Childhood marriage 2 !! Part- 30
#পর্ব-৩০
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
সায়নঃ বলছি যে আমাকে কি মাফ করে দেয়া যায় না?
ছোঁয়াঃ উনাকে ঠিক কি উত্তর দিব বুঝতে পারছি না তাই কোন কথা না বলে চুপচাপ আইসক্রিম খাওয়ায় মন দিলাম
সায়নঃ কি হল কথা বলছো না কেন?
ছোঁয়াঃ কি বলব?
সায়নঃ মানে কি,আমার প্রশ্নের উত্তরটা দাও
ছোঁয়াঃ কোন প্রশ্ন?
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ এই রে,মনে হয় রেগে গেছে আমি বাবা পালাই
সায়নঃ ছোঁয়া…দাঁড়াও বলছি,এই মেয়ে কোথায় যাচ্ছো?আমার প্রশ্নের উত্তরতো আজকে আমি নিয়েই ছাড়ব…
(ছোঁয়া ছুটছে তার পিছু পিছু ছুটছে সায়ন।কিছুদূর এগোতেই ছোঁয়া হোচট খেয়ে পড়ে যেতে নিল কিন্তু লাস্ট মোমেন্টে সায়ন ছুটে এসে ওকে ধরে ফেলল)
ছোঁয়াঃ ভয়ে ভয়ে চোখ মেলে তাকালাম।নাহ আমি পড়ে যাইনি,উনি আমাকে দুহাতে শক্ত করে ধরে রেখেছেন!সত্যি ইমবেরেসিং,হে আল্লাহ আমারে উঠায়ে নাও
সায়নঃ খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম বাট শেষ মেষ খারাপ কিছু হয়নি,শেষ মুহুর্তে হলেও ওকে ধরে ফেলতে পেরেছি।কিন্তু এখন?ও এত বড় বড় করে তাকিয়ে আছে কেন?বোঝায় যাচ্ছে খুব আনইজি ফিল করছে,যাই হোক আস্তে আস্তে হাতের বাঁধন আলগা করে দিলাম
ছোঁয়াঃ ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালাম,মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি,কোন কথা বলছি না
সায়নঃ আচ্ছা সত্যিই কি আমাকে মাফ করা যায় না?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)জ্বি?
সায়নঃ না মানে আমার প্রশ্নটা…
ছোঁয়াঃ দেখুন আমার না আরও কিছুদিন…না মানে আমি ভেবে দেখব
সায়নঃ Okey take your time,I will wait…
ছোঁয়াঃ Are you crazy or what Chowa?কেন বলতে পারলি না তুই অলরেডি উনাকে…আই মিন পুরোপুরি না হলেও কিছুটা অন্ততঃ মাফ করে দিয়েছিস।আসলে উনি আগে যা কিছুই করেছেন ছেলেমানুষির বশে করে ফেলেছেন বাট এখনতো উনি ট্রাই করছেন সবকিছু ঠিক করার তাহলে…কিন্তু আমি যে উনাকে বললাম…এখন কথা ফেরাব কিভাবে?ছোঁয়া…আবতো তু গেয়া…(মনে মনে)
সায়নঃ কি ভাবছো?
ছোঁয়াঃ না..না..ও কিছু না..
সায়নঃ আর ইউ শিওর?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ আচ্ছা চলো ওদিকটায় যাওয়া যাক,সবাই কি করছে একবার দেখে আসি…
কেটে গেছে আরও কিছুদিন,সায়ন আর ছোঁয়ার সম্পর্কটা আগের থেকে একটু ভাল হয়েছে।প্রজেক্টের কাজে আয়ান ছোঁয়াকে যেখানেই ডাকে বেশিরভাগ সময় সায়নই ওকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে।ছোঁয়াকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া,একসাথে ভার্সিটির ক্যান্টিনে লাঞ্চ করা,মাঝে মাঝে রাতের বেলা চুরি করে পেয়ারা,বরই আর তারসাথে আইসক্রিম এসবই সায়নের ডেইলি রুটিনে পরিণত হয়েছে।সবকিছুই ঠিকঠাকই হচ্ছে তবুও কিছু একটা যেন সায়নের কাছে মিসিং মিসিং মনে হচ্ছে…
সেদিন ক্লাস শেষে রুমের বাইরে আসতেই হঠাৎই রিয়ার সাথে দেখা হয়ে গেল ছোঁয়ার।
রিয়াঃ হাই ছোঁয়া
ছোঁয়াঃ হাই,আপনি..এখানে?
