গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৬

নিশা – হ্যা সবাই জানে কিন্তু ওই বুদ্ধু রাম
টা কিছু ত মুখ ফুটে বলেওনা। ছাগল
কোথাকার।
।
নিলান্তি- তাহলে তুমি বলে দেও। ।
নিশা – তাই করতে হবে ভাবছি।
।
নিলান্তি- আজ কিন্তু ভালো সুযোগ। প্রথম –
মেয়েরা যে গ্রহের ঈ হক না কেন। এদের
সাজার র শেষ হয় না।
।
শুন্য- হুম। ঠিক। তোর টাও ত কম না। ।
প্রথম – আমার আর হল কই।
বলতেই ত পারিনা।
সামনে নে আসলে কথাই বের হয়না। ।
শুন্য- পিছনে তাকালাম। নিলান্তি- বের হল।
কালো ১ টা গাউন পড়েছে ।
চুল গুলা নিচের দিকে কোঁকড়ানো। রেড
লিপ্সটিক।গাড়
কালো চোখ।
খুব সুন্দর লাগছে।
।
প্রথম – ওমন হা করে আছিস কেন। মাছি
ঢুকবে।
।
নিশা – আচ্ছা তুই র নিলান্তি ১ বাইকে যা।
আমি আর প্রথম ১ টা তে আসি।
।
প্রথম- এই কথা শুনে মনে লাড্ডু ফুটল। ।
শুন্য- নিশা আর প্রথম বের হয়ে গেল।
নিলান্তি বের হবে তখন ওর হাত ধরলাম। ।
নিলান্তি- ও একগন যখনি আমাকে ধরে তখন
কেমন অদ্ভুত অনুভূতি জাগে মনে। ।
ঘুড়ে দাড়ালাম।
কিছু বলবে।
।
শুন্য- হুম আসো আমার সাথে। হাত ধরে
ভেতরে নিয়ে এলাম।
নিলান্তি- কি হল এখানে নিয়ে আসলে যে? ?
।
শুন্য – আয়নার সামনে দাড়া করালাম। সামনে
একটা চেইন ধরলাম।
( এই চেন এ ১ টা মাইক্রোচিপ আছে যায়
দ্বারা ও কোথায় কখন আছে তা আমার
ফোনের
এ সেট করা ডিভাইস এর দ্বারা জানতে
পারব! এর জন্য এটা দিচ্ছি)
।
নিলান্তি- খুব সুন্দর ত। কার জন্য?
।
শুন্য- তোমার।
নেও পরে নেও।
।
নিলান্তি- শুন্য!! এয়ার হুক লাগছেনা। একটু
দেখ ত।””
।
শুন্য- হুক টা লাগাচ্ছিলাম। ।
নিলান্তি- আয়নার দিকে তাকিয়ে ওকে
দেখছিলাম।
।
শুন্য- হয়েছে।
ওকে এখন চল।
দেরি হয়ে যাচ্ছে।
।
নিলান্তি- বাইকে উঠে বসলাম। ওর ঘাড়ে
হাত দিলাম।
তারপর ক্লাবে চলে এলাম। আমরা ভিতরে
গেলাম।
।
আজ সবাই মিলে ক্লাবে অনুষ্ঠান এর
আয়োজন করেছে।
সবাই সবার মত ইনজয় করছে।
।
প্রথম – কিরে কি দেখছিস? ? নিলান্তি কে।
বেটা ওকে তোর মনের কথা বলে দিলেই ত
পারিস।
।
শুন্য- না এখন না।
সময় হোক।
।
প্রথম – আর কত সময়? ?
।
আলো- কিরে এখানে তুই তোকে কখন থেকে
খুজছি
।
শুন্য- কেন? ?
।
আলো- চল আমার সাথে তোকে দরকার। ।
শুন্য- কিসের জন্য?
।
আলো- আরাভ কে জ্বলানোর জন্য। ।
শুন্য- আমি কি ককরব? ?
