গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৫
© নিলান্তিকা_নাদিয়া
প্রেক্টিজ শেষ এ ওকে নিতে গেলাম ওর
ক্লাসের সামনে দেখি প্রহর আর নিলান্তি
হাসাহাসি করছে।
।
তারা- কিরে এখানে দাড়িয়ে আছিস কেন? ?
নিশা- দেখ না এই প্রহর হারামি সেই কখন
থেকে নিলান্তি র উপর লাইন মেরে যাচ্ছে।
মেয়েটা কিছু বুঝেনা নাকি? ??.
তারা- ডাকলাম কিন্তু প্রহর আসতে দিলনা।
।
শুন্য- এবার আমি গেলাম ভিতরে।
নিলান্তি চল।
।
প্রহর – নিলান্তি তুমি ওকে চিন?
।
নিলান্তি – হুম আসলে …
।
শুন্য- আসলে নিলান্তি আমার সাথে থাকে।
আমার বাসায়।
আর কিছু জানতে চাও? ?
।
প্রহর – নাহ।
।
বাসায়-
শুন্য- রাতে ছাদে প্রেক্টিজ করছিলাম
নিজে নিজে তোলয়ার দিয়ে।
খুব রাগ লাগছিল সেটা বের করার জন্য ই
এলো পাথারি তোলয়ার যেখানে সেখানে
মারছিলাম চোখ বন্ধ করে।
চোখের সামনে শুধু ওই সিন টাই ভেসে
উঠোছে।
হঠাত মনে হল কেউ আমার তোলয়ার কিছু
দিয়ে আটকাল।
চোখ খুললাম।
তুমি! ? এখানে?
।
নিলান্তি – নিজে নিজে করলে কি আর হয়? ?
আমার সাথে ফাইট কর।
একা একা ফাইট করে কোনো মজা নেই।
।
শুন্য- ঠিক আছে।
কিন্তু আমি জিতলে আমার একটা কথা
রাখতে হবে।
।
নিলান্তি- তোমাকে মারব না এমন কথা
দিতে পারব না।
।
শুন্য- এমন কথা আমি বলব ও না।
।
নিলান্তি- তাহলে!?
।
শুন্য- প্রহরের থেকে দুরে থাকতে হবে।
।
নিলান্তি- কেন?
।
শুন্য- তুমি রাজি কিনা বল।
।
নিলান্তি- ওকে।
শুন্য- আমার মনে চলছিল শুধু আমাকে জিততে
হবে।
আর তাছাড়া ওকে হারানো আমার কাছে
কোনো ব্যপার না।
।
নিলান্তি- শুন্য কিছু টা বেখেয়ালি ছিল তাই
প্রথমে ওকে মারতেই ও নিচে পড়ে গেল।
।
আমি কিছুটা অবাক হলাম।
।
শুন্য খুব রাগ নিয়ে আমার দিকে তাকাল।
ওর মাথা মুখ দিয়ে ঘাম বেয়ে পরছে।
ও কি কিছু নিয়ে ভাবছে? ? নাকি রেগে
আছে।
।
শুন্য- উঠে এলো পাথারি ভাবে মারা শুরু
করলাম।
প্রথমে নিলান্তি ঠেকাতে পারলেও পরে আর
পারেনি।
হাত থেকে ওর তোলয়ার টা পরে গেল।
আমি ওর ১ হাত ধরে টেনে ওর পিঠের সাথে
ঠেকিয়ে নিজে ওর পিছনে দাড়ালাম।
আর গলার সামনে তোলয়ার টা ধরলাম।
।
নিলান্তি- কি হল মেরে ফেলবে নাকি???
।
শুন্য- হাত থেকে তোলয়ার টা ফেলে ওকে
ঘুরিয়ে নিজের সাথে ধরে রাখলাম।
নাহ মারব না।
তুমি মরলে আমাকে মারবে কে? ???
কিন্তু হ্যা আমি যা বলেছি যা শর্ত, ছিল মনে
রেখো।
বলে নিচে বলে আসলাম।
।
নিলান্তি- প্রহর কে নিয়ে ওর এত কি
সমস্যা! !!????
কি জানি।
ঘরে গিয়ে শুয়ে পরলাম।
।
শুন্য- মেয়েটা গভীর ঘুমে রয়েছে।
আমি ওর খাটের পাশে গিয়ে বসলাম।
ওর এলোমেলো চুল গুলি তে চুমু দিলাম হাতে
নিয়ে।মুখ টা জ্বল জ্বল করছে চাদের আলোর
মত।
।
আচ্ছা কিছুদিন হল মেয়েটাকে আমি দেখছি।
এর মধ্যে ই
অন্য ছেলের সাথে দেখে ওকে আমার এত
রাগ লাগছিল কেন? ??
।
নিলান্তি- হঠাত ঘুম ভেংগে গেল।
মনে হচ্ছিল কেউ আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
কিন্ত এখানে ত কেউ নেই।
তাহলে হয়ত মনের ভুল।
।
জানালা র দিকে চোখ গেল।
চাঁদের আলো সময় আমাকে টানে।
মনে হয় চেয়েই থাকি।
জানালারর সামনে দাড়ালাম।
চোখ বন্ধ করে আলোর মাঝে ডুব দিলাম।
।
শুন্য- আমি দরজার আড়ালে ছিল।
ভাগ্যিস সরে এসেছিলাম। নাহলে দেখে
ফেলত।
আড়াল থেকে উকি দিতেই আমি বড় রকমের
শক খেলাম মেয়েটার ঘাড়ের ট্যাটু টার
থেকে নীল আলো ছড়াচ্ছিল। জ্বল জ্বল
করছে সেটা।
আচ্ছা নিলান্তি কি এটা জানে? ??.
