আলোছায়া

জানালার পর্দার ফাঁকে রোদ্দুর উঁকি দিয়ে দিয়ে উঠছে। বাকি দিনগুলোর মতো পাখির কলরব কানে না এলেও কানে আসছে চারপাশের কোলাহল

সন্ধ্যায় আকাশের রঙ বদলায় নানান ভঙ্গিমায়। কখনো কখনো সূর্য অস্ত হবার সাথেসাথে আকাশে ভেসে উঠে জ্বলজ্বল করা রশ্নিচিহ্ন আবার কখনোবা

সকল মনমালিন্য চুকে যাওয়ায় চমৎকার একটি রাতের শেষে সকালের স্নিগ্ধতা মেশানো চা বেশ আরাম করে খেলো উল্লাসী। তারপর করিমুন্নেসাকে রাতের

বাড়ছে রাত। সেই সাথে বাড়ছে উল্লাসীর অস্থিরতা। বুকের ভেতরটা তার কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদার দরুন বারেবারে নিঃশ্বাস

স্নিগ্ধ বিকেল। প্রকৃতি মনের সকল মাধুরি মিশিয়ে সেজেছে নিজের মনের মতো করে। আকাশের বুকে মেঘেরা খেলছে। কখনো তারা নীল আকাশের

“সবুজ স্যার মারা গেছেন তা আপনি আমায় জানান নি কেনো?” উল্লাসীর প্রশ্নে কপাল কোঁচকালো মেসবাহ। পুষ্পদের বাড়ি থেকে ঘন্টাখানেক হলো

মৌমি বদলে গেছে। এখন আর আগের মতো দাপিয়ে বেড়ায় না সে। ঝুড়ি খুলে বসেনা একগাদা আজগুবি প্রশ্নের। এখন আর তীব্র

দু’কাপ চা হাতে ড্রয়িংরুমে এসে মুন্নি সরকারের পাশে বসলো উল্লাসী। এককাপ মুন্নি সরকারের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে সে তাকালো দেয়াল ঘড়ির

রাতে ঘুম না হওয়ায় মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের ভেতরটা ম্যাজম্যাজ করায় লাঞ্চ আওয়ারে বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিল মুবিন। তবে

লাইটারের আগুনে সিগারেট জ্বালিয়ে চেয়ারে বসলো মেসবাহ। নীরব দৃষ্টিতে স্ফুলিঙ্গের মতো লাল আগুনের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর তাতে কয়েকবার