Childhood marriage 2 ! Part- 02
নোটঃ যাদের এখনও বুঝতে প্রবলেম হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,সিজন-১ আর সিজন-২ কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি গল্প,ক্যারেক্টার নেম ছাড়া দুটো গল্পের মাঝে কোনই মিল নেই।সো যারা আগের সিজন পড়েননি তারাও কিন্তু এই সিজনটা ট্রাই করতে পারেন…
(শ্রেয়ার বাড়িতে)
বর এসেছে বর এসেছে বর এসেছে…
সবার চেঁচামেচি শুনে মহসিন সাহেব আর আসমা বেগম বাইরে বেরিয়ে আসলেন।উঠোনের মাঝখানে সায়ন চোখ-মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে,রহিম আর ফুলি ওর ঠিক দুইপাশেই দাঁড়িয়ে আছে।একটু ভাল করে দেখলেই বোঝা যাবে রহিম সায়নের একটা হাত বেশ শক্ত করে ধরে রেখেছে।এমনভাবে ধরে রেখেছে যেন ছেড়ে দিলেই সায়ন দৌড়ে পালাবে
সায়নঃ এসবের মানে কি বাবা?
মাঃ খোকা তুই এসেছিস?চল তুই আমার সাথে চল
সায়নঃ কিন্তু মা আমার বাবার সাথে…
মাঃ এখন কোন কথা না,আগে তুই আমার সাথে ভেতরে চল তারপর তোর সব কথা শুনবো
সায়নঃ কিন্তু মা…
বাবাঃ তোমার মা কি বলেছে শুনতে পাওনি?ভেতরে যাও
(সায়ন রাগে গজগজ করতে করতে ভেতরে চলে গেল)
বাবাঃ এখনকার মততো পরিস্থিতিটা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছো,বাঁকিটাও এভাবে সামলে নিও প্লিজ
মাঃ এটা আবার বলতে হয়?চিন্তা কর না আমি সব সামলে নিব
সায়নকে ভেতরের দিকের একটা ঘরে বসতে দেয়া হয়েছে,সায়নের বাবার নির্দেশে রহিম,ফুলি আর তারসাথে আরো কয়েকজন রুমের বাইরে গোপনে পাহারা দিচ্ছে যাতে সায়ন পালিয়ে যেতে না পারে।আর কেউ ব্যাপারটা খেয়াল না করলেও সায়ন কিন্তু বেশ ভালোভাবেই খেয়াল করেছে।ওর আর বুঝতে বাঁকি নেই যে এখান থেকে পালানোটা প্রায় অসম্ভব,তাই একা একা রুমের মধ্যে অস্থিরভাবে পায়চারী করে যাচ্ছে।ঠিক তখনই রুমের মধ্যে সায়নের মা ঢুকল,মাকে দেখেই সেদিকে দৌড়ে গেল সায়ন
সায়নঃ এসবের মানে কি মা?তোমরা কি শেষমেষ আমাকে জোর করে বিয়ে দেবে নাকি!
মাঃ দরকার পড়লে তাই দিব
সায়নঃ হোয়াট!তোমরা কি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেলে?
মাঃ যদি তাই মনে কর তাহলে তাই।এই বিয়েটাতো হবেই,আমরা তোমাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তুমিতো কিছুতেই বুঝতে চাইছো না তাই…
সায়নঃ তাই বলে এভাবে!
মাঃ সোজা আঙ্গুলে যদি ঘি না ওঠে তাহলে আঙ্গুলতো একটু বাঁকাতেই হয়
সায়নঃ তুমি না আমার মা,তুমি অন্তত আমার প্রবলেমটা একটু বোঝার চেষ্টা কর প্লিজ…
মাঃ দেখ বাবা,তোর প্রবলেম আমি বুঝি কিন্তু তুইও একটাবার আমাদের ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা কর
সায়নঃ কি বুঝব মা?এখানে বোঝাবুঝির কি আছে?
মাঃ তুই কেন বুঝতে পারছিস না,এই বিয়েটা হওয়া খুব জরুরী
সায়নঃ আমি কি একবারও বলেছি বিয়েটা করব না?
মাঃ তাহলে?
সায়নঃ আমি তোমাদের পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করব কিন্তু এখন না,সাত বছর পর।আগে লেখাপড়া শেষ করি তারপর
মাঃ যেটা সাত বছর পরে করতে পারবি সেটা আজ করলে কি প্রবলেম?