কিন্তু এটা এইভাবে জ্বলছে কেন? ? জানতে
হবে।
।
পরেরদিন –
ক্লাবে চলে গেলাম।
নিলান্তি ওর ক্লাসে চলে গেল।
আমি আগে লাইব্রেরী তে গেলাম।
ওইখানে অনেক ধরনের বই আছে।
যাতে অনক গ্রহ, ম্যাজিক,কালো জাদু,
এইসবের বই আছে।
একটা বই পেলাম সেটা বিভিন্ন চিহ্ন এর
সম্পকে বর্ননা আছে।
বই টা বাসায় নিয়ে বিস্তারিত পড়তে হবে।
ব্যাগ এ ভরে নিলাম।
লাইব্রেরী থেকে বের হয় ক্লাসের উদ্দেশ্যে
যাওয়ার সময় দেখলাম প্রহর নিলান্তি কে
কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
মাথায় পুরাই রাগ উঠে গেল।
আমি সামনে দাড়ালাম।
শুন্য- কি হচ্ছে এই সব।
।
প্রহর – ফাইট ফিল্ড এ প্রেক্টিজ হচ্ছিল।
পায়ে ব্যথা পেয়েছে। তাই আর কি।
।
শুন্য- আমি নিয়ে যাচ্ছি ওকে নিচে নামাও।
।
প্রহর – ওকে।
।
শুন্য- নিলান্তি কে কোলে লিফট এ উঠলাম।
।
নিলান্তি- im sorry. আমি কিন্তু ওর সাথে
কথা বলিনি।
ও ই….
।
শুন্য- ওর দিকে তাকালাম।
।
নিলান্তি- (চোখ দেখি সেই আকারে লাল।
কিন্তু ওর সমস্যা কি??? মনে হচ্ছে খেয়ে
ফেলবে)
চোখ নিচে নামালাম।
।
ডাক্তার – তেমন কিছু হয়নি।
এই ইঞ্জেকশন টা দিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
।
শুন্য- ত দিয়ে দিন।
।
নিলান্তি- না না না না।
আমি টা দিব না।
আগের বার বুঝিনি এটা কি।
কিন্তু এখন জানি ।খুব ব্যথা লাগে।
।
শুন্য- আমি বলছি ত কিছু হবেনা।
।
নিলান্তি- না না।
।
শুন্য- ২ হাত দিয়ে মুখ ধরে আমার দিকে
ঘুড়ালাম আমার দিকে তাকাও।
।
তাকাও বলছি।
।
নিলান্তি- চেয়ে আছি ওর দিকে।
।
শুন্য- হাত দিয়ে ইশারা দিলাম।
।
ডাক্তার – ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলাম।
।
শুন্য- নিলান্তি! !!!
।
নিলান্তি- হুম।
।
শুন্য- কিছু টের পেলে? ?.
।
নিলান্তি- কি টের পাবো।
।
শুন্য- বাস! আমাদের কাজ শেষ চল বাসায়
যাই।
।
নিলান্তি- আর ইঞ্জেকশন! !!
।
ডাক্তার – দেওয়া হয়ে গেছে।
।
নিলান্তি- কিহ! !
।
শুন্য- হুম।
কোলে নিয়ে বাইকে বসালাম। তারপর বাসায়
আসলাম।
।
শুন্য- আমি খুজতে লাগলাম এই ট্যাটু র রহস্য।
এর মাঝে কেটে গেল ৩ মাস।
শুন্য এখন ও খুজে যাচ্ছে।
কিছুই পাচ্ছেনা।
কোনো ক্লু পাইনি।
আর এর মাঝে নিলান্তির ও খেয়াল রাখছে।
ওকে আগলে রেখেছে সব কিছু থেকে কেউ
জানেনা ওর পরিচয়।
কেউ জানবেও না।
কাউকে জানতে দিবেওনা।
।
এর মাঝে নিলান্তির মনের অনেক টা জায়গা
দখল করে নিয়েছে শুন্য।
নিলান্তি র মন জুরে এখন শুন্য বিরাজ করে।
নিলান্তি একটু একটু করে সেটা বুঝতে
পারছে।
এই ত দুই দিন আগের কথা –
শুন্য- নিলান্তি আর কত ক্ষন লাগবে।
অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে যাবা নাকি? ? উফফ
নিলান্তি- হয়ে গেছে। নিশা ও ডাকছে
জলদি কর।
।
নিশা – বাহ বাহ এখন শুন্য থেকে ও হয়ে
গেলো? ? আর কত কিছু দেখতে হবে।
।
ইশ লজ্জাতে আর লাল হতে হবেনা।
।
নিলান্তি- না না এমন কিছুনা।
।
নিশা- তা কেমন কিছু
??
।
নিলান্তি- উফফ বেশি বেশি।
তুমি কি ভেবেছ তোমার প্রথম এর কথা আমি
জানিনা??
।
নিশা – হ্যা সবাই জানে কিন্তু ওই বুদ্ধু রাম
টা কিছু ত মুখ ফুটে বলেওনা।
ছাগল কোথাকার।
।
নিলান্তি- তাহলে তুমি বলে দেও।
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৬