি বরং এখানেই থেকে যান
– মানে!এখানে থাকতে যাবো কেন?আমিতো জাস্ট এমনিই বলছিলাম আর আপনিতো সিরিয়াস হয়ে গেলেন…
– তাহলে এখন সিরিয়াস হয়ে যান,আমি আসছি টাটা
– কিন্তু কেন?আপনিতো বাসের দিকেই যাচ্ছেন তাইনা?আচ্ছা ঠিক আছে,চলুন বাসের দিকে যাই দেখি ওটার কি অবস্থা
– আর ওদিকে যেতে হবে না,তার থেকে বরং আপনি এখানেই থাকেন
– মানে কি,ওই মিয়া সেই কখন থেকে দেখছি আমার সাথে ফাযলামি করেই যাচ্ছেন!দেখি রাস্তা ছাড়েন,আমি বাসের দিকে যাচ্ছি আপনার যেদিকে ইচ্ছে যেতে পারেন
– Okay as your wish…মেয়েটা উল্টো দিকে যাচ্ছে,আমি জানি গিয়ে কোন লাভ হবে না ওখানে বাসটা নেই তবুও কেন জানি ওর পেছন পেছন হাঁটতে শুরু করেছি
– ওই মিয়া,আপনি আমার পিছু নিয়েছেন কেন বলেনতো?সত্যি করে বলেনতো Are you a psychopath stalker?
– বেশ শব্দ করেই হেসে উঠলাম,এই মেয়ে বলে কি?
– দেখুন অনেক হয়েছে,এবার হাসলে কিন্তু…Oh my god…
– কি হলো?
– আরে বাসটা গেল কোথায়?আমি কি ঠিক জায়গায় এসেছি নাকি…
– জ্বি ম্যাডাম,আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন
– তাহলে?

– বাসটা আর নেই,ওটাকে ঠিক করতে গ্যারেজে নিয়ে গেছে আর বাঁকি প্যাসেঞ্জাররা সবাই যে যার মতো চলে গেছে
– চলে গেছে মানে?তাহলে আপনি এখানে কি করছেন?
– কি আর করব আপনি আর আমি,আমরা দুই হতভাগাই এখানে পড়ে আছি।এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজছিলাম,এর মধ্যেই আপনার সাথে দেখা।Now will you excuse me?আমি আমার রাস্তায় যাচ্ছি,আপনি বরং এখানেই থেকে যান That will be suitable for you…
– এখন কি করি?আমার লাগেজ,ব্যাগ সবতো বাসে আর এই নির্জন জায়গায় আমি একা!এখন যদি…(বিড়বিড় করে)
– বেচারি একা একা কি যে করছে কি জানি,সে যা ইচ্ছে হয় করুক আমার কি আমি বাবা নিজের রাস্তা মাপি
– দ্রুত ভাবছি কি করা যায়,যা একজন সাথী পেলাম তাও ওই সাইকো বেটা!কিন্তু…নাহ আর ভেবে লাভ নেই,যা হওয়ার হবে এখন এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।এই যে..শুনছেন?দাঁড়ান বলছি…এই যে পাশের সিটের ভদ্রলোক…
– শুনেও না শোনার ভান করে হেঁটে যাচ্ছি,মেয়েটা একরকম দৌঁড়ে এসে আমার সামনে দাঁড়ালো,রীতিমতো হাঁপাচ্ছে
– এই যে মি. কখন থেকে আপনাকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছেন না?কানে কালা নাকি?
– আমাকে ডাকছিলেন?কই কাউকেতো আমার নাম ধরে ডাকতে শুনলাম না…
– নাম জানলেতো ডাকবো,এই নাম বলুনতো আপনার…
– ও হ্যাঁ আমার নাম তাইনা?কি নাম যেন আমার…
– এই দেখুন শুধু শুধু আমার সাথে ঝামেলা করছেন কেন বলুনতো,জাস্টতো আপনার নামটাই জানতে চাইছি তাইনা?নেহায়েত আপনাকে পাশের সিটের ভদ্রলোক ডাকতে ভালো লাগছে না তাই…
– পাশের সিটের ভদ্রলোক?এই নামটাও কিন্তু খারাপ না
– দেখুন ব্যাপারটা কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে
– কোন ব্যাপারটা?
