Childhood marriage

Childhood marriage 2 ! Part- 03

সায়ন আর ছোঁয়ার বিয়ের আজ দশ দিন পেরিয়ে গেছে।সায়ন এখনও নিজেকে রুমের মধ্যেই বন্দী করে রেখেছে,প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে তেমন একটা কথাও বলে না।আর ছোঁয়া?ও আছে ওর মতই,ওর সারাটাদিন কাটে মা আর দাদীর সাথে।সারাদিন এ ঘর ও ঘর ছোটাছুটি করে,কখনও কখনও ফুলির সাথে ফাযলামি করে।কিন্তু ওর বেশির ভাগ সময় কাটে এ বাড়ির পুকুরপাড়ে,ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুকুরের স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে একা একা বসে থাকে।পুরো বাড়ির সব জায়গায় আনাগোনা থাকলেও সায়নের রুমে ঢোকার পারমিশন এখনও পায়নি ছোঁয়া,নিতান্তই দরকার না পড়লে ও দিকে তাই পাও বাড়ায় না…
আজ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে,বরাবরের মতই সায়ন দরজা জানালা বন্ধ করে নিজের রুমেই বসে আছে।দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই বৃষ্টির বেগ বেড়ে গেল,হঠাৎ কি মনে করে যেন উত্তরের জানালাটা খুলে দিল আর খুলতেই চোখ পড়ল পুকুরপাড়ের দিকে।এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে ছোঁয়া পুকুরের পানিতে পা ডুবিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।ওর ভাব-ভঙ্গী দেখে মনে হচ্ছে যেন আকাশে যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তাকে নিজের দিকে ডাকছে!
সায়নঃ এই মেয়ে করছেটা কি?মাথা-টাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি!আর বাড়ির বাঁকি লোকজন কি করছে?ঐ গাধাটাকে এই বৃষ্টির মধ্যে বাইরে বের হতে কে দিয়েছে?মা…মা…
মাঃ কি হয়েছেরে খোকা?
সায়নঃ ঐ গাধাটা কোথায় জানো?
মাঃ কে!
সায়নঃ না মানে ছোঁয়া,ছোঁয়া কোথায় জানো?
মাঃ কেন রে,তোর কি কিছু লাগবে?লাগলে আমাকে বল আমি এনে দিচ্ছি
সায়নঃ কিছু লাগবে না মা,শুধু এইটা বল ঐ গাধা মেয়েটা কোথায় গেছে
মাঃ আছে হয়তো আশেপাশেই কোথাও
সায়নঃ আশেপাশে নেই মা,এই বৃষ্টির মধ্যে ম্যাডাম পুকুরপাড়ে গিয়ে বসে আছে
মাঃ কি!
সায়নঃ একটা মানুষ এতটা ইরেসপন্সেবল কি করে হতে পারে!তখন জ্বর-টর আসলে তখন…
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে তুই ঘরে যা,আমি ওকে নিয়ে আসছি
সায়নঃ তার আর দরকার নেই
মাঃ মানে?
সায়নঃ তোমাকে আর যেতে হবে না,আমিই ওটাকে কান ধরে নিয়ে আসছি
মাঃ আরে খোকা তুই…
(সায়ন ততক্ষণে উঠোনে নেমে গেছে,ছাতা মাথায় দিয়ে দ্রুত পুকুরের দিকে হেঁটে যাচ্ছে)
সায়নঃ এই মেয়ে,মাথা-টাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)আ…আপনি!
সায়নঃ প্রবলেম কি তোমার?
ছোঁয়াঃ জ্বি?আ…আমার আবার কি প্রবলেম?
সায়নঃ তাহলে এই বৃষ্টির মধ্যে এখানে কি করছো?
ছোঁয়াঃ আসলে বৃষ্টি দেখলেই আমার ভিজতে ইচ্ছে করে
সায়নঃ ভিজতে ইচ্ছে করে তাইনা?এই মেয়ে পরে যখন জ্বর আসবে তখন কি করবে?তুমিতো ঘাপটি মেরে বিছানায় পড়ে থাকবে,সব দৌঁড়াদৌঁড়িতো আমাদেরকেই করতে হবে তাইনা?

