Addition !! Part- 10
ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সালমা বেগম কারোর কোলে মাথা দিয়ে সুয়ে আছে অন্য সব গুলো ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে তিনি পরোকিয়া করতেন।
এগুলো দেখে সালমা বেগম সহ্য করতে পারছিলেন না৷ পুরোনো কোন কান যেন তার সামনে তুলে ধরা হয়েছে ওনার বুকে ব্যাথা শুরু হয়৷
এরই মধ্যে লাইটা জ্বলে উঠে কিন্তু আসচর্জ জনক ভাবে দেখা যায় রুমে একটা গেস্ট ও নাই সুধু মায়ার পরিবারেট লোক ছাড়া।
মায়া কাপা কাপা পায়ে মায়ের কাছে এগিয়ে গিয়ে মাকে বলে,
-আম্মু ক,,,কি এগুলা।
-……..(নিশ্বদে কেদে যাচ্ছেন)
-আম্মু প্লিজ বলো। এগুলা কি।
-আম্মু কি হচ্ছে এগুলা। লোকটা কে? (আমায়রা)
সালমা বেগম এবার বললেন,
এগুলো এক ভয়ানক অতিত আমি কখোনো ভাবি নাই যে এভাবে আমার সামনে আসবে।
-মা প্লিজ বলো কি হয়েছিল। (মায়া)
শোন তাহলে,
২৭ বছর আগে,
আমি আর আরু খুব ভালো বান্ধবী ছিলাম। আরু অনেক ভালো মেয়ে কিন্তু ও ভালোবাসতো একটা ছেলেকে আমি কখোন তাকে দেখিনি আমার সামনে আরু তাকে আনতে চইলেও সে আসেনি কখোন৷ আরু তার বাবাকে তার সম্পর্কের কথা বললে তার বাবা মেনে নেয় নি সে চলে যায় বড়ি ছেড়ে আরুর পরে আমার খুব আভিমান জন্মেছিলো কারন ও আমাকে শেষ বারের মতো না দেখা দিয়ে চলে যায়৷ আরুকে আমি আমার নিজের বোনের মতো ভালোসাতাম৷
আরুর চলে যাবার ৬ বছর পর আমি একটা রিলেশন করি লোকটার দাবি সে আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমাকে নাকি বিয়ে করবে। আমাদের রিলেশন এর ১ বছর হলে আমি হালকা আচ করতে পারি লোকটার বিয়ে আছে কিন্তু আমাকে সব সময় বুঝয়ে রাখতো।
কিন্তু একদিন হটাৎ করে আমি ওর বাসায় চলে র্যায় আসল সত্যি মিথ্যা জানার জন্য আমি সেদিনও বুঝতে পারি নাই লোকটার আসলে বিয়ে ছিলো।
কিন্তু আমি ওর বাসায় যাবার দিনই আরু আত্মহত্যা করে আমার খটকা লাগে, কিন্তু সেদিন আরুকে শেষ বারের মতো আমি দেখতে যেতে পারি নি আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি শুনেছিলাম তার নাকি একটা ছেলে আছে,
আমি রওসানের বাসায় যায় ওর কিছুটা থোতবোত খায় কি যেন সরাচ্ছিল ও আমি বুঝতে পারি কিন্তু প্রকাশ করি নাই। ওর বেড রুমে যেয়ে আমি একটা ডায়রি পাই। ওতে আরু লিখা ছিলো আমি ওটা সেরে ফেলি আমি জানতাম রওসান আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না। আমি ওটা নিয়ে ওর বাসা থেকে বেরিয়ে আসি কিছু না বলে ।
বাসায় এসে ডায়রিটা খুলি, আমার চোখের পানি বাদ ভেঙে দিসিলো আরু আামাদের আরু এতকিছু সহ্য করেছে
,ওর জীবনের সবটা লিখা ছিলো
শেষের দিকে সে লিখেছিলো,