সায়নঃ উফ মা…ফরগেট ইট তোমরা আমার প্রবলেম কোনদিনও বুঝতে পারবে না
মাঃ দেখ বাবা,আমি তোকে পেটে ধরেছি।আমি আর তোর বাবা ছোট থেকে তর কোন ইচ্ছে অপূর্ণ রাখিনি,বিনিময়ে তোর থেকে কোনদিন কিছুই চাইনি কিন্তু আজ চাইছি তুই আর আপত্তি করিস না বাবা,বিয়েতে রাজি হয়ে যা
সায়নঃ কিন্তু মা
মাঃ যদি আমাকে মা বলে মানিস তাহলে আমার এই কথাটা শোন,নাহলে আর কক্ষনও আমাকে মা বলে ডাকবি না
সায়নঃ মা!!!তুমি এত বড় একটা কথা আমাকে বলতে পারলে!
(মা কিছু না বলেই চলে যেতে নিলেন)
সায়নঃ আচ্ছা ঠিক আছে এটাই যদি তোমার ফাইনাল ডিসিশন হয় তাহলে আমি বিয়েতে রাজি
মাঃ সত্যি বলছিস খোকা?
সায়নঃ বিয়েটা কখন হবে জানিয়ে দিও
মাঃ কখন মানে!তুই রেডি হয়ে গেলেই বিয়ে পড়ানো হবে
সায়নঃ মানে!আজকেই বিয়ে!
মাঃ আজকে কি বলছিস,বিয়েটা এক্ষুণি হবে
সায়নঃ This is totally crazy
মাঃ এই রহিম…একবার ভেতরে আয়তো…
রহিমঃ জ্বি চাচী?
মাঃ তোর ভাইজানকে ঝটপট রেডি করে দে তো
রহিমঃ জ্বি আচ্ছা
মাঃ রেডি হয়ে গেলে আমাকে একবার খবর দিস কেমন?আমি বরং ওদিকটায় যাই,কতকিছু করতে হবে কিছুইতো করা হয়নি…
বাবাঃ ওদিকের কি খবর সায়নের মা?
মাঃ তুমি টেনশন নিও না,সব ঠিক আছে।তুমি বরং কাজিকে খবর দেয়ার ব্যবস্থা কর
বাবাঃ সত্যি বলছো!সায়ন তার মানে রাজি হয়ে গেছে?
মাঃ হুম
বাবাঃ কে কোথায় আছিস?তাড়াতাড়ি সব ব্যবস্থা করতে বল,এক্ষুণি বিয়ে হবে…
আশরাফঃ মহসিন…
বাবাঃ হ্যাঁ দোস্ত বল
আশরাফঃ তোকে যে আমি কি বলে ধন্যবাদ দিব…
বাবাঃ দোস্ত তুই একটু চুপ কর,তোর কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে…
আশরাফঃ আর কষ্ট,আজ আর আমার কোন কষ্ট নেই,যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে।আজ আমার মেয়ের বিয়ে!মেয়েটাকে তোর বাড়ীর বউ হতে দেখব আমার আর কিসের কষ্ট?এখন আমি শান্তিতে মরতে পারব…
বাবাঃ তুই একটু চুপ করে থাকনা দোস্ত
আশরাফঃ তোর ভাবীকে বল জামাই আপ্যায়নে যেন কোন ত্রুটি না হয়।
বাবাঃ আচ্ছা বলব,তুই এখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা কর ঠিক আছে?
আশরাফঃ হুম
(ছোঁয়ার রুমে)
আয়েশাঃ ছোঁয়া একটু স্থির হয়ে দাঁড়া নাহলে যে শাড়িটা ঠিকমত পরাতে পারছি না
ছোঁয়াঃ বাবার কি হয়েছে মা?
আয়েশাঃ কিছু হয়নিরে মা,তোকে বউয়ের সাজে দেখলে দেখবি একেবারে সুস্থ হয়ে গেছে
ছোঁয়াঃ সত্যি!!
আয়েশাঃ হুম
ছোঁয়াঃ তাহলে তুমি তাড়াতাড়ি আমাকে বউ সাজিয়ে দাও,খুব সুন্দর করে সাজাবে কিন্তু যাতে বাবা আমাকে দেখতেই লাফ দিয়ে উঠে বসে
আয়েশাঃ আচ্ছা তাই হবে,আমার মেয়েকে আমি এমন সুন্দর করে সাজাবো যাতে কেউ চোখ ফেরাতে না পারে
ছোঁয়াঃ শুধু কথাই বলবে নাকি সাজাবেও
আয়েশাঃ এইতো মা হয়ে গেছে
ছোঁয়াঃ শেষ?