ছোঁয়াঃ সরি
সায়নঃ Sorry my foot.Just get up and walk fast.
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ হুম কি উঠ বলছি,কি হল শুনতে পাওনি?
ছোঁয়াঃ শুনেছিতো
সায়নঃ তাহলে বসে আছো কেন?
ছোঁয়াঃ উঠতে পারছি নাতো
সায়নঃ দেখি আমার হাতটা ধরে আস্তে আস্তে উঠে আসো
ছোঁয়াঃ আমাকে বকা দেয়া দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা (মনে মনে)
সায়নঃ কি হল,হাত দাও,তোমার জন্যে কি আমি সারাদিন এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব নাকি?
ছোঁয়াঃ হাত বাড়িয়ে দিলাম
সায়নঃ সাবধানে আশেপাশে অনেক পিচ্ছিল হয়ে আছে
ছোঁয়াঃ এইতো বুদ্ধি পেয়েছি ,ইচ্ছে করেই একটা হ্যাঁচকা টান দিলাম।প্রায় সাথে সাথেই দুজনে একসাথেই পুকুরে গিয়ে পড়লাম
সায়নঃ ইউ…এই মেয়ে এসবের মানে কি?
ছোঁয়াঃ আমি আবার কি করলাম?
সায়নঃ কি করলে জানো না তাইনা?তোমার জন্যে আমি এই সময়ে পুরো কাকভেজা হয়ে গেলাম
ছোঁয়াঃ আমি কি ইচ্ছে করে করেছি নাকি?দেখছেন না আমি নিজেও কেমন ভিজে গেছি
সায়নঃ তুমিতো আগে থেকেই ভিজে ছিলে আর নতুন করে কি ভিজবে?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা সরি
সায়নঃ সরি!এখন দয়া করে উঠবেন?ঠাণ্ডায় রীতিমত জমে গেছি
ছোঁয়াঃ বলছি যে ভিজে যখন গেছিই আরেকটু ভিজি না
সায়নঃ আরেকটু ভিজি না!মামার বাড়ির আবদার…
ছোঁয়াঃ মাত্র দশ মিনিট প্লিজ…
সায়নঃ শাট আপ
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে পাঁচ মিনিট?
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ আচ্ছা উঠছি…(বেটা বজ্জাত আরেকটউ ভিজতে দিলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত)
সায়নঃ আমাকে গালাগালি দেয়া শেষ হলে একটু জোরে হাঁটুন প্লিজ
ছোঁয়াঃ (এমনিতে হাঁটতেই কষ্ট হচ্ছে আর এই ব্যটা কিনা আরো জোরে হাঁটতে বলছে!)
সায়নঃ ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম
ছোঁয়াঃ লাগবে না,আমি একাই হাঁটতে পারব
সায়নঃ আমি জানি আপনি একাই পারবেন কিন্তু ঐ স্পিডে হাঁটতে থাকলে পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যে লেগে যাবে সো হাতটা ধরে আমাকে উদ্ধার করেন…
ছোঁয়াঃ উনার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলাম
সায়নঃ আবার দাঁড়িয়ে থাকলে কেন,জোরে জোরে হাঁটো
ছোঁয়াঃ হুম(ব্যাটা খাটাশ,কথায় কথায় খালি ঝাড়ি দেয়,একটু ভাল করে বললে কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে)
সায়নঃ বিড়বিড় করা বন্ধ করে জোরে জোরে পা চালাও
ছোঁয়াঃ আর কথা না বলে চুপচাপ হাঁটতে লাগলাম