রিয়াঃ এই এমনিই একটা কাজে এসেছিলাম তাই ভাবলাম আয়ানের সাথে একটু দেখা করে যাই।তুমি জানো আয়ান কোথায়?
ছোঁয়াঃ মে বি উনার ক্লাসে,আপনি একটু ওদিকে খুঁজে দেখুন না
রিয়াঃ হ্যাঁ তাতো দেখবোই বাট আমার আসলে এদিকে একটা কাজ ছিল
ছোঁয়াঃ ওহ আচ্ছা আপু,I need to go now so…
রিয়াঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
রিয়াঃ Please do me a favour.আসলে কিছুক্ষণ আগে আমি তোমাদের ল্যাব রুমে ছিলাম আর ওখানে আমার পার্সটা ফেলে এসেছি।Please help to bring it back please please please…
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে,আপনি একটু দাঁড়ান আমি এক্ষুণি নিয়ে আসছি
(ছোঁয়া চলে গেল)
রিয়াঃ যাও যাও বাচ্চু,গেলেইতো টের পাবে মজা…(মনে মনে)
ছোঁয়াঃ ধুর ছাই,কোথায় ভাবলাম কোথাও বসে প্রজেক্টের কাজগুলো এখনই শেষ করে একটু তাড়াতাড়িই রুমে চলে যাব তা না এখন এই ল্যাব রুমে…আদৌ পার্সটা পাওয়া যাবে কিনা তারওতো ঠিক নেই শুধু শুধু…
(ছোঁয়া ল্যাব রুমে ঢোকার সাথে সাথেই কেউ ছোঁয়ার মাথায় কিছু দিয়ে আঘাত করল তারপর ল্যাবের দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল।এদিকে ছোঁয়া তাল সামলাতে না পেরে দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেল তারপর সেন্সলেস হয়ে মেঝেতে পড়ে গেল)
রিয়াঃ কাজ শেষ?
– জ্বি ম্যাডাম
রিয়াঃ এই নাও তোমার পেমেন্ট,খবরদার এই ব্যাপারে কারো লাছে যদি মুখ খুলেছো তাহলে…
– না না ম্যাডাম কেউ কিচ্ছু জানতে পারবে না
রিয়াঃ ঠিক আছে,তাহলে এবার তুমি যেতে পারো।আর শোন তুমি কখনও আমাকে দেখোইনি,মনে থাকবে?
– জ্বি ম্যাডাম
(লোকটা চলে গেল)
রিয়াঃ তুমি ভাবলে কি করব আমার থেকে সায়নকে কেড়ে নেবে?এত বড় সাহস তোমার!এই কয়দিন সায়ন আর তুমি এক্স্যাক্টলি কি কি করে বেড়িয়েছো তার সব খবরই আমি রাখি।এখন বোঝ কেমনটা লাগে,আমার জিনিসে ভাগ বসানোর চেষ্টা!এর শাস্তিতো তোমাকে পেতেই হবে…
(ওয়ার্কিং আওয়ার প্রায় শেষ তাই একে একে সবাই যে যার মত চলে যাচ্ছে,রিয়া কিন্তু এখনও যায়নি।দূর থেকে ল্যাব রুমের দিকে নজর রাখছে)
(কিছুক্ষণ পর)
আয়ানঃ আরে রিয়া,তুই এখানে!
রিয়াঃ হ্যাঁ ওই একটা কাজে এসেছিলাম
আয়ানঃ কাজ!কিন্তু এখনতো অফিস,ক্লাস সব শেষ তাহলে…
রিয়াঃ ওহ আ…আসলে আ..আ..মার কাজটা শেষ তাই চলেই যাচ্ছিলাম,এরমধ্যেই তোর সাথে দেখা তাই…
আয়ানঃ প্রবলেম কি?তুই এমন তোতলাচ্ছিস কেন?
রিয়াঃ ক..কই নাতো,আচ্ছা তোর ক্লাসওতো সেই কখন শেষ তাহলে তুই এখনও এখানে কি করছিস?
আয়ানঃ আরে আমার এ্যাসিস্ট্যান্ট আই মিন ছোঁয়াকে প্রজেক্টের কিছু কাজ কমপ্লিট করে রাখতে বলেছিলাম।ও বলেছিল ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই কাজ শেষ করে আমাকে ফোন দেবে বাট এখনও পর্যন্ত ওর কোন খবর নেই!ইনফ্যাক্ট আমি সেই কখন থেকে ওকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি বাট পিক করছে না তাই ভাবলাম…
রিয়াঃ ছোঁয়া…ছোঁয়া মানে তোর জিএফ না?সেদিন যার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলি?