আয়েশাঃ হুম
ছোঁয়াঃ আমাকে কেমন লাগছে মা?
আয়েশাঃ খুব সুন্দর লাগছে মা
ছোঁয়াঃ তাহলে তাড়াতাড়ি আমাকে বাবার কাছে নিয়ে চল
আয়েশাঃ বাবার কাছে!কেন?
ছোঁয়াঃ বাহ রে তুমিইতো বললে আমাকে বউয়ের সাজে দেখলেই বাবা সুস্থ হয়ে উঠবে,চল না মা…
আয়েশাঃ সরি রে মা,তোকে মিথ্যে আশ্বাস দেয়ার জন্যে।কিন্তু কি করব বল আমি যে নিরুপায় (মনে মনে)
ছোঁয়াঃ কি হল মা,চল…
(তখনই রুমে সায়নের মা ঢুকলো)
মাঃ আরে…আমার বৌমাকেতো দেখছি সেই সুন্দর লাগছে
ছোঁয়াঃ কেমন আছো আন্টি?
মাঃ আমি ভাল আছি রে মা,আর আন্টি আন্টি না করে মা বলার প্র্যাক্টিস কর
ছোঁয়াঃ মা!কিন্তু কেন?
মাঃ আরে পাগলী মেয়ে একটু পরেইতো আমার ছেলের সাথে তোর বিয়ে আর বিয়ের পরতো তোকে আমাকে মাই বলতে হবে তাইনা?
ছোঁয়াঃ কিন্তু…
আয়েশাঃ উনিতো ঠিকই বলছে
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে,এখনতো চল…ও মা…
মাঃ ও কোথায় যেতে চাচ্ছে ভাবী?
আয়েশাঃ ওর বাবার কাছে(চোখের পানি মুছতে মুছতে)
মাঃ ছোঁয়া মা,তুই একটু বোস আমরা আরেকটু পরেই তোকে নিয়ে যাব
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আন্টি
মাঃ কি হয়েছে ভাবী?আপনার চোখে পানি…
আয়েশাঃ কি করব ভাবী,মেয়েটা বিয়ে কি জিনিস সেটাই ঠিকমত জানে অথচ আমরা ওর বিয়ে দেওয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছি
মাঃ কি করবেন বলুন,সবই আল্লাহর ইচ্ছা
আয়েশাঃ আজ ও বউ সেজে এত খুশি কেন জানেন?
মাঃ কেন?
আয়েশাঃ (চোখের পানি মুছে)কারণ আমি বলেছি ওকে এই সাজে দেখলে ওর বাবা সুস্থ হয়ে যাবে
মাঃ কথাটা কিন্তু পুরোপুরি মিথ্যা না,মেয়েকে এভাবে দেখলে ভাই সাহেব সত্যিই অনেক খুশি হবে
আয়েশাঃ আমার মেয়েটাকে দেখে রাখবেন বেয়াইন।ও অনেক ছোট তাই সবকিছু শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েন
মাঃ ওকে নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না,আমাদেরতো কোন মেয়ে নেই,আজ থেকে ওই আমাদের মেয়ে
(কিছুক্ষণ পর)
বাবাঃ কইগো তোমাদের হল?কাজী সাহেবতো এসে গেছেন
মাঃ হ্যাঁ এদিকে সব রেডি
বাবাঃ কাজী সাহেবকে কি আসতে বলব?
মাঃ হ্যাঁ বল
একটু পরেই কাজী সাহেব ছোঁয়ার রুমে ঢুকল।ছোঁয়া কিছু বুঝল কিনা জানিনা কিন্তু তিনবার কবুল বলার মাধ্যমে সায়নের সাথে বিনি সুতোর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল।সায়নও মায়ের আদেশ মানতে বিয়েতে সম্মতি দিতে একরকম বাধ্য হল।
বিয়ের কার্যবিধি শেষ হওয়ার পর ওরা ছোঁয়ার বাবার কাছে দোয়া নিতে গেল।আশরাফ সাহেব মেয়ে জামাইকে দেখে অনেক খুশি হলেন,ওদেরকে প্রাণ ভরে দোয়া করলেন।দেখে মনে হল তার সব রোগ সেরে গেছে,তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরতরে চলে গেলেন।
(পরদিন)
সায়নদের বাড়ির পুকুরপাড়ে মন খারাপ করে বসে আছে ছোঁয়া,নিরবে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছে।আর সায়ন সেই যে কাল রাতে নিজের রুমে ঢুকেছে আর বের হয়নি,একটাবারের জন্যে ছোঁয়ার মুখের দিকে তাকায়নি পর্যন্ত।কাল রাত থেকেই ঘরের দরজা লাগিয়ে বসে আছে।
দাদীঃ কি রে দাদী এখানে একা একা বসে কি করছিস?