– ভালোই ভালোই আপনার নামটা বলবেন কিনা বলুন
– ঠিক আছে বলতে পারি তবে একটা শর্তে,আগে আপনার নামটা কি বলতে হবে
– আমি যাকে তাকে আমার নাম বলি না
– (এই মেয়ে বলে কি!নিশ্চিত মাথায় গণ্ডগোল আছে)ঠিক আছে আমিও তাহলে বলবো না,আপনি বরং আমাকে পাশের সিটের ভদ্রলোক বলেই ডাকবেন
– জ্বি না,আপনাকে আমি মি.সাইকো বলে ডাকবো
– হোয়াট!আমি সাইকো?
– তা নয়তো কি,অসহায় অবলা একটা মেয়ের সাথে এমন বাজে বিহেভ করছেন!আপনাকে সাইকো বলবো নাতো কি বলবো
– আমি আবার কখন বাজে বিহেভ করলাম?আর অসহায় অবলা!কে?আমিতো আশেপাশে এমন কাউকে দেখতে পাচ্ছি না…
– ও হ্যালো,এই যে আমি জলজ্যান্ত একটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছি আমাকে কি চোখে পড়ে না?
– মেয়েটার কথা শুনে না হেসে আর পারলাম না
– ওই মিয়া আবার হাসেন কেন?আমি কি হাসির মতো কিছু বললাম?
– আপনি আর অসহায় অবলা!হা হা হা আপনিতো মিস ঝাঁসি কি রাণী
– হয়েছে হয়েছে আর দাঁত বের করে হাসতে হবে না এখন চলুন
– চলুন মানে!কোথায় যাবো?(অবাক হয়ে)
– বাহ রে সারারাত কি এখানেই থাকবো নাকি,এখান থেকে বের হতে হবে না?
– হ্যাঁ তাতো হবেই,এই এক মিনিট এক মিনিট আপনি কি আমার সাথে যাওয়ার কথা ভাবছেন?
– তো আর কি করব?আর As a respected citizen of Bangladesh it is your duty to escort me from here so…
– আচ্ছা আপনার মাথায় কি সিট টিট কিছু আছে?
– উম্ম…থাকলেও থাকতে পারে,এখন কথা না বাড়িয়ে চলুনতো নাহলে হয়তো এখানেই রাত হয়ে যাবে
– কি বলব জাস্ট বুঝতে পারছি না,আমি কি সত্যি সত্যিই কোন পাগলের পাল্লায় পড়লাম?
– কি হলো চলুন…
– (নাহ এভয়েড করে লাভ নেই,শেষ পর্যন্ত কি হয় দেখতেই হবে আর একটা মেয়েকেতো এভাবে একা একা ফেলে যাওয়া যায় না তাই…)ও হ্যাঁ চলুন
– ধরুন…

– কি ধরব?আরে এটাতো সেই খরগোশটা,এটাও কি আমাদের সাথে যাবে নাকি?
– এই দেখুন,ওর নাম কুটুস আর ও আমাদের সাথেই যাবে আর আপনি ওকে কোলে করে নিয়ে যাবেন
– আমি কেন খামোখা ওটাকে বইতে যাবো?
– আমি বলছি তাই
– আমি ওসব পারব না,আপনার ইচ্ছে হয় আপনি কোলে কেন মাথায় করে নিয়ে যান
– প্লিজ….
– এতো আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়লাম!আচ্ছা ঠিক আছে চলুন যাওয়া যাক…
চলবে…
#নোটঃ অনেকের অভিযোগ সিজন ২ এর সাথে নাকি এই সিজনের অনেক মিল আছে।এখন কথা হচ্ছে যেহেতু একই সিরিজের গল্প তাই মিলতো একটু থাকবেই তাইনা?আর গল্পটাতো কেবল শুরু করলাম,আরও কিছুটা এগোই তারপর নাহয় বলবেন আগের সিজনের সাথে কতটুকু মিল আছে,একটা পর্ব পড়েই ডিসিশনে আসাটা কি ঠিক হচ্ছে?আর আমার গল্প যারা আগে পড়েছেন তাদের নিশ্চয়ই এত দিনে আমার লেখালেখি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা হয়েছে।গল্পটা যখন শুরু করেছি তখন নিশ্চয়ই মোটামুটি একটা প্লট ঠিক করে তারপর লেখা শুরু করেছি।তাই বলছি একটু ধৈর্য্য ধরুন আর আমার উপর বিশ্বাস রাখুন আশা করি কেউ হতাশ হবেন না।