আয়ানঃ হ্যাঁ হ্যাঁ ওই,তুই কি ওকে কোথাও দেখেছিস?
রিয়াঃ আমি…ও হ্যাঁ মনে পড়েছে লাস্ট যখন আমার ওর সাথে দেখা হয়েছিল তখন ওকে আমি ল্যাবের দিকে পাঠিয়েছিলাম।আসলে আমার পার্সটা আমি ল্যাবেই রেখে এসেছিলাম তাই…কিন্তু তারপর থেকে আর ওর সাথে দেখা হয়নি,ইনফ্যাক্ট আমি পরে রিয়েলাইজ করলাম পার্সটা আমার ব্যাগেই ছিল…
আয়ানঃ ল্যাব?আচ্ছা চল ল্যাবের আশেপাশটায় একটু খুঁজে দেখি
রিয়াঃ না মানে আয়ান,আমার একটু কাজ ছিল।তুই বরং একাই একটু খোঁজ,আমি বরং যাই।আর শোন,কোন খোঁজ খবর পেলে আমাকে জানাতে ভুলিস না কেমন?
আয়ানঃ আচ্ছা দেন বাই
(আয়ান ল্যাবের দিকে ছুটতে লাগলো,রিয়াও একটু ডিসটেন্স রেখে ওকে ফলো করতে লাগলো)
আয়ানঃ আরে,আজকে ল্যাবে কেউ তালা লাগায়নি কেন?এমনিতেই বাইরে থেকে লক করা,ভেতরে কি কেউ আছে?কিন্তু…এক কাজ করে একবার দেখে নেই তারপ্র তালা লাগিয়ে ফিয়ে যাব
(দরজা খুলতেই আয়ান চমকে উঠল,ছোঁয়া এখনও মেঝেতে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে।আয়ান ওর কাছে ছুটে চলে গেল,এরমধ্যে রিয়াও দরজার কাছাকাছি চলে এসেছে।আসতে করে তালাটা হাতে তুলে নিল,তারপর খুব সাবধানে দরজাটা লাগিয়ে দিয়েই লক করে দিল)
আয়ানঃ ছোঁয়া…কি হয়েছে তোমার?ছোঁয়া…দাঁড়াও তোমাকে এক্ষুণি বাইরে নিয়ে যাচ্ছি,একটু ওয়েট…
(আয়ান ছোঁয়াকে কোলে তুলে নিল কিন্তু দরজার কাছে যেতেই বুঝতে পারলো দরজাটা বাইরে থেকে লক করা)
আয়ানঃ Hey,is anybody there?আমরা ভেতরে আটকা পড়েছি,কেউ থাকলে প্লিজ খুলে দাও…হ্যাঁ ফোন?কাকে ফোন করব কাকে ফোন করব…হ্যাঁ রিয়া,ও নিশ্চয়ই এখনও আশেপাশেই আছে
(রিয়া বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবকিছুর মজা নিচ্ছে,হঠাৎই ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠিল এবার সুযোগ বুঝে রিয়া কেটে পড়লো)
রিয়াঃ এই ছেলে আবার আমাকেই ফোন দিচ্ছে!হাউ ফানি,দিতে থাকো আমি কিন্তু পিক করছি না
আয়ানঃ ইয়ার রিয়া,ফোনটা কেন পিক করছিস না?প্লিজ পিক আপ দ্য ফোন পিক আপ দ্য ফোন,ওহ শিট!ব্যাটারিটাও এখনই ডেড হতে হল!এখন কি করব?কাউকেতো ফোনও দিতে পারব না…
রিয়াঃ চেঁচাও চেঁচাও ইচ্ছেমত চেঁচাও,কেউ কিছু শুনবে না কারণ কেউতো ক্যাম্পাসে নেইই।আর স্পেশালি এই ডিপার্টমেন্টেতো একটা পোকাও নেই,সবাই যে যার মত বাড়ি চলে গেছে সো…সরি আয়ান,তোকে এভাবে ট্র্যাপে ফেলার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না বাট কি করব বল Everything is fare in love and war.আর এই কেসটা আমার কাছে দুটোই মিন করে তাই…আমিতো জাস্ট ছোঁয়াকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম বাট একটু আগে তোকে দেখে আমার মাথায় এই নতুন প্ল্যানটা আসলো তাই…যাই হোক এখন আমাকে আসল কাজটা করে ফেলতে হবে নাহলে এত কষ্ট সব ব্য্র্থ হয়ে যাবে।কিন্তু তারজন্যতো আগে সায়নকে..সায়ন ডিয়ার,গেট রেডি ফর দ্য সারপ্রাইজ…
ছোঁয়ার জ্ঞান ফিরল আরও কিছুক্ষণ পর,ছোঁয়া তখনও আয়ানের কোলে মাথা রেখে পড়ে আছে।মাথাটা প্রচণ্ড ব্যথা করছে,চোখ মেলতেও কষ্ট হচ্ছে,অনেক কষ্টে চোখ মেলে তাকালো আর নিজেকে আয়ানের কোলে আবিষ্কার করে লাফ দিয়ে উঠে বসলো)
আয়ানঃ রিল্যাক্স ছোঁয়া,ভয়ের কোন কারণ নেই Everything is alright
ছোঁয়াঃ আ..আমি কোথায়?আর আপনি…
আয়ানঃ আমরা আমাদের ল্যাবে,কেউ বাইরে থেকে আমাদের লক করে দিয়েছে
ছোঁয়াঃ হোয়াট!