(কয়েকদিন পর)
মাঃ সায়ন…সায়ন…
সায়নঃ কি হয়েছে মা,ডাকছো কেন?
মাঃ তোকে কিছু কথা বলার ছিল
সায়নঃ কি কথা?
মাঃ বলছিলাম কি ছোঁয়াতো অনেকদিন ধরে স্কুলে যায় না,ওর আগের স্কুলেতো আর যাওয়া সম্ভব না তাই বলছিলাম কি ওকে তোদের স্কুলে ভর্তি করে দিলে কেমন হয়?
সায়নঃ আমার স্কুলে!কিন্তু কেন?আর কি কোন স্কুল নেই?
মাঃ থাকবে না কেন কিন্তু সেগুলোতো অনেক দূরে আর আমাদের আশেপাশের সবাইতো ওই স্কুলেই পড়ে।আর তাছাড়া একই স্কুলে পড়লে ওতো তোর সাথেই যাওয়া-আসা করতে পারবে তখন আর আমাদের ওকে নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না
সায়নঃ কিন্তু মা…
মাঃ কোন কিন্তু না,তোর বাবা সব ব্যবস্থা করে রেখে গেছেন,তুই শুধু কাল সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ওকে সাথে করে নিয়ে যাস তাহলেই হবে।তোর বাবা এখানে থাকলে উনি নিজেই নিয়ে যেতেন,উনি নেই তাই তোকে বলছি
সায়নঃ কিন্তু মা আমি…
মাঃ চুপ আর কোন কথা শুনতে চাই না,তোকে যা করতে বলেছি তাই কর
(সায়ন রেগে মেগে নিজের রুমে চলে গেল)
সায়নঃ যা করতে বলব তাই করবি,ওরা পেয়েছেটা কি?যখন যা বলবে তাই করতে হবে!এত স্কুল থাকতে ওকে আমার স্কুলেই ভর্তি করতে হবে!বাবা-মা কেন বুঝতে পারছে না সবাই যদি খালি একবার জানতে পারে যে ও আমার বউ তাহলে শুধু আমার না,ওরও লাইফটা হেল করে দেবে।এখনতো শুধু আমার কয়েকজন কাছের বন্ধু ব্যাপারটা জানে কিন্তু স্কুলে ভর্তি হলেতো তখন সব্বাই জেনে যাবে তখন কি হবে…
(পরদিন সকালে)
সায়নঃ মা…মা…
মাঃ কি হয়েছে?ডাকছিস কেন?
সায়নঃ তোমার আদরের বউমা,তার রেডি হতে আর কতক্ষণ লাগবে?
মাঃ কে ছোঁয়া?
সায়নঃ তোমার আর কয়টা বউমা আছে মা?
মাঃ কি জানি থাকতেও পারে আরো দুই চারটা
সায়নঃ উফ মা…
মাঃ আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছ।ছোঁয়…ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি মা…
মাঃ এইতো চলে এসেছে,দেখে শুনে নিয়ে যাস খোকা
সায়নঃ এমন ভাব করছো যেন আমি ওকে নিয়ে যুদ্ধ জয় করতে যাচ্ছি
মাঃ সায়ন…
সায়নঃ আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে,আমরা তাহলে বের হচ্ছি টা টা
মাঃ আচ্ছা…
(বাড়ির বাইরে)
ছোঁয়াঃ আমরা কি সাইকেলে যাব?
সায়নঃ জ্বি না আপনার জন্যে মোটরসাইকেল আসবে
ছোঁয়াঃ আপনি সবসময় আমার সাথে এমন করেন কেন?
সায়নঃ এমন ফালতু প্রশ্ন করলে উত্তরতো এমনই হবে তাইনা?
ছোঁয়াঃ আপনি…
সায়নঃ এখন বকবক না করে সাইকেলে উঠে বসো নাহলে আজকে আর স্কুলে পৌঁছনো সম্ভব হবে না
ছোঁয়াঃ ঝটপট উঠে বসলাম

সায়নঃ হ্যাণ্ডেল শক্ত করে ধরে বসো,পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে আবার আপনার শাশুড়ি আম্মা আমাকেই দায়ী করবে
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ আর শোন স্কুলের কেউ যেন আমাদের বিয়ের কথা জানতে না পারে
ছোঁয়াঃ আচ্ছা
সায়নঃ কারো সাথে বেশি কথা বলার দরকার নেই
ছোঁয়াঃ আচ্ছা
সায়নঃ স্কুল থেকে একটু দূরে তুমি সাইকেল থেকে নেমে যাবে,আমি সাইকেল নিয়ে হেঁটে যাব ত্মি আমাকে ফলো করবে ঠিক আছে?
ছোঁয়াঃ কিন্তু কেন?
সায়নঃ কেন আবার,আমাদের একসাথে দেখলে সবাই সন্দেহ করবে না?
ছোঁয়াঃ ওহ
সায়নঃ স্কুলের ভেতরে আমরা কেউ কাউকে চিনি না
ছোঁয়াঃ কিহ!
সায়নঃ আরে বাবা সত্যি সত্যি না,সবার সামনে না চেনার ভান করবে
ছোঁয়াঃ ওহ
সায়নঃ আমরা প্রায় চলেই এসেছি
ছোঁয়াঃ তাই?
সায়নঃ হুম
ছোঁয়াঃ এখানেই কি নেমে যাব?
সায়নঃ হুম
ছোঁয়াঃ নেমে দাঁড়ালাম
সায়নঃ এই নাও তোমার ব্যাগ,আমি আগে আগে হাঁটছি তুমি আমার পিছু পিছু আসো ঠিক আছে?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ আর শোন
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ মিনিমাম একটা ডিসটেন্স রেখে হাঁটবে।কেউ যেন কিছু বুঝতে না পারে
ছোঁয়াঃ আচ্ছা