-আজ আমি জানতে পারলাম আমার স্বামী জার সাথে রিলেশনে আছে সে আার কেউ না আামর বাল্য বান্ধবী সালমা ওর বাবা আমাকে মনে হয় আর রখবে না। নীলকে নিয়ে আমি চলে যাবো অনেক দুরে। কিন্তু জদি কোন দিন আমার লখাগুলো সালমা পরে তাহলে ওকে আমি শুধু বলবো আমার ছেলেটাকে দেখিস।
আর কোন লেখা পাইনি আমি।
আমি সেই সময় রওসানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করি। তার পরের দিন রওসানও মারা যায়। আমি আরুর বাবকে অনপক বলেছিলাম আরুর ছেলেকে আমার কাছে দিতে মায়ের আদরে বড়ো করবো আমি কিন্তু তিনি দেন নি৷ নীল কোথায় আছে কেমন আছে যানা নেই৷ কিন্তু আজও মোনাজাতে বসে ওর জন্য দোয়া করি।
কথাগুলো বলে তিনি কাঁদতে থাকে।
মায়া নীলের দিকে তাকায় নীল পাথর হয়ে গেছে।
মায়া বলে,
-মা এইযে তোমার নীল।
সালমা বেগম অবাক।
-তুই আমার নীল কি বলছিস মায়া।
-হ্যা মা নীল এত দিন ধরে সব কিছুর জন্য তোমাকে দোশি ভাবতো এখন ওর সামনে সবটা পরিষ্কার।
নীল ছল ছল চোখে একপা একপা করে নীলের দিকে এগিয়ে যায়।
হটু মুড়ে সালমা বেগমের সামনে বসে বলে,
-ক্ষমা করে দিন আমাকে এতগুলো বছর আপনাকে ভুল বোঝার জন্য।
-না বাবা এত বছর পর তোকে পেয়েছি এতেই আমি খুশি।
নীলকে জরিয়ে ধরে সালমা বেগম ।
তার পর সকলে ৩ ঘন্টার মতো এক সাথে কাটিয়ে বাসায় চলে যায়।
মায়া এসে কাপড় পালটে নেয়৷
নীল রুমে আসে।
-ছরি জান।
-…….
-বলালমতে ছরি।
-….
-মায়া প্লিজ।
-…
-এভাবে চুপ থেকে মারার চেয়ে এক দম মেরে ফেল।
নীলের মুখে মরার কথা শুনে মায়া।
নীলের সামনে গিয়ে মুখটা চেপে ধরে,
-শাস্তি পেতে হবে রাজি।
-যা শাস্তি দিবা মাথা পেতে মেনে নিবো।
-তহলে শুনুন আমর কলেজ লাইফ শেষ না হবা পর্যন্ত আপনি আমার কাছে আসতে পারবেন না।
-এটা কেমন শাস্তি।
-এটাই। না মানলে বলুন চলে যাবো।
-আচ্ছা ওকে।
এভাবে কাটতে থাকে দিন। মায়ার কলেজ জীবন শেষ হয়। মায়া এ কয় দিনে বুঝে গেছে নীল তাকে কটতা ভালোবাসে।
-মানুষ টাকে অনেক কষ্ট দিছি আর না আমি ওনাকে আর কষ্ট দিবো না আজ আমি ওনাকে বলবো কতটা ভালোবাসি।
মায়া নীলের জন্য সারপ্রাইজ প্লান করে।
সুন্দর করে নিচের রুমটা সাজায়। আজ মায়া খুব সুন্দর করে সেজেছে তার নীলের জন্য।
মায়া নীলকে ফোন দেয়।
-এইজে।
-বলো জান।
-বাসায় আসুন।
-কেন আসুন তো আগে।
-এখনি।
-হ্যা।
নীল কোন কথা বাড়ায় না চুপ চাপ গড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ।
নীল বাসার ভেতরে এসে অবাক। সবথেকে বেশি অবাক তার মায়াকে দেখে। চোখ আটকে গেছে নীলের মায়ার উপর।
মায়া এসে নীলকে বললো,
-নীল আমি তোমাকে
ব্যাস এটুকুই বলতে পারলো হটাৎ একটা গুলি এসে মায়ার ঠিক পেটে লাগলো।
মায়া থমকে গেল মাটিতে পরে গেল।
নীল চলার ক্ষমাতা হারিয়ে ফেলেছে কি হলো এগুলো। শুধু একটা চিৎকার দিয়েছিলে।
মায়া……………
চলবে,