(ছোঁয়ার হঠাৎই সবকিছু মনে পড়ে গেল আর কিছু না ভেবে উঠে দরজার দিকে ছুটে গেল,দরজা ধাক্কাতে লাগলো)
ছোঁয়াঃ কে আছো?দরজাটা খোল প্লিজ,আমি ভেতরে আটকা পড়ে গেছি
আয়ানঃ ছোঁয়া রিল্যাক্স,এত হাইপার হওয়ার মত কিছু হয়নি
ছোঁয়াঃ What do ypu mean by কিছু হয়নি?আমরা এখানে আটকা পড়ে গেছি আর আপনি বলছেন কিছু হয়নি!কে আছো?দরজাটা খোল প্লিজ…
আয়ানঃ নাহ এই মেয়ে এভাবে হাইপার হলেতো আবারও ফেইন্ট হয়ে যাবে,আমাকেই কিছু করতে হবে।ছোঁয়া…লিসেন টু মি এভাবে চিৎকার করে কোন লাভ হবে না
ছোঁয়াঃ মানে কি?
আয়ানঃ মানে অলরেডি রাত হয়ে গেছে আর ডিপার্টমেন্টে একটা কাক পক্ষীও নেই
ছোঁয়াঃ মা..ম..মানে?আ..আমাকে সারারাত এখানেই…আ..আমার ফোনটা?আমার ফোনটা কোথায়?
আয়ানঃ কোন লাভ নেই,তোমার আর আমার দুজনের ফোনই বন্ধ হয়ে আছে,কোনটাতেই চার্জ নেই
ছোঁয়াঃ ফোনের কাছে ছুটে গেলাম।অন করার ব্যর্থ চেষ্টা করছি
আয়ানঃ কোন লাভ নেই,আমি নিজে চেক করেছি
ছোঁয়াঃ এখন কি হবে?হঠাৎই খেয়াল করলাম চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার,ভাল করে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।খুব ভয় লাগছে,দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে,অনেক কষ্ট হচ্ছে,জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছি
আয়ানঃ ছোঁয়া…Are you okey?এমন করছো কেন?
ছোঁয়াঃ আ..আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে,অ..অন্ধকারে আর বদ্ধ জায়গায় আমার সাফোকেশন হয়,আ..আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
(ছোঁয়া হাঁফাতে লাগলো,আয়ান ছুটে গিয়ে ওকে ধরে ফেলল)
আয়ানঃ ছোঁয়া..ডোন্ট প্যানিক ওকে?আমি আছিতো,তোমার কিচ্ছু হবে না বিলিভ মি…
ছোঁয়াঃ চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে,জ্ঞান হারানোর আগে মনে হল আমি কারো কাঁধে মাথা রেখে আছি আর কেউ আমার মাথায় পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।মার কথা অনেক মনে পড়ছে,মাকে খুব মিস করছি…
এদিকে সন্ধ্যা থেকেই সায়ন ছোঁয়াকে খুঁজছে।আজ ওদের একসাথে ডিনার করার কথা।দুপুরে ছোঁয়াই ওকে বলেছিল আজকে নাকি প্রজেক্টের কাজের চাপটা অনেক কম,বলেছিল বিকেলের মধ্যেই সব শেষ করে ফেলতে পারবে তারপর সন্ধ্যাই ওই লেকের পাড়ে ঘুরতে যাবে আর রাতে একসাথে ডিনার করে তবেই হলে ফিরবে।সন্ধ্যা থেকে ওকে অনেকবার ফোন দিয়েছে সায়ন কিন্তু ও কোন রেসপন্সই করছে না!তারপর লোপার কাছ থেকে যখন শুনল ও আজকে রুমেই ফেরেনি তখন আর টেনশন না করে পারলো না।তখন থেকেই সায়ন লোপা আর ওর বন্ধুদের নিয়ে ছোঁয়াকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।তার উপর এখন আবার ওর দুজনের ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে আর যাকেই জিজ্ঞেস করছে কেউই নাকি ওকে বিকেল থেকে দেখেনি!টেনশনে সায়নের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছে…
সায়নঃ কি রে,কোন খবর পেলি?