(স্কুলে)
টগরঃ আরে,ওইতো সায়ন
লিখনঃ ওই সায়ন…এদিকে আয়…
সায়নঃ দাঁড়া আসছি…
কনকঃ আরে…আমাদের নতুন জামাই এসে গেছে দেখছি!কিরে বউ ঠিকঠাক সেবা যত্ন করছে তো?
সায়নঃ ওই শালা চুপ কর
কনকঃ কেন?এখানে চুপ করার কি আছে?আবে ইয়ার আমাদেরওতাও এক্সপেরিয়েন্সের দরকার আছে তাইনা?
সায়নঃ কনক…
লিখনঃ আরে ভাবী!কেমন আছেন?
সায়নঃ ওদের কথা শুনে পেছনে ফিরে দেখি গাধাটা ঠিক আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে
টগরঃ তারমানে উনিই আমাদের নতুন ভাবী!
সায়নঃ তুমি!এখানে কি করছো?
ছোঁয়াঃ আ…আপনিইতো বললেন আপনার পিছে পিছে আসতে
সায়নঃ এই মেয়ে আমি স্কুল পর্যন্ত আমার পিছে পিছে আসতে বলেছি,আমার পেছন পেছন ঘুরতে বলিনি
ছোঁয়াঃ আ…আমিতো জানিনা আপনি…
সায়নঃ তুমিতো কিছুই জানো না,স্টুপিড মেয়ে একটা।যেদিন থেকে আমার লাইফে এসেছো,লাইফটা একেবারে হেল করে রেখে দিয়েছো
ছোঁয়াঃ আমার উপর কেউ কখনও এভাবে চিল্লাইনি,খুব খারাপ লাগছে তাই মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলছি
কনকঃ আহ সায়ন,হচ্ছেটা কি
সায়নঃ তুই চুপ থাক,এই মেয়ে এখনও এখানে দাঁড়িয়ে আছো!যদি লজ্জা শরম থাকে তাহলে এক্ষুণি আমার সামনে থেকে যাও আর কক্ষণও আমার সামনে আসবে না
ছোঁয়াঃ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না,ছূটে চলে আসলাম ওখান থেকে
লিখনঃ এটা তুই কি করলি?মেয়েটাকে শুধু শুধু এতগুলো কথা শোনালি
সায়নঃ তুই চুপ থাক,ওকে কি এমনিই বকলাম?তোরা জানিস না ও কি করেছে?
টগরঃ কি করেছে ও?
সায়নঃ বার বার করে বলে দিয়েছিলাম আমার থেকে দূরে দূরে থাকতে যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে ও আমার বউ আর আমি বিবাহিত
কনকঃ কেন সবাই জানলে কি হবে শুনি?
সায়নঃ কি হবে জানিস না?ঐ রকি আর ওর সাঙ্গ পাঙ্গরা পুরো স্কুলে ছড়িয়ে দেবে,তখন সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে
টগরঃ এইটা তেমন কোন বড় ব্যাপার না
লিখনঃ তুই এর জন্যে মেয়েটাকে এভাবে বকা দিলি!
সায়নঃ তোরা যদি আমার জায়গায় থাকতি তাহলেঠিকই বুঝতে পারতি আমি কোন সিচুয়েশনে আছি
কনকঃ আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম তুই যা করেছিস ঠিক করেছিস কিন্তু এতটা না করলেও পারতি
সায়নঃ কি করব বল,আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না মানুষ এতটা গাধা কি করে হতে পারে!
লিখনঃ তুই এভাবে কেন ভাবছিস?আরে ছোট মানুষ তাই হয়তো তোর কথাটা ঠিকমত ধরতে পারেনি
সায়নঃ ছোট কিন্তু এতটাও ছোট না
টগরঃ সায়ন তুই…
সায়নঃ তোদের আসতে ইচ্ছে হলে আয় নাহলে থাক,আমিতো গেলাম…

(বিকালে)
সায়নঃ মা…মা…
মাঃ চলে এসেছিস বাবা?
সায়নঃ হুম
মাঃ ছোঁয়া মা…নতুন স্কুল কেমন লাগলো?
সায়নঃ ছোঁয়া!
মাঃ কিরে বৌমা কই?ওকে কি বাইরেই রেখে আসলি নাকি?
সায়নঃ মানে!ও কি এখনও বাড়ি ফেরেনি?
মাঃ মানে! তোর না ওকে সাথে নিয়ে আসার কথা ছিল
সায়নঃ Oh shit!আবারও সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেলাম
মাঃ কোথায় যাচ্ছিস?ছোঁয়া কোথায় বলবিতো…সায়ন…কি রে কিছুতো বলে যা…
সায়নঃ কোন উত্তর দিতে পারলাম না,কি করে দিব?আমিওতো শিওর জানিনা ও কোথায় আছে…
চলবে…