।
আলো- ওই দেখ হারামি অন্য মেয়ের সাথে।
তুই ও আমার সাথে ডান্স ফ্লোরে চল। ।
শুন্য- পারব না।
অন্য কাউকে দেখ।
।
আলো- দোস্ত প্লিজ।
চল না।
।
প্রথম – যা না।
।
শুন্য- উফফ। আচ্ছা চল।
।
প্রথম – হাই girls। এখানে দারিয়ে কি কর। চল
ডান্স ফ্লোরে যাই।
।
নিলান্তি- না না আমি যাব না। ।
প্রথম – নিশা তুই চল না। প্লিজ।
।
নিলান্তি- নিশার কানে কানে বললাম যাও।
দেখ মনের কথা বলে দিতেও পারে। ।
নিশা- আচ্ছা চল।
।
নিলান্তি- কিন্তু শুন্য কই। ।
প্রথম – ওই যে আলোর সাথে।
।
নিলান্তি- আমার এত রাগ লাগছিল ওদের
দেখে।
খুব কস্ট ও হচ্ছিল।
।
আমি একটা টেবিল এর কোনায় গিয়ে
দাড়ালাম।
ওইখানে অনেক ড্রিংকস রাখা। আমি গপাগপ
অনেক গুলা গিলে ফেললাম।
।
শুন্য- হঠাত যখন নিলান্তির দিকে চোখ গেল
দেখলাম ও গপাগপ ড্রিংকসস গিলেই যাচ্ছে
আমার দিকে তাকিয়ে।
এই সেরেছে ও কি জানে ও কি খাচ্ছে?? ।
আমি গিয়ে হাত ধরলাম।
এই কি করছ তুমি? ?
।
নিলান্তি- এএই হাত ছাড়ো আমার। আমি
আরো খাব।
।
শুন্য- না তুমি খাবেনা।
ও হাত পা ছুড়াছুড়ি শুরু করে দিয়েছে। আমি
ওর সাথে না পেরে কোলে তুলে নিলাম।
কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে আসলাম। ও
হাত পা ছুড়াছুড়ি করেই যাচ্ছে। আমি জোরে
ধমক দিলাম।তারপর শান্ত হল। সোজা বাসায়
আসলাম।
এসে দেখি ও ঘুমিয়ে গেছে। শুইয়ে যখনি
উঠতে যাব তখনি ও আমার কলার চেপে ধরল।
ঢলতে ঢলতে বলছে
।
নিলান্তি- এ…..ই তু……মি আলো….র সাথে
কি ক……র…..ছিলে হ্যা??? অন্য……মেয়ের
…….সা……থে এত কি….???? আর বলতে
……পারো
আ…..মার কে…….ন কস্ট হচ্ছিল??? শুন্য- আর
কি কি বলতে বলতে যেন ঘুমিয়ে গেল।
আমি হালকা হেসে ওর কপালে আদর করে
দিলাম।
।
# বর্তমানে –
নিলান্তি- ঘুমের থেকে উঠে গেলাম শুন্য র
ঘরে।
আমি প্রতি দিন যাই ঘুমন্ত শুন্য কে দেখতে।
আবার ও উঠার আগেই চলে আসি। ওকে ঘুমন্ত
অবস্থা তে দেখতে আমার ভাল লাগে।
কিন্তু এ কি আজ ও ঘরে নেই। তাহলে কই গেল
এত সকালে? ? ছাদে নেই ত।
যাই দেখে আসি।
ছাদে গেলাম।
যা ভেবেছি তাই।
ছাদে ব্যয়াম করছে।
এই প্রথম ওকে shirtless দেখলাম। পুরো বডিতে
নানান ধরনের ট্যাটু করা। ।
আর কি বডি??
পুরো শরীররে ঘাম বেয়ে বেয়ে পরছে। ওকে
এমন দেখে আমার লজ্জা লাগছে। থাক আমি
এখন যাই।
যেই পিছনে ঘুরেছি ওমনি শুন্য দাড়িয়ে।
আরে কাহিনি কি হল।
।
তু তু তু তু? ??
তুমি না এইখানে ছিলে।
পিছনে তাকিয়ে দেখি ও নেই।
।
শুন্য- হাত দিয়ে ওর মুখ ঘুড়ালাম। ওই খানে কি
দেখছ। ওইখানে ছিলাম এখন এইখানে।
বলে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম একটু ।
নিলান্তি- দেওয়াল এর সাথে লেগে আছি
আর কই যাব।
ও আমার এক পাশে হাত রাখল।
।
শুন্য- কি হল এত বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে
আছ কেন? ?
।
নিলান্তি- না ইয়ে মানে।
।
শুন্য- কি মিন মিন করছ? ?
।
নিলান্তি- পাশ দিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিলাম।
আরেক হাত অই পাশের দেওয়ালে রাখল। ।
শুন্য- কি হল পালাচ্ছ কেন? ?
।
নিলান্তি- আমি মনে হচ্ছে জমে যাচ্ছি। ।
শুন্য – কি হয়েছে? ? ভয় পাচ্ছ? ? ভাবছ আমি
শুন্য না।
আরে তুমি কি ভুলে গেছ I can run faster than
the lightray.
নিলান্তি – তাই ত।
আমিত ভুলেই গিয়েছিলাম