মারুফঃ তুই টেনশন নিস না,আমরা ঠিক পেয়ে যাব
সায়নঃ জলজ্যান্ত একটা মানুষ এভাবে হাওয়া হয়ে গেল!How is this possible?
তানিঃ কুল ডাউন ইয়ার,সব ঠিক হয়ে যাবে
সায়নঃ কিভাবে কুল থাকব বলতো?মেয়েটা এভাবে গায়েব হয়ে গেল আর কেউ ওর কোন খবরই জানে না!ও কেমন আছে কি করছে কিছুই আমি জানি না আর তোরা বলছিস মাথা ঠাণ্ডা করতে!
তানিঃ যাই হোক আয়ানের কোন খবর পেলি?
রাকিবঃ ওকেও পাওয়া যাচ্ছে না।সন্ধ্যা থেকে ওরও কোন খবর নেই,ফোনও বন্ধ
সায়নঃ হোয়াট!আমি জাস্ট পাগল হয়ে যাব,আই স্যয়ার ওর জন্য যদি ছোঁয়ার কিছু হয় তাহলে কিন্তু আমি ওকে ছাড়ব না…
লোপাঃ ছোঁয়ার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে…ওকে ছাড়া আমি কিভাবে…
মারুফঃ ডোন্ট ওয়ারি ওর কিচ্ছু হবে না,আমরা আছিতো
লোপাঃ But she is my best friend.ওর কিছু একটা হয়ে গেলে…
(লোপা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে আর মারুফ ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।তখনই ওখানে রিয়া চলে আসলো…)
রিয়াঃ Anything wrong guys?কিছু কি হয়েছে?
তানিঃ যা কিছুই হোক না কেন তোমার এসব নিয়ে মাথা ব্যথা করতে হবে না,যা করতে এসেছো তাই কর না…
রিয়াঃ ওহ হ্যাঁ আমিতো এমনিই একটু ছোঁয়াকে খুঁজছিলাম
লোপাঃ কেন?ছোঁয়াকে কি দরকার আপনার?
রিয়াঃ আচ্ছা তুমিতো ওর রুমমেট তাইনা?দেন ডু মি এ ফেভার এই ব্যাগটা ওকে দিয়ে দেবে প্লিজ…
লোপাঃ এ..এটাতো ছোঁয়ার ব্যাগ!আপনার কাছে কিভাবে…
(লোপার কথা শুনে সবাই ওদের কাছে ছুটে আসলো,সায়ন রিয়ার হাত থেকে ব্যাগটা কেড়ে নিল)
সায়নঃ এটা তোমার কাছে কিভাবে আসলো?
রিয়াঃ আসলে বিকালে ওকে একটা কাজে পাঠিয়েছিলাম তাই ওর ব্যাগটা আমার কাছে রেখে গিয়েছিল বাট তারপর আর ওর সাথে দেখা হয়নি তাই…ওয়েট এ মিনিট সবাই আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কেন?Anything wrong?
তানিঃ Everything is wrong কারণ ছোঁয়া এখনও ফিরে আসেনি
রিয়াঃ হোয়াট!আয়ানওতো সন্ধ্যার দিকে ওকে খুঁজছিল,আচ্ছা ও ক্যাম্পাসেই কোথাও আটকা পড়ে যায়নিতো?
সায়নঃ তুমি ওকে কোথায় পাঠিয়েছিলে?
রিয়াঃ ল্যাবে বাট আমিতো একটু পরেই চলে এসেছিলাম
মারুফঃ আই থিঙ্ক লাস্ট ক্লু যেহেতু ল্যাব তাহলে ওখান থেকেই শুরু করা যাক…
চলবে…