ছোঁয়াঃ কিছু না দাদী
দাদীঃ কি রে বু,তুই কাঁদছিস?
ছোঁয়াঃ বাবা আমাকে ছেড়ে কেন চলে গেল দাদী?
দাদীঃ মন খারাপ করিস না বু,বাবা-মা কি আর কারো চিরদিন বেঁচে থাকে?একদিন না একদিনতো সবাইকেই চলে যেতে হয়,তোর বাবা নাহয় একটু তাড়াতাড়িই চলে গেল।এভাবে মন খারাপ করে বসে থাকিস না,আল্লাহর কাছে তোর বাবার জন্যে বেশি বেশি করে দোয়া কর
(ছোঁয়া দাদীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল)
মাঃ সায়ন…দরজাটা একটু খোল বাবা,তোর সাথে কথা আছে
সায়নঃ মা আমি এখন কথা বলার মুডে একদমই নেই,যা বলার পরে বল
মাঃ তুই কাল রাত থেকে কিছুই খাসনি বাবা,একটাবার দরজাটা খোল আমি নিজ হাতে তোকে খাইয়ে দেই
সায়নঃ আমার একদম খেতে ইচ্ছে করছে না
মাঃ কিন্তু খোকা
সায়নঃ উফ মা,আমাকে একটু একা থাকতে দাও প্লিজ
মাঃ (মন খারাপ করে)আচ্ছা ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি
সায়নঃ আমি ভাবতেও পারছি না আমার বাবা-মা আমার জীবনটা নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলতে কিভাবে পারল!আমার সাথে এতকিছু করার পরও এখন এমন ভাব করছে যেন কিছুই হয়নি!সবকিছু ঠিক আগের মতই আছে!কিন্তু না কিছুই আর আগের মত নেই,সবকিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে ।তোমরা বুঝতেও পারোনি কত বড় ভুল করে ফেলেছো,এই বিয়েটা করিয়ে তোমরা আমাকে তোমাদের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিলে।
(সায়ন যখন এসব ভাবছে তখনই দরজায় কেউ নক করল)
সায়নঃ উফ মা,বললামতো আমার এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।কেন শুধু শুধু বিরক্ত করছো?
ছোঁয়াঃ মা না,আমি।দরজাটা একটু খুলবেন?
(সায়ন কিছু না বলেই দরজাটা খুলে দিল)
সায়নঃ কি দরকার?
ছোঁয়াঃ মা আপনার জন্যে খাবার পাঠিয়েছে
সায়নঃ কতবার করে বললাম আমার ক্ষুধা লাগেনি কিন্তু কে শোনে কার কথা তবুও খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি!এক্ষুণি…এক্ষুণি এসব আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যাও
ছোঁয়াঃ (মন খারাপ করে)জ্বি আচ্ছা
সায়নঃ ইয়ার সায়ন,তুই মায়ের উপরের রাগটা শুধু শুধু এই পিচ্চি মেয়েটার উপর কেন ঝাড়ছিস?That not fare…
(ছোঁয়া প্রায় দরজার কাছে চলেই গেছে তখনই সায়ন ওকে আটকালো)
সায়নঃ এই মেয়ে শোন
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ ট্রেটা টেবিলের উপর রেখে চলে যাও
ছোঁয়াঃ জ্বি আচ্ছা
সায়নঃ আর শোন নেক্সট টাইম কোন প্রয়োজন ছাড়া এই রুমে পা দেবে না,মা খাবার নিয়ে আসতে বললেতো একদমই না বুঝেছো?
ছোঁয়াঃ জ্বি
সায়নঃ গুড,এখন এখান থেকে যাও।আমি একটু একা থাকতে চাই
ছোঁয়াঃ আচ্ছা…
ছোঁয়া মন খারাপ করে চলে গেল আর সায়ন ভাবতে লাগল আজ সারাদিন তারসাথে ঠিক কি হয়েছে।এই একটা দিনের মধ্যে ওর পুরো জগৎটাই পাল্টে গেছে…
চলবে…